মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না। কিন্তু বরফময় বেসক্যাম্পে কিংবা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কোনো একদিন বরফের তাল সরিয়ে উঠে যাবেন চূড়ায়।
১৯ মে ইকরামুল হাসান শাকিল সপ্তম পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। শাকিলের আগে আরও ছয়জন বাংলাদেশি পা রেখেছেন সেই চূড়ায়। তাঁরা হলেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবর আলী।

এই তালিকা নিয়ে একটি ফুটনোট দিয়ে রাখা জরুরি। দেশের এভারেস্ট আরোহী প্রথম মানুষ হিসেবে মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়। দেশের সব পর্বতারোহী তাঁদের কাজ করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। এ ক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমই একমাত্র ব্যতিক্রম, এভারেস্টে ‘সফল’ অভিযানের পর যাঁর আর কোনো অভিযানের সংবাদ কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই নয়। ফলে বিতর্কটি চাগিয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই। সে যাক।

এম এ মুহিত
দুবার এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী
২০১০ সালে প্রথমবার এভারেস্ট অভিযান চালিয়ে আবহাওয়ার কারণে আরোহণে ব্যর্থ হয়েছিলেন এম এ মুহিত। এর এক বছর পর ২০১১ সালের ২১ মে তিনি এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। পরের বছর তিনি আবারও এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের মধ্যে এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত দখলে রেখেছেন মুহিত। ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক এবং উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেওয়া পর্বতারোহী তিনি।

বাবর আলী
একই অভিযানে দুই শৃঙ্গ সামিট
২০২৪ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ স্পর্শ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলেও বাবর আলী তাতে থিতু হননি। এর আগে তিনি ৯টি পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নেপালের স্থানীয় সময় ৯টা ৩ মিনিটে সামিট করেন আমা দাবলাম চূড়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই সামিট করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাইকেলে যাত্রা করেন।
এ ছাড়া গত ৭ এপ্রিল তিনি হিমালয়ের অন্নপূর্ণা-১ (৮ হাজার ৯১ মিটার) পর্বতচূড়া সামিট করেন।

নিশাত মজুমদার
দেশের প্রথম এভারেস্টে আরোহণকারী নারী
২০১২ সালের ১৯ মে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান নিশাত মজুমদার। ২০০৩ সালে এভারেস্ট অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেওক্রাডং চূড়ায় উঠে তিনি পর্বতারোহণ শুরু করেন। ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির সহায়তায় দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। এরপর এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বরে তিনি হিমালয়ের মেরা পর্বত (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) এবং ২০০৮ সালে সিঙ্গুচুলি শৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) আরোহণ করেন।

খালেদ হোসেন
পর্বতে মৃত্যু
২০১৩ সালের ২০ মে খালেদ হোসেন এভারেস্ট সামিট করেন। সাউথ সামিট পর্যন্ত নেমে এসে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মারা যান তিনি। খালেদ এভারেস্ট অভিযানের আগে ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে সিঙ্গুচুলি জয় করেন। এ ছাড়া অ্যাডমন্ড ভিস্টার্সেলের ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন খালেদ হোসেন।

ওয়াসফিয়া নাজরীন
সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ী
২০১২ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর কারস্তেঞ্জ পিরামিডে (পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া) সফল অভিযানের মাধ্যমে সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড সম্পন্ন করেন ওয়াসফিয়া। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কে-২ সামিট করেন। তাঁর দুঃসাহসিক অভিযাত্রার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাঁকে বর্ষসেরা অভিযাত্রী ঘোষণা করে।

ইকরামুল হাসান শাকিল
এভারেস্ট সামিটে বিশ্ব রেকর্ড
এভারেস্ট অভিযানে শাকিল যা করে দেখিয়েছেন, তা পুরো বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। ‘সি টু সামিট’ অভিযানে তিনি কম সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট সামিট করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ১৯ মে তিনি সফলভাবে শৃঙ্গ জয় করে ক্যাম্প-৪-এ ফিরে আসেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে শুরু হয়েছিল শাকিলের সি টু সামিট অভিযান। এরপর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুর্গম পথ অতিক্রম করে এভারেস্ট সামিট করেন শাকিল। এর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে ট্রেকিং শেষ করেন।

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না। কিন্তু বরফময় বেসক্যাম্পে কিংবা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কোনো একদিন বরফের তাল সরিয়ে উঠে যাবেন চূড়ায়।
১৯ মে ইকরামুল হাসান শাকিল সপ্তম পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। শাকিলের আগে আরও ছয়জন বাংলাদেশি পা রেখেছেন সেই চূড়ায়। তাঁরা হলেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবর আলী।

এই তালিকা নিয়ে একটি ফুটনোট দিয়ে রাখা জরুরি। দেশের এভারেস্ট আরোহী প্রথম মানুষ হিসেবে মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়। দেশের সব পর্বতারোহী তাঁদের কাজ করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। এ ক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমই একমাত্র ব্যতিক্রম, এভারেস্টে ‘সফল’ অভিযানের পর যাঁর আর কোনো অভিযানের সংবাদ কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই নয়। ফলে বিতর্কটি চাগিয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই। সে যাক।

এম এ মুহিত
দুবার এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী
২০১০ সালে প্রথমবার এভারেস্ট অভিযান চালিয়ে আবহাওয়ার কারণে আরোহণে ব্যর্থ হয়েছিলেন এম এ মুহিত। এর এক বছর পর ২০১১ সালের ২১ মে তিনি এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। পরের বছর তিনি আবারও এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের মধ্যে এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত দখলে রেখেছেন মুহিত। ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক এবং উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেওয়া পর্বতারোহী তিনি।

বাবর আলী
একই অভিযানে দুই শৃঙ্গ সামিট
২০২৪ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ স্পর্শ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলেও বাবর আলী তাতে থিতু হননি। এর আগে তিনি ৯টি পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নেপালের স্থানীয় সময় ৯টা ৩ মিনিটে সামিট করেন আমা দাবলাম চূড়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই সামিট করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাইকেলে যাত্রা করেন।
এ ছাড়া গত ৭ এপ্রিল তিনি হিমালয়ের অন্নপূর্ণা-১ (৮ হাজার ৯১ মিটার) পর্বতচূড়া সামিট করেন।

নিশাত মজুমদার
দেশের প্রথম এভারেস্টে আরোহণকারী নারী
২০১২ সালের ১৯ মে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান নিশাত মজুমদার। ২০০৩ সালে এভারেস্ট অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেওক্রাডং চূড়ায় উঠে তিনি পর্বতারোহণ শুরু করেন। ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির সহায়তায় দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। এরপর এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বরে তিনি হিমালয়ের মেরা পর্বত (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) এবং ২০০৮ সালে সিঙ্গুচুলি শৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) আরোহণ করেন।

খালেদ হোসেন
পর্বতে মৃত্যু
২০১৩ সালের ২০ মে খালেদ হোসেন এভারেস্ট সামিট করেন। সাউথ সামিট পর্যন্ত নেমে এসে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মারা যান তিনি। খালেদ এভারেস্ট অভিযানের আগে ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে সিঙ্গুচুলি জয় করেন। এ ছাড়া অ্যাডমন্ড ভিস্টার্সেলের ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন খালেদ হোসেন।

ওয়াসফিয়া নাজরীন
সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ী
২০১২ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর কারস্তেঞ্জ পিরামিডে (পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া) সফল অভিযানের মাধ্যমে সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড সম্পন্ন করেন ওয়াসফিয়া। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কে-২ সামিট করেন। তাঁর দুঃসাহসিক অভিযাত্রার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাঁকে বর্ষসেরা অভিযাত্রী ঘোষণা করে।

ইকরামুল হাসান শাকিল
এভারেস্ট সামিটে বিশ্ব রেকর্ড
এভারেস্ট অভিযানে শাকিল যা করে দেখিয়েছেন, তা পুরো বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। ‘সি টু সামিট’ অভিযানে তিনি কম সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট সামিট করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ১৯ মে তিনি সফলভাবে শৃঙ্গ জয় করে ক্যাম্প-৪-এ ফিরে আসেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে শুরু হয়েছিল শাকিলের সি টু সামিট অভিযান। এরপর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুর্গম পথ অতিক্রম করে এভারেস্ট সামিট করেন শাকিল। এর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে ট্রেকিং শেষ করেন।
মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না। কিন্তু বরফময় বেসক্যাম্পে কিংবা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কোনো একদিন বরফের তাল সরিয়ে উঠে যাবেন চূড়ায়।
১৯ মে ইকরামুল হাসান শাকিল সপ্তম পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। শাকিলের আগে আরও ছয়জন বাংলাদেশি পা রেখেছেন সেই চূড়ায়। তাঁরা হলেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবর আলী।

এই তালিকা নিয়ে একটি ফুটনোট দিয়ে রাখা জরুরি। দেশের এভারেস্ট আরোহী প্রথম মানুষ হিসেবে মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়। দেশের সব পর্বতারোহী তাঁদের কাজ করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। এ ক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমই একমাত্র ব্যতিক্রম, এভারেস্টে ‘সফল’ অভিযানের পর যাঁর আর কোনো অভিযানের সংবাদ কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই নয়। ফলে বিতর্কটি চাগিয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই। সে যাক।

এম এ মুহিত
দুবার এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী
২০১০ সালে প্রথমবার এভারেস্ট অভিযান চালিয়ে আবহাওয়ার কারণে আরোহণে ব্যর্থ হয়েছিলেন এম এ মুহিত। এর এক বছর পর ২০১১ সালের ২১ মে তিনি এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। পরের বছর তিনি আবারও এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের মধ্যে এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত দখলে রেখেছেন মুহিত। ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক এবং উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেওয়া পর্বতারোহী তিনি।

বাবর আলী
একই অভিযানে দুই শৃঙ্গ সামিট
২০২৪ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ স্পর্শ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলেও বাবর আলী তাতে থিতু হননি। এর আগে তিনি ৯টি পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নেপালের স্থানীয় সময় ৯টা ৩ মিনিটে সামিট করেন আমা দাবলাম চূড়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই সামিট করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাইকেলে যাত্রা করেন।
এ ছাড়া গত ৭ এপ্রিল তিনি হিমালয়ের অন্নপূর্ণা-১ (৮ হাজার ৯১ মিটার) পর্বতচূড়া সামিট করেন।

নিশাত মজুমদার
দেশের প্রথম এভারেস্টে আরোহণকারী নারী
২০১২ সালের ১৯ মে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান নিশাত মজুমদার। ২০০৩ সালে এভারেস্ট অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেওক্রাডং চূড়ায় উঠে তিনি পর্বতারোহণ শুরু করেন। ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির সহায়তায় দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। এরপর এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বরে তিনি হিমালয়ের মেরা পর্বত (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) এবং ২০০৮ সালে সিঙ্গুচুলি শৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) আরোহণ করেন।

খালেদ হোসেন
পর্বতে মৃত্যু
২০১৩ সালের ২০ মে খালেদ হোসেন এভারেস্ট সামিট করেন। সাউথ সামিট পর্যন্ত নেমে এসে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মারা যান তিনি। খালেদ এভারেস্ট অভিযানের আগে ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে সিঙ্গুচুলি জয় করেন। এ ছাড়া অ্যাডমন্ড ভিস্টার্সেলের ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন খালেদ হোসেন।

ওয়াসফিয়া নাজরীন
সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ী
২০১২ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর কারস্তেঞ্জ পিরামিডে (পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া) সফল অভিযানের মাধ্যমে সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড সম্পন্ন করেন ওয়াসফিয়া। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কে-২ সামিট করেন। তাঁর দুঃসাহসিক অভিযাত্রার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাঁকে বর্ষসেরা অভিযাত্রী ঘোষণা করে।

ইকরামুল হাসান শাকিল
এভারেস্ট সামিটে বিশ্ব রেকর্ড
এভারেস্ট অভিযানে শাকিল যা করে দেখিয়েছেন, তা পুরো বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। ‘সি টু সামিট’ অভিযানে তিনি কম সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট সামিট করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ১৯ মে তিনি সফলভাবে শৃঙ্গ জয় করে ক্যাম্প-৪-এ ফিরে আসেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে শুরু হয়েছিল শাকিলের সি টু সামিট অভিযান। এরপর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুর্গম পথ অতিক্রম করে এভারেস্ট সামিট করেন শাকিল। এর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে ট্রেকিং শেষ করেন।

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না। কিন্তু বরফময় বেসক্যাম্পে কিংবা হিমালয়ের বিভিন্ন ট্রেকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কোনো একদিন বরফের তাল সরিয়ে উঠে যাবেন চূড়ায়।
১৯ মে ইকরামুল হাসান শাকিল সপ্তম পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেছেন। শাকিলের আগে আরও ছয়জন বাংলাদেশি পা রেখেছেন সেই চূড়ায়। তাঁরা হলেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবর আলী।

এই তালিকা নিয়ে একটি ফুটনোট দিয়ে রাখা জরুরি। দেশের এভারেস্ট আরোহী প্রথম মানুষ হিসেবে মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়। দেশের সব পর্বতারোহী তাঁদের কাজ করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। এ ক্ষেত্রে মুসা ইব্রাহীমই একমাত্র ব্যতিক্রম, এভারেস্টে ‘সফল’ অভিযানের পর যাঁর আর কোনো অভিযানের সংবাদ কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীর কোনো প্রান্তেই নয়। ফলে বিতর্কটি চাগিয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই। সে যাক।

এম এ মুহিত
দুবার এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী
২০১০ সালে প্রথমবার এভারেস্ট অভিযান চালিয়ে আবহাওয়ার কারণে আরোহণে ব্যর্থ হয়েছিলেন এম এ মুহিত। এর এক বছর পর ২০১১ সালের ২১ মে তিনি এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। পরের বছর তিনি আবারও এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের মধ্যে এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত দখলে রেখেছেন মুহিত। ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক এবং উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেওয়া পর্বতারোহী তিনি।

বাবর আলী
একই অভিযানে দুই শৃঙ্গ সামিট
২০২৪ সালের ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ স্পর্শ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলেও বাবর আলী তাতে থিতু হননি। এর আগে তিনি ৯টি পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নেপালের স্থানীয় সময় ৯টা ৩ মিনিটে সামিট করেন আমা দাবলাম চূড়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই সামিট করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাইকেলে যাত্রা করেন।
এ ছাড়া গত ৭ এপ্রিল তিনি হিমালয়ের অন্নপূর্ণা-১ (৮ হাজার ৯১ মিটার) পর্বতচূড়া সামিট করেন।

নিশাত মজুমদার
দেশের প্রথম এভারেস্টে আরোহণকারী নারী
২০১২ সালের ১৯ মে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান নিশাত মজুমদার। ২০০৩ সালে এভারেস্ট অভিযানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেওক্রাডং চূড়ায় উঠে তিনি পর্বতারোহণ শুরু করেন। ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির সহায়তায় দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। এরপর এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সেপ্টেম্বরে তিনি হিমালয়ের মেরা পর্বত (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) এবং ২০০৮ সালে সিঙ্গুচুলি শৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) আরোহণ করেন।

খালেদ হোসেন
পর্বতে মৃত্যু
২০১৩ সালের ২০ মে খালেদ হোসেন এভারেস্ট সামিট করেন। সাউথ সামিট পর্যন্ত নেমে এসে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মারা যান তিনি। খালেদ এভারেস্ট অভিযানের আগে ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে সিঙ্গুচুলি জয় করেন। এ ছাড়া অ্যাডমন্ড ভিস্টার্সেলের ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন খালেদ হোসেন।

ওয়াসফিয়া নাজরীন
সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ী
২০১২ সালের ২৬ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর কারস্তেঞ্জ পিরামিডে (পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া) সফল অভিযানের মাধ্যমে সাত মহাদেশের সাত শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড সম্পন্ন করেন ওয়াসফিয়া। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কে-২ সামিট করেন। তাঁর দুঃসাহসিক অভিযাত্রার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাঁকে বর্ষসেরা অভিযাত্রী ঘোষণা করে।

ইকরামুল হাসান শাকিল
এভারেস্ট সামিটে বিশ্ব রেকর্ড
এভারেস্ট অভিযানে শাকিল যা করে দেখিয়েছেন, তা পুরো বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। ‘সি টু সামিট’ অভিযানে তিনি কম সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট সামিট করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ১৯ মে তিনি সফলভাবে শৃঙ্গ জয় করে ক্যাম্প-৪-এ ফিরে আসেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে শুরু হয়েছিল শাকিলের সি টু সামিট অভিযান। এরপর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দুর্গম পথ অতিক্রম করে এভারেস্ট সামিট করেন শাকিল। এর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে ট্রেকিং শেষ করেন।

আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৫ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না।
২২ মে ২০২৫
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না।
২২ মে ২০২৫
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৫ মিনিট আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না। এগুলো ব্যবহার করার আগে কয়েক দিন ভালোভাবে কড়া রোদে এপাশ-ওপাশ শুকিয়ে তারপরই পরতে হবে। যেসব কাপড়ে আবার ধুলার গন্ধ থাকে, সেগুলো ধুয়ে ব্যবহার করাই ভালো।
শীতের পোশাকগুলো পরার আগে যা করতে হবে:
সোয়েটার পরার আগে ধুয়ে পরাই ভালো। ঠান্ডা পানিতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু ও ভিনেগার মিশিয়ে আলতো করে সোয়েটার ধোয়া উচিত। এটি কখনোই ওয়াশিং মেশিনে ধোবেন না। তাতে এর বুনন নষ্ট হয়ে যায়। ধোয়ার পর হালকা করে পানি নিংড়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নিন।
হালকা শীতে ফ্লানেলের শার্ট, ব্লাউজ, স্কার্ট আরামদায়ক। এসব কাপড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। বেশি ময়লা হলে হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা করে কেচে ধুয়ে নিন। কাপড় উল্টিয়ে রোদে শুকাতে দিন। এতে রং নষ্ট হবে না।
চাদর বের করে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ধোয়ার প্রয়োজন হলে ড্রাই ক্লিন করে নিতে পারেন। চাদর দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
চামড়ার জ্যাকেট পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে জ্যাকেটের উপরিভাগ মুছে নিন। এরপর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলেই, ব্যস।
শীতে প্রতিদিনই যে অনুষঙ্গগুলো ব্যবহৃত হয়; যেমন উলের মোজা, মাফলার, টুপি ইত্যাদি দ্রুত ময়লা হয়। তাই তিন-চার দিন পরপর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য

শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না। এগুলো ব্যবহার করার আগে কয়েক দিন ভালোভাবে কড়া রোদে এপাশ-ওপাশ শুকিয়ে তারপরই পরতে হবে। যেসব কাপড়ে আবার ধুলার গন্ধ থাকে, সেগুলো ধুয়ে ব্যবহার করাই ভালো।
শীতের পোশাকগুলো পরার আগে যা করতে হবে:
সোয়েটার পরার আগে ধুয়ে পরাই ভালো। ঠান্ডা পানিতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু ও ভিনেগার মিশিয়ে আলতো করে সোয়েটার ধোয়া উচিত। এটি কখনোই ওয়াশিং মেশিনে ধোবেন না। তাতে এর বুনন নষ্ট হয়ে যায়। ধোয়ার পর হালকা করে পানি নিংড়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নিন।
হালকা শীতে ফ্লানেলের শার্ট, ব্লাউজ, স্কার্ট আরামদায়ক। এসব কাপড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। বেশি ময়লা হলে হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা করে কেচে ধুয়ে নিন। কাপড় উল্টিয়ে রোদে শুকাতে দিন। এতে রং নষ্ট হবে না।
চাদর বের করে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ধোয়ার প্রয়োজন হলে ড্রাই ক্লিন করে নিতে পারেন। চাদর দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
চামড়ার জ্যাকেট পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে জ্যাকেটের উপরিভাগ মুছে নিন। এরপর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলেই, ব্যস।
শীতে প্রতিদিনই যে অনুষঙ্গগুলো ব্যবহৃত হয়; যেমন উলের মোজা, মাফলার, টুপি ইত্যাদি দ্রুত ময়লা হয়। তাই তিন-চার দিন পরপর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না।
২২ মে ২০২৫
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৫ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

অ্যাভোকাডো টোস্ট, মাচা লাতে বা বিলাসবহুল চকলেট। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই খাবারগুলো বানানো এবং খাওয়ার ভিডিও এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। খাবারগুলো দেখতে চমৎকার, আকর্ষণীয়; এমনকি স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে এক উদ্বেগজনক রহস্য। কারণ, এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অথচ আমরা শুধু তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং স্বাদের কারণে সেই সব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হই। তাই এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে গেলেও এর পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্য কিন্তু রয়েই যায়। এর প্রভাব আমাদের পছন্দের প্লেটের বাইরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, যা দেখায় যে জনপ্রিয়তা মানেই টেকসই নয়।
পানি ও জমির ওপর চরম চাপ সৃষ্টিকারী খাদ্য

কিছু খাদ্য আছে, যেগুলোর উৎপাদন করতে গিয়ে পানির আধার শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক জমি ধ্বংস হচ্ছে। যেসব খাদ্য উৎপাদনে এমন ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
আমন্ড মিল্ক: আমণ্ড মিল্ক উৎপাদন করতে পরিবেশকে চরম মূল্য দিতে হয়। মাত্র ১৬টি আমন্ডের জন্য ১৫ গ্যালনের বেশি পানি প্রয়োজন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বছরে দুই বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আমন্ড উৎপাদন করা হয়। সেখানে দীর্ঘ এক দশক ধরে খরা চলছে। নিবিড় সেচের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। কীটনাশক পানিকে দূষিত করছে এবং প্রাকৃতিক জলাভূমি আমন্ড বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে।
পেস্তা: জলবায়ু-সহনশীল ফসল হিসেবে বাজারজাত করা হয় পেস্তা। প্রতি কিলোগ্রাম পেস্তা উৎপাদনে প্রায় ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ফলে দুষ্প্রাপ্য পানির সংস্থান দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্পেনের মতো উৎপাদনকারী অঞ্চলে এখন খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

কফি: আপনার প্রিয় চার আউন্সের এক কাপ কফি উৎপাদনের জন্য পানির প্রয়োজন প্রায় ১৪০ লিটার। বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি খামারগুলো এখন রাসায়নিক-নির্ভর সূর্য-আশ্রিত খামারে পরিণত হচ্ছে। এতে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বছরে ১৬ বিলিয়ন পর্যন্ত ডিসপোজিবল কাপ ব্যবহার ৪ বিলিয়ন গ্যালন পানি এবং লাখ লাখ গাছ নষ্ট করছে।
ভাত: গবাদিপশুর পরে ধান চাষ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিথেন নিঃসরণকারী উৎস। বছরে জার্মানির মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় সমান পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় ধানখেত থেকে, যার প্রধান কারণ পচনশীল খড়। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪ লাখ লিটার পানির প্রয়োজন হয়।
বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য কমার কারণ
অনেক জনপ্রিয় খাবার উৎপাদন করতে গিয়ে পৃথিবীর মূল্যবান বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। এমন খাবারগুলোর মধ্যে আছে—
সয়া বা টোফু: টোফুর মতো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের ভিত্তি সয়া বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির কারণ। দক্ষিণ আমেরিকায়, সয়া চাষের জন্য সেরাদো তৃণভূমির (৩ হাজারের বেশি প্রজাতির আবাসস্থল) অর্ধেক জমি হারিয়েছে। সয়ার ৭৫ শতাংশ সরাসরি মানুষ খায় না, বরং গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা এর পরিবেশগত ক্ষতি আরও তীব্র করে।
পাম তেল: এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল, যা অর্ধেকের বেশি মুদিদোকানের পণ্যে পাওয়া যায়। এর উৎপাদন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন উজাড়ের মূল কারণ। ফলে ওরাংগুটান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। রেইনফরেস্ট পরিষ্কার করার ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে স্থানচ্যুত হতে হয়।
গরুর মাংস: গরুর মাংসের উৎপাদন এখনো লাতিন আমেরিকার ৭০ শতাংশের বেশি বন উজাড়ের কারণ। এটি প্রচুর মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত করে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধান হুমকি। তথাকথিত টেকসই গরুর মাংসও একটি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত।
চকলেট: কোকো চাষের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার ৯০ শতাংশের বেশি বনভূমি হারিয়ে গেছে। চকলেটের বার তৈরিতে পাম তেল এবং সয়া ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া আইভরি কোস্ট এবং ঘানার ছোট চাষিরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় শিশুশ্রমের মতো নৈতিক সমস্যাও বিদ্যমান।
সমুদ্র ও প্রথাগত কৃষির ওপর আঘাত
আমাদের খাদ্যপ্রবণতা শুধু জমি নয়, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ও প্রথাগত কৃষকের জীবনকেও প্রভাবিত করছে।
মাছ: বিশ্বজুড়ে সুশি এবং পোক বাউলের জনপ্রিয়তা একটি গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতি ডেকে এনেছে। অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে টুনা ও স্যামনের মতো মূল প্রজাতিগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশ্বব্যাপী মাছ রপ্তানির অর্ধেক সরবরাহকারী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, মাছ স্থানীয় ভোগের পরিবর্তে বিলাসবহুল বাজারের জন্য রপ্তানি হয়, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রোটিন ঘাটতি সৃষ্টি করে।
দুগ্ধজাতীয় ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য
সাধারণ দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত বাদামও পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে।
দই: গরুর মাংসের ব্যবহার কমলেও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে; যা পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে। গ্রিক এবং ছাঁকা দই সাধারণ দইয়ের চেয়ে চার গুণ বেশি দুধ ব্যবহার করে। গবাদিপশুর মিথেন নিঃসরণ এবং ব্যাপক পশুকল্যাণ-সংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে মিলিত হয়ে, দুধ একটি উচ্চ-প্রভাবশালী জলবায়ু পরিবর্তনকারী কারণ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বাদামের মাখন কিছু বাদামের মাখনে পাম তেল থাকে। এ ছাড়া পানির প্রয়োজনকারী ক্যালিফোর্নিয়ার আমন্ড বা তুর্কি হ্যাজেলনাট এবং ভিয়েতনামের কাজুশিল্পে শিশুশ্রম ও মানবাধিকারের উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

অ্যাভোকাডো টোস্ট, মাচা লাতে বা বিলাসবহুল চকলেট। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই খাবারগুলো বানানো এবং খাওয়ার ভিডিও এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। খাবারগুলো দেখতে চমৎকার, আকর্ষণীয়; এমনকি স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে এক উদ্বেগজনক রহস্য। কারণ, এই খাবারগুলো বন উজাড়, পানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিকর বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমাদের প্লেটে পরিবেশিত এমন অনেক জনপ্রিয় খাদ্য আছে, যেগুলো নিঃশব্দে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অথচ আমরা শুধু তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং স্বাদের কারণে সেই সব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হই। তাই এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সেই খাবারগুলো রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। খাদ্যপ্রবণতার উন্মাদনা ফিকে হয়ে গেলেও এর পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্য কিন্তু রয়েই যায়। এর প্রভাব আমাদের পছন্দের প্লেটের বাইরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, যা দেখায় যে জনপ্রিয়তা মানেই টেকসই নয়।
পানি ও জমির ওপর চরম চাপ সৃষ্টিকারী খাদ্য

কিছু খাদ্য আছে, যেগুলোর উৎপাদন করতে গিয়ে পানির আধার শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক জমি ধ্বংস হচ্ছে। যেসব খাদ্য উৎপাদনে এমন ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
আমন্ড মিল্ক: আমণ্ড মিল্ক উৎপাদন করতে পরিবেশকে চরম মূল্য দিতে হয়। মাত্র ১৬টি আমন্ডের জন্য ১৫ গ্যালনের বেশি পানি প্রয়োজন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বছরে দুই বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আমন্ড উৎপাদন করা হয়। সেখানে দীর্ঘ এক দশক ধরে খরা চলছে। নিবিড় সেচের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। কীটনাশক পানিকে দূষিত করছে এবং প্রাকৃতিক জলাভূমি আমন্ড বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে।
পেস্তা: জলবায়ু-সহনশীল ফসল হিসেবে বাজারজাত করা হয় পেস্তা। প্রতি কিলোগ্রাম পেস্তা উৎপাদনে প্রায় ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ফলে দুষ্প্রাপ্য পানির সংস্থান দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্পেনের মতো উৎপাদনকারী অঞ্চলে এখন খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

কফি: আপনার প্রিয় চার আউন্সের এক কাপ কফি উৎপাদনের জন্য পানির প্রয়োজন প্রায় ১৪০ লিটার। বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি খামারগুলো এখন রাসায়নিক-নির্ভর সূর্য-আশ্রিত খামারে পরিণত হচ্ছে। এতে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বছরে ১৬ বিলিয়ন পর্যন্ত ডিসপোজিবল কাপ ব্যবহার ৪ বিলিয়ন গ্যালন পানি এবং লাখ লাখ গাছ নষ্ট করছে।
ভাত: গবাদিপশুর পরে ধান চাষ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিথেন নিঃসরণকারী উৎস। বছরে জার্মানির মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় সমান পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় ধানখেত থেকে, যার প্রধান কারণ পচনশীল খড়। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪ লাখ লিটার পানির প্রয়োজন হয়।
বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য কমার কারণ
অনেক জনপ্রিয় খাবার উৎপাদন করতে গিয়ে পৃথিবীর মূল্যবান বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। এমন খাবারগুলোর মধ্যে আছে—
সয়া বা টোফু: টোফুর মতো উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের ভিত্তি সয়া বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির কারণ। দক্ষিণ আমেরিকায়, সয়া চাষের জন্য সেরাদো তৃণভূমির (৩ হাজারের বেশি প্রজাতির আবাসস্থল) অর্ধেক জমি হারিয়েছে। সয়ার ৭৫ শতাংশ সরাসরি মানুষ খায় না, বরং গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা এর পরিবেশগত ক্ষতি আরও তীব্র করে।
পাম তেল: এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল, যা অর্ধেকের বেশি মুদিদোকানের পণ্যে পাওয়া যায়। এর উৎপাদন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বন উজাড়ের মূল কারণ। ফলে ওরাংগুটান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। রেইনফরেস্ট পরিষ্কার করার ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে স্থানচ্যুত হতে হয়।
গরুর মাংস: গরুর মাংসের উৎপাদন এখনো লাতিন আমেরিকার ৭০ শতাংশের বেশি বন উজাড়ের কারণ। এটি প্রচুর মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত করে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধান হুমকি। তথাকথিত টেকসই গরুর মাংসও একটি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত।
চকলেট: কোকো চাষের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার ৯০ শতাংশের বেশি বনভূমি হারিয়ে গেছে। চকলেটের বার তৈরিতে পাম তেল এবং সয়া ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া আইভরি কোস্ট এবং ঘানার ছোট চাষিরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় শিশুশ্রমের মতো নৈতিক সমস্যাও বিদ্যমান।
সমুদ্র ও প্রথাগত কৃষির ওপর আঘাত
আমাদের খাদ্যপ্রবণতা শুধু জমি নয়, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ও প্রথাগত কৃষকের জীবনকেও প্রভাবিত করছে।
মাছ: বিশ্বজুড়ে সুশি এবং পোক বাউলের জনপ্রিয়তা একটি গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতি ডেকে এনেছে। অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে টুনা ও স্যামনের মতো মূল প্রজাতিগুলো বিলুপ্তির পথে। বিশ্বব্যাপী মাছ রপ্তানির অর্ধেক সরবরাহকারী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, মাছ স্থানীয় ভোগের পরিবর্তে বিলাসবহুল বাজারের জন্য রপ্তানি হয়, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রোটিন ঘাটতি সৃষ্টি করে।
দুগ্ধজাতীয় ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য
সাধারণ দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত বাদামও পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে।
দই: গরুর মাংসের ব্যবহার কমলেও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে; যা পরিবেশের ওপর বড় ছাপ ফেলছে। গ্রিক এবং ছাঁকা দই সাধারণ দইয়ের চেয়ে চার গুণ বেশি দুধ ব্যবহার করে। গবাদিপশুর মিথেন নিঃসরণ এবং ব্যাপক পশুকল্যাণ-সংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে মিলিত হয়ে, দুধ একটি উচ্চ-প্রভাবশালী জলবায়ু পরিবর্তনকারী কারণ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বাদামের মাখন কিছু বাদামের মাখনে পাম তেল থাকে। এ ছাড়া পানির প্রয়োজনকারী ক্যালিফোর্নিয়ার আমন্ড বা তুর্কি হ্যাজেলনাট এবং ভিয়েতনামের কাজুশিল্পে শিশুশ্রম ও মানবাধিকারের উদ্বেগ রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বরফের হাতছানি লেগেছে পানির দেশে। এখন দেশের তরুণেরা বরফের পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। একজন ছাড়া সবাই নিরাপদে ফিরেও এসেছেন। সবাই হয়তো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে পারছেন না।
২২ মে ২০২৫
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
৫ মিনিট আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগে
শহর থেকে একটু দূরেই যাঁদের বসবাস, তাঁরা এরই মধ্য়ে হালকা শীতের কাপড় নামিয়ে ফেলেছেন। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী সোয়েটার, জ্যাকেট, উলের মোজা, টুপি, চাদর, কার্ডিগান বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তো আর গায়ে তোলা যায় না।
২ ঘণ্টা আগে