ফিচার ডেস্ক
ধরুন, অনেক দিন ছুটি ও অর্থ জমিয়ে গেছেন ঘুরতে। বিমানবন্দরে নেমেই যদি জানতে পারেন, আপনার লাগেজটি পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে কেমন অনুভূতি হবে আপনার? দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে—যেখানেই হোক, বিমানবন্দরে লাগেজ হারানোর একটা আশঙ্কা থাকে।
বড় ও ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোতে লাগেজ হারানোর ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশ্বে এমন কিছু বিমানবন্দর আছে, যেগুলোতে এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ‘ক্রমবর্ধমান সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। ফলে কোন বিমানবন্দরে ‘সবচেয়ে’ বেশি লাগেজ চুরি হয়, তা নিয়ে গবেষণাও করে ফেলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক বিমানবন্দরেই লাগেজ সিস্টেমে নানান গাফিলতি বা চুরি সংঘটিত হয়। বিষয়টি ভ্রমণকারীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ‘এয়ার অ্যাডভাইজার’ নামের একটি সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোন বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপদ লাগেজ ক্লেইম রয়েছে আর কোন বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাগ চুরি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তারা এটাও দাবি করেছে, কিছু বিমানবন্দর এটি মোকাবিলার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত এবং সেগুলোতে লাগেজের নিরাপত্তা অপেক্ষাকৃত ভালো।
হারানো লাগেজের ঝুঁকির পরিমাপ
যাত্রীরা কীভাবে হারানো লাগেজের খোঁজ করে এবং বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে কীভাবে এটি পরিচালিত হয়, তা বিশ্লেষণ করতে একাধিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণার জন্য বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা, গুগলে হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান, বিমানবন্দরগুলোর পর্যালোচনার পরিমাণ এবং গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময়সহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। এমনকি বিমানবন্দরগুলোর প্রত্যেক এক হাজার যাত্রীর মধ্যে লাগেজ মিসহ্যান্ডলিং রেট হিসাব করা হয়েছে।
কোন বিমানবন্দরগুলোতে লাগেজ হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর
এই তালিকায় প্রথমেই আছে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর। ৮৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে বিশ্বের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে এটি একটি। এই বিমানবন্দরে প্রতিবছর প্রায় ১৯ হাজার বার হারানো লাগেজের অনুসন্ধান হয়। দীর্ঘ ২০ মিনিট হাঁটতে হয় গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছানোর জন্য। বিষয়টি যাত্রীদের জন্য বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এটি এমন একটি বিমানবন্দর, যেখানে লাগেজের চুরির আশঙ্কা অনেক বেশি।
চার্লস ডি গল বিমানবন্দর, প্যারিস
প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৭০ দশমিক ৩ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করে প্রতিবছর। গবেষণায় উঠে এসেছে, বিমানবন্দরটিতে প্রায় ৪ হাজার ১১০ বার হারানো লাগেজের জন্য গুগলে অনুসন্ধান করা হয় প্রতিবছর। সেখানে গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময় প্রায় ২৬ মিনিট।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইউএই
বিশ্বের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে খ্যাতি আছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। প্রতিবছর সেই বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রায় ৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন যাত্রী। সেখানে বছরে ৫ হাজার ২৯০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় এবং গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময় প্রায় ২০ মিনিট।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর, তুরস্ক
প্রতিবছর প্রায় ৭৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বছরে প্রায় ৩ হাজার ৩৪০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় সেখানে। ২৪ মিনিট হাঁটতে হয় গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছাতে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর, জার্মানি
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর দিয়ে ৬১ দশমিক ৬ মিলিয়ন যাত্রী প্রতিবছর যাতায়াত করে। সেখানে ৩ হাজার ১৭০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় বছরে। সেই বিমানবন্দরে গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৮ মিনিট।
এই গবেষণা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। যদিও হারানো লাগেজের ঝুঁকি রোধ করার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেসব বিমানবন্দরে। তবে এটি যাত্রীদের সচেতনতার ওপর নির্ভর করে অনেকাংশে বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।
ব্যাগ নিরাপদ রাখতে যা করতে পারেন
যদিও কিছু বিমানবন্দর লাগেজ হারানোর জন্য বিখ্যাত, তবে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন আপনার লাগেজের নিরাপত্তা।
লাগেজের ট্যাগ লাগানো: প্রতিটি লাগেজে পরিচয়পত্র লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে লাগেজ দ্রুত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সতর্কতা অবলম্বন করা: ব্যস্ত সময়ের মধ্যে আপনার লাগেজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন; বিশেষ করে কনভেয়র বেল্ট বা লাগেজ ক্লেইমের আশপাশে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা: লাগেজের ভেতরে ভ্রমণ-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্যাডলক বা বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কিউআরট্রাভ, এয়ার অ্যাডভাইজার
ধরুন, অনেক দিন ছুটি ও অর্থ জমিয়ে গেছেন ঘুরতে। বিমানবন্দরে নেমেই যদি জানতে পারেন, আপনার লাগেজটি পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে কেমন অনুভূতি হবে আপনার? দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে—যেখানেই হোক, বিমানবন্দরে লাগেজ হারানোর একটা আশঙ্কা থাকে।
বড় ও ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোতে লাগেজ হারানোর ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশ্বে এমন কিছু বিমানবন্দর আছে, যেগুলোতে এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ‘ক্রমবর্ধমান সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। ফলে কোন বিমানবন্দরে ‘সবচেয়ে’ বেশি লাগেজ চুরি হয়, তা নিয়ে গবেষণাও করে ফেলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক বিমানবন্দরেই লাগেজ সিস্টেমে নানান গাফিলতি বা চুরি সংঘটিত হয়। বিষয়টি ভ্রমণকারীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ‘এয়ার অ্যাডভাইজার’ নামের একটি সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোন বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপদ লাগেজ ক্লেইম রয়েছে আর কোন বিমানবন্দরগুলোতে ব্যাগ চুরি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তারা এটাও দাবি করেছে, কিছু বিমানবন্দর এটি মোকাবিলার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত এবং সেগুলোতে লাগেজের নিরাপত্তা অপেক্ষাকৃত ভালো।
হারানো লাগেজের ঝুঁকির পরিমাপ
যাত্রীরা কীভাবে হারানো লাগেজের খোঁজ করে এবং বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে কীভাবে এটি পরিচালিত হয়, তা বিশ্লেষণ করতে একাধিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণার জন্য বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা, গুগলে হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান, বিমানবন্দরগুলোর পর্যালোচনার পরিমাণ এবং গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময়সহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। এমনকি বিমানবন্দরগুলোর প্রত্যেক এক হাজার যাত্রীর মধ্যে লাগেজ মিসহ্যান্ডলিং রেট হিসাব করা হয়েছে।
কোন বিমানবন্দরগুলোতে লাগেজ হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর
এই তালিকায় প্রথমেই আছে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর। ৮৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে বিশ্বের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে এটি একটি। এই বিমানবন্দরে প্রতিবছর প্রায় ১৯ হাজার বার হারানো লাগেজের অনুসন্ধান হয়। দীর্ঘ ২০ মিনিট হাঁটতে হয় গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছানোর জন্য। বিষয়টি যাত্রীদের জন্য বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এটি এমন একটি বিমানবন্দর, যেখানে লাগেজের চুরির আশঙ্কা অনেক বেশি।
চার্লস ডি গল বিমানবন্দর, প্যারিস
প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৭০ দশমিক ৩ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করে প্রতিবছর। গবেষণায় উঠে এসেছে, বিমানবন্দরটিতে প্রায় ৪ হাজার ১১০ বার হারানো লাগেজের জন্য গুগলে অনুসন্ধান করা হয় প্রতিবছর। সেখানে গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময় প্রায় ২৬ মিনিট।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইউএই
বিশ্বের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে খ্যাতি আছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। প্রতিবছর সেই বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রায় ৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন যাত্রী। সেখানে বছরে ৫ হাজার ২৯০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় এবং গেট থেকে লাগেজ ক্লেইম পর্যন্ত হাঁটার সময় প্রায় ২০ মিনিট।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর, তুরস্ক
প্রতিবছর প্রায় ৭৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বছরে প্রায় ৩ হাজার ৩৪০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় সেখানে। ২৪ মিনিট হাঁটতে হয় গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছাতে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর, জার্মানি
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর দিয়ে ৬১ দশমিক ৬ মিলিয়ন যাত্রী প্রতিবছর যাতায়াত করে। সেখানে ৩ হাজার ১৭০ বার হারানো লাগেজের জন্য অনুসন্ধান করা হয় বছরে। সেই বিমানবন্দরে গেট থেকে লাগেজ ক্লেইমে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৮ মিনিট।
এই গবেষণা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। যদিও হারানো লাগেজের ঝুঁকি রোধ করার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেসব বিমানবন্দরে। তবে এটি যাত্রীদের সচেতনতার ওপর নির্ভর করে অনেকাংশে বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।
ব্যাগ নিরাপদ রাখতে যা করতে পারেন
যদিও কিছু বিমানবন্দর লাগেজ হারানোর জন্য বিখ্যাত, তবে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন আপনার লাগেজের নিরাপত্তা।
লাগেজের ট্যাগ লাগানো: প্রতিটি লাগেজে পরিচয়পত্র লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে লাগেজ দ্রুত ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সতর্কতা অবলম্বন করা: ব্যস্ত সময়ের মধ্যে আপনার লাগেজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন; বিশেষ করে কনভেয়র বেল্ট বা লাগেজ ক্লেইমের আশপাশে।
অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা: লাগেজের ভেতরে ভ্রমণ-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্যাডলক বা বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহার করুন।
সূত্র: কিউআরট্রাভ, এয়ার অ্যাডভাইজার
প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বলে এই শরতের আবহাওয়া কখনো গরম, কখনো ভ্যাপসা আবার কখনো হয়তো খানিকটা আরাম-আরাম। আবহাওয়ার এই বিচিত্র আচরণের কারণে অনেকের এখন জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে শরীর ব্যথা। সিজনাল অ্যাটাক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই আবহাওয়ায় শরীরের যত্ন নিতে...
২ ঘণ্টা আগেএখনকার অনুষ্ঠানগুলো কেবল মিলনমেলা নয়; বরং ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং, সংস্কৃতি বিনিময় এবং কমিউনিটি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। তাই কোনো অনুষ্ঠান সফল হবে কি না, তা অনেকাংশে ভেন্যু নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। বিয়ে, করপোরেট সেমিনার কিংবা সামাজিক সমাবেশ—যেকোনো আয়োজনেই ভেন্যুকে শুধু চারদেয়ালের...
৪ ঘণ্টা আগেঘরের আকৃতি কেমন হবে, কোন উপকরণে ঘর নির্মিত হবে—এসব বিষয়ে প্রাচীন মানুষেরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে চলত। প্রকৃতির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য বুঝে তৈরি করা হতো মানুষের বাসস্থান। ফলে পৃথিবীজুড়ে বাড়িঘর তৈরির বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। তেমনই একটি পদ্ধতি বাস্তু।
৪ ঘণ্টা আগে