বাপ্পা শান্তনু
প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বলে এই শরতের আবহাওয়া কখনো গরম, কখনো ভ্যাপসা আবার কখনো হয়তো খানিকটা আরাম-আরাম। আবহাওয়ার এই বিচিত্র আচরণের কারণে অনেকের এখন জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে শরীর ব্যথা। সিজনাল অ্যাটাক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই আবহাওয়ায় শরীরের যত্ন নিতে কিছু যোগাসন করা যেতে পারে। এই সহজ যোগাসনগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে ফিট রাখবে।
ঘাম না ঝরিয়ে যেভাবে ফিট থাকা যায়
খুব বেশি ঘাম না ঝরিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য যোগাসন করতে চাইলে বা শরীরকে আরাম দিয়ে এবং ঠান্ডা রেখে যোগাসন করতে চাইলে প্রাণায়াম করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম রয়েছে। এগুলোর মধ্য়ে শীতলী, সীৎকারী, সদন্ত—এই তিনটি কুলিং প্রাণায়াম করা যেতে পারে। বাইরে খুব গরম থেকে বাড়ি ফিরে এই প্রাণায়ামগুলো করতে পারেন। এতে শরীর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ভুজঙ্গাসন বা সেতুবন্ধনাসন করা যেতে পারে। তদাসন, উত্তনাসন, অর্ধচক্রাসন, তির্যক তদাসন ইত্যাদিও সহজ আসন। এসব যোগাসন নিয়মিত করলে ফিট থাকা যায়।
রুটিন থাকা চাই
রোজ কমপক্ষে ১৫ মিনিট যোগাসন করতে হবে। শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই প্রতিদিন নিজের শরীর ও মন প্রফুল্ল রাখতে অন্তত ১৫ মিনিট সময় বের করতে হবে, তা যত ব্যস্ত সময় কাটান না কেন। তবে যোগব্যায়াম করে ভালো ফল পেতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় আপনাকে দিতে হবে আসন, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন—সব মিলিয়ে।
আমরা একেকজন একেক ধরনের কাজ করি। ফলে প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো ধরনের মানসিক চাপ থাকে। তাই ঘুমানোর আগে প্রাণায়াম করা উচিত। এ সময় অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম এবং কমপক্ষে ৫ মিনিট মেডিটেশন করা উচিত। মেডিটেশন নিজে নিজেই করা যায়। একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে কেবল নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ রাখতে হবে। ভালো থাকার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।
খাবার তালিকায় নজর দিতে হবে
শরীর ফিট রাখতে মৌসুমি ফল এবং শাকসবজির ওপরে কোনো খাবার নেই। তবে রাসায়নিক ব্যবহার করে সংরক্ষণে রেখে এক ঋতুর ফল অন্য ঋতুতে না খাওয়া ভালো। তাতে উপকারের বদলে বরং ক্ষতিই হবে। এখন যেমন বাতাবিলেবু, আখ, আনারস, আমড়া পাওয়া যায়। এগুলো যত বেশি ডায়েটে রাখবেন, রোগব্যাধি তত কম হবে। সঙ্গে যোগাসন তো রয়েছেই। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়াতে হবে, নয়তো ফিটনেস ঠিক থাকবে না।
সারা দিনে মেনে চলুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে, তারপর যোগব্যায়াম করুন অন্তত ১৫ মিনিট। এরপর সকালের নাশতা সেরে ফেলুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারে একটা হিসাব রাখতে হবে। যেমন প্লেটের ৫০ ভাগ শাকসবজি এবং বাকি ৫০ ভাগ মাছ, মাংস, ভাত, রুটি, দুধ বা ডিম—যা-ই রাখুন না কেন; এই হিসাবটা ঠিক রাখুন।
খাওয়ার সময় ধীরস্থিরভাবে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। তাহলে বেশি খাওয়া হবে না। আর খাওয়া যদি বেশি না হয়, তাহলে মেদও জমবে না। দুপুরে খাওয়ার পর টক দই খাওয়া যেতে পারে। আর রাতের বেলা খাবার যতটা কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।
এ ছাড়া রাতে বাড়িতে তৈরি যেকোনো স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
লেখক: সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বলে এই শরতের আবহাওয়া কখনো গরম, কখনো ভ্যাপসা আবার কখনো হয়তো খানিকটা আরাম-আরাম। আবহাওয়ার এই বিচিত্র আচরণের কারণে অনেকের এখন জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে শরীর ব্যথা। সিজনাল অ্যাটাক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই আবহাওয়ায় শরীরের যত্ন নিতে কিছু যোগাসন করা যেতে পারে। এই সহজ যোগাসনগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে ফিট রাখবে।
ঘাম না ঝরিয়ে যেভাবে ফিট থাকা যায়
খুব বেশি ঘাম না ঝরিয়ে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য যোগাসন করতে চাইলে বা শরীরকে আরাম দিয়ে এবং ঠান্ডা রেখে যোগাসন করতে চাইলে প্রাণায়াম করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম রয়েছে। এগুলোর মধ্য়ে শীতলী, সীৎকারী, সদন্ত—এই তিনটি কুলিং প্রাণায়াম করা যেতে পারে। বাইরে খুব গরম থেকে বাড়ি ফিরে এই প্রাণায়ামগুলো করতে পারেন। এতে শরীর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ভুজঙ্গাসন বা সেতুবন্ধনাসন করা যেতে পারে। তদাসন, উত্তনাসন, অর্ধচক্রাসন, তির্যক তদাসন ইত্যাদিও সহজ আসন। এসব যোগাসন নিয়মিত করলে ফিট থাকা যায়।
রুটিন থাকা চাই
রোজ কমপক্ষে ১৫ মিনিট যোগাসন করতে হবে। শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই প্রতিদিন নিজের শরীর ও মন প্রফুল্ল রাখতে অন্তত ১৫ মিনিট সময় বের করতে হবে, তা যত ব্যস্ত সময় কাটান না কেন। তবে যোগব্যায়াম করে ভালো ফল পেতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় আপনাকে দিতে হবে আসন, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন—সব মিলিয়ে।
আমরা একেকজন একেক ধরনের কাজ করি। ফলে প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো ধরনের মানসিক চাপ থাকে। তাই ঘুমানোর আগে প্রাণায়াম করা উচিত। এ সময় অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম এবং কমপক্ষে ৫ মিনিট মেডিটেশন করা উচিত। মেডিটেশন নিজে নিজেই করা যায়। একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে কেবল নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ রাখতে হবে। ভালো থাকার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।
খাবার তালিকায় নজর দিতে হবে
শরীর ফিট রাখতে মৌসুমি ফল এবং শাকসবজির ওপরে কোনো খাবার নেই। তবে রাসায়নিক ব্যবহার করে সংরক্ষণে রেখে এক ঋতুর ফল অন্য ঋতুতে না খাওয়া ভালো। তাতে উপকারের বদলে বরং ক্ষতিই হবে। এখন যেমন বাতাবিলেবু, আখ, আনারস, আমড়া পাওয়া যায়। এগুলো যত বেশি ডায়েটে রাখবেন, রোগব্যাধি তত কম হবে। সঙ্গে যোগাসন তো রয়েছেই। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়াতে হবে, নয়তো ফিটনেস ঠিক থাকবে না।
সারা দিনে মেনে চলুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে, তারপর যোগব্যায়াম করুন অন্তত ১৫ মিনিট। এরপর সকালের নাশতা সেরে ফেলুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারে একটা হিসাব রাখতে হবে। যেমন প্লেটের ৫০ ভাগ শাকসবজি এবং বাকি ৫০ ভাগ মাছ, মাংস, ভাত, রুটি, দুধ বা ডিম—যা-ই রাখুন না কেন; এই হিসাবটা ঠিক রাখুন।
খাওয়ার সময় ধীরস্থিরভাবে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। তাহলে বেশি খাওয়া হবে না। আর খাওয়া যদি বেশি না হয়, তাহলে মেদও জমবে না। দুপুরে খাওয়ার পর টক দই খাওয়া যেতে পারে। আর রাতের বেলা খাবার যতটা কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।
এ ছাড়া রাতে বাড়িতে তৈরি যেকোনো স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
লেখক: সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
মাসের শেষেই পূজা। কেনাকাটার ধুম এখন থেকে পড়ে গেছে। বাড়তি কাজ আগেভাগে সেরে ফেলতেও প্রায় প্রতিদিন হয়তো রোদে বের হতে হচ্ছে। রোজ স্নানের সময় বাড়িতে ত্বকের যত্ন নেওয়া গেলে পূজার আগেই জেল্লাদার ত্বক পেতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগেসৌদি ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষের (এসটিএ) ভোক্তাবান্ধব ব্র্যান্ড ‘সৌদি, ওয়েলকাম টু অ্যারাবিয়া’ তাদের নতুন বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেছে। ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সিআর-সেভেনখ্যাত ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যিনি বর্তমানে সৌদি আরবের একজন সম্মানিত বাসিন্দা।
১ দিন আগেভ্রমণের জন্য ছুটি নেওয়া, জায়গা ঠিক করা, পরিকল্পনা করা আর বাজেট গুরুত্বপূর্ণ। এসব ঠিক করে ভ্রমণে যাওয়া চূড়ান্ত হলে গোছাতে হয় লাগেজ। সেখানে থাকে পছন্দের জামাকাপড়, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং সাজগোজের জিনিস। পছন্দের জামার সঙ্গে নারীদের থাকে পছন্দের গয়না। সব মিলিয়ে বেশ বড়সড় হয়ে ওঠে ব্যাগ।
১ দিন আগেআমাদের ঘরের বিরক্তিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পোকামাকড়ের একটি আরশোলা। খাবার ও বাসনপত্র নোংরা করার পাশাপাশি এগুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়, অ্যালার্জি বাড়াতে পারে এবং হাঁপানি রোগীদের স্বাস্থ্য আরও খারাপ করে দিতে পারে। ভয়ের বিষয় হলো, এরা সহনশীল এবং অল্প খাবার, অল্প পানিতেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।
২ দিন আগে