ফিচার ডেস্ক
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভ্রমণের সময় সঠিক বিমা নেওয়া আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসাসংক্রান্ত জটিলতা, ফ্লাইট মিস করা কিংবা হারিয়ে যাওয়া ব্যাগেজের খরচ যেন আপনার মাথায় না পড়ে, সে জন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকা দরকার।
করোনা মহামারির পর থেকে অনেক দেশ ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক করেছে। যেসব দেশে ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক নয়, সেখানেও এটা জরুরিভাবে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক যে দেশগুলোতে
শেনজেন অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের ২৯টি দেশ, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, আরুবা, কিউবা, ইকুয়েডর, ফিজি, জর্জিয়া, লেবানন, ইরান, ইসরায়েল, জ্যামাইকা, জর্ডান, মালদোভা, মরক্কো, নেপাল, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, টোগো, তুরস্ক ও অ্যান্টার্কটিকা।
বিবেচনায় রাখুন ৭ বিষয় মাল্টি-ট্রিপ পলিসি বিবেচনা করুন
এই পলিসিগুলো এক বছরে আপনার যত ভ্রমণ হবে, সবকিছু কভার করবে। প্রতিটি ভ্রমণের জন্য সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। বছরে তিন বা চারবার ভ্রমণ করলে আলাদা বিমার চেয়ে মাল্টি-ট্রিপ পলিসি সাধারণত সস্তা হবে। আরেকটি বড় সুবিধা হলো, আপনাকে বারবার নতুন বিমা নিতে হবে না। সাধারণত তিন ধরনের কভার থাকে, বিশ্বব্যাপী (সামগ্রিক), বিশ্বব্যাপী (উত্তর আমেরিকা বাদে) এবং ইউরোপ। কিছু ব্যাংকের পেইড অ্যাকাউন্টেও ভালো মানের ট্রাভেল বিমা বিনা মূল্যে থাকে, যা পুরো বছরে আপনার ট্রিপগুলো কভার করবে।
একাধিক যাত্রীর জন্য বিমা নিন
একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির বিমা নেওয়া খুবই সাশ্রয়ী। ভালো মানের বার্ষিক পলিসিগুলো এমনকি প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে ভ্রমণ করার অনুমতিও দেয়।
লিমিট চেক করুন
বিভিন্ন কভারের পরিমাণ অনেক সময় অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে থাকে। ব্যাগেজ বা ক্যানসেলেশনে বিমা কোম্পানিগুলো সাধারণত কম কভার দেয়। অথচ মেডিকেল কভারে উচ্চ সীমা থাকে। ভালো মানের একটি পলিসিতে থাকবে—
এ ছাড়া বিমানে অথবা ট্রাভেল কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে কভার রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া ভালো; বিশেষ করে আপনি যদি নিজে ট্রিপ বুক করে থাকেন।
অ্যাকটিভিটি লিস্ট দেখে নিন
সব ধরনের ভ্রমণ বিমায় কিছু খেলা বা অ্যাডভেঞ্চার অ্যাকটিভিটি স্বাভাবিকভাবেই কভার করা থাকে। কিছু অ্যাকটিভিটি বিমার আওতার বাইরে থাকে। যেমন স্কুবা ডাইভিং, পর্বতারোহণ বা বাঞ্জি জাম্পিংয়ে হয়তো আলাদা করে কভার লাগবে। সে কারণে আপনি যদি ভ্রমণের সময় স্কি, স্নোবোর্ডিং অথবা অন্য কোনো অ্যাডভেঞ্চার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নিতে চান, তাহলে বিমা নেওয়ার সময় সেটা অবশ্যই জানাতে হবে। এসব অ্যাকটিভিটির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিমা কভার নিতে হয়। আপনি যে ধরনের অ্যাকটিভিটি করতে পারেন কিংবা করতে চান, তা আগে থেকে ভেবে নিয়ে বিমা নিন। পরে কোনো সময় বিপদে পড়লে যেন কভার না থাকার কারণে আপনার আর্থিক ক্ষতি না হয়।
বয়সসীমা পরীক্ষা করুন
বয়স যত বাড়ে, ততই মেডিকেল ক্লেইমের ঝুঁকি বেড়ে যেতে থাকে। তাই বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেয়। ৬০ বা ৬৫ বছরের বেশি হলেই বিমা অনেক খরচসাপেক্ষ হয়ে পড়ে। ৮০ বছর পার করলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে দিন
ভ্রমণ বিমা নেওয়ার সময় শুধু বয়স নয়, আপনার পুরোনো বা চলমান যেকোনো রোগ বা চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব তথ্যের ভিত্তিতে ঠিক করে, আপনি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
অর্থাৎ আপনার চিকিৎসার খরচ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। তাই বিমা নেওয়ার সময় আপনার আগের যেকোনো রোগ, অপারেশন, স্থায়ী অসুস্থতা, অ্যালার্জি অথবা চিকিৎসা চলছে কি না—এসব তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে জানাতে হবে। এসব তথ্য যদি আপনি গোপন করেন, তাহলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এমনকি আপনার পুরো বিমা তারা বাতিলও করে দিতে পারে।
বিমা কোথা থেকে কিনবেন
বিমা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা অন্য কোনো প্যাকেজের সঙ্গে আসা বিমা; আরেকটি হলো আলাদাভাবে কেনা, যাকে সাধারণত বলা হয় স্ট্যান্ডঅ্যালোন পলিসি। স্ট্যান্ডঅ্যালোন পলিসিগুলো আপনি সরাসরি কোনো বিমা কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে বা নির্দিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গিয়ে কিনতে পারেন। এগুলোর সুবিধা হলো, আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পলিসি বেছে নিতে পারেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ভালো কভারেজও পেয়ে যেতে পারেন।
বিমা করার আগে সেটির সব শর্ত ভালোভাবে পড়ে বুঝে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছের ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান অথবা অনলাইনে বিমা কিনতে পারবেন।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভ্রমণের সময় সঠিক বিমা নেওয়া আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসাসংক্রান্ত জটিলতা, ফ্লাইট মিস করা কিংবা হারিয়ে যাওয়া ব্যাগেজের খরচ যেন আপনার মাথায় না পড়ে, সে জন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকা দরকার।
করোনা মহামারির পর থেকে অনেক দেশ ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক করেছে। যেসব দেশে ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক নয়, সেখানেও এটা জরুরিভাবে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভ্রমণ বিমা বাধ্যতামূলক যে দেশগুলোতে
শেনজেন অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের ২৯টি দেশ, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, আরুবা, কিউবা, ইকুয়েডর, ফিজি, জর্জিয়া, লেবানন, ইরান, ইসরায়েল, জ্যামাইকা, জর্ডান, মালদোভা, মরক্কো, নেপাল, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, টোগো, তুরস্ক ও অ্যান্টার্কটিকা।
বিবেচনায় রাখুন ৭ বিষয় মাল্টি-ট্রিপ পলিসি বিবেচনা করুন
এই পলিসিগুলো এক বছরে আপনার যত ভ্রমণ হবে, সবকিছু কভার করবে। প্রতিটি ভ্রমণের জন্য সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। বছরে তিন বা চারবার ভ্রমণ করলে আলাদা বিমার চেয়ে মাল্টি-ট্রিপ পলিসি সাধারণত সস্তা হবে। আরেকটি বড় সুবিধা হলো, আপনাকে বারবার নতুন বিমা নিতে হবে না। সাধারণত তিন ধরনের কভার থাকে, বিশ্বব্যাপী (সামগ্রিক), বিশ্বব্যাপী (উত্তর আমেরিকা বাদে) এবং ইউরোপ। কিছু ব্যাংকের পেইড অ্যাকাউন্টেও ভালো মানের ট্রাভেল বিমা বিনা মূল্যে থাকে, যা পুরো বছরে আপনার ট্রিপগুলো কভার করবে।
একাধিক যাত্রীর জন্য বিমা নিন
একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির বিমা নেওয়া খুবই সাশ্রয়ী। ভালো মানের বার্ষিক পলিসিগুলো এমনকি প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে ভ্রমণ করার অনুমতিও দেয়।
লিমিট চেক করুন
বিভিন্ন কভারের পরিমাণ অনেক সময় অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে থাকে। ব্যাগেজ বা ক্যানসেলেশনে বিমা কোম্পানিগুলো সাধারণত কম কভার দেয়। অথচ মেডিকেল কভারে উচ্চ সীমা থাকে। ভালো মানের একটি পলিসিতে থাকবে—
এ ছাড়া বিমানে অথবা ট্রাভেল কোম্পানির আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে কভার রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া ভালো; বিশেষ করে আপনি যদি নিজে ট্রিপ বুক করে থাকেন।
অ্যাকটিভিটি লিস্ট দেখে নিন
সব ধরনের ভ্রমণ বিমায় কিছু খেলা বা অ্যাডভেঞ্চার অ্যাকটিভিটি স্বাভাবিকভাবেই কভার করা থাকে। কিছু অ্যাকটিভিটি বিমার আওতার বাইরে থাকে। যেমন স্কুবা ডাইভিং, পর্বতারোহণ বা বাঞ্জি জাম্পিংয়ে হয়তো আলাদা করে কভার লাগবে। সে কারণে আপনি যদি ভ্রমণের সময় স্কি, স্নোবোর্ডিং অথবা অন্য কোনো অ্যাডভেঞ্চার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নিতে চান, তাহলে বিমা নেওয়ার সময় সেটা অবশ্যই জানাতে হবে। এসব অ্যাকটিভিটির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিমা কভার নিতে হয়। আপনি যে ধরনের অ্যাকটিভিটি করতে পারেন কিংবা করতে চান, তা আগে থেকে ভেবে নিয়ে বিমা নিন। পরে কোনো সময় বিপদে পড়লে যেন কভার না থাকার কারণে আপনার আর্থিক ক্ষতি না হয়।
বয়সসীমা পরীক্ষা করুন
বয়স যত বাড়ে, ততই মেডিকেল ক্লেইমের ঝুঁকি বেড়ে যেতে থাকে। তাই বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেয়। ৬০ বা ৬৫ বছরের বেশি হলেই বিমা অনেক খরচসাপেক্ষ হয়ে পড়ে। ৮০ বছর পার করলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে দিন
ভ্রমণ বিমা নেওয়ার সময় শুধু বয়স নয়, আপনার পুরোনো বা চলমান যেকোনো রোগ বা চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব তথ্যের ভিত্তিতে ঠিক করে, আপনি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
অর্থাৎ আপনার চিকিৎসার খরচ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। তাই বিমা নেওয়ার সময় আপনার আগের যেকোনো রোগ, অপারেশন, স্থায়ী অসুস্থতা, অ্যালার্জি অথবা চিকিৎসা চলছে কি না—এসব তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে জানাতে হবে। এসব তথ্য যদি আপনি গোপন করেন, তাহলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এমনকি আপনার পুরো বিমা তারা বাতিলও করে দিতে পারে।
বিমা কোথা থেকে কিনবেন
বিমা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা অন্য কোনো প্যাকেজের সঙ্গে আসা বিমা; আরেকটি হলো আলাদাভাবে কেনা, যাকে সাধারণত বলা হয় স্ট্যান্ডঅ্যালোন পলিসি। স্ট্যান্ডঅ্যালোন পলিসিগুলো আপনি সরাসরি কোনো বিমা কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে বা নির্দিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গিয়ে কিনতে পারেন। এগুলোর সুবিধা হলো, আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পলিসি বেছে নিতে পারেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ভালো কভারেজও পেয়ে যেতে পারেন।
বিমা করার আগে সেটির সব শর্ত ভালোভাবে পড়ে বুঝে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছের ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান অথবা অনলাইনে বিমা কিনতে পারবেন।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
সকালের নাশতায় রোজ কি রুটির সঙ্গে আলুভাজি খেতে ভালো লাগে? কোনো একদিন সকালে বানিয়ে ফেলুন ফুলকো লুচি, আর সঙ্গে থাকতে পারে কাবলি ছোলার ঘুগনি। আপনাদের জন্য কাবলি ছোলার ঘুগনির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য গার্ল, আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ লিড: গার্লস অন দ্য ফ্রন্টলাইনস অব ক্রাইসিস’ বা ‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের...
১০ ঘণ্টা আগেবাড়িতে থাকলে সকালে উঠেই চা বা কফি পান করা অনেকের প্রধান অভ্যাস। কোথাও ছুটিতে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না তাঁরা। ভ্রমণের সময় হোটেলের যে কক্ষে থাকেন, সকালে উঠে সেখানেই সকালের চা-কফির পর্ব সেরে নিতে চান অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কেটলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? পরের বার যখন কোনো হোটেল রুমে থাকবেন..
১১ ঘণ্টা আগেরক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। সুস্থ থাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধের জন্যও এটি সমান জরুরি। আমাদের অনেকের ধারণা, ‘আমি তো বেশি মিষ্টি খাই না, তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে কেন?’ কিন্তু আসল সমস্যা হলো কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস। যেগুলো আমরা...
১৩ ঘণ্টা আগে