আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
চলছে শরৎকাল। দেশের নদী আর প্রকৃতিকে নতুন করে চিনে নিতে বেরিয়ে পড়তে পারেন নৌকাভ্রমণে। মানিকগঞ্জ নদীবেষ্টিত জনপদ। পদ্মা ও যমুনা ছাড়াও এ জেলার বুক চিরে বয়ে চলেছে ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গাসহ ছোট-বড় ৯টি নদ-নদী। পানির স্বচ্ছ প্রবাহ থাকলেও ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গা এখন বেশ শান্ত। কোনো এক ছুটির দিনে যান্ত্রিক সময়কে পাশ কাটিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই নদীগুলোর যেকোনোটিতে।
কোথায় যাবেন, কী দেখবেন
মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা অথবা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা বাসস্ট্যান্ডে নেমে একটু এগোলেই দেখতে পাবেন নদীর ঘাটে সারি সারি নৌকা। দরদাম করে উঠতে হবে সেসবে। সেখান থেকে কালীগঙ্গা নদী ধরে সামনের দিকে ঘণ্টাখানেক চললে পড়বে ধলেশ্বরী নদী। সেখানে দেখা পাবেন পালতোলা নৌকা। দেখা যাবে শরতের কাশফুলের অপরূপ বিন্যাস।
নদীতে নামলেই দেখতে পাবেন অসংখ্য ছোট চরে বসেছে পিকনিক পার্টি। চলছে রান্নাবান্না আর খাওয়াদাওয়া। নিজেরা রান্নাবান্না করতে চাইলে তেমন কোনো চরে নেমে যেতে পারেন। নইলে নদীতীরের তরা, বেউথা, জাবরা, আশাপুর, ঘিওর এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেল ও স্থানীয় রেস্তোরাঁয় খেতে পারেন। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার পার্সেল করেও নেওয়া যায়। নদীপাড়ের কয়েকটি স্পটে পাবেন চটপটি, ফুচকাসহ নানা মুখরোচক খাবার। এ ছাড়া নৌকার মাঝিদের বললে তাঁরাই নাশতার ব্যবস্থা করে দেবেন। কালীগঙ্গা নদীর তীরের গ্রাম উত্তরপাড়া, বাটরাকান্দি, আশাপুর, নালি, বালিয়াখোড়া, পেঁচারকান্দা, জাবরা, তরা, মির্জাপুর, সিংজুরী, নকীববাড়ি এলাকায় চোখে পড়বে শরতের সাজে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। নদীতীরের অপেক্ষাকৃত নিচু আবাদি জমির বিস্তীর্ণ চকে দেখা মিলবে কিশোর-কিশোরীদের ডিঙিতে বসে শাপলা তোলার দৃশ্য। ছোট ছোট পাখির বেপরোয়া দাপাদাপি-কলতানে মুখর হয়ে থাকা বাঁশবনও চোখে পড়বে। আর কোথাও দেখা যাবে ধ্যানী মাছশিকারিদের।
সম্ভাব্য খরচাপাতি
ইঞ্জিনচালিত ছাদওয়ালা ট্রলার, ছাদছাড়া ট্রলার, ছোট নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে এখানে। ছইওয়ালা (এক মালাই) নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। ঘণ্টা হিসাবে অথবা দিন চুক্তিতে নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টার ভাড়া ৫০০ টাকা। লোকসংখ্যা বেশি হলে মাঝারি ধরনের ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন। তাতে ভাড়া পড়বে ঘণ্টায় হাজার টাকার মতো। সাধারণত একটি ট্রলার তিন ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া নেয়। আর লোকসংখ্যা বেশি হলে সারা দিন ঘুরতে নৌকাভাড়া পড়বে আট থেকে নয় হাজার টাকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় বেশি থাকে।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো জেলা থেকে মানিকগঞ্জ আসা যায়। যাঁরা ঢাকা থেকে যেতে চান, তাঁরা গুলিস্তান বা গাবতলী থেকে গাড়িতে উঠে সরাসরি চলে যেতে পারেন মানিকগঞ্জে। সেখান থেকে রিকশা বা লোকাল বাসে বেউথা কিংবা তরায় যাওয়া যায়। বাসভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। তরায় নেমে সেখান থেকে নৌকা নিতে হবে ঘণ্টা চুক্তিতে।
এরপর একটু দূরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মা নদীর অংশে গেলে পাবেন আরেক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়। গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে।
সতর্কতা
» নৌভ্রমণের সময় ইঞ্জিনচালিত পণ্যবাহী বড় নৌকা বা অন্য নৌযান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।
» ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফ জ্যাকেট রাখতে হবে।
» সন্ধ্যার আগে আগে ফিরে আসা ভালো।
» প্রতিকূল আবহাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
» একা না বেড়িয়ে দলগতভাবে ভ্রমণ করুন।
» সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামার ইচ্ছা দমন করুন।
» বিড়ম্বনায় পড়লে নৌকার মাঝিদের সাহায্য নিন।
চলছে শরৎকাল। দেশের নদী আর প্রকৃতিকে নতুন করে চিনে নিতে বেরিয়ে পড়তে পারেন নৌকাভ্রমণে। মানিকগঞ্জ নদীবেষ্টিত জনপদ। পদ্মা ও যমুনা ছাড়াও এ জেলার বুক চিরে বয়ে চলেছে ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গাসহ ছোট-বড় ৯টি নদ-নদী। পানির স্বচ্ছ প্রবাহ থাকলেও ধলেশ্বরী, ইছামতী, কালীগঙ্গা এখন বেশ শান্ত। কোনো এক ছুটির দিনে যান্ত্রিক সময়কে পাশ কাটিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই নদীগুলোর যেকোনোটিতে।
কোথায় যাবেন, কী দেখবেন
মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা অথবা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা বাসস্ট্যান্ডে নেমে একটু এগোলেই দেখতে পাবেন নদীর ঘাটে সারি সারি নৌকা। দরদাম করে উঠতে হবে সেসবে। সেখান থেকে কালীগঙ্গা নদী ধরে সামনের দিকে ঘণ্টাখানেক চললে পড়বে ধলেশ্বরী নদী। সেখানে দেখা পাবেন পালতোলা নৌকা। দেখা যাবে শরতের কাশফুলের অপরূপ বিন্যাস।
নদীতে নামলেই দেখতে পাবেন অসংখ্য ছোট চরে বসেছে পিকনিক পার্টি। চলছে রান্নাবান্না আর খাওয়াদাওয়া। নিজেরা রান্নাবান্না করতে চাইলে তেমন কোনো চরে নেমে যেতে পারেন। নইলে নদীতীরের তরা, বেউথা, জাবরা, আশাপুর, ঘিওর এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেল ও স্থানীয় রেস্তোরাঁয় খেতে পারেন। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার পার্সেল করেও নেওয়া যায়। নদীপাড়ের কয়েকটি স্পটে পাবেন চটপটি, ফুচকাসহ নানা মুখরোচক খাবার। এ ছাড়া নৌকার মাঝিদের বললে তাঁরাই নাশতার ব্যবস্থা করে দেবেন। কালীগঙ্গা নদীর তীরের গ্রাম উত্তরপাড়া, বাটরাকান্দি, আশাপুর, নালি, বালিয়াখোড়া, পেঁচারকান্দা, জাবরা, তরা, মির্জাপুর, সিংজুরী, নকীববাড়ি এলাকায় চোখে পড়বে শরতের সাজে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। নদীতীরের অপেক্ষাকৃত নিচু আবাদি জমির বিস্তীর্ণ চকে দেখা মিলবে কিশোর-কিশোরীদের ডিঙিতে বসে শাপলা তোলার দৃশ্য। ছোট ছোট পাখির বেপরোয়া দাপাদাপি-কলতানে মুখর হয়ে থাকা বাঁশবনও চোখে পড়বে। আর কোথাও দেখা যাবে ধ্যানী মাছশিকারিদের।
সম্ভাব্য খরচাপাতি
ইঞ্জিনচালিত ছাদওয়ালা ট্রলার, ছাদছাড়া ট্রলার, ছোট নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে এখানে। ছইওয়ালা (এক মালাই) নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। ঘণ্টা হিসাবে অথবা দিন চুক্তিতে নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টার ভাড়া ৫০০ টাকা। লোকসংখ্যা বেশি হলে মাঝারি ধরনের ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন। তাতে ভাড়া পড়বে ঘণ্টায় হাজার টাকার মতো। সাধারণত একটি ট্রলার তিন ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া নেয়। আর লোকসংখ্যা বেশি হলে সারা দিন ঘুরতে নৌকাভাড়া পড়বে আট থেকে নয় হাজার টাকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় বেশি থাকে।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো জেলা থেকে মানিকগঞ্জ আসা যায়। যাঁরা ঢাকা থেকে যেতে চান, তাঁরা গুলিস্তান বা গাবতলী থেকে গাড়িতে উঠে সরাসরি চলে যেতে পারেন মানিকগঞ্জে। সেখান থেকে রিকশা বা লোকাল বাসে বেউথা কিংবা তরায় যাওয়া যায়। বাসভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। তরায় নেমে সেখান থেকে নৌকা নিতে হবে ঘণ্টা চুক্তিতে।
এরপর একটু দূরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মা নদীর অংশে গেলে পাবেন আরেক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়। গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে।
সতর্কতা
» নৌভ্রমণের সময় ইঞ্জিনচালিত পণ্যবাহী বড় নৌকা বা অন্য নৌযান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।
» ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফ জ্যাকেট রাখতে হবে।
» সন্ধ্যার আগে আগে ফিরে আসা ভালো।
» প্রতিকূল আবহাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
» একা না বেড়িয়ে দলগতভাবে ভ্রমণ করুন।
» সাঁতার না জানলে গভীর পানিতে নামার ইচ্ছা দমন করুন।
» বিড়ম্বনায় পড়লে নৌকার মাঝিদের সাহায্য নিন।
রান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রঙ ও স্বাদ দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। তবে শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
৪ ঘণ্টা আগেশ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
৮ ঘণ্টা আগে‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
২০ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে