ফিচার ডেস্ক

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মোবাইল কিংবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখানো থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। এরপর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। কখনো তাদের নিরাপত্তা আবার কখনো লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোনের মালিকানা প্রাপ্তি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের শুরুতে মানসিক সুস্থতা ও মনের স্বাস্থ্য হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
জার্নাল অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটিজ নামের একটি পিয়ার-রিভিউড জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী এবং ১২ বা তার নিচের বয়সে প্রথম স্মার্টফোন পেয়েছিল, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং আত্মমর্যাদাহীনতার হার বেশি। গবেষণাটিতে ১ লাখের বেশি তরুণের মানসিক স্বাস্থ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানসিক স্বাস্থ্য ডেটাবেইসের কেন্দ্র স্প্যানিয়ান ল্যাবসের (Sapien Labs) গবেষকেরা বলছেন, দেখা গেছে, যেসব শিশু ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তারা পরবর্তী জীবনে মানসিক দিক থেকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গ্লোবাল মাইন্ড প্রোজেক্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষণার প্রধান লেখক স্যাপিয়েন ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও নিউরোসায়েন্টিস্ট টারা থিয়াগরাজান। তিনি বলেন, তথ্যগুলো দেখাচ্ছে যে, অল্প বয়সে স্মার্টফোনের মালিকানা এবং এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।

যেসব পরিসংখ্যান আমাদের থমকে দেয়
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের নিচের ১৭ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে একটি স্মার্টফোনের মালিক। এদিকে বিশ্বব্যাপী ৮-১২ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশুর হাতে রয়েছে একটি স্মার্টফোন। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ১৩ বছরের নিচে ব্যবহার নিষিদ্ধ বলা হলেও বাস্তবে এই নিয়ম কার্যকর হয় না। এদিকে স্মার্টফোন ব্যবহারের গড় বয়স ক্রমেই কমছে এবং অনেক শিশু প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে ফোনে। এর নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো হলো—অল্প বয়সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ, সাইবার বুলিং, ঘুমের ব্যাঘাত ও পারিবারিক সম্পর্কে দুর্বলতা। আর এ বিষয়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, একটি জনস্বাস্থ্য সংকটের দিকেও নির্দেশ করছে।

মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
২০০০ সালের শুরু থেকে স্মার্টফোনের সঙ্গে তরুণদের সংযুক্তি, শেখা ও আত্মপরিচয় গঠনের ধরনে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এই সম্ভাবনার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। বিশেষ করে, এআইচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যালগরিদম ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়, সামাজিক তুলনা বাড়ায় এবং ঘুম ও সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে মাইন্ড হেলথ কোশেন্ট (Mind Health Quotient) নামের একটি স্কোরিং সিস্টেম। যা চারটি দিক অর্থাৎ সামাজিক, আবেগীয়, জ্ঞানমূলক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরে তথ্য নিয়েছে। সেখান থেকে দেখা গেছে, যারা ছোটবেলায় ফোন পেয়েছে, তাদের স্কোর ছিল সবচেয়ে কম। ড. টারা থিয়াগরাজান জানান, যাদের হাতে খুব অল্প বয়সে স্মার্টফোন আসে, তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সময় আত্মমর্যাদা হ্রাস, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগের ভারসাম্য হারানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া, রাত জেগে স্ক্রিনে আটকে থাকা এবং পারিবারিক সংযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়া—এসবই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গোপনে দুর্বল করে দেয়। এর সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে যুক্ত উপসর্গগুলো হলো আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা ও হ্যালুসিনেশন।
লৈঙ্গিকভিত্তিক প্রভাব নারীদের জন্য আরও গুরুতর
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যখন খুব কম বয়সে স্মার্টফোন পায়, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ও আবেগের স্থিতিশীলতা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। তবে তা বেশি হয়ে থাকে আচরণগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের দিক থেকে।

নীতিনির্ধারকদের করণীয় কী
বাবা-মা ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এখন সময়মতো ‘না’ বলা শেখা। সন্তানদের সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়ে খোলা আলোচনা, পারিবারিক সময় বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি হতে পারে শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত্তি। এ ছাড়া কিছু বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে। যেমন—
স্মার্টফোন বয়সসীমা নির্ধারণের আইন। ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন মালিকানা ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস সীমিত করতে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
স্কুলপর্যায় থেকে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে শিক্ষা দেওয়া জরুরি। শুধু কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা নয়; বরং কেন, কতটা ও কখন এই বোধ গড়ে তোলা দরকার।
প্রযুক্তি কোম্পানির জবাবদিহি
অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন তারা বয়স যাচাই ব্যবস্থা কঠোর করে।
কনটেন্ট ফিল্টারিং আরও কার্যকর করে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। একে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তির গোলাম বানিয়ে তুলছি কি না। ১৩-এর নিচে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া হয়তো আজকের সমাজে সাধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ‘সাধারণ’ জিনিসটাই যখন মস্তিষ্কের গঠন, আত্মপরিচয় ও আবেগীয় স্বাস্থ্যকে ভেঙে দিচ্ছে, তখন সেটি আর সাধারণ থাকে না, তা হয়ে যায় সতর্কসংকেত।
সূত্র: স্যাপিয়েন ল্যাবস, সিএনএন, স্টার্সইনসাইডার

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মোবাইল কিংবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখানো থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। এরপর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। কখনো তাদের নিরাপত্তা আবার কখনো লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোনের মালিকানা প্রাপ্তি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের শুরুতে মানসিক সুস্থতা ও মনের স্বাস্থ্য হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
জার্নাল অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটিজ নামের একটি পিয়ার-রিভিউড জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী এবং ১২ বা তার নিচের বয়সে প্রথম স্মার্টফোন পেয়েছিল, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং আত্মমর্যাদাহীনতার হার বেশি। গবেষণাটিতে ১ লাখের বেশি তরুণের মানসিক স্বাস্থ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানসিক স্বাস্থ্য ডেটাবেইসের কেন্দ্র স্প্যানিয়ান ল্যাবসের (Sapien Labs) গবেষকেরা বলছেন, দেখা গেছে, যেসব শিশু ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তারা পরবর্তী জীবনে মানসিক দিক থেকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গ্লোবাল মাইন্ড প্রোজেক্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষণার প্রধান লেখক স্যাপিয়েন ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও নিউরোসায়েন্টিস্ট টারা থিয়াগরাজান। তিনি বলেন, তথ্যগুলো দেখাচ্ছে যে, অল্প বয়সে স্মার্টফোনের মালিকানা এবং এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।

যেসব পরিসংখ্যান আমাদের থমকে দেয়
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের নিচের ১৭ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে একটি স্মার্টফোনের মালিক। এদিকে বিশ্বব্যাপী ৮-১২ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশুর হাতে রয়েছে একটি স্মার্টফোন। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ১৩ বছরের নিচে ব্যবহার নিষিদ্ধ বলা হলেও বাস্তবে এই নিয়ম কার্যকর হয় না। এদিকে স্মার্টফোন ব্যবহারের গড় বয়স ক্রমেই কমছে এবং অনেক শিশু প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে ফোনে। এর নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো হলো—অল্প বয়সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ, সাইবার বুলিং, ঘুমের ব্যাঘাত ও পারিবারিক সম্পর্কে দুর্বলতা। আর এ বিষয়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, একটি জনস্বাস্থ্য সংকটের দিকেও নির্দেশ করছে।

মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
২০০০ সালের শুরু থেকে স্মার্টফোনের সঙ্গে তরুণদের সংযুক্তি, শেখা ও আত্মপরিচয় গঠনের ধরনে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এই সম্ভাবনার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। বিশেষ করে, এআইচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যালগরিদম ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়, সামাজিক তুলনা বাড়ায় এবং ঘুম ও সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে মাইন্ড হেলথ কোশেন্ট (Mind Health Quotient) নামের একটি স্কোরিং সিস্টেম। যা চারটি দিক অর্থাৎ সামাজিক, আবেগীয়, জ্ঞানমূলক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরে তথ্য নিয়েছে। সেখান থেকে দেখা গেছে, যারা ছোটবেলায় ফোন পেয়েছে, তাদের স্কোর ছিল সবচেয়ে কম। ড. টারা থিয়াগরাজান জানান, যাদের হাতে খুব অল্প বয়সে স্মার্টফোন আসে, তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সময় আত্মমর্যাদা হ্রাস, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগের ভারসাম্য হারানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া, রাত জেগে স্ক্রিনে আটকে থাকা এবং পারিবারিক সংযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়া—এসবই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গোপনে দুর্বল করে দেয়। এর সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে যুক্ত উপসর্গগুলো হলো আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা ও হ্যালুসিনেশন।
লৈঙ্গিকভিত্তিক প্রভাব নারীদের জন্য আরও গুরুতর
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যখন খুব কম বয়সে স্মার্টফোন পায়, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ও আবেগের স্থিতিশীলতা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। তবে তা বেশি হয়ে থাকে আচরণগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের দিক থেকে।

নীতিনির্ধারকদের করণীয় কী
বাবা-মা ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এখন সময়মতো ‘না’ বলা শেখা। সন্তানদের সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়ে খোলা আলোচনা, পারিবারিক সময় বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি হতে পারে শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত্তি। এ ছাড়া কিছু বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে। যেমন—
স্মার্টফোন বয়সসীমা নির্ধারণের আইন। ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন মালিকানা ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস সীমিত করতে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
স্কুলপর্যায় থেকে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে শিক্ষা দেওয়া জরুরি। শুধু কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা নয়; বরং কেন, কতটা ও কখন এই বোধ গড়ে তোলা দরকার।
প্রযুক্তি কোম্পানির জবাবদিহি
অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন তারা বয়স যাচাই ব্যবস্থা কঠোর করে।
কনটেন্ট ফিল্টারিং আরও কার্যকর করে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। একে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তির গোলাম বানিয়ে তুলছি কি না। ১৩-এর নিচে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া হয়তো আজকের সমাজে সাধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ‘সাধারণ’ জিনিসটাই যখন মস্তিষ্কের গঠন, আত্মপরিচয় ও আবেগীয় স্বাস্থ্যকে ভেঙে দিচ্ছে, তখন সেটি আর সাধারণ থাকে না, তা হয়ে যায় সতর্কসংকেত।
সূত্র: স্যাপিয়েন ল্যাবস, সিএনএন, স্টার্সইনসাইডার
ফিচার ডেস্ক

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মোবাইল কিংবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখানো থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। এরপর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। কখনো তাদের নিরাপত্তা আবার কখনো লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোনের মালিকানা প্রাপ্তি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের শুরুতে মানসিক সুস্থতা ও মনের স্বাস্থ্য হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
জার্নাল অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটিজ নামের একটি পিয়ার-রিভিউড জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী এবং ১২ বা তার নিচের বয়সে প্রথম স্মার্টফোন পেয়েছিল, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং আত্মমর্যাদাহীনতার হার বেশি। গবেষণাটিতে ১ লাখের বেশি তরুণের মানসিক স্বাস্থ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানসিক স্বাস্থ্য ডেটাবেইসের কেন্দ্র স্প্যানিয়ান ল্যাবসের (Sapien Labs) গবেষকেরা বলছেন, দেখা গেছে, যেসব শিশু ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তারা পরবর্তী জীবনে মানসিক দিক থেকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গ্লোবাল মাইন্ড প্রোজেক্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষণার প্রধান লেখক স্যাপিয়েন ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও নিউরোসায়েন্টিস্ট টারা থিয়াগরাজান। তিনি বলেন, তথ্যগুলো দেখাচ্ছে যে, অল্প বয়সে স্মার্টফোনের মালিকানা এবং এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।

যেসব পরিসংখ্যান আমাদের থমকে দেয়
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের নিচের ১৭ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে একটি স্মার্টফোনের মালিক। এদিকে বিশ্বব্যাপী ৮-১২ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশুর হাতে রয়েছে একটি স্মার্টফোন। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ১৩ বছরের নিচে ব্যবহার নিষিদ্ধ বলা হলেও বাস্তবে এই নিয়ম কার্যকর হয় না। এদিকে স্মার্টফোন ব্যবহারের গড় বয়স ক্রমেই কমছে এবং অনেক শিশু প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে ফোনে। এর নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো হলো—অল্প বয়সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ, সাইবার বুলিং, ঘুমের ব্যাঘাত ও পারিবারিক সম্পর্কে দুর্বলতা। আর এ বিষয়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, একটি জনস্বাস্থ্য সংকটের দিকেও নির্দেশ করছে।

মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
২০০০ সালের শুরু থেকে স্মার্টফোনের সঙ্গে তরুণদের সংযুক্তি, শেখা ও আত্মপরিচয় গঠনের ধরনে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এই সম্ভাবনার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। বিশেষ করে, এআইচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যালগরিদম ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়, সামাজিক তুলনা বাড়ায় এবং ঘুম ও সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে মাইন্ড হেলথ কোশেন্ট (Mind Health Quotient) নামের একটি স্কোরিং সিস্টেম। যা চারটি দিক অর্থাৎ সামাজিক, আবেগীয়, জ্ঞানমূলক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরে তথ্য নিয়েছে। সেখান থেকে দেখা গেছে, যারা ছোটবেলায় ফোন পেয়েছে, তাদের স্কোর ছিল সবচেয়ে কম। ড. টারা থিয়াগরাজান জানান, যাদের হাতে খুব অল্প বয়সে স্মার্টফোন আসে, তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সময় আত্মমর্যাদা হ্রাস, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগের ভারসাম্য হারানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া, রাত জেগে স্ক্রিনে আটকে থাকা এবং পারিবারিক সংযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়া—এসবই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গোপনে দুর্বল করে দেয়। এর সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে যুক্ত উপসর্গগুলো হলো আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা ও হ্যালুসিনেশন।
লৈঙ্গিকভিত্তিক প্রভাব নারীদের জন্য আরও গুরুতর
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যখন খুব কম বয়সে স্মার্টফোন পায়, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ও আবেগের স্থিতিশীলতা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। তবে তা বেশি হয়ে থাকে আচরণগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের দিক থেকে।

নীতিনির্ধারকদের করণীয় কী
বাবা-মা ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এখন সময়মতো ‘না’ বলা শেখা। সন্তানদের সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়ে খোলা আলোচনা, পারিবারিক সময় বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি হতে পারে শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত্তি। এ ছাড়া কিছু বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে। যেমন—
স্মার্টফোন বয়সসীমা নির্ধারণের আইন। ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন মালিকানা ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস সীমিত করতে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
স্কুলপর্যায় থেকে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে শিক্ষা দেওয়া জরুরি। শুধু কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা নয়; বরং কেন, কতটা ও কখন এই বোধ গড়ে তোলা দরকার।
প্রযুক্তি কোম্পানির জবাবদিহি
অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন তারা বয়স যাচাই ব্যবস্থা কঠোর করে।
কনটেন্ট ফিল্টারিং আরও কার্যকর করে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। একে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তির গোলাম বানিয়ে তুলছি কি না। ১৩-এর নিচে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া হয়তো আজকের সমাজে সাধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ‘সাধারণ’ জিনিসটাই যখন মস্তিষ্কের গঠন, আত্মপরিচয় ও আবেগীয় স্বাস্থ্যকে ভেঙে দিচ্ছে, তখন সেটি আর সাধারণ থাকে না, তা হয়ে যায় সতর্কসংকেত।
সূত্র: স্যাপিয়েন ল্যাবস, সিএনএন, স্টার্সইনসাইডার

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মোবাইল কিংবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখানো থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। এরপর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। কখনো তাদের নিরাপত্তা আবার কখনো লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু গবেষণা বলছে, ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোনের মালিকানা প্রাপ্তি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের শুরুতে মানসিক সুস্থতা ও মনের স্বাস্থ্য হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
জার্নাল অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটিজ নামের একটি পিয়ার-রিভিউড জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী এবং ১২ বা তার নিচের বয়সে প্রথম স্মার্টফোন পেয়েছিল, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং আত্মমর্যাদাহীনতার হার বেশি। গবেষণাটিতে ১ লাখের বেশি তরুণের মানসিক স্বাস্থ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানসিক স্বাস্থ্য ডেটাবেইসের কেন্দ্র স্প্যানিয়ান ল্যাবসের (Sapien Labs) গবেষকেরা বলছেন, দেখা গেছে, যেসব শিশু ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তারা পরবর্তী জীবনে মানসিক দিক থেকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গ্লোবাল মাইন্ড প্রোজেক্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষণার প্রধান লেখক স্যাপিয়েন ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও নিউরোসায়েন্টিস্ট টারা থিয়াগরাজান। তিনি বলেন, তথ্যগুলো দেখাচ্ছে যে, অল্প বয়সে স্মার্টফোনের মালিকানা এবং এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।

যেসব পরিসংখ্যান আমাদের থমকে দেয়
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের নিচের ১৭ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে একটি স্মার্টফোনের মালিক। এদিকে বিশ্বব্যাপী ৮-১২ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশুর হাতে রয়েছে একটি স্মার্টফোন। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ১৩ বছরের নিচে ব্যবহার নিষিদ্ধ বলা হলেও বাস্তবে এই নিয়ম কার্যকর হয় না। এদিকে স্মার্টফোন ব্যবহারের গড় বয়স ক্রমেই কমছে এবং অনেক শিশু প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে ফোনে। এর নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো হলো—অল্প বয়সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ, সাইবার বুলিং, ঘুমের ব্যাঘাত ও পারিবারিক সম্পর্কে দুর্বলতা। আর এ বিষয়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, একটি জনস্বাস্থ্য সংকটের দিকেও নির্দেশ করছে।

মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
২০০০ সালের শুরু থেকে স্মার্টফোনের সঙ্গে তরুণদের সংযুক্তি, শেখা ও আত্মপরিচয় গঠনের ধরনে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এই সম্ভাবনার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। বিশেষ করে, এআইচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যালগরিদম ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়, সামাজিক তুলনা বাড়ায় এবং ঘুম ও সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে মাইন্ড হেলথ কোশেন্ট (Mind Health Quotient) নামের একটি স্কোরিং সিস্টেম। যা চারটি দিক অর্থাৎ সামাজিক, আবেগীয়, জ্ঞানমূলক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরে তথ্য নিয়েছে। সেখান থেকে দেখা গেছে, যারা ছোটবেলায় ফোন পেয়েছে, তাদের স্কোর ছিল সবচেয়ে কম। ড. টারা থিয়াগরাজান জানান, যাদের হাতে খুব অল্প বয়সে স্মার্টফোন আসে, তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সময় আত্মমর্যাদা হ্রাস, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, আবেগের ভারসাম্য হারানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া, রাত জেগে স্ক্রিনে আটকে থাকা এবং পারিবারিক সংযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়া—এসবই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গোপনে দুর্বল করে দেয়। এর সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে যুক্ত উপসর্গগুলো হলো আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসী মনোভাব, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা ও হ্যালুসিনেশন।
লৈঙ্গিকভিত্তিক প্রভাব নারীদের জন্য আরও গুরুতর
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যখন খুব কম বয়সে স্মার্টফোন পায়, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ও আবেগের স্থিতিশীলতা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। তবে তা বেশি হয়ে থাকে আচরণগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের দিক থেকে।

নীতিনির্ধারকদের করণীয় কী
বাবা-মা ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এখন সময়মতো ‘না’ বলা শেখা। সন্তানদের সঙ্গে প্রযুক্তি নিয়ে খোলা আলোচনা, পারিবারিক সময় বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি হতে পারে শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের ভিত্তি। এ ছাড়া কিছু বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে। যেমন—
স্মার্টফোন বয়সসীমা নির্ধারণের আইন। ১৩ বছরের নিচে স্মার্টফোন মালিকানা ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকসেস সীমিত করতে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
স্কুলপর্যায় থেকে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে শিক্ষা দেওয়া জরুরি। শুধু কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা নয়; বরং কেন, কতটা ও কখন এই বোধ গড়ে তোলা দরকার।
প্রযুক্তি কোম্পানির জবাবদিহি
অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন তারা বয়স যাচাই ব্যবস্থা কঠোর করে।
কনটেন্ট ফিল্টারিং আরও কার্যকর করে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে। একে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তির গোলাম বানিয়ে তুলছি কি না। ১৩-এর নিচে স্মার্টফোন হাতে পাওয়া হয়তো আজকের সমাজে সাধারণ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ‘সাধারণ’ জিনিসটাই যখন মস্তিষ্কের গঠন, আত্মপরিচয় ও আবেগীয় স্বাস্থ্যকে ভেঙে দিচ্ছে, তখন সেটি আর সাধারণ থাকে না, তা হয়ে যায় সতর্কসংকেত।
সূত্র: স্যাপিয়েন ল্যাবস, সিএনএন, স্টার্সইনসাইডার

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৩ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৭ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৩ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৭ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৮ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
২ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৭ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৩ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় একটি অর্জন প্রযুক্তি। একই সঙ্গে এর কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে নানান নেতিবাচক দিক আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে। এমনকি আমরা শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে দিচ্ছি এমন এক জগতে, যার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। একটা ছোট শিশুকে খাওয়ানোর
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৩ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৭ ঘণ্টা আগে