ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
অনেক সময় আমরা এমনভাবে রেগে যাই যে পরে নিজের মধ্যে অনুশোচনা দেখা দেয়। তবে চিন্তার কিছু নেই, আমরা একা নই। রাগ একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। এটি জানান দেয়, আমরা কোন পরিস্থিতি সম্পর্কে কেমন অনুভব করছি। তবে রাগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা স্বাস্থ্য ও সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এখানে রইল রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭টি সহজ উপায়। এগুলো রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
কথা বলার আগে থামুন
রেগে যাওয়ার সময় কিছু বলার আগে নিজেকে সামলান। বুক ধড়ফড় করছে, মেজাজ উত্তেজিত—এমন অবস্থা হলেই থেমে যান। একটা গভীর শ্বাস নিন, দশ পর্যন্ত গণনা করুন, অথবা কয়েক মুহূর্তের জন্য চুপ করে বসুন। যেমন ধরুন, যদি কেউ ট্রাফিক সিগন্যালে আপনার গাড়ির সামনে হঠাৎ ঢুকে গেল কিংবা রাস্তায় রিকশা এলোমেলোভাবে চলছে এবং আপনি বুঝতে পারছেন, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন অবস্থায় চিৎকার না করে প্রথমে শ্বাস নিন। তারপর শান্তভাবে পরিস্থিতি সামলান।
শান্ত হয়ে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন
রাগ কমে গেলে সঠিকভাবে প্রকাশ করুন, কেন আপনি ক্ষিপ্ত। এটি করতে ‘আমি’ দিয়ে শুরু করা ভালো। যেমন যদি আপনার স্ত্রী বা স্বামী রান্নার পর সহায়তা না করেন, তাঁকে বলুন ‘আমি বিরক্ত যে তুমি রান্নার পর সাহায্য করোনি।’ সন্তানের ক্ষেত্রে বলতে পারেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছি এই জন্য যে তুমি কথা না শুনে কাজটি করেছ।’ এতে যাঁকে বলছেন, সেই ব্যক্তি আপনার অনুভূতি বুঝতে পারবেন। এতে কাজ হবে এবং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
হালকা হাস্যরস ব্যবহার করুন
রাগ কমাতে কখনো কখনো হালকা হাসি বা হিউমার ভালো কাজ করে। যদি আপনি অতিরিক্ত আশা বা প্রত্যাশার কারণে রেগে যান, তবে হাসুন। অন্যকে আঘাত করার জন্য কাউকে বিদ্রূপ করবেন না। এটি কেবল পরিস্থিতি খারাপ করবে।
বিরতি নিন
দিনে ব্যস্ততা বা মানসিক চাপের সময় নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য শান্ত হওয়ার সুযোগ দিন। ঘুম থেকে উঠে কয়েক মিনিটের জন্য বাইরে যান, হালকা গরম পানি পান করুন কিংবা একাই বসে গভীর শ্বাস নিন। এটি আপনাকে পরিস্থিতি সামলাতে এবং রাগ কমাতে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম রাগ কমাতে খুবই কার্যকর। হাঁটা, দৌড়ানো বা অন্য কোনো প্রিয় শারীরিক কাজ আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দিয়ে মেজাজ ভালো করবে। ব্যায়ামের সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন উৎপন্ন হয়, যা স্বাভাবিকভাবে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শিথিলকরণ ও ধ্যান
রাগ কমাতে শরীর ও মন শিথিল করা জরুরি। গভীর শ্বাস নেওয়া, বাইরে গিয়ে তাজা বাতাস গায়ে লাগানো, শান্ত সংগীত শোনা বা প্রিয় কিছু দৃশ্য কল্পনা করা—এসব সহজ কৌশল রাগ কমায়। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনও খুব কার্যকর। এসব পদ্ধতি আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে এবং পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
অভিমান ধরে রাখবেন না
ক্ষমা শক্তিশালী হাতিয়ার। অন্যের ভুলের কথা মনে করে রাগ ধরে রাখলে শুধু নিজের ক্ষতি হয়। কাউকে ক্ষমা করলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। এতে সম্পর্কও ভালো থাকে। অন্যের ক্ষতি বা ভুলের প্রতিশোধ আশা করলে আপনার নিজের মন আরও বিরক্ত ও বিষণ্ন হয়ে যাবে। ক্ষমা করলে আপনি নিজেকে মুক্ত মনে করবেন।
বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি
দীর্ঘ সময় ধরে দুঃখ, রাগ বা বিরক্তি কমে না গেলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। অনেক চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হলো ইমেজ রিহার্সাল থেরাপি। এতে রোগীকে তার বারবার দেখা রাগের স্বপ্ন বা ঘটনা নতুনভাবে কল্পনা করতে শেখানো হয়, যাতে শেষটা ইতিবাচক হয়। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে মন ধীরে ধীরে সেই রাগের প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেয়। এতে মনে শান্তি আসে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কখনো কখনো চ্যালেঞ্জিং হলেও এটি সম্ভব। এই সাধারণ কৌশলগুলো ব্যবহার করলে আপনি সম্পর্ক রক্ষা, নিজের মানসিক শান্তি বজায় রাখা এবং জীবনের চাপ সামলাতে পারবেন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক
অনেক সময় আমরা এমনভাবে রেগে যাই যে পরে নিজের মধ্যে অনুশোচনা দেখা দেয়। তবে চিন্তার কিছু নেই, আমরা একা নই। রাগ একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। এটি জানান দেয়, আমরা কোন পরিস্থিতি সম্পর্কে কেমন অনুভব করছি। তবে রাগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা স্বাস্থ্য ও সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এখানে রইল রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭টি সহজ উপায়। এগুলো রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
কথা বলার আগে থামুন
রেগে যাওয়ার সময় কিছু বলার আগে নিজেকে সামলান। বুক ধড়ফড় করছে, মেজাজ উত্তেজিত—এমন অবস্থা হলেই থেমে যান। একটা গভীর শ্বাস নিন, দশ পর্যন্ত গণনা করুন, অথবা কয়েক মুহূর্তের জন্য চুপ করে বসুন। যেমন ধরুন, যদি কেউ ট্রাফিক সিগন্যালে আপনার গাড়ির সামনে হঠাৎ ঢুকে গেল কিংবা রাস্তায় রিকশা এলোমেলোভাবে চলছে এবং আপনি বুঝতে পারছেন, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন অবস্থায় চিৎকার না করে প্রথমে শ্বাস নিন। তারপর শান্তভাবে পরিস্থিতি সামলান।
শান্ত হয়ে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন
রাগ কমে গেলে সঠিকভাবে প্রকাশ করুন, কেন আপনি ক্ষিপ্ত। এটি করতে ‘আমি’ দিয়ে শুরু করা ভালো। যেমন যদি আপনার স্ত্রী বা স্বামী রান্নার পর সহায়তা না করেন, তাঁকে বলুন ‘আমি বিরক্ত যে তুমি রান্নার পর সাহায্য করোনি।’ সন্তানের ক্ষেত্রে বলতে পারেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছি এই জন্য যে তুমি কথা না শুনে কাজটি করেছ।’ এতে যাঁকে বলছেন, সেই ব্যক্তি আপনার অনুভূতি বুঝতে পারবেন। এতে কাজ হবে এবং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
হালকা হাস্যরস ব্যবহার করুন
রাগ কমাতে কখনো কখনো হালকা হাসি বা হিউমার ভালো কাজ করে। যদি আপনি অতিরিক্ত আশা বা প্রত্যাশার কারণে রেগে যান, তবে হাসুন। অন্যকে আঘাত করার জন্য কাউকে বিদ্রূপ করবেন না। এটি কেবল পরিস্থিতি খারাপ করবে।
বিরতি নিন
দিনে ব্যস্ততা বা মানসিক চাপের সময় নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য শান্ত হওয়ার সুযোগ দিন। ঘুম থেকে উঠে কয়েক মিনিটের জন্য বাইরে যান, হালকা গরম পানি পান করুন কিংবা একাই বসে গভীর শ্বাস নিন। এটি আপনাকে পরিস্থিতি সামলাতে এবং রাগ কমাতে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম রাগ কমাতে খুবই কার্যকর। হাঁটা, দৌড়ানো বা অন্য কোনো প্রিয় শারীরিক কাজ আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দিয়ে মেজাজ ভালো করবে। ব্যায়ামের সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন উৎপন্ন হয়, যা স্বাভাবিকভাবে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শিথিলকরণ ও ধ্যান
রাগ কমাতে শরীর ও মন শিথিল করা জরুরি। গভীর শ্বাস নেওয়া, বাইরে গিয়ে তাজা বাতাস গায়ে লাগানো, শান্ত সংগীত শোনা বা প্রিয় কিছু দৃশ্য কল্পনা করা—এসব সহজ কৌশল রাগ কমায়। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনও খুব কার্যকর। এসব পদ্ধতি আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে এবং পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
অভিমান ধরে রাখবেন না
ক্ষমা শক্তিশালী হাতিয়ার। অন্যের ভুলের কথা মনে করে রাগ ধরে রাখলে শুধু নিজের ক্ষতি হয়। কাউকে ক্ষমা করলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। এতে সম্পর্কও ভালো থাকে। অন্যের ক্ষতি বা ভুলের প্রতিশোধ আশা করলে আপনার নিজের মন আরও বিরক্ত ও বিষণ্ন হয়ে যাবে। ক্ষমা করলে আপনি নিজেকে মুক্ত মনে করবেন।
বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি
দীর্ঘ সময় ধরে দুঃখ, রাগ বা বিরক্তি কমে না গেলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। অনেক চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হলো ইমেজ রিহার্সাল থেরাপি। এতে রোগীকে তার বারবার দেখা রাগের স্বপ্ন বা ঘটনা নতুনভাবে কল্পনা করতে শেখানো হয়, যাতে শেষটা ইতিবাচক হয়। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে মন ধীরে ধীরে সেই রাগের প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেয়। এতে মনে শান্তি আসে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কখনো কখনো চ্যালেঞ্জিং হলেও এটি সম্ভব। এই সাধারণ কৌশলগুলো ব্যবহার করলে আপনি সম্পর্ক রক্ষা, নিজের মানসিক শান্তি বজায় রাখা এবং জীবনের চাপ সামলাতে পারবেন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক
চলতি বছর মার্চ মাসের এক সকালে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু করেন জর্জ কোলার ও তার ছেলে জশ। সাধারণত বাবা-ছেলে মিলে হয়তো সপ্তাহ শেষে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা পরিবারের আড্ডায় সময় কাটায়। কিন্তু এই বাবা-ছেলের গল্প আলাদা। তারা সাইকেল চালিয়ে পৃথিবী ঘুরতে বেরিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেউৎসবে অতিরিক্ত মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়। তা ছাড়া দীর্ঘ সময় ত্বকে মেকআপ থাকায় রোমকূপও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যাঁদের ত্বকে ব্রণ সচরাচর দেখা যায় না, উৎসবের পর তাঁদের ত্বকেও আচমকা ব্রণ হতে শুরু করে। এ তো গেল ত্বকের কথা।
৪ ঘণ্টা আগেপূজা শেষে বাড়িতে আরও কিছু নারকেল রয়ে গেছে? অতিথি আসার অপেক্ষায় না থেকে পরিবারের সবার জন্য তৈরি করতে পারেন নারকেলের মজাদার কয়েকটি পদ। এ নিয়ে রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী
৫ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্ক ও লন্ডন ফ্যাশন উইক তারকাদের উপস্থিতি এবং নিরীক্ষামূলক পোশাকধারার জন্য বিখ্যাত হলেও নিখুঁত, পরিশীলিত ও আধুনিক স্ট্রিট স্টাইল অনুপ্রেরণার ক্ষেত্রে মিলান ফ্যাশন উইক সব সময় একধাপ এগিয়ে।
৬ ঘণ্টা আগে