রজত কান্তি রায়, ঢাকা
সোনালি থালায় অভ্রচূর্ণের মতো ধবধবে সাদা ভাত, এর থেকে উঠছে সুগন্ধ! সোনালি মসলায় জাড়িত গাঢ় খয়েরি রঙের ঝোলের মধ্য থেকে উঁকি দেওয়া খাসির মাংস, সরষে বা ভাপা ইলিশ, পটোল ভাজা, ঝিরি ঝিরি করে কাটা আলুভাজা, কাটারি ভোগ চাল আর পাকা রুইয়ের মাথা দিয়ে রান্না করা সুগন্ধি মুড়িঘন্ট, রুইয়ের পেটির ঝোল বা কালিয়া! সঙ্গে নরসিং বা কারিপাতাবাটা দিয়ে ভাজা খেসারির ডালের বড়া। দশমীর দুপুরে খাবারের আয়োজন এমনি রাজসিক।
ষষ্ঠী থেকে নবমী—নিরামিষ। আর দশমীতে কাছা খুলে কবজি ডুবিয়ে আমিষ খানা, সেই সকাল থেকে। অসিলা পেলে যে জাতি খাওয়াকেই জীবনের মোক্ষ মনে করে, তাদের সামনে দশমীর চেয়ে বড় অসিলা আর কী হতে পারে? কিন্তু সে এক বিদায় বিদায় ব্যাপার! দশমী মানেই বিসর্জনের বিষণ্ন সুর। দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে, নিজের সংসারে। হ্যাঁ, যতটা না তিনি দেবী, তার চেয়ে বেশি তো পরিবারের মানুষ, কন্যা। মা-বাবারও কন্যা, সন্তানেরও কন্যা—এই শাস্ত্রবহির্ভূত প্রথা চলে আসছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে! বছরের শেষ খাবারটা তাই ভালো হওয়া চাই।
এ জন্যই মনে হয় বিভিন্ন জায়গায় দশমীর খাবার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রথা ও মিথ প্রচলিত আছে। যেমন বরিশাল বা পাবনা অঞ্চলে দশমীর দিন খাওয়া হতো ইলিশ মাছ। সম্পন্ন গৃহস্থদের বাড়িতে আবার আসত জোড়া ইলিশ। নিয়মের বেড়াজালে সেসব প্রথা এখন উধাও। উত্তরবঙ্গে খাওয়া হয় মাংস—হবেই। মাংস বাঙালির কাছে রাজকীয় খাবার। বিদায় বেলায় কন্যাকে সেই রাজকীয় খাবারের স্বাদ না দিলে চলে! সে জন্যই দশমীতে রাজসিক খাবারের আয়োজন।
একসময় বাবা বাজার করতেন, এখন আমি বাজার করি। সেই তো পরম্পরা। বাজার করাটাও তারই অংশ। টান সবখানেই পড়েছে বলে বাজারে যে খানিক বদল এসেছে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। কিন্তু বছরান্তের পর্ব বলে কথা। মাছ হোক বা মাংস—দশমীর দুপুরে আয়োজন হওয়া চাই সেরা, স্বাদে-গন্ধে ভরপুর। সকাল থেকে খাওয়া হবে দই, চিড়া, মুড়কি ও মিষ্টি।
এখন তো হাতের মুঠোয় ইউটিউব। চাইলে ভোলার চরে বসে আপনি স্প্যানিশ খাবারও রান্না করতে পারেন দশমীতে। খাবারে বদল যেহেতু হচ্ছে, সেটাকে স্বাগত জানানোই ভালো। অন্তত দশমীর অসিলায় যদি একটা নতুন খাবারও খেতে পারেন, মন্দ কী?
সোনালি থালায় অভ্রচূর্ণের মতো ধবধবে সাদা ভাত, এর থেকে উঠছে সুগন্ধ! সোনালি মসলায় জাড়িত গাঢ় খয়েরি রঙের ঝোলের মধ্য থেকে উঁকি দেওয়া খাসির মাংস, সরষে বা ভাপা ইলিশ, পটোল ভাজা, ঝিরি ঝিরি করে কাটা আলুভাজা, কাটারি ভোগ চাল আর পাকা রুইয়ের মাথা দিয়ে রান্না করা সুগন্ধি মুড়িঘন্ট, রুইয়ের পেটির ঝোল বা কালিয়া! সঙ্গে নরসিং বা কারিপাতাবাটা দিয়ে ভাজা খেসারির ডালের বড়া। দশমীর দুপুরে খাবারের আয়োজন এমনি রাজসিক।
ষষ্ঠী থেকে নবমী—নিরামিষ। আর দশমীতে কাছা খুলে কবজি ডুবিয়ে আমিষ খানা, সেই সকাল থেকে। অসিলা পেলে যে জাতি খাওয়াকেই জীবনের মোক্ষ মনে করে, তাদের সামনে দশমীর চেয়ে বড় অসিলা আর কী হতে পারে? কিন্তু সে এক বিদায় বিদায় ব্যাপার! দশমী মানেই বিসর্জনের বিষণ্ন সুর। দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে, নিজের সংসারে। হ্যাঁ, যতটা না তিনি দেবী, তার চেয়ে বেশি তো পরিবারের মানুষ, কন্যা। মা-বাবারও কন্যা, সন্তানেরও কন্যা—এই শাস্ত্রবহির্ভূত প্রথা চলে আসছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে! বছরের শেষ খাবারটা তাই ভালো হওয়া চাই।
এ জন্যই মনে হয় বিভিন্ন জায়গায় দশমীর খাবার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রথা ও মিথ প্রচলিত আছে। যেমন বরিশাল বা পাবনা অঞ্চলে দশমীর দিন খাওয়া হতো ইলিশ মাছ। সম্পন্ন গৃহস্থদের বাড়িতে আবার আসত জোড়া ইলিশ। নিয়মের বেড়াজালে সেসব প্রথা এখন উধাও। উত্তরবঙ্গে খাওয়া হয় মাংস—হবেই। মাংস বাঙালির কাছে রাজকীয় খাবার। বিদায় বেলায় কন্যাকে সেই রাজকীয় খাবারের স্বাদ না দিলে চলে! সে জন্যই দশমীতে রাজসিক খাবারের আয়োজন।
একসময় বাবা বাজার করতেন, এখন আমি বাজার করি। সেই তো পরম্পরা। বাজার করাটাও তারই অংশ। টান সবখানেই পড়েছে বলে বাজারে যে খানিক বদল এসেছে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। কিন্তু বছরান্তের পর্ব বলে কথা। মাছ হোক বা মাংস—দশমীর দুপুরে আয়োজন হওয়া চাই সেরা, স্বাদে-গন্ধে ভরপুর। সকাল থেকে খাওয়া হবে দই, চিড়া, মুড়কি ও মিষ্টি।
এখন তো হাতের মুঠোয় ইউটিউব। চাইলে ভোলার চরে বসে আপনি স্প্যানিশ খাবারও রান্না করতে পারেন দশমীতে। খাবারে বদল যেহেতু হচ্ছে, সেটাকে স্বাগত জানানোই ভালো। অন্তত দশমীর অসিলায় যদি একটা নতুন খাবারও খেতে পারেন, মন্দ কী?
দীর্ঘ আট বছরের প্রেম এবং এক বছরের দাম্পত্য নিয়ে বেশ খুশি সোনাক্ষী-জাহির। ভক্তদেরও তাঁরা জানিয়েছেন সম্পর্ক সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখার মন্ত্র। সোনাক্ষী ও জাহিরের বিবাহবার্ষিকীতে জেনে নিতে পারেন দাম্পত্য বিষয়ে তাঁদের দেওয়া কয়েকটি টিপস।
৫ ঘণ্টা আগেইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
১৪ ঘণ্টা আগেবিটরুটের সালাদ আর ভাজি তো সব সময় খাওয়া হয়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ইদানীং বিটরুটের জুসও পান করছেন। বেশ ট্রেন্ডে রয়েছে এই জুস। তবে চাইলে বিটরুট দিয়ে ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস ও ডেজার্ট তৈরি করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেএকজন স্বাস্থ্যবতী নারী যদি বলেন, ‘আমার যা পরতে ভালো লাগে, তা-ই পরব।’ তাহলে আশপাশে মুখ টিপে হাসার মতো মানুষের অভাব হয় না। এখন কথা হচ্ছে, প্লাস সাইজের কোনো মানুষ কি ফ্যাশন নিয়ে ভাববেন না?
১৪ ঘণ্টা আগে