ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
নিয়মিত জিমে ব্যায়াম করা মানুষেরা কি কখনো খেয়াল করেছেন, অধিকাংশ মানুষ কালো রঙের পোশাক পরে জিমে যান। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ‘কেন?’ কালো রঙের পোশাক পরলে দেখতে অনেকটাই স্লিম দেখায়। তা ছাড়া বেশির ভাগ জিমের দেয়ালের রং এবং ডেকোরেশনে কালো ও ধূসর রঙের আধিক্য থাকে। ফলে সব মিলিয়ে জিমের আয়নায় নিজেকে দেখতে অনেকটাই চর্বিহীন মনে হয়। এতে ব্যায়াম করা মানুষেরা আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন। তবে কালোই কি একমাত্র রং, যা পরে জিমে গেলে আপনি দ্বিগুণ আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে দ্বারস্থ হতে হবে ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীদের।
ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নির্দিষ্ট রং বিষয়ে মানুষের ব্যক্তিগত ধারণার মধ্যে তাদের শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর অর্থ হলো, যদিও আমরা লালকে বিপদের সংকেত বলে জানি আর হলুদকে জানি আনন্দের রং হিসেবে। কিন্তু আমাদের শরীর এসব রঙের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভিন্ন গল্প বলে। রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে। স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো হলো নীল, বেগুনি; মাঝারি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং হলো সবুজ এবং দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো হলো লাল, কমলা ও হলুদ।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে, যা মূলত আমাদের হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, হজমক্রিয়া বা উত্তেজনার মতো শারীরিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। অন্যদিকে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সহানুভূতিশীল নিউরনগুলোকে সক্রিয় করে বলে জানা যায়। এর ফলে আমরা আরও উত্তেজিত ও সজাগ বোধ করি।
তাই ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ওয়ার্কআউট গিয়ারের ক্ষেত্রে লাল, কমলা ও হলুদ রঙের পোশাক ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এর অর্থ, আপনি যদি শারীরিকভাবে আরও সক্রিয় থাকতে চান, তবে এই রঙের পোশাক পরে জিমে গেলে অনেক বেশি উদ্যমী থাকতে পারবেন।
তাই এই রংগুলো প্রায়শই স্পোর্টস কিট ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়। বিস্ময়কর ঘটনা হলেও গবেষণায় দেখা গেছে, অলিম্পিকে লাল পোশাক পরা দলগুলোর জয়ের হার বেশি।
ডোপামিন ড্রেসিং
জিমে যাওয়া মানে কিন্তু বাইরের পৃথিবী থেকে নিজেকে একেবারে সংযোগহীন করে ফেলা। চোখ বন্ধ করে খেয়াল করুন, আপনি যখন জিমের ট্রেডমিলে হাঁটছেন বা দৌড়াচ্ছেন কিংবা অন্য কোনো ব্যায়াম করছেন, আপনার চারপাশের মানুষেরা নীরবে নিজের শরীর গঠনে ব্যস্ত; তখন জগতের অন্য কোনো চিন্তা কিন্তু আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে না। বাড়িতে কী রান্না হলো, ব্যাংকে কত টাকা জমা দিতে হবে, বাজার করার মতো কোনো ভাবনাই আপনাকে নাড়া দিচ্ছে না। আপনি কেবল আপনার মধ্য়েই নিমগ্ন।
এসব কারণে ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডোপামিন ড্রেসিংয়ের সেরা সময় এটি। কোনো নির্দিষ্ট রং, প্যাটার্ন কিংবা স্টাইল নিমেষে আপনার মুড বদলে দিতে পারে। কাজটি করে মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার। ডোপামিন ড্রেসিংয়ের মূলে রয়েছে রং। ভিন্ন ভিন্ন রং আমাদের নির্দিষ্ট আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে। সচেতনভাবে সে অনুযায়ী নিজেকে সাজিয়ে নিতে হবে। এটি আপনাকে উৎফুল্ল রাখবে, আত্মবিশ্বাসী করবে। রোদেলা হলুদ, গাঢ় লাল, চকচকে গোলাপি ও হালকা নীলের মতো রংগুলো আপনার মনের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রাখে; বিশেষ করে হলুদ মন চনমনে রাখার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত একটি রং। অন্যান্য রঙের সঙ্গে এর বৈপরীত্যের কারণে আমরা এমন রঙের পোশাক পরলে নিজেদের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারি।
সবুজ ও নীল পর্যালোচনা
সবুজ ও নীল রং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর শান্ত প্রভাব ফেলে। আবার নীল ও বেগুনির মতো স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো সরাসরি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের প্যারাসিমপ্যাথেটিক নিউরনগুলোকে প্রভাবিত করে। এই রংগুলো শরীর ও মনকে শিথিল করে। ফলে যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের সময় এই রঙের পোশাক আপনি পরতেই পারেন। তবে জিমে পরে যাওয়ার জন্য এসব রং উপযুক্ত নয়।
নিউট্রাল রং পরে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁরা কী করবেন
জিমে গেলেও যাঁরা নিউট্রাল রং পরতেই বেশি ভালোবাসেন, তাঁরা বাদামি রং বেছে নিতে পারেন। এর সঙ্গে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং; যেমন লাল ও হলুদ থাকতে পারে। এমন পোশাক ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে ও শরীর উষ্ণ করতেও সাহায্য করবে। আপনিও থাকবেন নিজের আরাম ও স্বস্তির মধ্য়েই।
সূত্র: উইমেন’স হেলথ ডট কম
নিয়মিত জিমে ব্যায়াম করা মানুষেরা কি কখনো খেয়াল করেছেন, অধিকাংশ মানুষ কালো রঙের পোশাক পরে জিমে যান। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ‘কেন?’ কালো রঙের পোশাক পরলে দেখতে অনেকটাই স্লিম দেখায়। তা ছাড়া বেশির ভাগ জিমের দেয়ালের রং এবং ডেকোরেশনে কালো ও ধূসর রঙের আধিক্য থাকে। ফলে সব মিলিয়ে জিমের আয়নায় নিজেকে দেখতে অনেকটাই চর্বিহীন মনে হয়। এতে ব্যায়াম করা মানুষেরা আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন। তবে কালোই কি একমাত্র রং, যা পরে জিমে গেলে আপনি দ্বিগুণ আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে দ্বারস্থ হতে হবে ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীদের।
ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নির্দিষ্ট রং বিষয়ে মানুষের ব্যক্তিগত ধারণার মধ্যে তাদের শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর অর্থ হলো, যদিও আমরা লালকে বিপদের সংকেত বলে জানি আর হলুদকে জানি আনন্দের রং হিসেবে। কিন্তু আমাদের শরীর এসব রঙের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভিন্ন গল্প বলে। রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে। স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো হলো নীল, বেগুনি; মাঝারি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং হলো সবুজ এবং দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো হলো লাল, কমলা ও হলুদ।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে, যা মূলত আমাদের হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, হজমক্রিয়া বা উত্তেজনার মতো শারীরিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। অন্যদিকে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সহানুভূতিশীল নিউরনগুলোকে সক্রিয় করে বলে জানা যায়। এর ফলে আমরা আরও উত্তেজিত ও সজাগ বোধ করি।
তাই ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ওয়ার্কআউট গিয়ারের ক্ষেত্রে লাল, কমলা ও হলুদ রঙের পোশাক ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এর অর্থ, আপনি যদি শারীরিকভাবে আরও সক্রিয় থাকতে চান, তবে এই রঙের পোশাক পরে জিমে গেলে অনেক বেশি উদ্যমী থাকতে পারবেন।
তাই এই রংগুলো প্রায়শই স্পোর্টস কিট ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়। বিস্ময়কর ঘটনা হলেও গবেষণায় দেখা গেছে, অলিম্পিকে লাল পোশাক পরা দলগুলোর জয়ের হার বেশি।
ডোপামিন ড্রেসিং
জিমে যাওয়া মানে কিন্তু বাইরের পৃথিবী থেকে নিজেকে একেবারে সংযোগহীন করে ফেলা। চোখ বন্ধ করে খেয়াল করুন, আপনি যখন জিমের ট্রেডমিলে হাঁটছেন বা দৌড়াচ্ছেন কিংবা অন্য কোনো ব্যায়াম করছেন, আপনার চারপাশের মানুষেরা নীরবে নিজের শরীর গঠনে ব্যস্ত; তখন জগতের অন্য কোনো চিন্তা কিন্তু আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে না। বাড়িতে কী রান্না হলো, ব্যাংকে কত টাকা জমা দিতে হবে, বাজার করার মতো কোনো ভাবনাই আপনাকে নাড়া দিচ্ছে না। আপনি কেবল আপনার মধ্য়েই নিমগ্ন।
এসব কারণে ফ্যাশন মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডোপামিন ড্রেসিংয়ের সেরা সময় এটি। কোনো নির্দিষ্ট রং, প্যাটার্ন কিংবা স্টাইল নিমেষে আপনার মুড বদলে দিতে পারে। কাজটি করে মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার। ডোপামিন ড্রেসিংয়ের মূলে রয়েছে রং। ভিন্ন ভিন্ন রং আমাদের নির্দিষ্ট আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে। সচেতনভাবে সে অনুযায়ী নিজেকে সাজিয়ে নিতে হবে। এটি আপনাকে উৎফুল্ল রাখবে, আত্মবিশ্বাসী করবে। রোদেলা হলুদ, গাঢ় লাল, চকচকে গোলাপি ও হালকা নীলের মতো রংগুলো আপনার মনের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রাখে; বিশেষ করে হলুদ মন চনমনে রাখার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত একটি রং। অন্যান্য রঙের সঙ্গে এর বৈপরীত্যের কারণে আমরা এমন রঙের পোশাক পরলে নিজেদের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারি।
সবুজ ও নীল পর্যালোচনা
সবুজ ও নীল রং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর শান্ত প্রভাব ফেলে। আবার নীল ও বেগুনির মতো স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রংগুলো সরাসরি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের প্যারাসিমপ্যাথেটিক নিউরনগুলোকে প্রভাবিত করে। এই রংগুলো শরীর ও মনকে শিথিল করে। ফলে যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের সময় এই রঙের পোশাক আপনি পরতেই পারেন। তবে জিমে পরে যাওয়ার জন্য এসব রং উপযুক্ত নয়।
নিউট্রাল রং পরে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁরা কী করবেন
জিমে গেলেও যাঁরা নিউট্রাল রং পরতেই বেশি ভালোবাসেন, তাঁরা বাদামি রং বেছে নিতে পারেন। এর সঙ্গে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং; যেমন লাল ও হলুদ থাকতে পারে। এমন পোশাক ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে ও শরীর উষ্ণ করতেও সাহায্য করবে। আপনিও থাকবেন নিজের আরাম ও স্বস্তির মধ্য়েই।
সূত্র: উইমেন’স হেলথ ডট কম
রোড ট্রিপের জন্য গাড়িতে ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু এই আনন্দ মাঝেমধ্যে কিছুটা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন চালকেরা অযথা হর্ন বাজান কিংবা ঘন ঘন হেডলাইট জ্বালান আর বন্ধ করেন। বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেগুলোতে ‘বন্ধুসুলভ চালক’ পাওয়া যায়।
১১ ঘণ্টা আগেফিটনেসের ব্যাপারে যিনি কোনো আপস করেন না, তিনি শিল্পা শেঠি। ৫০ বছর বয়সী বলিউড তারকা শিল্পা শেঠি শুধু রুপালি পর্দাতেই নয়, ফিটনেস ও যোগব্যায়ামের জগতেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। তাঁর নিয়মিত যোগচর্চা ও ফিটনেস টিপস বহু মানুষকে...
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণ গ্রাম। এখন যেটি সোনারগাঁ নামে বেশি পরিচিত। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর—প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ঈসা খাঁ সেখানেই করেছিলেন বাংলার রাজধানী। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরোনো অনেক ভবন রয়েছে, যেগুলো বাংলার বারোভূঁইয়াদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত
১৫ ঘণ্টা আগেভ্রমণের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। আর স্ট্রিট ফুডের জন্য জনপ্রিয় দেশটির রাজধানী ব্যাংকক। শহরটির রাস্তা থেকে গলি—খাবারের ঘ্রাণ আর রং মানুষকে বিমোহিত করে রাখে। এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনধারার অংশ। তবে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ভ্রমণের পুরো আমেজ পেতে পারেন।
১৬ ঘণ্টা আগে