ফিচার ডেস্ক
লোকমুখে শোনা যায়, সকালটা ভালোভাবে শুরু হলে সারা দিন শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। তাই দিনের শুরুটা হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়ে। বলিউডের লাস্যময়ী তারকারাও কিন্তু এ কথায় বিশ্বাসী। নামিদামি তারকারা দিনের শুরুটা করেন ডিটক্স পানীয় পানের মাধ্যমে। সকাল সকালই যদি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান তাড়ানো যায়, তাহলে পুরো দিনেই শরীর, মন ও ত্বক তরতাজা থাকে বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন। জেনে নিন বলিউডের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকা রোজ কী ধরনের ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিনের শুরু করেন সে সম্পর্কে–
কঙ্গনার প্রিয় হলুদ, আদা, আমলকী ও গোটা গোলমরিচে তৈরি ডিটক্স পানীয়
কঙ্গনা রনৌত এমন একধরনের ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিনের শুরু করেন, যা শরীর বিষমুক্ত করার পাশাপাশি রোগবালাই থেকেও তাঁকে দূরে রাখে। এই পানীয় পানের ফলে সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। আর জাদুকরী এই ডিটক্স পানীয় তৈরির উপাদান থাকে প্রায় সবার হেঁশেলেই। একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে কাঁচা হলুদের টুকরো, আদা কুচি, আমলকীর টুকরো ও কয়েকটি গোটা গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে। মিনিট দশেক ফোটার পর পানির রং বদলাতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার সেই পানীয় ঢেকে রাখতে হবে আরও কিছু সময়, যেন আদা ও আমলকীর রস ভালো করে পানিতে মিশে যায়। তারপর ছেঁকে সেই পানীয় পান করতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরে প্রদাহ কমায়, জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সর্দি-কাশি ও পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য় করে। আমলকীর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে গোলমরিচের অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে, যা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মালাইকার কাস্টমাইজড রেটিনল জুস
৫১ বছর বয়সী এই তারকার দিন শুরু হয় এক গ্লাস রেটিনল জুস পান করে। রেটিনলের প্রসাধনীর কথা তো সবারই জানা। কিন্তু মালাইকা মুখে মাখার চেয়ে পান করতে পছন্দ করেন এটি। রেটিনল মূলত ভিটামিন-এ১। ভিটামিন-এ পরিবারের একটি উপাদান, যা চর্বিতে দ্রবণীয়। রেটিনল খাবারেও পাওয়া যায়, সাপ্লিমেন্টেও পাওয়া যায়। সেই উপাদান দিয়ে জুস তৈরি করে সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন। এই জুস শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ তো রাখেই, পাশাপাশি ত্বক রাখে উজ্জ্বল, পরিষ্কার ও প্রাণবন্ত।
রেটিনল জুস তৈরির জন্য এমন সব ফল ও সবজি বেছে নিতে হবে, যাতে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গাজর, কমলালেবু, আপেল, পালংশাক, শসা ইত্যাদি দিয়ে এই জুস তৈরি করা যায়। শরীরে গিয়ে বিটা ক্যারোটিন ভেঙে তৈরি হয় ভিটামিন-এ, যা ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
মালাইকা অরোরার এই রেটিনল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় দুটি মাঝারি আকারের গাজর, একমুঠো পালংশাক, ১ টুকরো আদা, অর্ধেক আপেল বা কমলালেবু, পরিমাণমতো পানি। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে পান করতে হবে। তবে ফাইবারের প্রয়োজন হলে ছেঁকে নেওয়ার দরকার নেই। সকালে খালি পেটে নিয়মিত পান করলে খুব দ্রুতই ত্বকে জেল্লা ফুটে উঠবে। ত্বকে অকালে বলিরেখা পড়ার আশঙ্কাও কমবে। পাশাপাশি হরমোনজনিত ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে এই পানীয়।
যে পানীয় পানে বাড়তি ওজন ঝরান তাপসী পান্নু
বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ফিট থাকতে এই অভিনেত্রী পান করেন বিশেষ এক পানীয়, যা তৈরি করা হয় আপেল সিডার ভিনেগার, মেথি, হলুদ ও আদা দিয়ে। তাপসী পান্নুর ভাষায় এই পানীয় হলো ফ্যাট বার্নিংয়ের পাওয়ার হাউস। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি আরও একধরনের পানীয় পান করেন, যা তিনি তৈরি করেন কাঁচা হলুদ, পালংশাক ও হালকা গরম পানি দিয়ে। কখনো কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে তাপসী এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে পান করেন। এতেও শরীর থেকে বাড়তি চর্বি দূর হয় বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বম্বে টাইমস
লোকমুখে শোনা যায়, সকালটা ভালোভাবে শুরু হলে সারা দিন শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। তাই দিনের শুরুটা হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়ে। বলিউডের লাস্যময়ী তারকারাও কিন্তু এ কথায় বিশ্বাসী। নামিদামি তারকারা দিনের শুরুটা করেন ডিটক্স পানীয় পানের মাধ্যমে। সকাল সকালই যদি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান তাড়ানো যায়, তাহলে পুরো দিনেই শরীর, মন ও ত্বক তরতাজা থাকে বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন। জেনে নিন বলিউডের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকা রোজ কী ধরনের ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিনের শুরু করেন সে সম্পর্কে–
কঙ্গনার প্রিয় হলুদ, আদা, আমলকী ও গোটা গোলমরিচে তৈরি ডিটক্স পানীয়
কঙ্গনা রনৌত এমন একধরনের ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিনের শুরু করেন, যা শরীর বিষমুক্ত করার পাশাপাশি রোগবালাই থেকেও তাঁকে দূরে রাখে। এই পানীয় পানের ফলে সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। আর জাদুকরী এই ডিটক্স পানীয় তৈরির উপাদান থাকে প্রায় সবার হেঁশেলেই। একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে কাঁচা হলুদের টুকরো, আদা কুচি, আমলকীর টুকরো ও কয়েকটি গোটা গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে। মিনিট দশেক ফোটার পর পানির রং বদলাতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার সেই পানীয় ঢেকে রাখতে হবে আরও কিছু সময়, যেন আদা ও আমলকীর রস ভালো করে পানিতে মিশে যায়। তারপর ছেঁকে সেই পানীয় পান করতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরে প্রদাহ কমায়, জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সর্দি-কাশি ও পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য় করে। আমলকীর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে গোলমরিচের অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে, যা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মালাইকার কাস্টমাইজড রেটিনল জুস
৫১ বছর বয়সী এই তারকার দিন শুরু হয় এক গ্লাস রেটিনল জুস পান করে। রেটিনলের প্রসাধনীর কথা তো সবারই জানা। কিন্তু মালাইকা মুখে মাখার চেয়ে পান করতে পছন্দ করেন এটি। রেটিনল মূলত ভিটামিন-এ১। ভিটামিন-এ পরিবারের একটি উপাদান, যা চর্বিতে দ্রবণীয়। রেটিনল খাবারেও পাওয়া যায়, সাপ্লিমেন্টেও পাওয়া যায়। সেই উপাদান দিয়ে জুস তৈরি করে সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন। এই জুস শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ তো রাখেই, পাশাপাশি ত্বক রাখে উজ্জ্বল, পরিষ্কার ও প্রাণবন্ত।
রেটিনল জুস তৈরির জন্য এমন সব ফল ও সবজি বেছে নিতে হবে, যাতে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গাজর, কমলালেবু, আপেল, পালংশাক, শসা ইত্যাদি দিয়ে এই জুস তৈরি করা যায়। শরীরে গিয়ে বিটা ক্যারোটিন ভেঙে তৈরি হয় ভিটামিন-এ, যা ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
মালাইকা অরোরার এই রেটিনল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় দুটি মাঝারি আকারের গাজর, একমুঠো পালংশাক, ১ টুকরো আদা, অর্ধেক আপেল বা কমলালেবু, পরিমাণমতো পানি। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে পান করতে হবে। তবে ফাইবারের প্রয়োজন হলে ছেঁকে নেওয়ার দরকার নেই। সকালে খালি পেটে নিয়মিত পান করলে খুব দ্রুতই ত্বকে জেল্লা ফুটে উঠবে। ত্বকে অকালে বলিরেখা পড়ার আশঙ্কাও কমবে। পাশাপাশি হরমোনজনিত ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে এই পানীয়।
যে পানীয় পানে বাড়তি ওজন ঝরান তাপসী পান্নু
বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ফিট থাকতে এই অভিনেত্রী পান করেন বিশেষ এক পানীয়, যা তৈরি করা হয় আপেল সিডার ভিনেগার, মেথি, হলুদ ও আদা দিয়ে। তাপসী পান্নুর ভাষায় এই পানীয় হলো ফ্যাট বার্নিংয়ের পাওয়ার হাউস। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি আরও একধরনের পানীয় পান করেন, যা তিনি তৈরি করেন কাঁচা হলুদ, পালংশাক ও হালকা গরম পানি দিয়ে। কখনো কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে তাপসী এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে পান করেন। এতেও শরীর থেকে বাড়তি চর্বি দূর হয় বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বম্বে টাইমস
বাঙালির উৎসব মানেই বিশেষ খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। দুর্গাপূজায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত চলতে থাকে নানান পদের খাবারের আয়োজন।
৩ ঘণ্টা আগেপার্ল অব দ্য অ্যাড্রিয়াটিক বা অ্যাড্রিয়াটিকের মুক্তা নামে পরিচিত ক্রোয়েশিয়ার পোস্টকার্ডের মতো পুরোনো শহর ডুব্রোভনিক। শহরটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘গেম অব থ্রোনস’ দেখা কোটি কোটি দর্শকের মধ্যে। এখানে আছে কিংস ল্যান্ডিং ও সেরসি ল্যানিস্টারের বিখ্যাত ‘ওয়াক অব শেম’-এর মঞ্চ।
৫ ঘণ্টা আগেবাতাসে পূজার গন্ধ বইতে শুরু করেছে। যত আধুনিক নারীই হোক না কেন, উৎসবের আয়োজনে বাঙালি মেয়েদের প্রথম পছন্দ শাড়ি। শাড়িতে সাজের পূর্ণতার জন্য চুলের সাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতই দিন যাচ্ছে, চুলের সাজে আসছে নিত্যনতুন স্টাইল। নবমীতে একটু ভিন্ন লুকে হাজির হতে চাচ্ছেন?
৯ ঘণ্টা আগেনবমীর দিন সাধারণত পাতে নিরামিষ পোলাও, মটর পনির, আলু ফুলকপির রসা, বুটের ডাল, ফুলকপি ভাজা, চাটনি ও মিষ্টি থাকে। সংক্ষেপে খাবার তৈরির কাজ সারতে চাইলে সহজ আইটেম বেছে নেওয়াটাও তো জরুরি। এবার গরমও পড়েছে বেশ। তাই হালকা, স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবার রান্না করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
১১ ঘণ্টা আগে