রিদা মুনাম হক
বাতাসে পূজার গন্ধ বইতে শুরু করেছে। যত আধুনিক নারীই হোক না কেন, উৎসবের আয়োজনে বাঙালি মেয়েদের প্রথম পছন্দ শাড়ি। শাড়িতে সাজের পূর্ণতার জন্য চুলের সাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতই দিন যাচ্ছে, চুলের সাজে আসছে নিত্যনতুন স্টাইল। নবমীতে একটু ভিন্ন লুকে হাজির হতে চাচ্ছেন? নানান রং-ঢঙের এসব চুলের সাজ কোন শাড়ির সঙ্গে, কোন অনুষ্ঠানে কীভাবে করলে মানানসই হবে, তা-ও তো আগে থেকে ঠিক করে রাখা চাই, জেনে রাখা চাই।
বেনারসি বা কাতান শাড়ির সঙ্গে
শাড়ি হিসেবে বেনারসি বা কাতান এমনিতেই অনেক অভিজাত। তাই এর সঙ্গে চুলের সাজটা হওয়া চাই একেবারে পরিপাটি। কপালের মাঝ বরাবর সিঁথি কেটে নিন। এবার একেবারে চেপে চেপে চুল আঁচড়ে একটু নিচু করে ঘাড়ের কাছে বা মাথার একেবারে ওপরে খোঁপা বেঁধে নিন। চাইলে খোঁপায় গজরা, বেলি ফুল জড়াতে পারেন। এখন আবার খোঁপায় পরার মতো কৃত্রিম ফুল পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও পরতে পারেন। এ ছাড়া চুল সামনে থেকে হালকা পাফ করে পেছনে টাইট খোঁপা বা এলোমেলো খোঁপাও দারুণ মানাবে এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে।
সুতি, জামদানি বা তাঁতের শাড়ির সঙ্গে
এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে মেসি বান, সামনের চুল কিছুটা পাফ করে দুই পাশে চাপিয়ে চুল বেঁধে খোঁপা, সাইড খোঁপা, মাঝে সিঁথি করে সামনের কিছু চুল নিয়ে বেণি করে পেছনে নিচু করে বাঁধা খোঁপা বেশ মানিয়ে যাবে। আর এই খোঁপাগুলোর সঙ্গে গজরা, বেলি ফুলের মালা জড়াতে পারেন। চাইলে পছন্দের অন্য ফুলও খোঁপায় গুঁজে দিতে পারেন। এ ছাড়া এ শাড়িগুলোর সঙ্গে সাধারণ বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি এবং খোলা চুলও বেশ মানাবে।
সিল্ক ও শিফন শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সঙ্গে চুলের লুজ কার্ল, ব্যারেল কার্ল, বিচ ওয়েভস, হাফ আপ কার্ল, ভিনটেজ কার্ল করলে খুব ভালো মানাবে। এই শাড়িগুলো সাধারণত গায়ের সঙ্গে একটু সেঁটে থাকে। তাই এই পাফড হেয়ারস্টাইলগুলো করলে সামগ্রিকভাবে একটা সুন্দর লুক আসে। এ ছাড়া যদি এই শাড়িগুলোর সঙ্গে স্মোকি আই মেকআপ করে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য অভিজাত লুক আনতে চান, তাহলে চুলে জেল দিয়ে চাপিয়ে স্লিক লো পনিটেইল, স্ট্রেইট হাই পনিটেইল, পাফি পনিটেইলও করতে পারেন।
অরগাঞ্জা বা হাফ সিল্ক শাড়ির সঙ্গে
এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে হেয়ারস্টাইল এমন হওয়া চাই যেন সামগ্রিক লুকে একটা টিপটপ, পরিপাটি ব্যাপার থাকে। ব্রেইডেড লো বান, সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইল বান উইথ গাজরা, ফ্লোরাল রিংলেট বান, নটেড বান, রেট্রো বান কিংবা বুকে বান করে নিতে পারেন এই শাড়িগুলোর সঙ্গে। তবে এ হেয়ারস্টাইলের মধ্যে আজকাল বুকে বানটাই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানান রঙের বা এক রঙের গোলাপ দিয়ে পুরো খোঁপা সাজানো হয় এই হেয়ারস্টাইলে।
জেনে রাখা ভালো
চুল স্টাইলিংয়ের সময় যদি হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বাসায় ফিরে প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। এর আধা ঘণ্টা পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে এবং সবশেষে কন্ডিশনার লাগাতে হবে।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। তা ছাড়া ভেজা চুল বাঁধাও ঠিক না। তাতে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। চুল ভালোভাবে শুকিয়ে তারপরই স্টাইলিং করুন।
উৎসবে নানাভাবে চুল স্টাইলিং করা হবে। তাই উৎসব শেষে চুলের যত্নও নিতে হবে নিয়মিত। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগাতে হবে। এক ঘণ্টা পর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে থাকবে।
সূত্র: দ্য এথনিক ওয়ার্ল্ড ও অন্যান্য
বাতাসে পূজার গন্ধ বইতে শুরু করেছে। যত আধুনিক নারীই হোক না কেন, উৎসবের আয়োজনে বাঙালি মেয়েদের প্রথম পছন্দ শাড়ি। শাড়িতে সাজের পূর্ণতার জন্য চুলের সাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতই দিন যাচ্ছে, চুলের সাজে আসছে নিত্যনতুন স্টাইল। নবমীতে একটু ভিন্ন লুকে হাজির হতে চাচ্ছেন? নানান রং-ঢঙের এসব চুলের সাজ কোন শাড়ির সঙ্গে, কোন অনুষ্ঠানে কীভাবে করলে মানানসই হবে, তা-ও তো আগে থেকে ঠিক করে রাখা চাই, জেনে রাখা চাই।
বেনারসি বা কাতান শাড়ির সঙ্গে
শাড়ি হিসেবে বেনারসি বা কাতান এমনিতেই অনেক অভিজাত। তাই এর সঙ্গে চুলের সাজটা হওয়া চাই একেবারে পরিপাটি। কপালের মাঝ বরাবর সিঁথি কেটে নিন। এবার একেবারে চেপে চেপে চুল আঁচড়ে একটু নিচু করে ঘাড়ের কাছে বা মাথার একেবারে ওপরে খোঁপা বেঁধে নিন। চাইলে খোঁপায় গজরা, বেলি ফুল জড়াতে পারেন। এখন আবার খোঁপায় পরার মতো কৃত্রিম ফুল পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও পরতে পারেন। এ ছাড়া চুল সামনে থেকে হালকা পাফ করে পেছনে টাইট খোঁপা বা এলোমেলো খোঁপাও দারুণ মানাবে এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে।
সুতি, জামদানি বা তাঁতের শাড়ির সঙ্গে
এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে মেসি বান, সামনের চুল কিছুটা পাফ করে দুই পাশে চাপিয়ে চুল বেঁধে খোঁপা, সাইড খোঁপা, মাঝে সিঁথি করে সামনের কিছু চুল নিয়ে বেণি করে পেছনে নিচু করে বাঁধা খোঁপা বেশ মানিয়ে যাবে। আর এই খোঁপাগুলোর সঙ্গে গজরা, বেলি ফুলের মালা জড়াতে পারেন। চাইলে পছন্দের অন্য ফুলও খোঁপায় গুঁজে দিতে পারেন। এ ছাড়া এ শাড়িগুলোর সঙ্গে সাধারণ বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি এবং খোলা চুলও বেশ মানাবে।
সিল্ক ও শিফন শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সঙ্গে চুলের লুজ কার্ল, ব্যারেল কার্ল, বিচ ওয়েভস, হাফ আপ কার্ল, ভিনটেজ কার্ল করলে খুব ভালো মানাবে। এই শাড়িগুলো সাধারণত গায়ের সঙ্গে একটু সেঁটে থাকে। তাই এই পাফড হেয়ারস্টাইলগুলো করলে সামগ্রিকভাবে একটা সুন্দর লুক আসে। এ ছাড়া যদি এই শাড়িগুলোর সঙ্গে স্মোকি আই মেকআপ করে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য অভিজাত লুক আনতে চান, তাহলে চুলে জেল দিয়ে চাপিয়ে স্লিক লো পনিটেইল, স্ট্রেইট হাই পনিটেইল, পাফি পনিটেইলও করতে পারেন।
অরগাঞ্জা বা হাফ সিল্ক শাড়ির সঙ্গে
এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে হেয়ারস্টাইল এমন হওয়া চাই যেন সামগ্রিক লুকে একটা টিপটপ, পরিপাটি ব্যাপার থাকে। ব্রেইডেড লো বান, সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইল বান উইথ গাজরা, ফ্লোরাল রিংলেট বান, নটেড বান, রেট্রো বান কিংবা বুকে বান করে নিতে পারেন এই শাড়িগুলোর সঙ্গে। তবে এ হেয়ারস্টাইলের মধ্যে আজকাল বুকে বানটাই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানান রঙের বা এক রঙের গোলাপ দিয়ে পুরো খোঁপা সাজানো হয় এই হেয়ারস্টাইলে।
জেনে রাখা ভালো
চুল স্টাইলিংয়ের সময় যদি হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বাসায় ফিরে প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। এর আধা ঘণ্টা পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে এবং সবশেষে কন্ডিশনার লাগাতে হবে।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। তা ছাড়া ভেজা চুল বাঁধাও ঠিক না। তাতে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। চুল ভালোভাবে শুকিয়ে তারপরই স্টাইলিং করুন।
উৎসবে নানাভাবে চুল স্টাইলিং করা হবে। তাই উৎসব শেষে চুলের যত্নও নিতে হবে নিয়মিত। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগাতে হবে। এক ঘণ্টা পর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে থাকবে।
সূত্র: দ্য এথনিক ওয়ার্ল্ড ও অন্যান্য
বাঙালির উৎসব মানেই বিশেষ খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। দুর্গাপূজায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত চলতে থাকে নানান পদের খাবারের আয়োজন।
৩ ঘণ্টা আগেলোকমুখে শোনা যায়, সকালটা ভালোভাবে শুরু হলে সারা দিন শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। তাই দিনের শুরুটা হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়ে। বলিউডের লাস্যময়ী তারকারাও কিন্তু এ কথায় বিশ্বাসী। নামিদামি তারকারা দিনের শুরুটা করেন ডিটক্স পানীয় পানের মাধ্যমে।
৪ ঘণ্টা আগেপার্ল অব দ্য অ্যাড্রিয়াটিক বা অ্যাড্রিয়াটিকের মুক্তা নামে পরিচিত ক্রোয়েশিয়ার পোস্টকার্ডের মতো পুরোনো শহর ডুব্রোভনিক। শহরটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘গেম অব থ্রোনস’ দেখা কোটি কোটি দর্শকের মধ্যে। এখানে আছে কিংস ল্যান্ডিং ও সেরসি ল্যানিস্টারের বিখ্যাত ‘ওয়াক অব শেম’-এর মঞ্চ।
৫ ঘণ্টা আগেনবমীর দিন সাধারণত পাতে নিরামিষ পোলাও, মটর পনির, আলু ফুলকপির রসা, বুটের ডাল, ফুলকপি ভাজা, চাটনি ও মিষ্টি থাকে। সংক্ষেপে খাবার তৈরির কাজ সারতে চাইলে সহজ আইটেম বেছে নেওয়াটাও তো জরুরি। এবার গরমও পড়েছে বেশ। তাই হালকা, স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবার রান্না করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
১১ ঘণ্টা আগে