জিন্নাত আরা ঋতু
পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।
পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।
পানামার ছোট্ট পাহাড়ি শহর বোকে। এখানে কফিকে কেবল পানীয় বললে ভুল হবে। এটি একধরনের শিল্প এবং বিলাসিতার মিশ্রণ। বিলাসিতা বলছি; কারণ, এখানে উৎপাদিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি—গেইশা। যার প্রতি কেজি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এর কারণ শুধু কফির স্বাদ নয়, এর উৎপাদন উৎস, চাষের...
১২ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাক
১৪ ঘণ্টা আগেবিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
১৬ ঘণ্টা আগে