বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনের জগতে ‘সেকেন্ডহ্যান্ড’ বা ব্যবহৃত পোশাকের কদর বাড়ছে। জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কারণে মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মূল্যস্ফীতি জর্জরিত মার্কিনীদের মধ্যে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক কেনা বেড়েছে ব্যাপক।
গত বছর ব্যবহৃত পোশাকের বৈশ্বিক বিক্রি ১৮ শতাংশ বেড়ে ১৯৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এই অংক ২০২৮ সালের মধ্যে বেড়ে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে রিটেইল বিশ্লেষক গ্লোবালডেটার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পুনঃবিক্রি বিশ্লেষক থ্রেডআপের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু আমেরিকাতে গত বছরই ব্যবহৃত জামাকাপড়, জুতা ও ব্যাগের বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ। ২০২৮ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের বাজার বছরে ৭৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন পোশাকের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের বিক্রি সাতগুণ দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। আমেরিকানরা যে পোশাক-পরিচ্ছদ আর ব্যবহার করে না, তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে আগ্রহী। এদিকে অন্যরা নতুন কিছু না কিনে বরং নগদ সঞ্চয় করতে চায়।
ব্যাপক মূল্যস্ফীতির মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের জন্য দর কষাকষি করে কাপড় কিনতে পুনঃবিক্রির সাইটগুলোর দিকে ঝুঁকছে আমেরিকানরা। পরিবেশবান্ধব হতে অপ্রয়োজনীয় পোশাক ফেলে না দিয়ে নগদ অর্থে পরিণত করতে ইচ্ছুক আমেরিকানদের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকের কিছু ক্লাসিক খেলনা এখন হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। সংগ্রাহকেরা বিরল জিনিস সংগ্রহে ঝুঁকছে এবং স্মৃতিকাতরতাকে পুঁজি করে এ বাজার বেশ রমরমা হয়ে উঠছে। হিরা বিক্রি প্রতিষ্ঠান ডি বিয়ার্সের ৪০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে তৈরি অতি বিরল হিরাখচিত বার্বির মূল্য এখন প্রায় ৮৫ হাজার ডলার। এদিকে ১৯৯৬ সালের মৌলিক ভিডিওগেম নিন্টেন্ডো ৬৪ এর মূল্য ৫ হাজার ৬৫১ টাকা।
বিলাসবহুল পোশাকের সেকেন্ডহ্যান্ড বাজারের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের মুনাফা কামাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন আমেরিকানরা। এর সঙ্গে সেকেন্ডহ্যান্ড কেনাকাটার মাধ্যমে অনেকে সস্তায় পছন্দের পোশাক কেনারও সুযোগ পাচ্ছেন।
থ্রেডআপের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন বলে ৬০ শতাংশ ভোক্তা জানান। প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোক্তা বলেছেন, অর্থনীতির উন্নতি না হলে তারা ব্যবহৃত পোশাকই বেশি কিনবেন।
গত বছর সামগ্রিকভাবে প্রায় সব প্রজন্মের ৫২ শতাংশ ভোক্তা সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিস কিনেছেন। গত বছর বিশ্বব্যাপী পোশাকের সেকেন্ডহ্যান্ড বাজার ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এ বাজার সম্প্রসারিত হয়ে ৩৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
থ্রেডআপ ছাড়াও অন্যান্য অনলাইন সাইট ভিন্টেড, দেপপ ও ইবে–তে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই সাইটগুলোতে কয়েক হাজার ডলার থেকে শুরু করে কয়েক ডলারের পোশাক পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডগুলোও তাদের নিজস্ব সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে।
২০২০ সালে বিখ্যাত পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান লিভাইস তাদের রিকমার্স ও পোশাক পুনরায় বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম লিভাইস সেকেন্ডহ্যান্ড চালু করে। এই সাইট থেকে আমেরিকানরা ৩০ থেকে ৬০ ডলার ব্যয় করেই ব্যবহৃত পোশাক কিনতে পারবেন।
গ্লোবাল ডেটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীল সন্ডার্স বলেন, ‘গত বছর অর্ধেকেরও বেশি ভোক্তার সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক কেনার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট যে পুনঃবিক্রি মূলধারার ফ্যাশনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবেই মিশে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ ক্রেতারা আত্মপ্রকাশ ও নিজস্ব স্টাইল তৈরির জন্য সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে; বাবা–মায়েরা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী দামে ও পরিবেশ–বান্ধব উপায়ে পোশাকের ব্যবস্থা করতে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে; আগের প্রজন্মের ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে দামি ব্র্যান্ড পরতে ও নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে।’
সূত্র: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল
বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনের জগতে ‘সেকেন্ডহ্যান্ড’ বা ব্যবহৃত পোশাকের কদর বাড়ছে। জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি ও টেকসই পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কারণে মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে। আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মূল্যস্ফীতি জর্জরিত মার্কিনীদের মধ্যে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক কেনা বেড়েছে ব্যাপক।
গত বছর ব্যবহৃত পোশাকের বৈশ্বিক বিক্রি ১৮ শতাংশ বেড়ে ১৯৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এই অংক ২০২৮ সালের মধ্যে বেড়ে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে রিটেইল বিশ্লেষক গ্লোবালডেটার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পুনঃবিক্রি বিশ্লেষক থ্রেডআপের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু আমেরিকাতে গত বছরই ব্যবহৃত জামাকাপড়, জুতা ও ব্যাগের বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ। ২০২৮ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের বাজার বছরে ৭৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন পোশাকের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের বিক্রি সাতগুণ দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। আমেরিকানরা যে পোশাক-পরিচ্ছদ আর ব্যবহার করে না, তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে আগ্রহী। এদিকে অন্যরা নতুন কিছু না কিনে বরং নগদ সঞ্চয় করতে চায়।
ব্যাপক মূল্যস্ফীতির মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের জন্য দর কষাকষি করে কাপড় কিনতে পুনঃবিক্রির সাইটগুলোর দিকে ঝুঁকছে আমেরিকানরা। পরিবেশবান্ধব হতে অপ্রয়োজনীয় পোশাক ফেলে না দিয়ে নগদ অর্থে পরিণত করতে ইচ্ছুক আমেরিকানদের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকের কিছু ক্লাসিক খেলনা এখন হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। সংগ্রাহকেরা বিরল জিনিস সংগ্রহে ঝুঁকছে এবং স্মৃতিকাতরতাকে পুঁজি করে এ বাজার বেশ রমরমা হয়ে উঠছে। হিরা বিক্রি প্রতিষ্ঠান ডি বিয়ার্সের ৪০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে তৈরি অতি বিরল হিরাখচিত বার্বির মূল্য এখন প্রায় ৮৫ হাজার ডলার। এদিকে ১৯৯৬ সালের মৌলিক ভিডিওগেম নিন্টেন্ডো ৬৪ এর মূল্য ৫ হাজার ৬৫১ টাকা।
বিলাসবহুল পোশাকের সেকেন্ডহ্যান্ড বাজারের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের মুনাফা কামাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন আমেরিকানরা। এর সঙ্গে সেকেন্ডহ্যান্ড কেনাকাটার মাধ্যমে অনেকে সস্তায় পছন্দের পোশাক কেনারও সুযোগ পাচ্ছেন।
থ্রেডআপের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন বলে ৬০ শতাংশ ভোক্তা জানান। প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোক্তা বলেছেন, অর্থনীতির উন্নতি না হলে তারা ব্যবহৃত পোশাকই বেশি কিনবেন।
গত বছর সামগ্রিকভাবে প্রায় সব প্রজন্মের ৫২ শতাংশ ভোক্তা সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিস কিনেছেন। গত বছর বিশ্বব্যাপী পোশাকের সেকেন্ডহ্যান্ড বাজার ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এ বাজার সম্প্রসারিত হয়ে ৩৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
থ্রেডআপ ছাড়াও অন্যান্য অনলাইন সাইট ভিন্টেড, দেপপ ও ইবে–তে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই সাইটগুলোতে কয়েক হাজার ডলার থেকে শুরু করে কয়েক ডলারের পোশাক পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডগুলোও তাদের নিজস্ব সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে।
২০২০ সালে বিখ্যাত পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান লিভাইস তাদের রিকমার্স ও পোশাক পুনরায় বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম লিভাইস সেকেন্ডহ্যান্ড চালু করে। এই সাইট থেকে আমেরিকানরা ৩০ থেকে ৬০ ডলার ব্যয় করেই ব্যবহৃত পোশাক কিনতে পারবেন।
গ্লোবাল ডেটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীল সন্ডার্স বলেন, ‘গত বছর অর্ধেকেরও বেশি ভোক্তার সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক কেনার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট যে পুনঃবিক্রি মূলধারার ফ্যাশনের সঙ্গে দৃঢ়ভাবেই মিশে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ ক্রেতারা আত্মপ্রকাশ ও নিজস্ব স্টাইল তৈরির জন্য সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে; বাবা–মায়েরা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী দামে ও পরিবেশ–বান্ধব উপায়ে পোশাকের ব্যবস্থা করতে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে; আগের প্রজন্মের ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে দামি ব্র্যান্ড পরতে ও নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের দিকে ঝুঁকছে।’
সূত্র: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল
শ্রাবণের শেষেই যদি থাকে রোদের এত তাপ, তাহলে আসছে শরতে কী হবে, বোঝাই যাচ্ছে। সকালে স্নান সেরে সেজেগুজে বের হয়েও নিস্তার নেই। আধা ঘণ্টার মধ্য়ে ঘেমে-নেয়ে নাজেহাল। রোদের তাপে ত্বকের অবস্থা খারাপ। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও এ ঋতুতে বেড়ে যায়। এ সময় ত্বক ঠান্ডা রাখতে পারলে ব্রণ ও র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে...
৩ ঘণ্টা আগে‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। ঋত্বিক ঘটকের এই কথা শোনেনি, এমন মানুষ কি আছে। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনোভাবে এই উক্তি আমরা বহুবার শুনেছি। খুব ইতিবাচক কথা নিঃসন্দেহে। তবে এই ‘ভাবা’ বা ‘ভাবনা’ কিংবা ‘চিন্তা’ শব্দটির উল্টো দিকে আছে ‘দুর্ভাবনা’ শব্দটি।
১৫ ঘণ্টা আগেরোমকূপে ত্বক নষ্ট! সেই সঙ্গে নষ্ট শান্তি। বহু কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না সেগুলো; বরং ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একটু ধৈর্য ধরে বসুন। এরও প্রতিকার আছে। ঘরোয়া উপায়ে ধীরে ধীরে পোরস বা রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
১ দিন আগে