অদ্রিকা অনু
বৈশাখ এখনো আসেনি, তাতেই প্রচণ্ড গরম। আর ঈদ একেবারে নাকের ডগায়। অনেকেই এর মধ্য়ে ভাবতে বসে গেছেন, এবারের ঈদে ফ্যান্সি পোশাককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কী করে আরাম-আয়েশে ঈদের দিনটা কাটানো যায়। আরামের জন্য সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। আর সুতির মধ্য়ে বর্তমানে কিন্তু গামছার কাপড় দেশে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কেবল কাটিংয়েই নয়, ভ্যালু অ্যাডের মাধ্যমে গামছার কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলো হয়ে উঠছে আরও অনেক বেশি যুগোপযোগী।
আর এবারের ঈদটা অন্য সব ঈদের চেয়ে একেবারেই আলাদা। কারণ ঈদের পরপরই বাংলা নববর্ষ। সেদিন একটু রংচঙে পোশাকই তো চাই। কেমন হয় যদি এক পোশাকেই ঈদ আর পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করে ফেলা যায়! পোশাকে রঙের ছোঁয়াও থাকল আবার আরামও পাওয়া গেল।
ফ্যাশনে নতুন মাত্রা
ফ্যাশনের দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই যোগ হতে থাকে নিত্যনতুন মাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় এক অনন্য সংযোজন গামছার তৈরি পোশাক। গামছা শুধু শরীর মোছার কাজে ব্যবহারের দিন বহু পেছনে ফেলে এসেছি আমরা। বর্তমানে গামছা দিয়ে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ থেকে শুরু করে ওড়না, টপস, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি—সবই তৈরি হচ্ছে। তরুণ ডিজাইনাররা অনেকেই গামছা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন এর বিভিন্ন সুবিধার কারণে। গামছার কাপড় বেশ পাতলা এবং আরামদায়ক। সুতরাং গরম আবহাওয়ায় বেশ আরামদায়ক গামছার তৈরি পোশাক।
ফলে ঈদের সারা দিন গামছার পোশাক পরে আরাম পাওয়া যাবে। দেশীয় বিভিন্ন উৎসবের পোশাক হিসেবেও সহজেই মানিয়ে যায় গামছা। পয়লা বৈশাখের কথাই যদি ভাবি, তাহলে লাল ও সাদার মিশ্রণে তৈরি গামছার শাড়ি, পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া পরতে যেমন আরাম, তেমনি একেবারে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতোও বটে।
গামছার কাপড়ের বাহার
গামছার কাপড়ের নজরকাড়া দিক হলো, এর ব্যতিক্রমী চেক মোটিফ আর ঝলমলে রং। পাবনা ও সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গামছার কাপড়ের মৌলিক এই দুই বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা হচ্ছে এ থেকে তৈরি পোশাকে। তবে পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গামছার কাপড়ের মান স্বাভাবিকভাবেই নৈমিত্তিক ব্যবহারের গামছার তুলনায় উন্নত। সেই সঙ্গে আধুনিক প্রজন্মের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে গামছার কাপড়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অনেক ডিজাইনার আবার ভিন্ন ধরনের কাপড়ের সঙ্গে গামছার কাপড় যোগ করে তৈরি করছেন ফিউশন। কখনো গামছার সঙ্গে মিশছে খাদি আবার কখনো খেশ। গামছার পোশাকের ক্ষেত্রেও ফিউশন ধরনের ডিজাইন বেশ জনপ্রিয়। মেয়েদের লেহেংগা, ছেলেদের ফতুয়া—সবই হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ফিউশন ডিজাইনে।
গামছার পোশাক
এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছার চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছার চেক দেখা যায় বেশি। অনেকে গামছা কাপড়ের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। কিছু শাড়ির পাড়ে আবার গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে ইদানীং। গামছার কুর্তি রয়েছে। এ ছাড়া কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠ পুঁতির ব্যবহার করা হচ্ছে এসব পোশাকে।
অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বর্তমানে নারীদের পোশাকের পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত একরঙা পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়।
দরদাম ও কোথায় পাবেন
গামছার পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরনভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক পাওয়া যায়। বিবিআনা, নিপুণ, যাত্রা, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির ছাড়াও দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউস গামছার বিভিন্ন ফিউশনধর্মী পোশাক তৈরি করছে এখন। এ ছাড়া যাদুর বাক্সসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও এখন গামছার কাপড়ে তৈরি পোশাক পাওয়া যায়।
বৈশাখ এখনো আসেনি, তাতেই প্রচণ্ড গরম। আর ঈদ একেবারে নাকের ডগায়। অনেকেই এর মধ্য়ে ভাবতে বসে গেছেন, এবারের ঈদে ফ্যান্সি পোশাককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কী করে আরাম-আয়েশে ঈদের দিনটা কাটানো যায়। আরামের জন্য সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। আর সুতির মধ্য়ে বর্তমানে কিন্তু গামছার কাপড় দেশে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কেবল কাটিংয়েই নয়, ভ্যালু অ্যাডের মাধ্যমে গামছার কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলো হয়ে উঠছে আরও অনেক বেশি যুগোপযোগী।
আর এবারের ঈদটা অন্য সব ঈদের চেয়ে একেবারেই আলাদা। কারণ ঈদের পরপরই বাংলা নববর্ষ। সেদিন একটু রংচঙে পোশাকই তো চাই। কেমন হয় যদি এক পোশাকেই ঈদ আর পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করে ফেলা যায়! পোশাকে রঙের ছোঁয়াও থাকল আবার আরামও পাওয়া গেল।
ফ্যাশনে নতুন মাত্রা
ফ্যাশনের দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই যোগ হতে থাকে নিত্যনতুন মাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় এক অনন্য সংযোজন গামছার তৈরি পোশাক। গামছা শুধু শরীর মোছার কাজে ব্যবহারের দিন বহু পেছনে ফেলে এসেছি আমরা। বর্তমানে গামছা দিয়ে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ থেকে শুরু করে ওড়না, টপস, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি—সবই তৈরি হচ্ছে। তরুণ ডিজাইনাররা অনেকেই গামছা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন এর বিভিন্ন সুবিধার কারণে। গামছার কাপড় বেশ পাতলা এবং আরামদায়ক। সুতরাং গরম আবহাওয়ায় বেশ আরামদায়ক গামছার তৈরি পোশাক।
ফলে ঈদের সারা দিন গামছার পোশাক পরে আরাম পাওয়া যাবে। দেশীয় বিভিন্ন উৎসবের পোশাক হিসেবেও সহজেই মানিয়ে যায় গামছা। পয়লা বৈশাখের কথাই যদি ভাবি, তাহলে লাল ও সাদার মিশ্রণে তৈরি গামছার শাড়ি, পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া পরতে যেমন আরাম, তেমনি একেবারে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতোও বটে।
গামছার কাপড়ের বাহার
গামছার কাপড়ের নজরকাড়া দিক হলো, এর ব্যতিক্রমী চেক মোটিফ আর ঝলমলে রং। পাবনা ও সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গামছার কাপড়ের মৌলিক এই দুই বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা হচ্ছে এ থেকে তৈরি পোশাকে। তবে পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গামছার কাপড়ের মান স্বাভাবিকভাবেই নৈমিত্তিক ব্যবহারের গামছার তুলনায় উন্নত। সেই সঙ্গে আধুনিক প্রজন্মের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে গামছার কাপড়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অনেক ডিজাইনার আবার ভিন্ন ধরনের কাপড়ের সঙ্গে গামছার কাপড় যোগ করে তৈরি করছেন ফিউশন। কখনো গামছার সঙ্গে মিশছে খাদি আবার কখনো খেশ। গামছার পোশাকের ক্ষেত্রেও ফিউশন ধরনের ডিজাইন বেশ জনপ্রিয়। মেয়েদের লেহেংগা, ছেলেদের ফতুয়া—সবই হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ফিউশন ডিজাইনে।
গামছার পোশাক
এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছার চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছার চেক দেখা যায় বেশি। অনেকে গামছা কাপড়ের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। কিছু শাড়ির পাড়ে আবার গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে ইদানীং। গামছার কুর্তি রয়েছে। এ ছাড়া কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠ পুঁতির ব্যবহার করা হচ্ছে এসব পোশাকে।
অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বর্তমানে নারীদের পোশাকের পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত একরঙা পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়।
দরদাম ও কোথায় পাবেন
গামছার পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরনভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক পাওয়া যায়। বিবিআনা, নিপুণ, যাত্রা, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির ছাড়াও দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউস গামছার বিভিন্ন ফিউশনধর্মী পোশাক তৈরি করছে এখন। এ ছাড়া যাদুর বাক্সসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেজেও এখন গামছার কাপড়ে তৈরি পোশাক পাওয়া যায়।
পানামার ছোট্ট পাহাড়ি শহর বোকে। এখানে কফিকে কেবল পানীয় বললে ভুল হবে। এটি একধরনের শিল্প এবং বিলাসিতার মিশ্রণ। বিলাসিতা বলছি; কারণ, এখানে উৎপাদিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি—গেইশা। যার প্রতি কেজি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এর কারণ শুধু কফির স্বাদ নয়, এর উৎপাদন উৎস, চাষের...
১ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাক
১৫ ঘণ্টা আগেবিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
১৬ ঘণ্টা আগে