Ajker Patrika

নতুন বছরে ত্বকের যত্নে নতুন উপকরণ

ঘড়ির কাঁটায় টিক টিক। ক্ষণগণনা শুরু। নতুন বছরজুড়ে সবার থাকে নানা পরিকল্পনা। অন্য বছরের মতো ২০২৫ সালেও দেখা যাবে সৌন্দর্যচর্চার বিভিন্ন ট্রেন্ড। নতুন বছরে বদলে ফেলুন নিজেকে।

কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা 
ছবি: মজ্ঞু আলম
ছবি: মজ্ঞু আলম

ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ বলছে, বায়োটেক স্কিনকেয়ারের নতুন উদ্ভাবনগুলো মানুষকে তাদের ঘরে সব উপাদান একসঙ্গে এনে দেবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নতুনভাবে ব্যবহার করা ফার্ম-টু-ফেস ট্রেন্ড আসছে নতুন বছর। আসছে মাল্টি-ইউজ পণ্য, যা স্কিনকেয়ার ইনভেস্টমেন্টকে অর্থপূর্ণ করে তুলবে বলে জানিয়েছে ভোগ। অতিরিক্ত জিনিস বাদ দেওয়া এবং কার্যকর পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করাই এই ট্রেন্ডগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য।

বৈশ্বিক প্রভাব

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য দ্রুত পৌঁছায় মানুষের কাছে। যে ট্রেন্ডগুলো একসময় কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়ত কিংবা এদের উৎপত্তি ও ব্যবহার নির্দিষ্ট সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, তা এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ, সৌন্দর্যপ্রেমীদের মধ্যে গল্প বলার এবং টিপস ও ট্রিকস আদান-প্রদানের মাধ্যম এখন সহজলভ্য। ফলে অন্য সবকিছুর মতো সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যের যেকোনো পণ্য এখন সহজলভ্য। গত বছর বেশির ভাগ আলোচনা ছিল কোরিয়া ও জাপান থেকে আসা পণ্য এবং চিকিৎসা সুবিধা বিষয়ে। এগুলোর মধ্যে ছিল সারা বিশ্বে ভাইরাল হওয়া গ্লাসের মতো উজ্জ্বল ত্বকের গল্প।

২০২৫ সালের শপিং তালিকায় যে পণ্যগুলো থাকবে, সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় মূল উপাদানগুলো থাকছে সেন্টেলা এশিয়াটিকা, চালের এক্সট্র্যাক্ট, জিনসেং ও মাগওর্ট। সেন্টেলা ও মাগওর্টে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংবেদনশীল ত্বককে প্রশান্তি ও আরাম দেবে। জিনসেংয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। আর চালের এক্সট্র্যাক্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা একেবারে স্বাভাবিক, সুস্থ, কোমল ত্বকের জন্য সর্বজনীন ট্রেন্ডের মধ্যে আগামী বছরেও থাকবে।

ফার্ম-টু-ফেস উপাদান

সৌন্দর্য ধরে রাখতে কিংবা বাড়াতে বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করা হয়। বৈজ্ঞানিক শব্দ দেখে অনেকে অনেক পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হন।

কিন্তু সঠিক তথ্য না জেনে, ব্যবহার ও গুণাবলি না বুঝে পণ্যগুলো ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বিবেচনায় রাখতে হবে এর পরবর্তী সময়ের প্রভাবের কথা।

অন্যদিকে প্রাকৃতিক স্কিনকেয়ার সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি ট্রেন্ড এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বলা চলে, প্রাকৃতিক পদ্ধতির এ চর্চা মানুষের কাছে থেকে গেছে ‘নানি-দাদি কিংবা মায়ের টোটকা’ হিসেবে। এই উপাদানগুলোর মধ্যে এমন অনেক শক্তিশালী উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমরা এরই মধ্যে জানা হয়েছে এবং ভালোবাসি।

২০২৫ সালে রান্নাঘরের বিভিন্ন উপাদান আরও বেশি করে আমাদের বিউটি ক্যাবিনেটে যুক্ত হতে চলেছে। এই উপাদানগুলো শক্তিশালী পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা, যা ত্বকে পুষ্টি দেয় এবং রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ত্বকের যত্নে হলুদ, ডাবের পানি, গোলাপজল ইত্যাদি ব্যবহার করার চল বহু প্রাচীন। এগুলোর রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ করার অপার ক্ষমতা। এই উপাদানগুলো ত্বক পুষ্ট ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের মাস্ক

গত বছর মাস্কিংয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দেখা গেছে। শুধু স্কিনকেয়ারেই নয়, হেয়ারকেয়ারেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার শুরু করেছে। এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌন্দর্যপ্রেমীদের মধ্যে একটি দারুণ আলোচনার বিষয় ছিল। ২০২৫ সালেও স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডগুলোয় মাস্ক অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রাতের মাস্ক সম্পর্কে ভোগ ম্যাগাজিনে ড. কনির ওয়াং বলেছেন, এগুলো বিশেষভাবে সাহায্য করে স্কিনকেয়ারের উপাদানগুলোর শোষণ এবং ত্বকে সেগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে। তবে এই মাস্কগুলো ব্যবহারের সময় মাথায় রাখতে হবে, সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। এ ছাড়া অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে, ব্যবহৃত মাস্কটি আপনার ত্বকের ধরনের সঙ্গে উপযুক্ত কি না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাইড্রেটিং মাস্কগুলো প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষত শীতকালে যখন ত্বক শুষ্ক থাকে। এক্সফোলিয়েটিং বা অ্যান্টি-এজিং মাস্কগুলো সপ্তাহে ১ থেকে ২ বারের বেশি ব্যবহার করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ, ত্বকের সহনশীলতা ও সংবেদনশীলতার ওপর নির্ভর করে এগুলোর ব্যবহার।

মডেল তিথি, ছবি: মজ্ঞু আলম
মডেল তিথি, ছবি: মজ্ঞু আলম

সৌন্দর্য রক্ষায় মনোজাগতিক সৌন্দর্য

২০২৫ সালে স্কিনকেয়ার রুটিনে একটি ওয়েলনেস মেকওভার আসছে। সুইডিশ ডার্মাটোলজিস্ট লিনিয়া ওয়াগনাস বলছেন, স্কিনকেয়ার এখন ক্রমবর্ধমানভাবে সামগ্রিক ওয়েলনেসের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এটি শুধু ত্বকের স্বাস্থ্য নয়, মানসিক সুস্থতার কথাও বলে।

যেমন অ্যারোমাথেরাপি ক্রিম, লিম্ফেটিক ড্রেনেজ টুলস এবং মাইন্ডফুলনেস-ওরিয়েন্টেড স্কিনকেয়ার রুটিনগুলো আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই ট্রেন্ড তাদের জন্য পারফেক্ট, যারা তাদের সকালের রুটিনে মাইন্ডফুলনেস কিংবা প্রাণোচ্ছলতা যুক্ত করতে চায়। স্কিনকেয়ার পণ্যগুলো তাদের গন্ধ, উপাদান এবং টেক্সচারের

মধ্য দিয়ে মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে তৈরি হয়। এই পণ্যগুলো প্রশান্তিদায়ক ফরমুলেশন এবং এমন উপাদান, যা ত্বকে স্ট্রেস হরমোনগুলো সক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেবে। যারা প্রতিদিনের চাপের সঙ্গে লড়াই করছে, এই ট্রেন্ড তাদের জন্য উপযুক্ত; বিশেষ করে যারা মানসিক কারণে স্ট্রেস, বার্ন আউট কিংবা ত্বকের সংবেদনশীলতা নিয়ে সমস্যায় আছে।

সূত্র: ভোগ ম্যাগাজিন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানসিক চাপ কমাতে নতুন ট্রেন্ড ‘অন্ধকারে গোসল’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অন্ধকারে গোসল করলে প্রশান্তি মেলে। ছবি: পেক্সেলস
অন্ধকারে গোসল করলে প্রশান্তি মেলে। ছবি: পেক্সেলস

ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।

মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতে অনেকে জীবনযাত্রায় আনছেন নতুন নতুন পরিবর্তন। সম্প্রতি অনলাইনে এমনই এক ট্রেন্ড বেশ চোখে পড়ছে। তা হলো—‘ডার্ক শাওয়ারিং’।

‘ডার্ক শাওয়ারিং’-এর মানে হলো সম্পূর্ণ অন্ধকারে গোসল করা। আপনি যখন গোসল করবেন তখন সেখানে কোনো আলো থাকবে না। অন্ধকারে শরীরের ইন্দ্রিয়গুলো গভীরভাবে কাজ করে। যার ফলে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় আরও গভীর, মনোযোগী ও প্রশান্তিদায়ক।

অন্ধকারে গোসল করা শুধু নতুনত্ব নয়, এর রয়েছে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারও। এই পদ্ধতিকে অনেকেই মানসিক স্বস্তি এবং স্ট্রেস কমানোর একটি সহজ উপায় হিসেবে দেখছেন।

ডার্ক শাওয়ারিং-এর উপকারিতা

১. সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি

চোখের দৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের অন্য ইন্দ্রিয়গুলো, বিশেষ করে হাতের স্পর্শে কিছু বোঝার অনুভূতি তীব্রভাবে সক্রিয় হয়। পানির স্পর্শ, উষ্ণতা বা ঠান্ডার অনুভূতি আরও গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। এতে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।

২. মানসিক প্রশান্তি ও ধ্যানের অনুভূতি

অন্ধকারে গোসল ধ্যানের মতো শান্ত ও মনোযোগী হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা দেয়। মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে। ধীরে ধীরে শরীর ও মন দুটোই আরাম পায়।

৩. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে

পানির তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন এবং ত্বকে পানির প্রবাহ শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এর ফলে শরীর সতেজ থাকে এবং পেশির টান কমে।

৪. মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ কমায়

ক্যালিফোর্নিয়ার এমেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানিয়েল এমেন বলেন, হালকা আলো বা অন্ধকার পরিবেশ মস্তিষ্কের ‘হুমকি শনাক্ত করার রাডার’ বা ‘থ্রেট রাডার’-কে বিশ্রামের সুযোগ দেয়।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, আলো মস্তিষ্ককে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করে। তাই আলো কমলে মস্তিষ্কে উত্তেজনা কমে এবং যুক্তিসংগত চিন্তা ফিরে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি শান্ত, স্পষ্ট ও স্থিতিশীল অনুভূতি দেয়।

ড. এমেনের মতে, দৃষ্টিগত তথ্য কমে গেলে মস্তিষ্কে সেন্সরি চাপও কমে যায়। ফলে ভয় ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণকারী অংশের প্রতিক্রিয়া কমে। যার প্রভাবে মন শান্ত ও ফুরফুরে হয়ে ওঠে।

‘ডার্ক শাওয়ারিং’ করবেন যেভাবে

অন্ধকারে গোসলে উপকার পেতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে—

১. অন্ধকার পরিবেশ তৈরি

স্নানঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে অথবা ভারী পর্দা বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে যাতে ভেতরে যতটা সম্ভব অন্ধকার তৈরি করা যায়।

২. মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছু থেকে দূরে

মোবাইল, মিউজিক বা অন্য কোনো ডিভাইস রাখবেন না যার শব্দে বা আলোতে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে। পুরোপুরি নিজের শরীর ও অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে মন দিন।

৩. ইন্দ্রিয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন

ত্বকে পানির স্পর্শ এবং পানির শব্দ আর সাবান বা শ্যাম্পুর গন্ধের দিকে মনোযোগ দিন। চাইলে ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইলের মতো সুগন্ধি রাখতে পারেন, যা প্রশান্তি দেয়।

৪. মস্তিষ্কের বিশ্রাম মেলে এমন পরিবেশ তৈরি করুন

ড. ড্যানিয়েল এমেনের ভাষায়, ‘মস্তিষ্ক পূর্বানুমান অনুযায়ী চলে। আপনি মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছু করছেন না বরং এমন এক পরিবেশ তৈরি করছেন যেখানে মস্তিষ্ক নিজে থেকেই ধীরে বিশ্রামে চলে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বারান্দায় ফোটা ফুল দিয়েই হোক চুলের যত্ন

ফিচার ডেস্ক
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।

অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা

অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল

জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।

৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল

গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।

চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ

গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।

সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার

ফিচার ডেস্ক
ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।

প্রণালি

জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চালের কেজি ১৩ হাজার টাকা, পেছনের কারিগর কে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২২
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল জাপানের কিনমেমাই প্রিমিয়াম। ছবি: উবাই ডট কম
বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল জাপানের কিনমেমাই প্রিমিয়াম। ছবি: উবাই ডট কম

হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!

ফুজিমোতো ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘মিশেলিন তারকা’ পাওয়া সুশি মাস্টারদের অধীনে কাজ করেছেন। অসংখ্য জাতের জাপানি চাল তাঁর হাতে রান্না হয়েছে। তবু আজকের বাক্সটি তাঁর কাছে নতুন। বাক্সের ভেতর রয়েছে ২০১৬ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল—কিনমেমাই প্রিমিয়াম।

কিন্তু দাম বেশি হলেই কি স্বাদে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়? ফুজিমোতো সেই উত্তর খুঁজতে হাঁড়িতে চাল চড়ালেন। তিনি হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪২০ গ্রাম চাল। পরীক্ষা করার সুযোগ কম। তিনি দ্রুত চাল ধুয়ে, অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে হাঁড়িতে চাপালেন। ঢাকনা খোলার পর রান্না করা দানাগুলো ঝিনুকের মুক্তার মতো চকচক করছিল। আকার নিখুঁত, হালকা ঘ্রাণ, পরিষ্কার ঝিলিক! তবে রেস্তোরাঁয় এই চাল যে চলবে না, সেটি বুঝতে পারলেন। দাম এত বেশি যে অতিথিদের বাজেট তিন গুণ হয়ে যাবে। এত দামে কে খাবে!

জাপানের চাল

জাপানে চাল দিয়ে তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সুশির স্বাদের ৮০ শতাংশ নির্ভর করে চালের ওপর। এমনটাই বলেন জাপানের শীর্ষস্থানীয় শেফরা। তিন হাজার বছর ধরে জাপানে চালকে পবিত্র খাবার হিসেবে মনে করা হয়। আজ দেশটিতে তিন শর বেশি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বৈচিত্র্য, স্বাদ, ঘ্রাণ—সব মিলিয়েই জাপানি চালের নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। সুশি, সাকে, মোচি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও জাপানি চালের রপ্তানি তেমন সফলতা পায়নি। এই হতাশাই একজন মানুষকে নতুন পথে চিন্তা করতে বাধ্য করে।

কেইজি সাইকা, চেয়ারম্যান, টয়ো রাইস করপোরেশন। ছবি: সিএনএন
কেইজি সাইকা, চেয়ারম্যান, টয়ো রাইস করপোরেশন। ছবি: সিএনএন

এক স্বপ্নবাজ বৃদ্ধের উদ্যোগ

ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের টয়ো রাইস করপোরেশনের চেয়ারম্যান কেইজি সাইকা। এখন তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের গল্পটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। সাইকার স্বপ্ন ছিল, বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে জাপানি চালকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। তখনই তাঁর মনে হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা। তিনি ভাবলেন, এমন কিছু তৈরি করতে হবে, যা আগে কেউ করেনি। এটি বেশ সাহসী উদ্যোগ ছিল। তিনি তৈরি করলেন কিনমেমাই প্রিমিয়াম, যার দাম রাখা হলো প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি, প্রতি কেজি ১০৯ ডলার। বিক্রি হবে কি? এ নিয়ে সন্দেহ ছিল।

শুধু দাম বাড়িয়ে নয়, গুণেও বিশ্বের সেরা

কিনমেমাই প্রিমিয়াম আসলে শুধু দামি চাল নয়; এটি তৈরির প্রতিটি ধাপে রয়েছে ভীষণ যত্ন ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

কিনমেমাই প্রিমিয়াম চালের প্যাকেট। এ চালের প্রতি কেজির দাম ১০৯ মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহীত
কিনমেমাই প্রিমিয়াম চালের প্যাকেট। এ চালের প্রতি কেজির দাম ১০৯ মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহীত

বাছাই: প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জাতের চাল থেকে ৪ থেকে ৬টি সেরা জাত বেছে নেওয়া হয়। স্বাদের পাশাপাশি দানার এনজাইম কার্যকারিতা পর্যন্ত পরীক্ষা করেন সাইকা।

মজুত করা: চালের দানা কয়েক মাস রেখে দেওয়া হয়। এতে চালের মধ্যে মিষ্টতা, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।

সীমিত উৎপাদন: কিনমেমাই প্রিমিয়াম খুব সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর মাত্র কয়েক শ বাক্স। এর বিশেষত্ব হলো, প্রতিবছর এই চালের মিশ্রণ বদলে যায়। যে বছর যেসব জাতের চাল সবচেয়ে মানসম্পন্ন হয়, সেগুলো বেছে নতুন বার্ষিক ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। এই চাল সাধারণত দামি উপহার বা বিশেষ উৎসবে দেওয়া হয়। নির্বাচিত কৃষকদের টোকিওতে ডেকে সম্মান জানানো হয়।

যুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ থেকে চালের প্রতি প্রেম

সাইকাকে চালের প্রতি গভীর আগ্রহী করে তুলেছিল শৈশবের এক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাকুরাজাকির কারণে চারদিকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বীজ, মাছ, পাখি ইত্যাদি যে যা সংগ্রহ করতে পারতেন, সেগুলো দিয়ে কোনোভাবে দিন পার করতেন। সেই দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা চালের প্রতি তাঁর আবেগ তৈরি করে দেয়। খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বাঁচার তাগিদ থেকে জন্ম নেয় তাঁর আজীবনের লক্ষ্য—জাপানি চালকে আরও উন্নত করা।

৯১ বছর বয়সেও প্রতিদিন কারখানায়

৯১ বছর বয়সেও সাইকা আজও প্রতিদিন কাজ করেন। বয়স বাড়লেও তাঁর গতি কমেনি। জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই এখনো একই উদ্যমে তিনি কর্মক্ষেত্রে হাজির হন, নিজের কাজ শেষ করেন এবং আশপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যান।

কিনমেমাই প্রিমিয়াম শুধু দামি চাল নয়, এটি একজন মানুষের জীবনের গল্প, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, কৃষকের পরিশ্রম এবং জাপানের চাল-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত