আনিকা জীনাত, ঢাকা
মানুষের সৃষ্টিশীল মন ক্যানভাসের মধ্যেই আঁকিবুঁকি থামিয়ে রাখেনি। শরীরকেও বানিয়েছে ক্যানভাস। আমাদের দেশে ফ্যাশন হিসেবে ট্যাটুর প্রচলন খুবই সীমিত। তবে পশ্চিমা দেশগুলোয় ট্যাটু করার প্রবণতা বেশ জমজমাট। এখন যুক্তরাজ্যের ২০ শতাংশ তরুণের গায়ে ট্যাটু দেখা যায়। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ট্যাটু আঁকানোর পর নিজের দেহ নিয়ে উদ্বেগ, হীনম্মন্যতা, অসন্তোষ কমে যায়। তিন সপ্তাহ পরও এই আত্মবিশ্বাস বজায় থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা চিরস্থায়ীভাবে মনোজগতে প্রভাব ফেলে। একবার ট্যাটু আঁকিয়ে নিলে শরীরকে আরও আপন ভাবা যায়। ড. জোসেফ পিয়ের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোথেরাপিস্ট। তাঁর মতে, ট্যাটুতে অনেক না-বলা গল্প লুকিয়ে থাকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিরা ট্যাটু করালে বুঝতে হবে, তাঁর মনের ক্ষত শুকাচ্ছে। যাঁরা নির্যাতনের শিকার, তাঁদের জন্য ট্যাটু হলো দেহের ওপর পুনরায় অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। ক্যানসারের ছোবল থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মনের ক্ষত সারাতেও ভূমিকা রাখে ‘সারভাইভার ট্যাটু’।
পৃথিবী এখন অতিমারির সঙ্গে লড়ছে। এই সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে বা করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে গিয়ে ‘প্যানডেমিক ট্যাটু’ আঁকিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। কীভাবে তাঁরা কোভিডের সঙ্গে লড়ছেন বা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন, ট্যাটুতে তার ছাপ থাকছে। প্যানডেমিক ট্যাটুর মূল থিমই হলো, করোনাভাইরাস এবং এ থেকে বেঁচে থাকা। সে জন্য শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় আঁকা হয়েছে করোনাভাইরাসের ছবি। লেখা হয়েছে, ‘ডোন্ট প্যানিক’ বা ‘করোনাভাইরাস সারভাইভার’ অথবা ‘কোভিড–১৯’। এসব ট্যাটু মানসিক শক্তি জোগাচ্ছে কাউকে কাউকে। করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার আনন্দ দিচ্ছে।
অ্যাঙ্গলিয়া রাংকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ভিরেন সোয়ামির মতে, ট্যাটুকে শুধু ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। ট্যাটু আঁকার সময় শরীরে ব্যথা হয়। মৃত্যুর পরেও এটা শরীরে রয়ে যায়। তাই মৃত্যুর পরেও প্রিয় মানুষগুলোর স্মৃতি কাছাকাছি রাখার ইচ্ছা থেকে অনেকে ট্যাটু আঁকান।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আদিবাসীদের মধ্যে ট্যাটু আঁকার প্রচলন রয়েছে। সেসব জনগোষ্ঠীতে ট্যাটু বা উলকি আঁকা রিচুয়ালের অংশ। তাঁদের ট্যাটুতে থাকে জীবন, ইহকাল বা পরকাল, শৌর্য-বীর্য ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতীক। জানা যায়, ট্যাটু আঁকা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ বছর আগে। ১৯৯১ সালে ইতালির বোলজানো অঞ্চলের হিমবাহের মধ্যে জমাট বাঁধা এক প্রাচীন মৃতদেহে ট্যাটু পাওয়া যায়। মৃতদেহটির বাম হাতে, পায়ে ও পিঠে জ্যামিতিক নকশার ৬১টি ট্যাটু ছিল। ৩ হাজার বছর আগে মিসর, রাশিয়া, চীন ও চিলিতে পাওয়া কিছু মমিতে ট্যাটুর চিহ্ন আছে।
উনিশ শতকে ইলেকট্রিক ট্যাটুর মেশিন আবিষ্কৃত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের ধনীদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। বিশ শতকের মার্কিন রাগী–বিদ্রোহী প্রজন্মে ও রক ঘরানার গায়কদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল। পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হতে শুরু করে ট্যাটু।
করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে কোটি মানুষের প্রাণ। প্রতিদিনই আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জন। বিষন্ন ও বিপর্যস্ত সময় কাটছে আমাদের প্রতিনিয়ত। এ সময় মানুষ যখন করোনার বিরুদ্ধে নিজের শরীরে আঁকিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু, তখন বোঝা যাচ্ছে, আমাদের ক্ষত শুকাচ্ছে। আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আরও মানসিক শক্তি পাচ্ছি। একদিন হয়তো এভাবেই জয় হবে আমাদের। পৃথিবী হবে করোনামুক্ত।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
মানুষের সৃষ্টিশীল মন ক্যানভাসের মধ্যেই আঁকিবুঁকি থামিয়ে রাখেনি। শরীরকেও বানিয়েছে ক্যানভাস। আমাদের দেশে ফ্যাশন হিসেবে ট্যাটুর প্রচলন খুবই সীমিত। তবে পশ্চিমা দেশগুলোয় ট্যাটু করার প্রবণতা বেশ জমজমাট। এখন যুক্তরাজ্যের ২০ শতাংশ তরুণের গায়ে ট্যাটু দেখা যায়। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ট্যাটু আঁকানোর পর নিজের দেহ নিয়ে উদ্বেগ, হীনম্মন্যতা, অসন্তোষ কমে যায়। তিন সপ্তাহ পরও এই আত্মবিশ্বাস বজায় থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা চিরস্থায়ীভাবে মনোজগতে প্রভাব ফেলে। একবার ট্যাটু আঁকিয়ে নিলে শরীরকে আরও আপন ভাবা যায়। ড. জোসেফ পিয়ের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোথেরাপিস্ট। তাঁর মতে, ট্যাটুতে অনেক না-বলা গল্প লুকিয়ে থাকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিরা ট্যাটু করালে বুঝতে হবে, তাঁর মনের ক্ষত শুকাচ্ছে। যাঁরা নির্যাতনের শিকার, তাঁদের জন্য ট্যাটু হলো দেহের ওপর পুনরায় অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। ক্যানসারের ছোবল থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মনের ক্ষত সারাতেও ভূমিকা রাখে ‘সারভাইভার ট্যাটু’।
পৃথিবী এখন অতিমারির সঙ্গে লড়ছে। এই সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে বা করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে গিয়ে ‘প্যানডেমিক ট্যাটু’ আঁকিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। কীভাবে তাঁরা কোভিডের সঙ্গে লড়ছেন বা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন, ট্যাটুতে তার ছাপ থাকছে। প্যানডেমিক ট্যাটুর মূল থিমই হলো, করোনাভাইরাস এবং এ থেকে বেঁচে থাকা। সে জন্য শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় আঁকা হয়েছে করোনাভাইরাসের ছবি। লেখা হয়েছে, ‘ডোন্ট প্যানিক’ বা ‘করোনাভাইরাস সারভাইভার’ অথবা ‘কোভিড–১৯’। এসব ট্যাটু মানসিক শক্তি জোগাচ্ছে কাউকে কাউকে। করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার আনন্দ দিচ্ছে।
অ্যাঙ্গলিয়া রাংকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ভিরেন সোয়ামির মতে, ট্যাটুকে শুধু ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। ট্যাটু আঁকার সময় শরীরে ব্যথা হয়। মৃত্যুর পরেও এটা শরীরে রয়ে যায়। তাই মৃত্যুর পরেও প্রিয় মানুষগুলোর স্মৃতি কাছাকাছি রাখার ইচ্ছা থেকে অনেকে ট্যাটু আঁকান।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আদিবাসীদের মধ্যে ট্যাটু আঁকার প্রচলন রয়েছে। সেসব জনগোষ্ঠীতে ট্যাটু বা উলকি আঁকা রিচুয়ালের অংশ। তাঁদের ট্যাটুতে থাকে জীবন, ইহকাল বা পরকাল, শৌর্য-বীর্য ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতীক। জানা যায়, ট্যাটু আঁকা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ বছর আগে। ১৯৯১ সালে ইতালির বোলজানো অঞ্চলের হিমবাহের মধ্যে জমাট বাঁধা এক প্রাচীন মৃতদেহে ট্যাটু পাওয়া যায়। মৃতদেহটির বাম হাতে, পায়ে ও পিঠে জ্যামিতিক নকশার ৬১টি ট্যাটু ছিল। ৩ হাজার বছর আগে মিসর, রাশিয়া, চীন ও চিলিতে পাওয়া কিছু মমিতে ট্যাটুর চিহ্ন আছে।
উনিশ শতকে ইলেকট্রিক ট্যাটুর মেশিন আবিষ্কৃত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের ধনীদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। বিশ শতকের মার্কিন রাগী–বিদ্রোহী প্রজন্মে ও রক ঘরানার গায়কদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল। পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হতে শুরু করে ট্যাটু।
করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে কোটি মানুষের প্রাণ। প্রতিদিনই আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জন। বিষন্ন ও বিপর্যস্ত সময় কাটছে আমাদের প্রতিনিয়ত। এ সময় মানুষ যখন করোনার বিরুদ্ধে নিজের শরীরে আঁকিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু, তখন বোঝা যাচ্ছে, আমাদের ক্ষত শুকাচ্ছে। আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আরও মানসিক শক্তি পাচ্ছি। একদিন হয়তো এভাবেই জয় হবে আমাদের। পৃথিবী হবে করোনামুক্ত।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
টানা বর্ষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে দেশের দুটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে সাময়িকভাবে ভ্রমণ সীমিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বান্দরবানের দেবতাখুম এবং সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর—এই দুটি জায়গায় পর্যটকদের চলাচলে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেশুধু সুরেলা কণ্ঠ দিয়েই নয়, সুনিধি রূপেও ভুলিয়েছেন দর্শক–শ্রোতাদের। আর এই রূপ ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট কসরত করেন সুনিধি। ছবি তুলতে ভালোবাসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিত্য় নতুন ছবিও দেখা যায় তাঁর। এমনই একগুচ্ছ ছবি নিয়ে আমাদের আয়োজন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ আট বছরের প্রেম এবং এক বছরের দাম্পত্য নিয়ে বেশ খুশি সোনাক্ষী-জাহির। ভক্তদেরও তাঁরা জানিয়েছেন সম্পর্ক সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখার মন্ত্র। সোনাক্ষী ও জাহিরের বিবাহবার্ষিকীতে জেনে নিতে পারেন দাম্পত্য বিষয়ে তাঁদের দেওয়া কয়েকটি টিপস।
১ দিন আগেইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
১ দিন আগে