
বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন, সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে, যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃথিবীর বড় বড় শহরের মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানকার জীবনযাত্রার ব্যয় বের করেছে ওয়েবসাইটটি। তারা যেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে তা হলো, শহরের কেন্দ্রে বাসা ভাড়া কিংবা কেনার খরচ, কফির দাম, দুজনের খাওয়ার খরচ, জিমের মেম্বার হওয়ার খরচ ইত্যাদি।
এই প্রতিবেদনে শহরের জনসংখ্যার ব্যাপারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য কোনো সূত্র ব্যবহার করা হলে সেই তথ্যও দেওয়া হয়েছে।
বুখারেস্ট, রোমানিয়া
জনসংখ্যা: ১৮ লাখ ২০ হাজার (২০২১)
যে কারণে বিখ্যাত: রোমানিয়ার রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর। দেশটির অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বুখারেস্ট। ‘লিটল প্যারিস’ নামে পরিচিত শহরটির স্থাপত্যে ফরাসি প্রভাব প্রকট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইট লাইফ ডেসটিনেশনস বা নৈশকালীন জীবনের জন্য নাম কামিয়েছে শহরটি।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৬৮.২৫ ডলার বা ৫০ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯০ ডলার বা ২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬৩৮.৮০ ডলার বা ৬৮ হাজার ৩৬২ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২২৩৭.৪০ ডলার বা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪১ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২ ডলার ৮৩ সেন্ট বা ৩০৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাওয়ার খরচ: ৪৭.৯২ ডলার বা ৫ হাজার ১২৮ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪৫.৬৫ ডলার বা ৪ হাজার ৮৮৫ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, যাতায়াত, প্রকৌশল ও হসপিটালিটি।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: রোমানিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ওয়েবসাইটের মতে যানজট বেশি, বায়ুর মান ভালো নয় ও ময়লা ফুটপাত এখানকার বড় সমস্যা। তা ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শরণার্থী আসার প্রবণতা বাড়ায় এখানকার সম্পদের ওপর চাপ পড়ছে।
কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
জনসংখ্যা: ২০২১-এর হিসাবে ৪৭ লাখ ৬০ হাজার (ওয়েস্টার্ন কেপ গভর্নমেন্টের জরিপ অনুসারে)
যে কারণে বিখ্যাত: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। বিখ্যাত টেবল পর্বত ও অসংখ্য সৈকত এর বড় আকর্ষণ। পেঙ্গুইন ও তিমি দেখার জন্যও পরিচিতি আছে জায়গাটির।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৬৪২ ডলার বা ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৮০ ডলার বা ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৮০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫১২.৬ ডলার বা ৫৪ হাজার টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,৭৮২. ৪০ ডলার বা ১ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২ ডলার ৮৩ সেন্ট বা ৩০৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৩২.৪২ ডলার বা ৩ হাজার ৪৭০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৬.১৯ ডলার বা ৩ হাজার ৮৭২ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, হসপিটালিটি, খনি ও খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন সেক্টরে।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর ইউরোপের তুলনায় কম ব্যয়বহুল হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য এলাকাগুলোর তুলনায় খরচটা বেশি। মূল শহর থেকে দূরে শহরতলিতে অনেকে বাসা ভাড়া নেন না, কেনেন খরচ কমাতে। বিদ্যুৎ একটা বড় সমস্যা। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে কেপটাউন ও অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুদ্বিভ্রাট প্রকট। বিদ্যুদ্বিভ্রাট ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কার্টাগেনা, কলম্বিয়া
জনসংখ্যা: ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৬ (২০২০)
যে কারণে বিখ্যাত: স্পেনের হাতে গোড়াপত্তন হওয়া শহরটির পুরোনো অংশের গম্বুজময় দালানকোঠাসহ স্থাপনাগুলো চোখ জুড়াবে। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ক্যারিবিয়ান সাগরতীরের শহরটিতে চমৎকার কিছু সৈকত আছে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৭৩.৬৬ ডলার বা ৫০ হাজার ৬৯০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫০ ডলার বা ২ কোটি ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪০৭ ডলার বা ৪৩ হাজার ৫৫৬ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৩৫০ ডলার বা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৩ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১ ডলার ৪ সেন্ট বা ১৫২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১৯.২৭ ডলার বা ২ হাজার ৬২ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২০.১০ ডলার বা ২ হাজার ১৫১ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, শিক্ষকতা, হসপিটালিটি ও বিপণন।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ট্রাভেলের একটি ভ্লগ থেকে জানা যায়, এখানকার রাস্তা ও সৈকতে বিক্রেতারা বেশ বিরক্ত করে। তা ছাড়া কলম্বিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসায় কাজ করতে পারবেন না। পেশা অনুযায়ী লাইসেন্স কিংবা শ্রমভিসা নিতে হবে।
চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড
জনসংখ্যা: ২০২৩ এর হিসেবে ১২ লাখ ১০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক অনুসারে)
যে কারণে বিখ্যাত: বছরজুড়ে ৫৯ ডিগ্রি থেকে ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে এখানকার তাপমাত্রা। উত্তর থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর। চমৎকারভাবে সজ্জিত পুরোনো মন্দির আর শহরময় ছড়িয়ে থাকা রাত্রিকালীন বাজারের জন্য পরিচিত। এ বাজারগুলো মুখরোচক স্ট্রিট ফুড, স্থানীয় হস্তশিল্পসহ আরও নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিসের জন্য বিখ্যাত।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩৫১.৮২ ডলার বা ৩৭ হাজার ৬৫০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৬০ ডলার বা ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫০৯.৮০ ডলার বা ৫৪ হাজার ৫৫৭ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১ হাজার ৮০৮.৫০ ডলার বা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৫৯ ডলার বা ১৭০ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১৫.৩৭ ডলার বা ১ হাজার ৬৪৪ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৭.৭২ ডলার বা ৪ হাজার ৩৬ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, খামার, খাবার।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: অনেক বিশেষজ্ঞের মত জায়গাটি অতিরিক্ত গরম। ভাষার বাধা কাটিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বায়ু মান খারাপ, কারণ এ সময় কৃষকেরা মাঠে আগুন দেন নতুন চারা লাগানোর জন্য। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য শহরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে অন্তত পাঁচ বছর থাকতে হবে।
জর্জ টাউন, মালয়েশিয়া
জনসংখ্যা: ২ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ (২০২১)
যে কারণে বিখ্যাত: জর্জ টাউন পেনাং রাজ্যের রাজধানী ও মালয়েশিয়ার উত্তর–পশ্চিম উপকূলে এর অবস্থান। ছোট্ট, উষ্ণমণ্ডলীয় দ্বীপটি ভোজনরসিক বা খাবারপ্রমীদের খুব প্রিয় জায়গা। এখানকার সাগরসৈকত, পর্বত, গ্রামগুলোও টানবে আপনাকে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩২৭.৪৬ ডলার বা ৩৫ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৩৫ হাজার ১২০ ডলার বা ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৮৫.১০ ডলার বা ৫১ হাজার ৯০০ টাকা
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৭০১.৭০ ডলার বা ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.২৯ ডলার বা ২৪৫ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১০.১৬ ডলার বা ১০৮৭ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৬.৫৪ ডলার বা ২ হাজার ৮৪০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: চাকরি, বিপণন, পর্যটন, হসপিটালিটি।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: পেনাংয়ে বসবাস শুরু করা এক নারী এর কিছু সমস্যা তুলে ধরেছেন, এখানকার স্ট্রিট ফুড খুব বিখ্যাত হলেও সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এমন রেস্তোরাঁ কম। সৈকতগুলো চমৎকার হলেও সাগরের পানি পরিষ্কার নয়। বিদেশি নাগরিক ও তাঁর প্রতি নির্ভরশীলেরা ১০ বছরের ভিসা পেলেও এ জন্য তাঁদের মালয়েশিয়ার ব্যাংকে বড় অঙ্কের অর্থ রাখতে হয় নতুবা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে হয়। নাগরিক হতে চাইলে আগে যে নাগরিকত্ব আছে সেটি পরিত্যাগ করতে হয়।
একজন ব্যক্তি ও পরিবারের মাসিক খরচটা মূলত জর্জ টাউনের নয় পেনাং প্রদেশের হিসেবে করা হয়েছে।
জয়পুর, ভারত
জনসংখ্যা: ৩০ লাখ ৫০ হাজার (২০১৭)
যে কারণে বিখ্যাত: ভারতের সবচেয়ে সুন্দর ও অলংকৃত রাজপ্রাসাদ, দুর্গ ও মন্দিরের দেখা মিলবে শহরটিতে। উনিশ শতকে এক মহারাজা রানি ভিক্টোরিয়ার সফরের আগে শহরের দালান–কোঠা গোলাপি রঙে রাঙিয়ে দেওয়ায় এটি এখনো পরিচিত গোলাপি শহর নামে। রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহরটি অলংকার, বস্ত্র, শিল্পকর্মের জন্যও মশহুর।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ১৪৫.৩৬ ডলার বা ১৫ হাজার ৫৫৬ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৫১ হাজার ২৩০ ডলার বা ১ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৩০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৩২১.৮০ ডলার বা ৩৪ হাজার ৪৩৮ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,০৭৬. ৫০ ডলার বা ১ লাখ ১৫ হাজার ২০৪ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৫১ ডলার বা ১৬০ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১২.১১ ডলার বা ১২৯৫ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ১৮.৭৪ ডলার বা ২০০০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, রত্নপাথর কাটা, বস্ত্রশিল্প, উৎপাদন।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: দূষণ, অপরাধ এখানকার বড় চ্যালেঞ্জ। নাগরিকত্ব পেতে লাগবে নিদেনপক্ষে ১২ বছর।
লাগোস, নাইজেরিয়া
জনসংখ্যা: ২০২৩ এ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক অনুযায়ী)
যে কারণে বিখ্যাত: দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নলিউড নামে পরিচিত চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি টেক স্টার্টআপের জন্যও চমৎকার এক জায়গায় পরিণত হয়েছে। নাইজেরিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের অনেকগুলোই এখানে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ১৫৫০.৮০ ডলার বা ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ৮৩,২৪০ ডলার বা ৮৯ লাখ ৮ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬০২.২০ ডলার বা ৬৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২১৮৮.৯০ ডলার বা ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ৩.৩২ ডলার বা ৩৫৫ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৪৩.৪৪ ডলার বা ৪ হাজার ৬৫০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৯.৬৯ ডলার বা ৪ হাজার ২৫০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: হিসাবরক্ষণ, বিপণন, বিজ্ঞাপন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ২০১৮ সালে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বসবাসের জন্য লাগোসকে পৃথিবীর খারাপ জায়গাগুলোর একটি হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তুলনামূলক বেশি অপরাধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থার কারণে। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আবাসন দুষ্প্রাপ্য।
লারিসা, গ্রিস
জনসংখ্যা: ১ লাখ ৬২ হাজার (২০১৭), ইউনেসকো ইনস্টিটিউটের তথ্য
যে কারণে বিখ্যাত: শহরটি ঘিরে আছে উর্বর উপত্যকা ও পার্বত্যভূমি। রোমানদের সময়ের একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। শহরটির প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে দিয়াক্রনিক জাদুঘরে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ২৮৬.৯০ ডলার বা ৩০ হাজার ৭০০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩০ ডলার বা ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৭২১.৫০ ডলার বা ৭৭ হাজার ২১৩ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২,৪২০. ৭০ ডলার বা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ৩.১৬ ডলার বা ৩৩৮ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৩৪.৮৬ ডলার বা ৩ হাজার ৭৩০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪৫.৫৮ ডলার বা ৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, পর্যটন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর নাগরিকেরা ডিজিটাল নোমাড ভিসা (এক জায়গায় কাজ করে অন্য জায়গায় বসবাস করা) পেতে পারেন, তবে এজন্য কিছু শর্তপূরণ করতে হয়। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্য বিমা ও মাসিক বেতন ৩ হাজার ৫০০ ইউরো হতে হয়।
পুয়েবালা, মেক্সিকো
জনসংখ্যা: ৩৩ লাখ (২০২২)
যে কারণে বিখ্যাত: মেক্সিকোর চতুর্থ বৃহত্তম শহরটির চারপাশে পর্বত এমনকি আগ্নেয়গিরিও আছে। মেক্সিকো সিটি থেকে কেবল দুই ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারবেন। পুয়াবেলা শহরের কিছু অংশ ষোলো ও শতকের বিভিন্ন ঐতিহাসিক কাঠামোর কারণে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩৩৫.৮১ ডলার বা ৩৫ হাজার ৯৩৭ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ৭২ হাজার ৭৯০ ডলার বা ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫২৪.২০ ডলার বা ৫৬ হাজার টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৮৫১.২০ ডলার বা ১ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.৬০ ডলার বা ২৭৮ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৬.৫৮ ডলার বা ২ হাজার ৮৪৪ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৮.৩৫ ডলার বা ৩ হাজার টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: খুচরা ব্যবসা, হসপিটালিটি, উৎপাদন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ডিজিটাল নোমাড হিসেবে পর্যটন কিংবা অস্থায়ী রেসিডেন্স ভিসা পাওয়া যায়। চার বছর পর্যন্ত থাকা যায় এভাবে। তবে স্থায়ীভাবে থাকতে চাইলে দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে স্প্যানিশে দক্ষতা অর্জন।
রাবাত, মরক্কো
জনসংখ্যা: ২০২৩ এ ১৯ লাখ ৫০ম হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক)
যে কারণে বিখ্যাত: কাসাব্লাংকা থেকে ৫৪ মাইল দূরে অবস্থিত শহরটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত ও মরক্কোর রাজধানী। দেশের ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরটি আছে এখানে। এর প্রচুর সংখ্যক সরকারি ভবন, দূতাবাস, সবুজ জমি ও প্রশস্ত রাস্তার কারণে অনেকে একে ডাকেন উত্তর আফ্রিকার ওয়াশিংটন ডিসি নামে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৩৩.৫১ ডলার বা ৪৬ হাজার ৩৯০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১.৮৮. ৭৭০ ডলার বা ২ কোটি ২ লাখ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৫২.২০ ডলার বা ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,৫৮৯. ২০ ডলার বা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৮০ ডলার বা ১৯২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৬.০৯ ডলার বা ২ হাজার ৭৯০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৩.১৪ ডলার বা ২ হাজার ৪৭৬ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, কৃষি, খনি, টেক্সটাইল, নির্মাণ
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: মরক্কোয় ২০২১ সালে এসে থাকা শুরু করা এক আমেরিকান দম্পতি এখানকার দুর্নীতি ও স্বাস্থ্যসেবার খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।
সান্তা ক্রুজ, বলিভিয়া
জনসংখ্যা: ২০২২ সালে ১৮ লাখ ২০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক)
যে কারণে বিখ্যাত: দেশটির প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। দ্রুত আধুনিক একটি শহর হয়ে ওঠা শহরটি সাংস্কৃতিক দিক থেকেও উন্নত। এখানে অবস্থিত এল ফুয়েরেতে নামে প্রাচীন এক গ্রামের ধ্বংসাবশেষ ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪০১.৬০ ডলার বা ৪৩ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৬ হাজার ২৫০ ডলার বা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৮৬.৯০ ডলার বা ৫২ হাজার ১০০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৭২১.৭০ ডলার বা ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.২৬ ডলার বা ২৪২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৮.৯৯ ডলার বা ৩ হাজার ১০০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪০.৭৬ ডলার বা ৪ হাজার ৩৬০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, খনি, প্রাকৃতিক গ্যাস
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: বিদেশিদের জন্য চাকরির সুযোগ কম। অপরাধের মাত্রা বেশি এবং অবকাঠামোর সংখ্যা কম।
সান্তা ক্রুজ দে তেনেরিফি, স্পেন
জনসংখ্যা: ২ লাখ ৮ হাজার ৮৭৮ (২০২০)
যে কারণে বিখ্যাত: আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত শহরটি ছুটি ও অবসর কাটানোর জন্য খুব জনপ্রিয় এক জায়গা। এখানকার সৈকত, সুন্দর গ্রামগুলো পর্যটক টানে বেশি।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৭০৯.৬৮ ডলার বা ৭৬ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ২ লাখ ৭ হাজার ৮০ ডলার বা ২ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬১৭.৯০ ডলার বা ৬৬ হাজার ১২৬ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২,২১৭. ৯০ ডলার বা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৮১ ডলার বা ১৯৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৪২.৮৭ ডলার বা ৪ হাজার ৫৮৭ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪১.৭৯ ডলার বা ৪ হাজার ৪৭২ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, কৃষি, বিজ্ঞাপন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: স্পেনে নাগরিকত্বের আগের ধাপ গোল্ডেন ভিসার জন্য আবাসন খাতে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে হয়। লিসবন ও লন্ডনের পর এ শহরে বসতি গাড়া এক নারী জানান জ্যাম থাকে, ট্যাক্সি ভাড়া অত্যধিক ও স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো নয়।

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন, সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে, যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
পৃথিবীর বড় বড় শহরের মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানকার জীবনযাত্রার ব্যয় বের করেছে ওয়েবসাইটটি। তারা যেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে তা হলো, শহরের কেন্দ্রে বাসা ভাড়া কিংবা কেনার খরচ, কফির দাম, দুজনের খাওয়ার খরচ, জিমের মেম্বার হওয়ার খরচ ইত্যাদি।
এই প্রতিবেদনে শহরের জনসংখ্যার ব্যাপারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য কোনো সূত্র ব্যবহার করা হলে সেই তথ্যও দেওয়া হয়েছে।
বুখারেস্ট, রোমানিয়া
জনসংখ্যা: ১৮ লাখ ২০ হাজার (২০২১)
যে কারণে বিখ্যাত: রোমানিয়ার রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর। দেশটির অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বুখারেস্ট। ‘লিটল প্যারিস’ নামে পরিচিত শহরটির স্থাপত্যে ফরাসি প্রভাব প্রকট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইট লাইফ ডেসটিনেশনস বা নৈশকালীন জীবনের জন্য নাম কামিয়েছে শহরটি।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৬৮.২৫ ডলার বা ৫০ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯০ ডলার বা ২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬৩৮.৮০ ডলার বা ৬৮ হাজার ৩৬২ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২২৩৭.৪০ ডলার বা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪১ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২ ডলার ৮৩ সেন্ট বা ৩০৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাওয়ার খরচ: ৪৭.৯২ ডলার বা ৫ হাজার ১২৮ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪৫.৬৫ ডলার বা ৪ হাজার ৮৮৫ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, যাতায়াত, প্রকৌশল ও হসপিটালিটি।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: রোমানিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ওয়েবসাইটের মতে যানজট বেশি, বায়ুর মান ভালো নয় ও ময়লা ফুটপাত এখানকার বড় সমস্যা। তা ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শরণার্থী আসার প্রবণতা বাড়ায় এখানকার সম্পদের ওপর চাপ পড়ছে।
কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
জনসংখ্যা: ২০২১-এর হিসাবে ৪৭ লাখ ৬০ হাজার (ওয়েস্টার্ন কেপ গভর্নমেন্টের জরিপ অনুসারে)
যে কারণে বিখ্যাত: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। বিখ্যাত টেবল পর্বত ও অসংখ্য সৈকত এর বড় আকর্ষণ। পেঙ্গুইন ও তিমি দেখার জন্যও পরিচিতি আছে জায়গাটির।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৬৪২ ডলার বা ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৮০ ডলার বা ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৮০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫১২.৬ ডলার বা ৫৪ হাজার টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,৭৮২. ৪০ ডলার বা ১ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২ ডলার ৮৩ সেন্ট বা ৩০৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৩২.৪২ ডলার বা ৩ হাজার ৪৭০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৬.১৯ ডলার বা ৩ হাজার ৮৭২ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, হসপিটালিটি, খনি ও খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন সেক্টরে।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর ইউরোপের তুলনায় কম ব্যয়বহুল হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য এলাকাগুলোর তুলনায় খরচটা বেশি। মূল শহর থেকে দূরে শহরতলিতে অনেকে বাসা ভাড়া নেন না, কেনেন খরচ কমাতে। বিদ্যুৎ একটা বড় সমস্যা। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে কেপটাউন ও অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুদ্বিভ্রাট প্রকট। বিদ্যুদ্বিভ্রাট ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কার্টাগেনা, কলম্বিয়া
জনসংখ্যা: ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৬ (২০২০)
যে কারণে বিখ্যাত: স্পেনের হাতে গোড়াপত্তন হওয়া শহরটির পুরোনো অংশের গম্বুজময় দালানকোঠাসহ স্থাপনাগুলো চোখ জুড়াবে। এটি এখন ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ক্যারিবিয়ান সাগরতীরের শহরটিতে চমৎকার কিছু সৈকত আছে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৭৩.৬৬ ডলার বা ৫০ হাজার ৬৯০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫০ ডলার বা ২ কোটি ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪০৭ ডলার বা ৪৩ হাজার ৫৫৬ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৩৫০ ডলার বা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৩ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১ ডলার ৪ সেন্ট বা ১৫২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১৯.২৭ ডলার বা ২ হাজার ৬২ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২০.১০ ডলার বা ২ হাজার ১৫১ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, শিক্ষকতা, হসপিটালিটি ও বিপণন।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ট্রাভেলের একটি ভ্লগ থেকে জানা যায়, এখানকার রাস্তা ও সৈকতে বিক্রেতারা বেশ বিরক্ত করে। তা ছাড়া কলম্বিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসায় কাজ করতে পারবেন না। পেশা অনুযায়ী লাইসেন্স কিংবা শ্রমভিসা নিতে হবে।
চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড
জনসংখ্যা: ২০২৩ এর হিসেবে ১২ লাখ ১০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক অনুসারে)
যে কারণে বিখ্যাত: বছরজুড়ে ৫৯ ডিগ্রি থেকে ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে এখানকার তাপমাত্রা। উত্তর থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর। চমৎকারভাবে সজ্জিত পুরোনো মন্দির আর শহরময় ছড়িয়ে থাকা রাত্রিকালীন বাজারের জন্য পরিচিত। এ বাজারগুলো মুখরোচক স্ট্রিট ফুড, স্থানীয় হস্তশিল্পসহ আরও নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিসের জন্য বিখ্যাত।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩৫১.৮২ ডলার বা ৩৭ হাজার ৬৫০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৬০ ডলার বা ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫০৯.৮০ ডলার বা ৫৪ হাজার ৫৫৭ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১ হাজার ৮০৮.৫০ ডলার বা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৫৯ ডলার বা ১৭০ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১৫.৩৭ ডলার বা ১ হাজার ৬৪৪ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৭.৭২ ডলার বা ৪ হাজার ৩৬ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, খামার, খাবার।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: অনেক বিশেষজ্ঞের মত জায়গাটি অতিরিক্ত গরম। ভাষার বাধা কাটিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বায়ু মান খারাপ, কারণ এ সময় কৃষকেরা মাঠে আগুন দেন নতুন চারা লাগানোর জন্য। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য শহরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে অন্তত পাঁচ বছর থাকতে হবে।
জর্জ টাউন, মালয়েশিয়া
জনসংখ্যা: ২ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ (২০২১)
যে কারণে বিখ্যাত: জর্জ টাউন পেনাং রাজ্যের রাজধানী ও মালয়েশিয়ার উত্তর–পশ্চিম উপকূলে এর অবস্থান। ছোট্ট, উষ্ণমণ্ডলীয় দ্বীপটি ভোজনরসিক বা খাবারপ্রমীদের খুব প্রিয় জায়গা। এখানকার সাগরসৈকত, পর্বত, গ্রামগুলোও টানবে আপনাকে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩২৭.৪৬ ডলার বা ৩৫ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৩৫ হাজার ১২০ ডলার বা ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৮৫.১০ ডলার বা ৫১ হাজার ৯০০ টাকা
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৭০১.৭০ ডলার বা ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.২৯ ডলার বা ২৪৫ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১০.১৬ ডলার বা ১০৮৭ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৬.৫৪ ডলার বা ২ হাজার ৮৪০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: চাকরি, বিপণন, পর্যটন, হসপিটালিটি।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: পেনাংয়ে বসবাস শুরু করা এক নারী এর কিছু সমস্যা তুলে ধরেছেন, এখানকার স্ট্রিট ফুড খুব বিখ্যাত হলেও সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এমন রেস্তোরাঁ কম। সৈকতগুলো চমৎকার হলেও সাগরের পানি পরিষ্কার নয়। বিদেশি নাগরিক ও তাঁর প্রতি নির্ভরশীলেরা ১০ বছরের ভিসা পেলেও এ জন্য তাঁদের মালয়েশিয়ার ব্যাংকে বড় অঙ্কের অর্থ রাখতে হয় নতুবা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে হয়। নাগরিক হতে চাইলে আগে যে নাগরিকত্ব আছে সেটি পরিত্যাগ করতে হয়।
একজন ব্যক্তি ও পরিবারের মাসিক খরচটা মূলত জর্জ টাউনের নয় পেনাং প্রদেশের হিসেবে করা হয়েছে।
জয়পুর, ভারত
জনসংখ্যা: ৩০ লাখ ৫০ হাজার (২০১৭)
যে কারণে বিখ্যাত: ভারতের সবচেয়ে সুন্দর ও অলংকৃত রাজপ্রাসাদ, দুর্গ ও মন্দিরের দেখা মিলবে শহরটিতে। উনিশ শতকে এক মহারাজা রানি ভিক্টোরিয়ার সফরের আগে শহরের দালান–কোঠা গোলাপি রঙে রাঙিয়ে দেওয়ায় এটি এখনো পরিচিত গোলাপি শহর নামে। রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহরটি অলংকার, বস্ত্র, শিল্পকর্মের জন্যও মশহুর।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ১৪৫.৩৬ ডলার বা ১৫ হাজার ৫৫৬ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৫১ হাজার ২৩০ ডলার বা ১ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৩০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৩২১.৮০ ডলার বা ৩৪ হাজার ৪৩৮ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,০৭৬. ৫০ ডলার বা ১ লাখ ১৫ হাজার ২০৪ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৫১ ডলার বা ১৬০ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ১২.১১ ডলার বা ১২৯৫ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ১৮.৭৪ ডলার বা ২০০০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, রত্নপাথর কাটা, বস্ত্রশিল্প, উৎপাদন।
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: দূষণ, অপরাধ এখানকার বড় চ্যালেঞ্জ। নাগরিকত্ব পেতে লাগবে নিদেনপক্ষে ১২ বছর।
লাগোস, নাইজেরিয়া
জনসংখ্যা: ২০২৩ এ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক অনুযায়ী)
যে কারণে বিখ্যাত: দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নলিউড নামে পরিচিত চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি টেক স্টার্টআপের জন্যও চমৎকার এক জায়গায় পরিণত হয়েছে। নাইজেরিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের অনেকগুলোই এখানে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ১৫৫০.৮০ ডলার বা ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ৮৩,২৪০ ডলার বা ৮৯ লাখ ৮ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬০২.২০ ডলার বা ৬৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২১৮৮.৯০ ডলার বা ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ৩.৩২ ডলার বা ৩৫৫ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৪৩.৪৪ ডলার বা ৪ হাজার ৬৫০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৩৯.৬৯ ডলার বা ৪ হাজার ২৫০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: হিসাবরক্ষণ, বিপণন, বিজ্ঞাপন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ২০১৮ সালে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বসবাসের জন্য লাগোসকে পৃথিবীর খারাপ জায়গাগুলোর একটি হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তুলনামূলক বেশি অপরাধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থার কারণে। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আবাসন দুষ্প্রাপ্য।
লারিসা, গ্রিস
জনসংখ্যা: ১ লাখ ৬২ হাজার (২০১৭), ইউনেসকো ইনস্টিটিউটের তথ্য
যে কারণে বিখ্যাত: শহরটি ঘিরে আছে উর্বর উপত্যকা ও পার্বত্যভূমি। রোমানদের সময়ের একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। শহরটির প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে দিয়াক্রনিক জাদুঘরে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ২৮৬.৯০ ডলার বা ৩০ হাজার ৭০০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩০ ডলার বা ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৭২১.৫০ ডলার বা ৭৭ হাজার ২১৩ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২,৪২০. ৭০ ডলার বা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ৩.১৬ ডলার বা ৩৩৮ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৩৪.৮৬ ডলার বা ৩ হাজার ৭৩০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪৫.৫৮ ডলার বা ৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, পর্যটন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর নাগরিকেরা ডিজিটাল নোমাড ভিসা (এক জায়গায় কাজ করে অন্য জায়গায় বসবাস করা) পেতে পারেন, তবে এজন্য কিছু শর্তপূরণ করতে হয়। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্য বিমা ও মাসিক বেতন ৩ হাজার ৫০০ ইউরো হতে হয়।
পুয়েবালা, মেক্সিকো
জনসংখ্যা: ৩৩ লাখ (২০২২)
যে কারণে বিখ্যাত: মেক্সিকোর চতুর্থ বৃহত্তম শহরটির চারপাশে পর্বত এমনকি আগ্নেয়গিরিও আছে। মেক্সিকো সিটি থেকে কেবল দুই ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারবেন। পুয়াবেলা শহরের কিছু অংশ ষোলো ও শতকের বিভিন্ন ঐতিহাসিক কাঠামোর কারণে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৩৩৫.৮১ ডলার বা ৩৫ হাজার ৯৩৭ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ৭২ হাজার ৭৯০ ডলার বা ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৫২৪.২০ ডলার বা ৫৬ হাজার টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৮৫১.২০ ডলার বা ১ লাখ ৯৮ হাজার ১০০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.৬০ ডলার বা ২৭৮ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৬.৫৮ ডলার বা ২ হাজার ৮৪৪ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৮.৩৫ ডলার বা ৩ হাজার টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: খুচরা ব্যবসা, হসপিটালিটি, উৎপাদন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: ডিজিটাল নোমাড হিসেবে পর্যটন কিংবা অস্থায়ী রেসিডেন্স ভিসা পাওয়া যায়। চার বছর পর্যন্ত থাকা যায় এভাবে। তবে স্থায়ীভাবে থাকতে চাইলে দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে স্প্যানিশে দক্ষতা অর্জন।
রাবাত, মরক্কো
জনসংখ্যা: ২০২৩ এ ১৯ লাখ ৫০ম হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক)
যে কারণে বিখ্যাত: কাসাব্লাংকা থেকে ৫৪ মাইল দূরে অবস্থিত শহরটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত ও মরক্কোর রাজধানী। দেশের ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরটি আছে এখানে। এর প্রচুর সংখ্যক সরকারি ভবন, দূতাবাস, সবুজ জমি ও প্রশস্ত রাস্তার কারণে অনেকে একে ডাকেন উত্তর আফ্রিকার ওয়াশিংটন ডিসি নামে।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪৩৩.৫১ ডলার বা ৪৬ হাজার ৩৯০ টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১.৮৮. ৭৭০ ডলার বা ২ কোটি ২ লাখ টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৫২.২০ ডলার বা ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১,৫৮৯. ২০ ডলার বা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৮০ ডলার বা ১৯২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৬.০৯ ডলার বা ২ হাজার ৭৯০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ২৩.১৪ ডলার বা ২ হাজার ৪৭৬ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, কৃষি, খনি, টেক্সটাইল, নির্মাণ
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: মরক্কোয় ২০২১ সালে এসে থাকা শুরু করা এক আমেরিকান দম্পতি এখানকার দুর্নীতি ও স্বাস্থ্যসেবার খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।
সান্তা ক্রুজ, বলিভিয়া
জনসংখ্যা: ২০২২ সালে ১৮ লাখ ২০ হাজার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক)
যে কারণে বিখ্যাত: দেশটির প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। দ্রুত আধুনিক একটি শহর হয়ে ওঠা শহরটি সাংস্কৃতিক দিক থেকেও উন্নত। এখানে অবস্থিত এল ফুয়েরেতে নামে প্রাচীন এক গ্রামের ধ্বংসাবশেষ ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৪০১.৬০ ডলার বা ৪৩ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ১ লাখ ৬ হাজার ২৫০ ডলার বা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৪৮৬.৯০ ডলার বা ৫২ হাজার ১০০ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ১৭২১.৭০ ডলার বা ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ২.২৬ ডলার বা ২৪২ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ২৮.৯৯ ডলার বা ৩ হাজার ১০০ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪০.৭৬ ডলার বা ৪ হাজার ৩৬০ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: কৃষি, খনি, প্রাকৃতিক গ্যাস
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: বিদেশিদের জন্য চাকরির সুযোগ কম। অপরাধের মাত্রা বেশি এবং অবকাঠামোর সংখ্যা কম।
সান্তা ক্রুজ দে তেনেরিফি, স্পেন
জনসংখ্যা: ২ লাখ ৮ হাজার ৮৭৮ (২০২০)
যে কারণে বিখ্যাত: আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত শহরটি ছুটি ও অবসর কাটানোর জন্য খুব জনপ্রিয় এক জায়গা। এখানকার সৈকত, সুন্দর গ্রামগুলো পর্যটক টানে বেশি।
শহরের কেন্দ্রে এক বেডরুমের একটি বাসার গড় ভাড়া: ৭০৯.৬৮ ডলার বা ৭৬ হাজার টাকা।
শহরের কেন্দ্রে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম: ২ লাখ ৭ হাজার ৮০ ডলার বা ২ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
একজন ব্যক্তির মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ৬১৭.৯০ ডলার বা ৬৬ হাজার ১২৬ টাকা।
চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ (আবাসন বাদে) : ২,২১৭. ৯০ ডলার বা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ টাকা।
এক কাপ ক্যাপাচিনো কফির দাম: ১.৮১ ডলার বা ১৯৩ টাকা।
দুজনের তিনবেলা খাবার খরচ: ৪২.৮৭ ডলার বা ৪ হাজার ৫৮৭ টাকা।
এক মাসের জন্য জিমের সদস্য হওয়ার খরচ: ৪১.৭৯ ডলার বা ৪ হাজার ৪৭২ টাকা।
সবচেয়ে সাধারণ পেশা: পর্যটন, কৃষি, বিজ্ঞাপন
এখানে পাকাপাকিভাবে আস্তানা গাড়া কঠিন যে কারণে: স্পেনে নাগরিকত্বের আগের ধাপ গোল্ডেন ভিসার জন্য আবাসন খাতে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে হয়। লিসবন ও লন্ডনের পর এ শহরে বসতি গাড়া এক নারী জানান জ্যাম থাকে, ট্যাক্সি ভাড়া অত্যধিক ও স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো নয়।

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যব
০৪ এপ্রিল ২০২৩
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যব
০৪ এপ্রিল ২০২৩
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যব
০৪ এপ্রিল ২০২৩
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

বিদেশে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাওয়া থাকে যে শহরটিতে থাকবেন সেখানকার পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি আবাসন, খাবারসহ অন্যান্য খরচও হবে কম। বিজনেস ইনসাইডার এমন ১২টি চমৎকার শহরের তালিকা তৈরি করেছে যেগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। নুমেবো নামের একটি ওয়েবসাইটের ডেটা এক্ষেত্রে ব্যব
০৪ এপ্রিল ২০২৩
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে