
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৫ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। তবে এই তালিকায় শীর্ষে বিশে এশিয়ার কোনো দেশ নেই। সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সু
২০ মার্চ ২০২৩
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। তবে এই তালিকায় শীর্ষে বিশে এশিয়ার কোনো দেশ নেই। সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সু
২০ মার্চ ২০২৩
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৫ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। তবে এই তালিকায় শীর্ষে বিশে এশিয়ার কোনো দেশ নেই। সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সু
২০ মার্চ ২০২৩
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৫ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। তবে এই তালিকায় শীর্ষে বিশে এশিয়ার কোনো দেশ নেই। সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সু
২০ মার্চ ২০২৩
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৫ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
৮ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগে