ঐশানী মোদক
ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য
ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য
ভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্যই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর ও প্রয়োজনের ধরণও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়া-দাওয়া সব দিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
২৫ মিনিট আগেছোট হোক বা বড়, যে কাজেই ব্যবহার হোক না কেন প্রায় সবার বাড়িতে একটি করে বুকশেলফ বা বইয়ের তাক থাকে। একটি বুকশেলফ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায়, তা সে কাঠ, বেত, বাঁশ, প্লাইউড বা যে উপকরণেই তৈরি হোক। কিন্তু এমন যদি হয় বহু পুরোনো বুকশেলফের কোনো অংশ ভেঙে গেছে, পায়া নষ্ট হয়ে গেছে বা এই বুকশেলফটি পরিবর্তন করে
১ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন দেশে গিয়ে সিম কেনার আগে পর্যন্ত নিয়মিত যোগাযোগ থেকে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প হিসেবে দেশের সিম দিয়ে রোমিং সুবিধা নেন অনেকে। তবে এর জন্য ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। যেটি কারও কারও জন্য বিপত্তি তৈরি করে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষের জাতীগত বড় সমস্যা হলো, তারা মনে করে পৃথিবীর সব ‘প্রথম’ ও ‘সবচেয়ে বড় বা ছোট’র রেকর্ড থাকবে শুধু তাদের অধিকারে। কিন্তু না। আপনি যদি ভোরবেলা হাঁসের মাংসে খেতে যেতে পারেন, তো অন্য অনেকে আপনাকে টেক্কা দিয়ে রাত ও ভোরের সঙ্গমস্থলের যে সময়, যাকে উষা নামে ডাকা হয়, সে সময় হাঁসের মাংস...
৪ ঘণ্টা আগে