আমিনুল ইসলাম নাবিল, ঢাকা

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি।
মাটির তৈরি তন্দুরে কাঠ-কয়লার আগুনে পুড়ে যে বাকরখানি তৈরি হতো ঢাকার অলিগলিতে, যার ইতিহাস কয়েক শ বছরের পুরোনো, সেই তন্দুরের গোলাপি আভায় এবার ভাগ বসাতে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তির ওভেন। নতুন তন্দুরের বদলে দোকানগুলোতে বসছে বাকরখানি তৈরির ওভেন। আর তাতে তন্দুরের মতো নোনতা ও মিষ্টি স্বাদের বাকরখানি তো তৈরি হচ্ছেই, পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে জানা গেল ঘি, চর্বি, পনির ও ঝুরি মাংসের বাকরখানিও তৈরি হয় তাতে।
ওভেনে সহজে, দ্রুত ও সংখ্যায় বেশি বাকরখানি তৈরি করা যায়। পুরান ঢাকার সুরিটোলা এলাকায় ওভেনে বাকরখানি তৈরির এমন বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে ক্রেতাদের ভিড়ও আগের মতোই। দোকানিরা বলছেন, ডিজিটাল দেশে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
ওভেনে বাকরখানি তৈরি হয় সুরিটোলা—এমন একটি দোকানে মহাজন শাহিনুর নামে এক দোকানির সঙ্গে কথা হয়। তাঁর দাবি, তিনিই প্রথম ওভেনে বাকরখানি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেন এবং তাঁর হাত ধরে অনেক দোকানে ওভেন মেশিনে বাকরখানি তৈরির যাত্রা শুরু হয়। কেক, বিস্কুট ইত্যাদি তৈরি করা গেলে বাকরখানিও করা যাবে—এমন ধারণা থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওভেনে বাকরখানি তৈরির প্রচলন শুরু করেন শাহিনুর। একে তিনি ‘পরিবেশবান্ধব বাকরখানি’ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এতে লাকড়ি-কয়লা জোগাড়ের ঝামেলা নেই। ফলে খরচ ও পরিশ্রম কম এবং বাকরখানি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি নেই। ওভেনের আরও সুবিধার কথা জানালেন তাঁর দোকানের কর্মচারী মো. আরমান। তিনি জানান, তন্দুর চুল্লির কালো ধোঁয়ার কারণে বাড়িওয়ালারা দোকান ভাড়া দিতে চায় না। এখন আর সে ঝামেলা নেই। আগে যেমন কারিগর তন্দুর চুল্লির তাপে ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যেতেন, এখন সে অবস্থা আর নেই।
শাহিনুরের দোকানের পাশের গলিতে বাকরখানি তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করেন আমিনুল ইসলাম বাবু। তিনি কয়েক দশক ধরে এ কাজ করে চলেছেন। নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চার মাস ধরে ওভেনে বাকরখানি তৈরি করছেন তিনি। বাবু জানালেন, কম সময়ে অনেক বাকরখানি তৈরি করা যায় বলে ধীরে ধীরে সব দোকানেই এই ওভেন মেশিন ঢুকে যাচ্ছে।
তন্দুর বনাম ওভেনে তৈরি বাকরখানি নিয়ে ক্রেতারা জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ ওভেনে তৈরি বাকরখানিকে স্বাদের দিক থেকে বেশি এগিয়ে রাখছেন। তাঁদের মতে, তন্দুর চুল্লির বাকরখানি শক্ত হয়ে যেত, এটার ক্ষেত্রে এমন অসুবিধা হয় না। তবে অনেকে বলছেন, আগে পোড়া পোড়া যে স্বাদ ছিল, এখন সেটা নেই। আগের স্বাদ নেই বলে অনেকে ওভেনে তৈরি বাকরখানিকে ‘বাকরখানি’ হিসেবে স্বীকারই করতে চান না! তাঁদের দাবি, স্বাদ আর ঐতিহ্য—দুটোই শেষ। এ বিষয়ে ঢাকাইয়া সংস্কৃতিকর্মী ও বাচিকশিল্পী আরিফা আলম সোনিয়া ঐতিহ্যের দিকেই থাকলেন। বললেন, ‘বাসায় হাজার রেসিপিতেই রান্না হোক, বিয়েবাড়ির বাবুর্চির হাতের রান্নার কিন্তু অন্য রকম মজা। আসলে বাবুর্চির জন্য না, লাকড়ি-কয়লার চুলায় যে রান্না হয়, সেটার ফ্লেভারই আলাদা। ইলেকট্রিক ওভেনে যত যা-ই হোক, মাটির তন্দুরে তৈরি বাকরখানির যে স্বাদ, সেটা কখনোই পাওয়া যায় না।’
এভাবেই সময়ের হাত ধরে ঐতিহ্য বদলায়। বাকরখানিতেও সেই বদলের ছোঁয়া লেগেছে। এই বদল ভালো কি মন্দ, সেটা বলবে সময়।

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি।
মাটির তৈরি তন্দুরে কাঠ-কয়লার আগুনে পুড়ে যে বাকরখানি তৈরি হতো ঢাকার অলিগলিতে, যার ইতিহাস কয়েক শ বছরের পুরোনো, সেই তন্দুরের গোলাপি আভায় এবার ভাগ বসাতে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তির ওভেন। নতুন তন্দুরের বদলে দোকানগুলোতে বসছে বাকরখানি তৈরির ওভেন। আর তাতে তন্দুরের মতো নোনতা ও মিষ্টি স্বাদের বাকরখানি তো তৈরি হচ্ছেই, পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে জানা গেল ঘি, চর্বি, পনির ও ঝুরি মাংসের বাকরখানিও তৈরি হয় তাতে।
ওভেনে সহজে, দ্রুত ও সংখ্যায় বেশি বাকরখানি তৈরি করা যায়। পুরান ঢাকার সুরিটোলা এলাকায় ওভেনে বাকরখানি তৈরির এমন বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে ক্রেতাদের ভিড়ও আগের মতোই। দোকানিরা বলছেন, ডিজিটাল দেশে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
ওভেনে বাকরখানি তৈরি হয় সুরিটোলা—এমন একটি দোকানে মহাজন শাহিনুর নামে এক দোকানির সঙ্গে কথা হয়। তাঁর দাবি, তিনিই প্রথম ওভেনে বাকরখানি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেন এবং তাঁর হাত ধরে অনেক দোকানে ওভেন মেশিনে বাকরখানি তৈরির যাত্রা শুরু হয়। কেক, বিস্কুট ইত্যাদি তৈরি করা গেলে বাকরখানিও করা যাবে—এমন ধারণা থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওভেনে বাকরখানি তৈরির প্রচলন শুরু করেন শাহিনুর। একে তিনি ‘পরিবেশবান্ধব বাকরখানি’ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এতে লাকড়ি-কয়লা জোগাড়ের ঝামেলা নেই। ফলে খরচ ও পরিশ্রম কম এবং বাকরখানি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি নেই। ওভেনের আরও সুবিধার কথা জানালেন তাঁর দোকানের কর্মচারী মো. আরমান। তিনি জানান, তন্দুর চুল্লির কালো ধোঁয়ার কারণে বাড়িওয়ালারা দোকান ভাড়া দিতে চায় না। এখন আর সে ঝামেলা নেই। আগে যেমন কারিগর তন্দুর চুল্লির তাপে ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যেতেন, এখন সে অবস্থা আর নেই।
শাহিনুরের দোকানের পাশের গলিতে বাকরখানি তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করেন আমিনুল ইসলাম বাবু। তিনি কয়েক দশক ধরে এ কাজ করে চলেছেন। নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চার মাস ধরে ওভেনে বাকরখানি তৈরি করছেন তিনি। বাবু জানালেন, কম সময়ে অনেক বাকরখানি তৈরি করা যায় বলে ধীরে ধীরে সব দোকানেই এই ওভেন মেশিন ঢুকে যাচ্ছে।
তন্দুর বনাম ওভেনে তৈরি বাকরখানি নিয়ে ক্রেতারা জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ ওভেনে তৈরি বাকরখানিকে স্বাদের দিক থেকে বেশি এগিয়ে রাখছেন। তাঁদের মতে, তন্দুর চুল্লির বাকরখানি শক্ত হয়ে যেত, এটার ক্ষেত্রে এমন অসুবিধা হয় না। তবে অনেকে বলছেন, আগে পোড়া পোড়া যে স্বাদ ছিল, এখন সেটা নেই। আগের স্বাদ নেই বলে অনেকে ওভেনে তৈরি বাকরখানিকে ‘বাকরখানি’ হিসেবে স্বীকারই করতে চান না! তাঁদের দাবি, স্বাদ আর ঐতিহ্য—দুটোই শেষ। এ বিষয়ে ঢাকাইয়া সংস্কৃতিকর্মী ও বাচিকশিল্পী আরিফা আলম সোনিয়া ঐতিহ্যের দিকেই থাকলেন। বললেন, ‘বাসায় হাজার রেসিপিতেই রান্না হোক, বিয়েবাড়ির বাবুর্চির হাতের রান্নার কিন্তু অন্য রকম মজা। আসলে বাবুর্চির জন্য না, লাকড়ি-কয়লার চুলায় যে রান্না হয়, সেটার ফ্লেভারই আলাদা। ইলেকট্রিক ওভেনে যত যা-ই হোক, মাটির তন্দুরে তৈরি বাকরখানির যে স্বাদ, সেটা কখনোই পাওয়া যায় না।’
এভাবেই সময়ের হাত ধরে ঐতিহ্য বদলায়। বাকরখানিতেও সেই বদলের ছোঁয়া লেগেছে। এই বদল ভালো কি মন্দ, সেটা বলবে সময়।

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৩৫ মিনিট আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
১ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে
ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। আবার অতিরিক্ত পর্যটনের বিরুদ্ধে স্পেনের রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখা গেছে। ইউরোপ ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এশিয়ার পর্যটনশিল্পও।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্যারি বাওয়ারম্যান বলছেন, বালি, কিয়োটো এবং ফুকেট পর্যটকদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। আসলে ভ্রমণের জায়গা কম, এমনটা নয়। সমস্যা হলো, একই সময় একই জায়গায় অতিরিক্ত পর্যটক জড়ো হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক শ্যানন ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টায় কিয়োটোর বিখ্যাত ফুশিমি ইনারি মন্দিরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভিড় কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় ঢল নামল পর্যটকের। হাঁটতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।’
মহামারির পর ভ্রমণের ঢল
মহামারির পর অনেকের ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে। বিমান ভাড়া মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে হওয়ায় এশিয়ার পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভিয়েতনামে বিভিন্ন শহরে এখন মানুষ গিজগিজ করছে। থাইল্যান্ডে সামান্য পর্যটক কমলেও ফুকেটের জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভিড় কমছে না। যানজট, পানির সংকট এবং বর্জ্য—সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতি ও সংস্কৃতি
‘সাউথ ইস্ট এশিয়া ব্যাকপ্যাকার ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক নিকি স্কট বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক পরিবেশ ধ্বংস করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করছে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।
এ ক্ষেত্রে দ্বীপ ও সৈকত এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বালিতে পানিসংকট, যানজট, প্লাস্টিকদূষণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেখানকার ধানখেত কেটে হোটেল বানানোর ফলে বন্যা আরও বেড়েছে। ফিলিপাইনের বোরাকায়ও একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ছয় মাস দ্বীপটি বন্ধ রেখে পর্যটন সংস্কার করা হয়েছিল।
কিয়োটোর সমস্যা
২০২৪ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কিয়োটো ভ্রমণ করেছে। এই বিশালসংখ্যক পর্যটক সামাল দিতে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবন পড়েছে সংকটের মুখে। হাঁটার সংকীর্ণ রাস্তা কিংবা গণপরিবহন—সবই জনাকীর্ণ। জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘ইওমিউরি শিম্বুন’-এর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ বাসিন্দা অতিরিক্ত পর্যটন বা ওভার ট্যুরিজমে বিরক্ত। এসব কারণে স্থানীয় সরকার নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে। কিয়োটোর গিয়ন এলাকার মহল্লাগুলোর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে ছবি তুললে রাখা হয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। তবে বড় শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন।
সমাধান হলো ভ্রমণ সচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর সমাধান হলো পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট এলাকা বন্ধ রাখা। তবে বড় শহরে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। গ্যারি বাওয়ারম্যান বলেন, এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল খাত হিসেবে দেখছে। তাই তাদের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় যথেষ্ট কঠিন।
নিকি স্কট পরামর্শ দেন, জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের বাইরে গিয়ে নতুন গন্তব্যগুলোকে সামনে আনা উচিত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো প্রচারণার জন্য পিছিয়ে পড়েছে। তাই এককেন্দ্রিক ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে বের হতে হবে।
সূত্র: সিএনএন

ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে। আবার অতিরিক্ত পর্যটনের বিরুদ্ধে স্পেনের রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখা গেছে। ইউরোপ ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এশিয়ার পর্যটনশিল্পও।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্যারি বাওয়ারম্যান বলছেন, বালি, কিয়োটো এবং ফুকেট পর্যটকদের নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। আসলে ভ্রমণের জায়গা কম, এমনটা নয়। সমস্যা হলো, একই সময় একই জায়গায় অতিরিক্ত পর্যটক জড়ো হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক শ্যানন ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা ভোর ৫টায় কিয়োটোর বিখ্যাত ফুশিমি ইনারি মন্দিরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভিড় কম ছিল। কিন্তু ফেরার সময় ঢল নামল পর্যটকের। হাঁটতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।’
মহামারির পর ভ্রমণের ঢল
মহামারির পর অনেকের ভ্রমণে আগ্রহ বেড়েছে। বিমান ভাড়া মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে হওয়ায় এশিয়ার পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভিয়েতনামে বিভিন্ন শহরে এখন মানুষ গিজগিজ করছে। থাইল্যান্ডে সামান্য পর্যটক কমলেও ফুকেটের জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভিড় কমছে না। যানজট, পানির সংকট এবং বর্জ্য—সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতি ও সংস্কৃতি
‘সাউথ ইস্ট এশিয়া ব্যাকপ্যাকার ম্যাগাজিন’-এর সম্পাদক নিকি স্কট বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক পরিবেশ ধ্বংস করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করছে এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।
এ ক্ষেত্রে দ্বীপ ও সৈকত এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বালিতে পানিসংকট, যানজট, প্লাস্টিকদূষণ এখন প্রতিদিনের ঘটনা। সেখানকার ধানখেত কেটে হোটেল বানানোর ফলে বন্যা আরও বেড়েছে। ফিলিপাইনের বোরাকায়ও একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ছয় মাস দ্বীপটি বন্ধ রেখে পর্যটন সংস্কার করা হয়েছিল।
কিয়োটোর সমস্যা
২০২৪ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কিয়োটো ভ্রমণ করেছে। এই বিশালসংখ্যক পর্যটক সামাল দিতে স্থানীয়দের প্রতিদিনের জীবন পড়েছে সংকটের মুখে। হাঁটার সংকীর্ণ রাস্তা কিংবা গণপরিবহন—সবই জনাকীর্ণ। জাপানের সংবাদমাধ্যম ‘ইওমিউরি শিম্বুন’-এর জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ বাসিন্দা অতিরিক্ত পর্যটন বা ওভার ট্যুরিজমে বিরক্ত। এসব কারণে স্থানীয় সরকার নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে। কিয়োটোর গিয়ন এলাকার মহল্লাগুলোর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সেখানে ছবি তুললে রাখা হয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। তবে বড় শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন।
সমাধান হলো ভ্রমণ সচেতনতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর সমাধান হলো পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট এলাকা বন্ধ রাখা। তবে বড় শহরে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। গ্যারি বাওয়ারম্যান বলেন, এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল খাত হিসেবে দেখছে। তাই তাদের পক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় যথেষ্ট কঠিন।
নিকি স্কট পরামর্শ দেন, জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের বাইরে গিয়ে নতুন গন্তব্যগুলোকে সামনে আনা উচিত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো প্রচারণার জন্য পিছিয়ে পড়েছে। তাই এককেন্দ্রিক ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে বের হতে হবে।
সূত্র: সিএনএন

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি
২৭ মে ২০২৪
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
১ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে
ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’ বলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তবে সাবধান, মুখের ওপর রাশ টানুন। আজ উল্টাপাল্টা কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করার যোগ আছে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য দারুণ কর্মযোগপূর্ণ। কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন এখন টিভির সিরিয়ালের মতো—এপিসোড কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। সাবধানে প্লেনের টিকিট কাটুন, না হলে দেখবেন ভুল করে নেপালি বাজারের বদলে নেপচুন গ্রহে চলে গেছেন! কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান পেতে পারেন, তবে সহকর্মীদের কানের কাছে গিয়ে নিজের প্রশংসা করবেন না, তারা মিষ্টি কথায় ছুরি মারতে পারে। আজ ধৈর্যই আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
মিথুন
ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা আজ কিছুটা সরল হবে, অনেকটা জ্যামিতির উপপাদ্যের মতো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা আজ ভালো রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু মনের ভেতরের অস্থিরতা আজ তুঙ্গে। কথা বলার ধরন আজ সামান্য খিটখিটে থাকতে পারে, তাই প্রতিটি শব্দের আগে মনে মনে একবার 'শান্তি, শান্তি' জপ করে নিন। কোনো তর্কে জড়াবেন না। কারণ, একবার শুরু করলে সহজে থামবেন না। আজ টাকা আসবে, তবে সেটা জলের মতো খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কর্কট
আজ বন্ধুর সাহায্যে আটকে থাকা কাজগুলো এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, বিপদের সময় যে বন্ধু সাহায্য করে, সে আপনার আসল হিতাকাঙ্ক্ষী, আর যে শুধু পার্টিতে ডাকে, সে শুধুই 'ফ্রেন্ডলিস্ট'-এর সংখ্যা। ঠিকাদারি কাজে অপ্রত্যাশিত মুনাফা বা পুরোনো বকেয়া আদায়ের সম্ভাবনা। সংবেদনশীল মন আজ আপনার সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে। বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসবেন না যেন!
সিংহ
আজ রাজার মেজাজে থাকবেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু ঘটতে পারে। বাবা বা গুরুজনের পরামর্শ আজ ওষুধের মতো কাজ করবে, যদিও সেটা গিলতে চাইবেন না। নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, তবে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচের তালিকাও লম্বা হবে। সামান্য বিষয়ে অহংকার দেখাতে যাবেন না, মনে রাখবেন, যতই সিংহ হোন না কেন, রাতের বেলা আপনাকেও মশারি টানিয়ে শুতে হয়।
কন্যা
আজ মন কিছুটা অশান্ত থাকতে পারে। শান্তি খুঁজতে বাইরে না গিয়ে বরং নিজের ভেতরের অশান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। আর যদি ভেতরের শান্তি খুঁজে না পান, তাহলে নিজের ঘরটা ঝেড়েমুছে নিন। এতে অন্তত একটা কাজ তো হবে! কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে এবং বন্ধুর কারণে সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হন, পানিবাহিত রোগ থেকে সাবধানে থাকুন। বাইরের খাবার দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, নয়তো পেট বাবাজি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় আজ অগ্রগতি হবে, যা দেখে পুরোনো ভুলগুলো মনে পড়তে পারে। অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে আজকের দিনটি নষ্ট করবেন না। চারপাশের মানুষজনের প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ কেউ কেউ বন্ধুর ছদ্মবেশে আপনার শত্রু হয়ে থাকতে পারে, যারা আপনার নতুন জামারও নিন্দা করে। অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ এলেও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা আপনাকে রক্ষা করবে। দাম্পত্য জীবনে সামান্য তর্ক হতে পারে—মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি।
বৃশ্চিক
পারিবারিক জীবনে সুখ আর অংশীদারত্বে সফলতা আসবে। আজ কোনো হারানো প্রিয় বস্তু ফিরে পেতে পারেন, হতে পারে সেটা সেই পুরোনো পেনড্রাইভ, যার ভেতরে সব গোপন ফাইল ছিল। ইচ্ছা পূরণ হলে আনন্দে আত্মহারা হবেন। কিন্তু শত্রুরা আজ বিরক্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে সেই সহকর্মীটির কাছ থেকে, যিনি কাজের চাপ কমানোর জন্য আপনার ডেস্কে মিষ্টি রেখে যান।
ধনু
আজকের দিনটি বেশ লাভজনক। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে। হয়তো কোনো সহকর্মী কফি খাওয়ানোর প্রস্তাব দেবে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ভাবনী ধারণাগুলোতে মনোযোগ দিন—হয়তো এমন কিছু আবিষ্কার করবেন, যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, ডায়েট কন্ট্রোল না করলে শরীরের ওজনের পাল্লাটা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে।
মকর
আজ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি ভালো দিন। সাধারণত কাজের গুহায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ একটু বাইরে বেরোন। মানুষের সঙ্গে মিশুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে। অতিরিক্ত একগুঁয়েমি পরিহার করুন। মাঝেমধ্যে অন্যের কথাও শুনুন, পৃথিবীটা আপনার পরিকল্পনামতো চলবে, এমন কোনো কথা নেই।
কুম্ভ
আজ আপনার সৃজনশীলতা তুঙ্গে। সম্পর্কগুলো আজ নতুন শক্তিতে ভরে উঠবে। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্টিক দিন। যাঁরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তবে একগুঁয়েমি আজ আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। ঊর্ধ্বতন বা গুরুজনদের কথা শুনুন, না হলে ট্রান্সফারের নামে আপনাকে এমন জায়গায় পাঠানো হতে পারে, যেখানে ওয়াইফাই নেই! পারিবারিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।
মীন
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আজ ভালো রোজগার হওয়ার যোগ রয়েছে, যা দেখে মুখে হাসি ফুটবে। তবে আর্থিক লেনদেনের সময় সাবধানে থাকুন। না বুঝে কোথাও টাকা ঢালবেন না। সংবেদনশীলতা আজ মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কিন্তু যেখানে সতর্কতা প্রয়োজন, সেখানে সতর্ক হন। দিনের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আজ আমি কয়টা ভুল করেছি, আর কয়টা সুস্বাদু খাবার খেয়েছি?

মেষ
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’ বলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তবে সাবধান, মুখের ওপর রাশ টানুন। আজ উল্টাপাল্টা কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করার যোগ আছে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য দারুণ কর্মযোগপূর্ণ। কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন এখন টিভির সিরিয়ালের মতো—এপিসোড কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। সাবধানে প্লেনের টিকিট কাটুন, না হলে দেখবেন ভুল করে নেপালি বাজারের বদলে নেপচুন গ্রহে চলে গেছেন! কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান পেতে পারেন, তবে সহকর্মীদের কানের কাছে গিয়ে নিজের প্রশংসা করবেন না, তারা মিষ্টি কথায় ছুরি মারতে পারে। আজ ধৈর্যই আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
মিথুন
ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা আজ কিছুটা সরল হবে, অনেকটা জ্যামিতির উপপাদ্যের মতো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা আজ ভালো রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু মনের ভেতরের অস্থিরতা আজ তুঙ্গে। কথা বলার ধরন আজ সামান্য খিটখিটে থাকতে পারে, তাই প্রতিটি শব্দের আগে মনে মনে একবার 'শান্তি, শান্তি' জপ করে নিন। কোনো তর্কে জড়াবেন না। কারণ, একবার শুরু করলে সহজে থামবেন না। আজ টাকা আসবে, তবে সেটা জলের মতো খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কর্কট
আজ বন্ধুর সাহায্যে আটকে থাকা কাজগুলো এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন, বিপদের সময় যে বন্ধু সাহায্য করে, সে আপনার আসল হিতাকাঙ্ক্ষী, আর যে শুধু পার্টিতে ডাকে, সে শুধুই 'ফ্রেন্ডলিস্ট'-এর সংখ্যা। ঠিকাদারি কাজে অপ্রত্যাশিত মুনাফা বা পুরোনো বকেয়া আদায়ের সম্ভাবনা। সংবেদনশীল মন আজ আপনার সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে। বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসবেন না যেন!
সিংহ
আজ রাজার মেজাজে থাকবেন। প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তির সাহায্যে কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু ঘটতে পারে। বাবা বা গুরুজনের পরামর্শ আজ ওষুধের মতো কাজ করবে, যদিও সেটা গিলতে চাইবেন না। নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হবে, তবে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে খরচের তালিকাও লম্বা হবে। সামান্য বিষয়ে অহংকার দেখাতে যাবেন না, মনে রাখবেন, যতই সিংহ হোন না কেন, রাতের বেলা আপনাকেও মশারি টানিয়ে শুতে হয়।
কন্যা
আজ মন কিছুটা অশান্ত থাকতে পারে। শান্তি খুঁজতে বাইরে না গিয়ে বরং নিজের ভেতরের অশান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। আর যদি ভেতরের শান্তি খুঁজে না পান, তাহলে নিজের ঘরটা ঝেড়েমুছে নিন। এতে অন্তত একটা কাজ তো হবে! কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে এবং বন্ধুর কারণে সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক বিষয়ে যত্নশীল হন, পানিবাহিত রোগ থেকে সাবধানে থাকুন। বাইরের খাবার দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, নয়তো পেট বাবাজি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় আজ অগ্রগতি হবে, যা দেখে পুরোনো ভুলগুলো মনে পড়তে পারে। অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে আজকের দিনটি নষ্ট করবেন না। চারপাশের মানুষজনের প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ কেউ কেউ বন্ধুর ছদ্মবেশে আপনার শত্রু হয়ে থাকতে পারে, যারা আপনার নতুন জামারও নিন্দা করে। অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ এলেও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা আপনাকে রক্ষা করবে। দাম্পত্য জীবনে সামান্য তর্ক হতে পারে—মনে রাখবেন, বিতর্কে জেতার চেয়ে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি।
বৃশ্চিক
পারিবারিক জীবনে সুখ আর অংশীদারত্বে সফলতা আসবে। আজ কোনো হারানো প্রিয় বস্তু ফিরে পেতে পারেন, হতে পারে সেটা সেই পুরোনো পেনড্রাইভ, যার ভেতরে সব গোপন ফাইল ছিল। ইচ্ছা পূরণ হলে আনন্দে আত্মহারা হবেন। কিন্তু শত্রুরা আজ বিরক্ত করার চেষ্টা করবে। সাবধানে থাকুন, বিশেষ করে সেই সহকর্মীটির কাছ থেকে, যিনি কাজের চাপ কমানোর জন্য আপনার ডেস্কে মিষ্টি রেখে যান।
ধনু
আজকের দিনটি বেশ লাভজনক। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে। হয়তো কোনো সহকর্মী কফি খাওয়ানোর প্রস্তাব দেবে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ভাবনী ধারণাগুলোতে মনোযোগ দিন—হয়তো এমন কিছু আবিষ্কার করবেন, যা সকালে বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, ডায়েট কন্ট্রোল না করলে শরীরের ওজনের পাল্লাটা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে।
মকর
আজ ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য একটি ভালো দিন। সাধারণত কাজের গুহায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ একটু বাইরে বেরোন। মানুষের সঙ্গে মিশুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আজ আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে। অতিরিক্ত একগুঁয়েমি পরিহার করুন। মাঝেমধ্যে অন্যের কথাও শুনুন, পৃথিবীটা আপনার পরিকল্পনামতো চলবে, এমন কোনো কথা নেই।
কুম্ভ
আজ আপনার সৃজনশীলতা তুঙ্গে। সম্পর্কগুলো আজ নতুন শক্তিতে ভরে উঠবে। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্টিক দিন। যাঁরা নতুন চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তবে একগুঁয়েমি আজ আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। ঊর্ধ্বতন বা গুরুজনদের কথা শুনুন, না হলে ট্রান্সফারের নামে আপনাকে এমন জায়গায় পাঠানো হতে পারে, যেখানে ওয়াইফাই নেই! পারিবারিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।
মীন
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আজ ভালো রোজগার হওয়ার যোগ রয়েছে, যা দেখে মুখে হাসি ফুটবে। তবে আর্থিক লেনদেনের সময় সাবধানে থাকুন। না বুঝে কোথাও টাকা ঢালবেন না। সংবেদনশীলতা আজ মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কিন্তু যেখানে সতর্কতা প্রয়োজন, সেখানে সতর্ক হন। দিনের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আজ আমি কয়টা ভুল করেছি, আর কয়টা সুস্বাদু খাবার খেয়েছি?

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি
২৭ মে ২০২৪
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৩৫ মিনিট আগে
ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে
ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২০১৮ সালে নরালি তাঁর ভূতত্ত্ববিদের চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর বাড়ি ও সব সম্পদ বিক্রি করে নেদারল্যান্ডস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন এক অনন্ত যাত্রায়। একা বাইকে চড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার। ভ্রমণ করেছেন ৮০টির বেশি দেশ। এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিল ৬টি ভিন্ন বাইক।
ভূতত্ত্ব থেকে ভ্রমণপথে
২৩ বছর বয়সে নরালি জিওকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি শুরু করার আগেই তিনি গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। ভেবেছিলেন দেশে ফিরে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রকৃতি, ভ্রমণ আর স্বাধীন জীবনযাপন তাঁকে বদলে দেয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড, এরপর ভারত ঘুরতে যান। ভারতে থাকার সময় বুঝতে পারেন, এই গতানুগতিক জীবনে থাকতে চান না তিনি। নরালি পিএইচডি বাতিল করেন এবং ঘুরতে থাকেন দেশ থেকে দেশে। কিছুদিন পর টাকার অভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। সেখানে এক খনি প্রতিষ্ঠানে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে কাজ করেন ছয় মাস। সেই অর্থ নিয়ে আবারও বেরিয়ে পড়েন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ঘুরে বেড়ান। দুই বছর পর নিঃস্ব অবস্থায় ফিরে আসেন নেদারল্যান্ডসে।
নতুন করে শুরু
দেশে ফিরে তিনি আন্তর্জাতিক একটি ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান। পরের পাঁচ বছরে কাজের সূত্রে ছিলেন বাহামা, ব্রাজিল, কুয়েত, কাজাখস্তান, মরক্কো, পানামাসহ আরও কয়েকটি দেশে। ছুটির সময়েও ভ্রমণ থেমে থাকেনি তাঁর। রাশিয়া থেকে মঙ্গোলিয়া পেরিয়ে সাইবেরিয়া এক্সপ্রেসে যাত্রা; গ্রিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন একে একে। কিন্তু অফিসের চাকরির পাশাপাশি এই খুচরা ভ্রমণে তাঁর মন ভরছিল না। তাই ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আবারও সব ছেড়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এবারের ভ্রমণ হবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
ব্যাকপ্যাকের থেকে বাইক ট্রাভেলার
প্রথমে নরালি ভেবেছিলেন, ব্লগ লিখবেন, অন্য ভ্রমণপ্রেমীদের গাইড দেবেন। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় ব্লগ ‘ইচি বুটস’। ভারত ও বাংলাদেশ ঘুরে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। উত্তর ভারতের মানালি শহরে তিনি দেখলেন, বাইক ভাড়া নেওয়া খুব সহজ ও সস্তা। আগে থেকেই বাইক চালানোর অভ্যাস ছিল তাঁর। নেদারল্যান্ডসে তিনি চালাতেন নিজের ডুকাটি মনস্টার ৭৯৬। মানালিতে ভাড়া নিলেন সাদা রয়্যাল এনফিল্ড। একাই ৩ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁর জীবন বদলে দেয়। বুঝলেন, ব্যাকপ্যাক নয়, এবার ভ্রমণ হবে বাইকে চড়ে।

বাইকে ভারত থেকে ইউরোপ
মানালি ভ্রমণের পর নরালি দিল্লি থেকে কিনলেন নতুন রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান। নাম রাখলেন বাসন্তী। সেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন ভারত থেকে মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের উদ্দেশে। ভেবেছিলেন, শুধু ব্লগ লিখবেন; কিন্তু পথচলার এই গল্প ক্যামেরায় ধারণের ইচ্ছা থেকে খুললেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইচি বুটস’। এরপর বাসন্তীকে নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লেন। ওমান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপে ফিরে গেলেন তিনি। ৮ মাসে ২৫টি দেশ ঘুরে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন, একা।
পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা
ইউরোপে ফিরে শুরু হলো তাঁর নতুন অভিযান দক্ষিণ আমেরিকার পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা পর্যন্ত। এবার সঙ্গে ছিল নতুন বাইক, ধান্ন। সেটি নিয়ে আর্জেন্টিনা, চিলি, বলিভিয়া ও পেরু ঘুরে বেড়ালেন ৫ মাসে। কিন্তু করোনার কারণে থেমে যেতে হলো। পেরুতে বাইক রেখে নেদারল্যান্ডসে ফিরতে হয় তাঁকে।

ইউরোপ ও আফ্রিকা
২০২০ সালে ইউরোপ ভ্রমণ পুনরায় শুরু হলে তিনি কিনলেন হোন্ডার সিবি৫০০এক্স। নাম দিলেন রনিন। সেই বাইকে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নরওয়ে ঘুরে এলেন। পরের শীতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। সেখানে হোন্ডা কোম্পানির আরেকটি বাইক কেনেন। নাম দেন সাভানা। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা ও জিম্বাবুয়ে ঘুরে বাইকটি দান করেন সাউথ আফ্রিকার একটি বাইক জাদুঘরে।
আবার আলাস্কা, তারপর আফ্রিকা
দুই বছর পর তিনি আবার শুরু করেন তাঁর পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা যাত্রা। এবার তিনি পৌঁছে যান আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত। এটাই ছিল তাঁর জীবনের বড় সাফল্য। ৪৩ হাজার কিলোমিটার পার করে এবার তিনি বাইকটিকে নতুন রূপে সাজালেন এবং বেরিয়ে পড়েন আফ্রিকা অভিযানে। মরক্কো, পশ্চিম আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা—সবখানেই ঘুরে বেড়ালেন। তবে তানজানিয়ায় এক দুর্ঘটনায় কাঁধ ভেঙে যায় তাঁর। তাই ভ্রমণ শেষ করতে হয় সেখানেই।
নরালি সাভেলকুলের সাম্প্রতিক ভ্রমণে তিনি ইয়ামাহা এক্সটি ৬০০জি বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এবারের গন্তব্য ইস্তাম্বুল থেকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।
সূত্র: ইচি বুটস ওয়েবসাইট

ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২০১৮ সালে নরালি তাঁর ভূতত্ত্ববিদের চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর বাড়ি ও সব সম্পদ বিক্রি করে নেদারল্যান্ডস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন এক অনন্ত যাত্রায়। একা বাইকে চড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার। ভ্রমণ করেছেন ৮০টির বেশি দেশ। এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিল ৬টি ভিন্ন বাইক।
ভূতত্ত্ব থেকে ভ্রমণপথে
২৩ বছর বয়সে নরালি জিওকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি শুরু করার আগেই তিনি গবেষণার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। ভেবেছিলেন দেশে ফিরে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রকৃতি, ভ্রমণ আর স্বাধীন জীবনযাপন তাঁকে বদলে দেয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড, এরপর ভারত ঘুরতে যান। ভারতে থাকার সময় বুঝতে পারেন, এই গতানুগতিক জীবনে থাকতে চান না তিনি। নরালি পিএইচডি বাতিল করেন এবং ঘুরতে থাকেন দেশ থেকে দেশে। কিছুদিন পর টাকার অভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। সেখানে এক খনি প্রতিষ্ঠানে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে কাজ করেন ছয় মাস। সেই অর্থ নিয়ে আবারও বেরিয়ে পড়েন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ঘুরে বেড়ান। দুই বছর পর নিঃস্ব অবস্থায় ফিরে আসেন নেদারল্যান্ডসে।
নতুন করে শুরু
দেশে ফিরে তিনি আন্তর্জাতিক একটি ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান। পরের পাঁচ বছরে কাজের সূত্রে ছিলেন বাহামা, ব্রাজিল, কুয়েত, কাজাখস্তান, মরক্কো, পানামাসহ আরও কয়েকটি দেশে। ছুটির সময়েও ভ্রমণ থেমে থাকেনি তাঁর। রাশিয়া থেকে মঙ্গোলিয়া পেরিয়ে সাইবেরিয়া এক্সপ্রেসে যাত্রা; গ্রিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন একে একে। কিন্তু অফিসের চাকরির পাশাপাশি এই খুচরা ভ্রমণে তাঁর মন ভরছিল না। তাই ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আবারও সব ছেড়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এবারের ভ্রমণ হবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
ব্যাকপ্যাকের থেকে বাইক ট্রাভেলার
প্রথমে নরালি ভেবেছিলেন, ব্লগ লিখবেন, অন্য ভ্রমণপ্রেমীদের গাইড দেবেন। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় ব্লগ ‘ইচি বুটস’। ভারত ও বাংলাদেশ ঘুরে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। উত্তর ভারতের মানালি শহরে তিনি দেখলেন, বাইক ভাড়া নেওয়া খুব সহজ ও সস্তা। আগে থেকেই বাইক চালানোর অভ্যাস ছিল তাঁর। নেদারল্যান্ডসে তিনি চালাতেন নিজের ডুকাটি মনস্টার ৭৯৬। মানালিতে ভাড়া নিলেন সাদা রয়্যাল এনফিল্ড। একাই ৩ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁর জীবন বদলে দেয়। বুঝলেন, ব্যাকপ্যাক নয়, এবার ভ্রমণ হবে বাইকে চড়ে।

বাইকে ভারত থেকে ইউরোপ
মানালি ভ্রমণের পর নরালি দিল্লি থেকে কিনলেন নতুন রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান। নাম রাখলেন বাসন্তী। সেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন ভারত থেকে মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের উদ্দেশে। ভেবেছিলেন, শুধু ব্লগ লিখবেন; কিন্তু পথচলার এই গল্প ক্যামেরায় ধারণের ইচ্ছা থেকে খুললেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইচি বুটস’। এরপর বাসন্তীকে নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লেন। ওমান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপে ফিরে গেলেন তিনি। ৮ মাসে ২৫টি দেশ ঘুরে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন, একা।
পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা
ইউরোপে ফিরে শুরু হলো তাঁর নতুন অভিযান দক্ষিণ আমেরিকার পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা পর্যন্ত। এবার সঙ্গে ছিল নতুন বাইক, ধান্ন। সেটি নিয়ে আর্জেন্টিনা, চিলি, বলিভিয়া ও পেরু ঘুরে বেড়ালেন ৫ মাসে। কিন্তু করোনার কারণে থেমে যেতে হলো। পেরুতে বাইক রেখে নেদারল্যান্ডসে ফিরতে হয় তাঁকে।

ইউরোপ ও আফ্রিকা
২০২০ সালে ইউরোপ ভ্রমণ পুনরায় শুরু হলে তিনি কিনলেন হোন্ডার সিবি৫০০এক্স। নাম দিলেন রনিন। সেই বাইকে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নরওয়ে ঘুরে এলেন। পরের শীতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। সেখানে হোন্ডা কোম্পানির আরেকটি বাইক কেনেন। নাম দেন সাভানা। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা ও জিম্বাবুয়ে ঘুরে বাইকটি দান করেন সাউথ আফ্রিকার একটি বাইক জাদুঘরে।
আবার আলাস্কা, তারপর আফ্রিকা
দুই বছর পর তিনি আবার শুরু করেন তাঁর পাটাগোনিয়া থেকে আলাস্কা যাত্রা। এবার তিনি পৌঁছে যান আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত। এটাই ছিল তাঁর জীবনের বড় সাফল্য। ৪৩ হাজার কিলোমিটার পার করে এবার তিনি বাইকটিকে নতুন রূপে সাজালেন এবং বেরিয়ে পড়েন আফ্রিকা অভিযানে। মরক্কো, পশ্চিম আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা—সবখানেই ঘুরে বেড়ালেন। তবে তানজানিয়ায় এক দুর্ঘটনায় কাঁধ ভেঙে যায় তাঁর। তাই ভ্রমণ শেষ করতে হয় সেখানেই।
নরালি সাভেলকুলের সাম্প্রতিক ভ্রমণে তিনি ইয়ামাহা এক্সটি ৬০০জি বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এবারের গন্তব্য ইস্তাম্বুল থেকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।
সূত্র: ইচি বুটস ওয়েবসাইট

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি
২৭ মে ২০২৪
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৩৫ মিনিট আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
১ ঘণ্টা আগে
ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
গন্তব্য সম্পর্কে আগেই জানুন
যে জায়গায় যাচ্ছেন, তার কিছু তথ্য আগে থেকে জেনে রাখুন। এমনকি সেখানে গিয়ে কী করতে চান, তার একটি তালিকাও বানাতে পারেন। এতে গন্তব্যে পৌঁছে সময় নষ্ট হবে না। কোথায় খাবার খাবেন, কোন দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখতে যাবেন, কোন শপিং স্পট ভালো, সব জানা থাকলে ভ্রমণ সহজ হয়।
কম প্যাকিং
কাছের গন্তব্যের ভ্রমণে জিনিস বেশি প্যাক করলে শুধু ঝামেলা বাড়ে। তাই প্যাকিং হালকা রাখুন। যতটুকু দরকার, ততটুকু নিন। ট্রাভেল সাইজ শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, লোশন ইত্যাদি নিন, তাহলে লাগেজে জায়গা বাঁচাবে।
বেছে নিন আরামদায়ক থাকার জায়গা
যেহেতু এক রাতের মতো থাকবেন, তাই সুন্দর দেখে রুম বা লাউঞ্জ নিতে পারেন। তাহলে রাতের বিশ্রামটা ভালো হবে এবং সময় কাটাতে খুব ভালো লাগবে।
বাড়তি টিপস
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ট্রিপস

ছুটির মধ্যে এক দিনের জন্য হুটহাট বেরিয়ে পড়া অনেকের জীবনযাপনের অংশ। শেষ মুহূর্তে কী নেবেন, কী রাখবেন, কোনটা আসলেই জরুরি—এসব তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রস্তুতি নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় বেশির ভাগ সময়। অথবা ভ্রমণটাই বাদ দিয়ে দিতে হয়। এমন এক দিনের ভ্রমণের কিছু কৌশল জানা থাকলে দ্বিধায় পড়তে হবে না।
গন্তব্য সম্পর্কে আগেই জানুন
যে জায়গায় যাচ্ছেন, তার কিছু তথ্য আগে থেকে জেনে রাখুন। এমনকি সেখানে গিয়ে কী করতে চান, তার একটি তালিকাও বানাতে পারেন। এতে গন্তব্যে পৌঁছে সময় নষ্ট হবে না। কোথায় খাবার খাবেন, কোন দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখতে যাবেন, কোন শপিং স্পট ভালো, সব জানা থাকলে ভ্রমণ সহজ হয়।
কম প্যাকিং
কাছের গন্তব্যের ভ্রমণে জিনিস বেশি প্যাক করলে শুধু ঝামেলা বাড়ে। তাই প্যাকিং হালকা রাখুন। যতটুকু দরকার, ততটুকু নিন। ট্রাভেল সাইজ শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, লোশন ইত্যাদি নিন, তাহলে লাগেজে জায়গা বাঁচাবে।
বেছে নিন আরামদায়ক থাকার জায়গা
যেহেতু এক রাতের মতো থাকবেন, তাই সুন্দর দেখে রুম বা লাউঞ্জ নিতে পারেন। তাহলে রাতের বিশ্রামটা ভালো হবে এবং সময় কাটাতে খুব ভালো লাগবে।
বাড়তি টিপস
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ট্রিপস

খাবারের ঐতিহ্য কোনো কোনো জনপদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে। এই যেমন চট্টগ্রামের বিস্কুট কিংবা নাটোরের কাঁচাগোল্লা অথবা মুক্তাগাছার মণ্ডা। তেমনি ঢাকা মানেই বাকরখানি। কিংবদন্তি হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগা বাঁকের আর খনি বিবির নাম, সেটাও ঢাকার প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই ঐতিহ্যে এবার মিশতে চলেছে প্রযুক্তির পানি
২৭ মে ২০২৪
ইউরোপের অনেক দেশ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম যোগ করেছে। এর কারণও আছে। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। ফলে তাঁরা পর্যটকদের ওপর বিরক্ত। এসব বিষয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন দেশে।
৩৫ মিনিট আগে
আজকে মেজাজটা যেন প্রেশার কুকার! যখন তখন ফোঁস করে উঠতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে কপাল ফিরবে, বিশেষ করে যদি কোনো বিরিয়ানি বা ফুচকার মতো খানাদানার ব্যবসা থাকে। পুরোনো বকেয়া টাকা হাতে আসতে পারে, যার মানে অবশেষে আপনি সেই বন্ধুর ধারটা শোধ করতে পারবেন, যিনি ছয় মাস ধরে আপনাকে ‘টাকাটা কবে দিবি?’
১ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণ ও বাইক চালানো—দুটি বিষয়ই বেশ উপভোগ করেন নরালি সাভেলকুল। অনেকে তাঁকে চেনেন ‘ইচি বুটস’ নামে। তিনি শুধু ভ্রমণ করেন না; বাইকে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিও তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে