অলকানন্দা রায়, ঢাকা
আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক খসখসে, প্রাণহীন। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে হলে এ সময় চাই এর ধরন বুঝে সঠিক যত্ন। ভাবনা নেই, উপায় বাতলে দিয়েছেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা রীতা।
হাতে ও পায়ের আঙুল, গোড়ালির ত্বক শুষ্কতার কারণে খসখসে মলিন হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই অবহেলা না করে নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় নয়। বরং এটি জীবন যাপনের সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই আছেন হাত পায়ের যত্ন নিয়ে পরিচ্ছন্ন থাকতে চান। কিন্তু জানেন না ঠিক কী ভাবে যত্ন নিতে হবে। তাদের জন্য রইল হাত পায়ের যত্ন নেবার বিশেষ উপায়।
শীতে রোজ গোসল করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিলে শরীর শুষ্ক হবে না এবং কোমল থাকবে। শরীর কোমল রাখতে আধাকাপ টক দই, এক টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে-পায়ে আলতো ঘষে ঘষে স্ক্রাব করতে হবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হাতের যত্ন
শীতকালে এমনিতেই হাতের অবস্থা খুব ভালো থাকে না। প্রাকৃতিক কারণেই হাতের ত্বক থাকে প্রাণহীন। এ থেকে রক্ষা পেতে চাই বিশেষ যত্ন। এ জন্য যা করতে পারেন, সেগুলো হলো,
⦁ দুই চামচ বেসন, দুই চামচ টক দই, এক চামচ চিনি, আধা চা-চামচ পাতি লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পুরো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর শুকিয়ে টান টান হয়ে এলে ধুয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিযে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে শীতে হাতের কোমলতা ধরে রাখতে হলে পানি ব্যবহারের কাজ করার পর অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
⦁ পেস্তাবাটা দুই চামচ, গুঁড়ো দুধ এক চামচ, মধু দুই চামচ, গোলাপ জল দুই চামচ একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে কনুই থেকে দুই হাতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ চালের গুঁড়ো, টক দই, মুলতানি মাটি দুই চামচ করে, কমলার খোসা গুঁড়ো এবং অলিভ অয়েল এক চামচ করে মিশিয়ে দুই হাতে লাগিয়ে নিন। তার আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন একটু বেশিই। কেননা সারা দিন ভর যত চাপ যায় তার বেশির ভাগই পড়ে পায়ের ওপর। আর কে না চায় পরিচ্ছন্ন নরম কোমল পা। পায়ের যত্নে যা ব্যবহার করতে পারেন,
একটি বড় পাত্র ভরে কুসুম গরম পানি নিন। তাতে এক চিমটি লবণ দিতে হবে, এক চা-চামচ কোমল শ্যাম্পু ও এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ওই পানিতে আধা ঘণ্টার মতো পা ডুবিয়ে রেখে পরে ঝামা দিয়ে ভালো করে পায়ের গোড়ালি ঘষতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে যাবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে লাগাতে হবে প্যাক। যেভাবে প্যাক বানাবেন,
⦁ দুই চামচ করে মুলতানি মাটি, মধু, তরমুজের রস ও ডাবের পানি একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে পুরো পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ টক দই নিতে হবে দুই চামচ, সঙ্গে অলিভ অয়েল ও চিনি এক চামচ করে এবং লবণ আধা চা-চামচ নিয়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে আলতো ভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক খসখসে, প্রাণহীন। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে হলে এ সময় চাই এর ধরন বুঝে সঠিক যত্ন। ভাবনা নেই, উপায় বাতলে দিয়েছেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা রীতা।
হাতে ও পায়ের আঙুল, গোড়ালির ত্বক শুষ্কতার কারণে খসখসে মলিন হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই অবহেলা না করে নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় নয়। বরং এটি জীবন যাপনের সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই আছেন হাত পায়ের যত্ন নিয়ে পরিচ্ছন্ন থাকতে চান। কিন্তু জানেন না ঠিক কী ভাবে যত্ন নিতে হবে। তাদের জন্য রইল হাত পায়ের যত্ন নেবার বিশেষ উপায়।
শীতে রোজ গোসল করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিলে শরীর শুষ্ক হবে না এবং কোমল থাকবে। শরীর কোমল রাখতে আধাকাপ টক দই, এক টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে-পায়ে আলতো ঘষে ঘষে স্ক্রাব করতে হবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হাতের যত্ন
শীতকালে এমনিতেই হাতের অবস্থা খুব ভালো থাকে না। প্রাকৃতিক কারণেই হাতের ত্বক থাকে প্রাণহীন। এ থেকে রক্ষা পেতে চাই বিশেষ যত্ন। এ জন্য যা করতে পারেন, সেগুলো হলো,
⦁ দুই চামচ বেসন, দুই চামচ টক দই, এক চামচ চিনি, আধা চা-চামচ পাতি লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পুরো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর শুকিয়ে টান টান হয়ে এলে ধুয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিযে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে শীতে হাতের কোমলতা ধরে রাখতে হলে পানি ব্যবহারের কাজ করার পর অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
⦁ পেস্তাবাটা দুই চামচ, গুঁড়ো দুধ এক চামচ, মধু দুই চামচ, গোলাপ জল দুই চামচ একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে কনুই থেকে দুই হাতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ চালের গুঁড়ো, টক দই, মুলতানি মাটি দুই চামচ করে, কমলার খোসা গুঁড়ো এবং অলিভ অয়েল এক চামচ করে মিশিয়ে দুই হাতে লাগিয়ে নিন। তার আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন একটু বেশিই। কেননা সারা দিন ভর যত চাপ যায় তার বেশির ভাগই পড়ে পায়ের ওপর। আর কে না চায় পরিচ্ছন্ন নরম কোমল পা। পায়ের যত্নে যা ব্যবহার করতে পারেন,
একটি বড় পাত্র ভরে কুসুম গরম পানি নিন। তাতে এক চিমটি লবণ দিতে হবে, এক চা-চামচ কোমল শ্যাম্পু ও এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ওই পানিতে আধা ঘণ্টার মতো পা ডুবিয়ে রেখে পরে ঝামা দিয়ে ভালো করে পায়ের গোড়ালি ঘষতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে যাবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে লাগাতে হবে প্যাক। যেভাবে প্যাক বানাবেন,
⦁ দুই চামচ করে মুলতানি মাটি, মধু, তরমুজের রস ও ডাবের পানি একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে পুরো পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ টক দই নিতে হবে দুই চামচ, সঙ্গে অলিভ অয়েল ও চিনি এক চামচ করে এবং লবণ আধা চা-চামচ নিয়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে আলতো ভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
চল্লিশ বছর বয়সের পর চোখের নিচে বলিরেখা দেখা, ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব আরও স্পষ্ট হতে শুরু করে। এ সময় যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, দিনের একটু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন, নিজের যত্ন নিন। খাদ্যতালিকায় শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবারকে প্রাধান্য দিন। তবেই ত্বক হাসবে নতুন করে।
৭ ঘণ্টা আগেসারা দিন হাতের ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মির প্রচণ্ড অত্যাচার চলে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে হাতের ত্বকের রং মুখের ত্বকের তুলনায় গাঢ় হয়ে যায়। প্রায় সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। ফলে পুরো দেহের ত্বকের রঙের এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
১৭ ঘণ্টা আগেনবম থেকে এগারো শতকের জাপানে ছাতা ছিল কেবল ক্ষমতাবানদের ব্যবহার্য জিনিস। তখন শাসক বা ধর্মীয় নেতাদের মাথার ওপর সম্মান ও আধ্যাত্মিক ছায়ার প্রতীক হিসেবে দীর্ঘ হাতলযুক্ত বড় ছাতা ধরা হতো। বারো শতকের পর সাধারণ মানুষও ছাতা ব্যবহার শুরু করে।
১ দিন আগেড. উইনগার্ডের মতে, মশা কাকে বেশি কামড়াবে, তার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। তবে বাকি অংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। তিনি গ্রীষ্মকালে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায় জানিয়েছেন।
১ দিন আগে