অনন্যা দাস
বোহেমিয়ান বা বোহো স্টাইল সারা বিশ্বের শিল্প-সংস্কৃতি আর শৈলী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হওয়া একটি লাইফস্টাইল। জিপসি কিংবা যাযাবর শ্রেণির জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত যে জীবনযাপন-প্রক্রিয়া, বোহো স্টাইল মূলত সেটাই। যেহেতু এর মূল বিষয় কোনো এক জায়গায় স্থির না থাকা, তাই এতে যেমন ভারতীয় প্রভাব পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে লাতিন আমেরিকার জীবনযাত্রার প্রভাবও। আবার আফ্রিকান প্রভাব থেকেও এটি মুক্ত নয়। ইউরোপিয়ান স্টাইলও এটি নিজেদের মধ্যে আত্তীকরণ করেছে। ফলে কোনো একটি নির্দিষ্ট সূত্রে বোহো স্টাইলকে বেঁধে ফেলার উপায় নেই। তবে বোহো স্টাইলের মূলমন্ত্র খুঁজতে গেলে বলতেই হবে, মিক্সিং, ম্যাচিং, লেয়ারিং ও এক্সপ্লোরিংয়ের কথা।
ভ্রমণপ্রিয়, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, অনেক জাতিসত্তার খোঁজ রাখা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জীবনযাপনে বোহেমিয়ান বা বোহো স্টাইলের ছোঁয়া পাওয়া যায় ইদানীং। এর ছাপ ফুটে উঠছে তাদের পোশাক ও অন্দরসজ্জায়।
আপনার ঘরবাড়ি বোহো স্টাইলে সাজাতে চাইলে যে জিনিসগুলো অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন:
স্টাইল হবে অরগানিক
বোহো জীবনযাত্রা মূলত প্রকৃতিঘেঁষা। তাই আপনার আবাসস্থলে প্রচুর পরিমাণে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে, থাকতে হবে গাছপালা। এর সঙ্গে গৃহসজ্জায় উজ্জ্বল রং আর জ্যামিতিক নকশার ব্যবহার ঠিকঠাকমতো করতে পারলেই আপনার ঘরের বোহো লুক তৈরি হবে।
গৃহসজ্জায় স্তরের ব্যবহার
বোহেমিয়ান স্টাইলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে বিভিন্ন রং আর নকশার স্তরের ব্যবহার। ধরুন রংচঙে ফুলতোলা নকশি কাঁথা ছোট একটা মইয়ে ঝুলিয়ে রেখে দিলেন দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে, ফ্লোরে বিছালেন জ্যামিতিক নকশার রঙিন কার্পেট, ওপর থেকে ঝুলে থাকল জমকালো পুঁতির ঝালর। এমন সব রং ও নকশার মিশ্রণে ঘরে আনা যাবে বোহো লুক।
বুননে বোহো
বোহেমিয়ান অন্দরসজ্জায় বুনন করা জিনিসের ব্যবহার লক্ষণীয়। সেটা হোক হাতে বোনা শীতল পাটি কিংবা ছোট-বড় ঝুড়ি। আবার কুরুশের নকশা করা ঝালরও হতে পারে আপনার বোহো সজ্জার অংশ।
আরামদায়ক স্টাইল
বোহেমিয়ান স্টাইলে এত এত রং, নকশা, স্তর ইত্যাদি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই। সেটা হচ্ছে গৃহসজ্জায় উষ্ণ, নিরাপদ ও আরামদায়ক একটা ছাপ আনা। তাই ঘরদোর সাজানোতে খুব বেশি গোছাল ভাব না এনে একটু ছন্নছাড়া কিন্তু স্বস্তির ভাব আনার চেষ্টা করবেন।
সাজে নিজস্বতার ছোঁয়া
বোহেমিয়ান ডিজাইন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং বৈশ্বিক শৈলীকে ধারণ করে। ঘরের শিল্প, আসবাব—সবকিছুকে আপনার ব্যক্তিগত রুচি আর ভ্রমণের গল্প বলতে দিন। দেশ-বিদেশ থেকে আনা স্যুভেনির দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুলুন। কাশ্মীরি উলের চাদর কিংবা নেপাল থেকে আনা হাতের কাজের কাঠের টেবিলখানা– সবকিছুই চমৎকার মানিয়ে যাবে বোহেমিয়ান স্টাইলের সঙ্গে। এ তো গেল বাড়িঘর সাজানোর কথা। তবে গৃহসজ্জার পাশাপাশি নিজেকেও বোহেমিয়ানরূপে সাজিয়ে তোলা যায় সহজেই।
ঢিলেঢালা পোশাক আর প্যাটার্নের ব্যবহার
একরঙা পোশাক থেকে সরে গিয়ে বাহারি প্যাটার্ন ও প্রিন্টের পোশাক পরুন। ফুলতোলা প্রিন্ট, আদিবাসী শিল্পের নকশা বা প্যাটার্ন, প্রাকৃতিক রঙের টাইডাই—এসবই বোহো স্টাইলের পোশাকের অন্তর্গত। এ ছাড়া একেবারে আঁটসাঁট ধরনের পোশাক বেছে না নিয়ে একটু আরামদায়ক ঢিলেঢালা ধরনের পোশাক ব্যবহার করুন।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
যেকোনো বোহেমিয়ান স্টাইলে অনুষঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাউস আকারের সানগ্লাস থেকে শুরু করে লম্বা পুঁতির মালা—সবই আপনাকে ফ্যাশনেবল একটি লুক এনে দেবে অনায়াসে। এ ছাড়া হাতের কাজের কাঠের, মাটির বা লেদারের গয়নাগাটি বোহো স্টাইলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
ম্যাক্সি দিয়ে ম্যাক্সিমাইজ
ম্যাক্সি স্কার্ট, ম্যাক্সি ড্রেস, প্লাজো প্যান্ট, মোটকথা লম্বা আর বড় ঘেরওয়ালা যেকোনো পোশাক বোহো স্টাইলের অংশ। লুকটাকে পূর্ণতা দিতে অবশ্যই সঙ্গে যথাযথ অনুষঙ্গ ব্যবহার করবেন।
মাটির রং
বোহো পোশাকে প্রাকৃতিক বিভিন্ন রং, বিশেষ করে মাটির রঙের ব্যবহার লক্ষণীয়। আপনি বেশি উজ্জ্বল রং পছন্দ না করলে ক্রিম, সোনালি, বাদামি, হালকা সবুজ ইত্যাদি রং বেছে নিতে
পারেন।
বেছে নিন চপ্পল
বোহো স্টাইলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, বাহারি জুতার বদলে হালকা-পাতলা ধরনের দুই ফিতাওয়ালা চপ্পলের ব্যবহার। তবে চপ্পলের নকশা ও রঙে অবশ্যই বোহেমিয়ান ছাপ থাকতে হবে।
বোহেমিয়ান বা বোহো স্টাইল সারা বিশ্বের শিল্প-সংস্কৃতি আর শৈলী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হওয়া একটি লাইফস্টাইল। জিপসি কিংবা যাযাবর শ্রেণির জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত যে জীবনযাপন-প্রক্রিয়া, বোহো স্টাইল মূলত সেটাই। যেহেতু এর মূল বিষয় কোনো এক জায়গায় স্থির না থাকা, তাই এতে যেমন ভারতীয় প্রভাব পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে লাতিন আমেরিকার জীবনযাত্রার প্রভাবও। আবার আফ্রিকান প্রভাব থেকেও এটি মুক্ত নয়। ইউরোপিয়ান স্টাইলও এটি নিজেদের মধ্যে আত্তীকরণ করেছে। ফলে কোনো একটি নির্দিষ্ট সূত্রে বোহো স্টাইলকে বেঁধে ফেলার উপায় নেই। তবে বোহো স্টাইলের মূলমন্ত্র খুঁজতে গেলে বলতেই হবে, মিক্সিং, ম্যাচিং, লেয়ারিং ও এক্সপ্লোরিংয়ের কথা।
ভ্রমণপ্রিয়, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, অনেক জাতিসত্তার খোঁজ রাখা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জীবনযাপনে বোহেমিয়ান বা বোহো স্টাইলের ছোঁয়া পাওয়া যায় ইদানীং। এর ছাপ ফুটে উঠছে তাদের পোশাক ও অন্দরসজ্জায়।
আপনার ঘরবাড়ি বোহো স্টাইলে সাজাতে চাইলে যে জিনিসগুলো অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন:
স্টাইল হবে অরগানিক
বোহো জীবনযাত্রা মূলত প্রকৃতিঘেঁষা। তাই আপনার আবাসস্থলে প্রচুর পরিমাণে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে, থাকতে হবে গাছপালা। এর সঙ্গে গৃহসজ্জায় উজ্জ্বল রং আর জ্যামিতিক নকশার ব্যবহার ঠিকঠাকমতো করতে পারলেই আপনার ঘরের বোহো লুক তৈরি হবে।
গৃহসজ্জায় স্তরের ব্যবহার
বোহেমিয়ান স্টাইলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে বিভিন্ন রং আর নকশার স্তরের ব্যবহার। ধরুন রংচঙে ফুলতোলা নকশি কাঁথা ছোট একটা মইয়ে ঝুলিয়ে রেখে দিলেন দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে, ফ্লোরে বিছালেন জ্যামিতিক নকশার রঙিন কার্পেট, ওপর থেকে ঝুলে থাকল জমকালো পুঁতির ঝালর। এমন সব রং ও নকশার মিশ্রণে ঘরে আনা যাবে বোহো লুক।
বুননে বোহো
বোহেমিয়ান অন্দরসজ্জায় বুনন করা জিনিসের ব্যবহার লক্ষণীয়। সেটা হোক হাতে বোনা শীতল পাটি কিংবা ছোট-বড় ঝুড়ি। আবার কুরুশের নকশা করা ঝালরও হতে পারে আপনার বোহো সজ্জার অংশ।
আরামদায়ক স্টাইল
বোহেমিয়ান স্টাইলে এত এত রং, নকশা, স্তর ইত্যাদি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই। সেটা হচ্ছে গৃহসজ্জায় উষ্ণ, নিরাপদ ও আরামদায়ক একটা ছাপ আনা। তাই ঘরদোর সাজানোতে খুব বেশি গোছাল ভাব না এনে একটু ছন্নছাড়া কিন্তু স্বস্তির ভাব আনার চেষ্টা করবেন।
সাজে নিজস্বতার ছোঁয়া
বোহেমিয়ান ডিজাইন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং বৈশ্বিক শৈলীকে ধারণ করে। ঘরের শিল্প, আসবাব—সবকিছুকে আপনার ব্যক্তিগত রুচি আর ভ্রমণের গল্প বলতে দিন। দেশ-বিদেশ থেকে আনা স্যুভেনির দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুলুন। কাশ্মীরি উলের চাদর কিংবা নেপাল থেকে আনা হাতের কাজের কাঠের টেবিলখানা– সবকিছুই চমৎকার মানিয়ে যাবে বোহেমিয়ান স্টাইলের সঙ্গে। এ তো গেল বাড়িঘর সাজানোর কথা। তবে গৃহসজ্জার পাশাপাশি নিজেকেও বোহেমিয়ানরূপে সাজিয়ে তোলা যায় সহজেই।
ঢিলেঢালা পোশাক আর প্যাটার্নের ব্যবহার
একরঙা পোশাক থেকে সরে গিয়ে বাহারি প্যাটার্ন ও প্রিন্টের পোশাক পরুন। ফুলতোলা প্রিন্ট, আদিবাসী শিল্পের নকশা বা প্যাটার্ন, প্রাকৃতিক রঙের টাইডাই—এসবই বোহো স্টাইলের পোশাকের অন্তর্গত। এ ছাড়া একেবারে আঁটসাঁট ধরনের পোশাক বেছে না নিয়ে একটু আরামদায়ক ঢিলেঢালা ধরনের পোশাক ব্যবহার করুন।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
যেকোনো বোহেমিয়ান স্টাইলে অনুষঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাউস আকারের সানগ্লাস থেকে শুরু করে লম্বা পুঁতির মালা—সবই আপনাকে ফ্যাশনেবল একটি লুক এনে দেবে অনায়াসে। এ ছাড়া হাতের কাজের কাঠের, মাটির বা লেদারের গয়নাগাটি বোহো স্টাইলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
ম্যাক্সি দিয়ে ম্যাক্সিমাইজ
ম্যাক্সি স্কার্ট, ম্যাক্সি ড্রেস, প্লাজো প্যান্ট, মোটকথা লম্বা আর বড় ঘেরওয়ালা যেকোনো পোশাক বোহো স্টাইলের অংশ। লুকটাকে পূর্ণতা দিতে অবশ্যই সঙ্গে যথাযথ অনুষঙ্গ ব্যবহার করবেন।
মাটির রং
বোহো পোশাকে প্রাকৃতিক বিভিন্ন রং, বিশেষ করে মাটির রঙের ব্যবহার লক্ষণীয়। আপনি বেশি উজ্জ্বল রং পছন্দ না করলে ক্রিম, সোনালি, বাদামি, হালকা সবুজ ইত্যাদি রং বেছে নিতে
পারেন।
বেছে নিন চপ্পল
বোহো স্টাইলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, বাহারি জুতার বদলে হালকা-পাতলা ধরনের দুই ফিতাওয়ালা চপ্পলের ব্যবহার। তবে চপ্পলের নকশা ও রঙে অবশ্যই বোহেমিয়ান ছাপ থাকতে হবে।
দীর্ঘ আট বছরের প্রেম এবং এক বছরের দাম্পত্য নিয়ে বেশ খুশি সোনাক্ষী-জাহির। ভক্তদেরও তাঁরা জানিয়েছেন সম্পর্ক সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখার মন্ত্র। সোনাক্ষী ও জাহিরের বিবাহবার্ষিকীতে জেনে নিতে পারেন দাম্পত্য বিষয়ে তাঁদের দেওয়া কয়েকটি টিপস।
১০ ঘণ্টা আগেইতস্তত করে হলেও স্বীকার করতেই হয়, এখনো অনেকের কাছে সৌন্দর্য মানে হলো ফরসা আর নিখুঁত ত্বক। প্রযুক্তির ঘনঘটা আর নারী স্বাধীনতার এ সময়ে এসেও পাত্রপক্ষ কনের ফরসা রঙেই বেশি মজে। ফলে নারীদের মধ্য়েও ছোটবেলা থেকে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলার কসরত চলতে থাকে।
১৯ ঘণ্টা আগেবিটরুটের সালাদ আর ভাজি তো সব সময় খাওয়া হয়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ইদানীং বিটরুটের জুসও পান করছেন। বেশ ট্রেন্ডে রয়েছে এই জুস। তবে চাইলে বিটরুট দিয়ে ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস ও ডেজার্ট তৈরি করা যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেএকজন স্বাস্থ্যবতী নারী যদি বলেন, ‘আমার যা পরতে ভালো লাগে, তা-ই পরব।’ তাহলে আশপাশে মুখ টিপে হাসার মতো মানুষের অভাব হয় না। এখন কথা হচ্ছে, প্লাস সাইজের কোনো মানুষ কি ফ্যাশন নিয়ে ভাববেন না?
১৯ ঘণ্টা আগে