মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম শর্ত হলো বসের আস্থা অর্জন করা। কাজ দিয়েই বসকে খুশি রাখা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, বস আপনার প্রতিপক্ষ নন; বরং তিনি এমন একজন, যিনি আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারেন। তাই সবকিছুই প্রফেশনালি নিতে
শিখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বসের আস্থা অর্জনের কিছু উপায় নিয়ে—
বসরা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হন
অনেক সময় বস এমন কাজ করতে বলেন, যা কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু পরে বোঝা যায়, তাঁর সিদ্ধান্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিল। তাই সব সময় বসের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। তাহলে বস আপনার বিষয়ে এমনটা ভাববেন যে আপনি কাজে ফাঁকি দেন না। কাজ করাতে গিয়ে বারবার তাগাদা দিতে হয় না।
দায়িত্বের চাপ ও আপনার ভূমিকা
একজন ম্যানেজারের অধীনে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকেন। প্রতিদিন তাঁকে মিটিং, রিপোর্ট, টিম ম্যানেজমেন্ট, বাজার পরিস্থিতি—সব সামলাতে হয়। তাই যদি একটি কাজ নিয়ে বারবার তাঁকে তাগাদা দিতে হয়, তবে সেটা তাঁর জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়ায়। তখন তিনি আপনার প্রতি বিরক্ত হবেন, যা আপনার ইমেজের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
কাজ ফেলে রাখার ভুল ধারণা
বেশির ভাগ কর্মীর ভুল ধারণা হলো, কাজ দ্রুত শেষ করলে বস আবার নতুন কাজ দেবেন। তাই কাজটি দেরি করে করেন। অথচ এতে আপনারই ক্ষতি। বরং উল্টো হওয়া উচিত। বসকে আপডেট দেওয়ার জন্য আপনিই আগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসুন। এতে তিনি মনে করবেন, আপনি দায়িত্বশীল, সময়মতো কাজ করেন এবং নির্ভরযোগ্য।
কাজ আটকে গেলে করণীয়
করপোরেট জগতে ফাইল, অ্যাপ্রুভাল বা অনুমোদন আটকে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ভুল হয় তখন, যখন কর্মীরা শুধু বসকে একটি মেসেজ দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন। যেমন ধরুন, আপনাকে যদি সেলস টিমের ইনসেনটিভ ক্যালকুলেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটি—ফরম ডেটা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফাইন্যান্স চেক, এইচ আর অনুমোদন, এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো পর্যন্ত আপনার দায়িত্ব।
নেতিবাচক মনোভাব এড়িয়ে চলুন
কিছু কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা সারাক্ষণ অসন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করেন। কোম্পানি আমাকে কিছুই দেয়নি। আমার প্রাপ্য সম্মান পাইনি। এখানে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এমন মানসিকতা শুধু আপনার কাজের মান কমায় না, আশপাশের সহকর্মীদের কাছেও নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে। ভালো না লাগলে নতুন জায়গায় চলে যান। কিন্তু যেখানে আছেন, সেখানে মন খারাপ নিয়ে কাজ করলে নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছুই হবে না।
অফিস রাজনীতি ও সম্পর্ক
কর্মক্ষেত্রে কাউকে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু তাই বলে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো বা নিন্দা করা কখনোই সমাধান নয়। কারণ, আজ আপনি কারও নামে নেতিবাচক কিছু বললেন, কাল সেই কথাই উল্টো ঘুরে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে। বরং চেষ্টা করুন সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে।
বসকে বোঝার উপায়
সব বস একই রকম নন। কারও পছন্দ প্রতিদিন আপডেট পাওয়া, আবার কেউ চান কেবল কাজের ফল। তাই প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার বস কেমন ধরনের মানুষ। তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করুন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, বসের মুখের ওপর তর্কে যাবেন না। এতে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়, যা আপনার ক্যারিয়ার উন্নতির পথে বড় বাধা হতে পারে।
নতুন কাজ হাতে নিলে করণীয়
বস নতুন কোনো কাজ দিলে প্রথমেই সেটা পরিষ্কারভাবে বুঝে নিন। তাড়াহুড়ো করে অল্প বুঝে শুরু করলে মাঝপথে ভুল হবে। কাজের মাঝখানে কোথাও আটকে গেলে শুরুতেই বসের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নিন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচবে।
কর্মক্ষেত্রে বসের আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আস্থা অর্জন মানে কেবল কাজ ভালোভাবে শেষ করা নয়; বরং দায়িত্বশীলতা, সময় ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ দক্ষতা ও ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা।
কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম শর্ত হলো বসের আস্থা অর্জন করা। কাজ দিয়েই বসকে খুশি রাখা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, বস আপনার প্রতিপক্ষ নন; বরং তিনি এমন একজন, যিনি আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারেন। তাই সবকিছুই প্রফেশনালি নিতে
শিখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বসের আস্থা অর্জনের কিছু উপায় নিয়ে—
বসরা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হন
অনেক সময় বস এমন কাজ করতে বলেন, যা কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু পরে বোঝা যায়, তাঁর সিদ্ধান্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিল। তাই সব সময় বসের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। তাহলে বস আপনার বিষয়ে এমনটা ভাববেন যে আপনি কাজে ফাঁকি দেন না। কাজ করাতে গিয়ে বারবার তাগাদা দিতে হয় না।
দায়িত্বের চাপ ও আপনার ভূমিকা
একজন ম্যানেজারের অধীনে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকেন। প্রতিদিন তাঁকে মিটিং, রিপোর্ট, টিম ম্যানেজমেন্ট, বাজার পরিস্থিতি—সব সামলাতে হয়। তাই যদি একটি কাজ নিয়ে বারবার তাঁকে তাগাদা দিতে হয়, তবে সেটা তাঁর জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়ায়। তখন তিনি আপনার প্রতি বিরক্ত হবেন, যা আপনার ইমেজের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
কাজ ফেলে রাখার ভুল ধারণা
বেশির ভাগ কর্মীর ভুল ধারণা হলো, কাজ দ্রুত শেষ করলে বস আবার নতুন কাজ দেবেন। তাই কাজটি দেরি করে করেন। অথচ এতে আপনারই ক্ষতি। বরং উল্টো হওয়া উচিত। বসকে আপডেট দেওয়ার জন্য আপনিই আগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসুন। এতে তিনি মনে করবেন, আপনি দায়িত্বশীল, সময়মতো কাজ করেন এবং নির্ভরযোগ্য।
কাজ আটকে গেলে করণীয়
করপোরেট জগতে ফাইল, অ্যাপ্রুভাল বা অনুমোদন আটকে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ভুল হয় তখন, যখন কর্মীরা শুধু বসকে একটি মেসেজ দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন। যেমন ধরুন, আপনাকে যদি সেলস টিমের ইনসেনটিভ ক্যালকুলেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটি—ফরম ডেটা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফাইন্যান্স চেক, এইচ আর অনুমোদন, এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো পর্যন্ত আপনার দায়িত্ব।
নেতিবাচক মনোভাব এড়িয়ে চলুন
কিছু কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা সারাক্ষণ অসন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করেন। কোম্পানি আমাকে কিছুই দেয়নি। আমার প্রাপ্য সম্মান পাইনি। এখানে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এমন মানসিকতা শুধু আপনার কাজের মান কমায় না, আশপাশের সহকর্মীদের কাছেও নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে। ভালো না লাগলে নতুন জায়গায় চলে যান। কিন্তু যেখানে আছেন, সেখানে মন খারাপ নিয়ে কাজ করলে নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছুই হবে না।
অফিস রাজনীতি ও সম্পর্ক
কর্মক্ষেত্রে কাউকে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু তাই বলে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো বা নিন্দা করা কখনোই সমাধান নয়। কারণ, আজ আপনি কারও নামে নেতিবাচক কিছু বললেন, কাল সেই কথাই উল্টো ঘুরে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে। বরং চেষ্টা করুন সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে।
বসকে বোঝার উপায়
সব বস একই রকম নন। কারও পছন্দ প্রতিদিন আপডেট পাওয়া, আবার কেউ চান কেবল কাজের ফল। তাই প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার বস কেমন ধরনের মানুষ। তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করুন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, বসের মুখের ওপর তর্কে যাবেন না। এতে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়, যা আপনার ক্যারিয়ার উন্নতির পথে বড় বাধা হতে পারে।
নতুন কাজ হাতে নিলে করণীয়
বস নতুন কোনো কাজ দিলে প্রথমেই সেটা পরিষ্কারভাবে বুঝে নিন। তাড়াহুড়ো করে অল্প বুঝে শুরু করলে মাঝপথে ভুল হবে। কাজের মাঝখানে কোথাও আটকে গেলে শুরুতেই বসের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নিন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচবে।
কর্মক্ষেত্রে বসের আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আস্থা অর্জন মানে কেবল কাজ ভালোভাবে শেষ করা নয়; বরং দায়িত্বশীলতা, সময় ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ দক্ষতা ও ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সুপারিশ প্রকাশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই ফল প্রকাশ করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির অধীন দপ্তরগুলোতে ৫টি শূন্য পদে ১৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০ আগস্ট থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে।
১ দিন আগেমৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৩ ধরনের শূন্য পদে ৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৭ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।
২ দিন আগেজাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৬ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৬ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে