তাসনিফ আবীদ
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এমন একজন মানুষ আছেন, যিনি না নির্বাচনে অংশ নেন, না জাতিসংঘে নিয়মিত ভাষণ দেন—তবুও তাঁর একটি সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চল কাঁপিয়ে দিতে পারে। তিনি ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি। যাঁকে বলা হয় সুপ্রিম লিডার অব ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের শাসনপদ্ধতি বেশ আলাদা। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সেখানে প্রেসিডেন্ট বা সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হলেও দেশের মূল ক্ষমতা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে রয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কে?
১৯৩৯ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের মাশহাদ শহরে এক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের ঘরে জন্ম নেওয়া আলী খামেনি নিজ শহরের ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করেন, পরে যান শিয়া মুসলিমদের পবিত্র নগরী কোমে।
১৯৬২ সালে তিনি শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির বিরুদ্ধাচরণকারী আয়াতুল্লাহ খোমেনির ধর্মীয় আন্দোলনে যোগ দেন। এর কারণে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আলী খামেনি বিপ্লবী পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হন এবং ‘ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর’ সংগঠিত করতে সহায়তা করেন। এই বিপ্লবী গার্ড ইরানের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
১৯৮১ সালে এক বোমা হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর ওপর সেই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল দেশটির বামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর। ওই হামলায় খামেনি তাঁর ডান হাতের কার্যক্ষমতা সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার দুই মাস পর একই গোষ্ঠী হত্যা করে ইরানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলী রাজাইকে।
রাজাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আলী খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আট বছর ধরে আনুষ্ঠানিক এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি।
যেভাবে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
১৯৮৯ সালের জুনে খোমেনির মৃত্যুর পর বিশেষজ্ঞ পরিষদ (ধর্মীয় আলেমদের একটি পরিষদ) আলী খামেনিকে নতুন সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। তবে খামেনি সংবিধানে নির্ধারিত শিয়া ধর্মগুরুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদমর্যাদা বা ‘গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ’ অর্জন করতে সক্ষম হননি।
পরে সংশোধন আনা হয় ইরানের সংবিধানে। সেই সংশোধনে বলা হয়, সর্বোচ্চ নেতাকে ইসলামের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং আলী খামেনি নির্বাচিত হতে পারবেন। পরে রাতারাতি তাঁকে হুজ্জাতুল ইসলাম থেকে আয়াতুল্লাহ পদে উন্নীত করা হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এমন একজন মানুষ আছেন, যিনি না নির্বাচনে অংশ নেন, না জাতিসংঘে নিয়মিত ভাষণ দেন—তবুও তাঁর একটি সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চল কাঁপিয়ে দিতে পারে। তিনি ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি। যাঁকে বলা হয় সুপ্রিম লিডার অব ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের শাসনপদ্ধতি বেশ আলাদা। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সেখানে প্রেসিডেন্ট বা সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হলেও দেশের মূল ক্ষমতা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে রয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কে?
১৯৩৯ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের মাশহাদ শহরে এক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের ঘরে জন্ম নেওয়া আলী খামেনি নিজ শহরের ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করেন, পরে যান শিয়া মুসলিমদের পবিত্র নগরী কোমে।
১৯৬২ সালে তিনি শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির বিরুদ্ধাচরণকারী আয়াতুল্লাহ খোমেনির ধর্মীয় আন্দোলনে যোগ দেন। এর কারণে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আলী খামেনি বিপ্লবী পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হন এবং ‘ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর’ সংগঠিত করতে সহায়তা করেন। এই বিপ্লবী গার্ড ইরানের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
১৯৮১ সালে এক বোমা হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর ওপর সেই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল দেশটির বামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর। ওই হামলায় খামেনি তাঁর ডান হাতের কার্যক্ষমতা সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার দুই মাস পর একই গোষ্ঠী হত্যা করে ইরানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলী রাজাইকে।
রাজাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আলী খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আট বছর ধরে আনুষ্ঠানিক এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি।
যেভাবে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
১৯৮৯ সালের জুনে খোমেনির মৃত্যুর পর বিশেষজ্ঞ পরিষদ (ধর্মীয় আলেমদের একটি পরিষদ) আলী খামেনিকে নতুন সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। তবে খামেনি সংবিধানে নির্ধারিত শিয়া ধর্মগুরুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদমর্যাদা বা ‘গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ’ অর্জন করতে সক্ষম হননি।
পরে সংশোধন আনা হয় ইরানের সংবিধানে। সেই সংশোধনে বলা হয়, সর্বোচ্চ নেতাকে ইসলামের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং আলী খামেনি নির্বাচিত হতে পারবেন। পরে রাতারাতি তাঁকে হুজ্জাতুল ইসলাম থেকে আয়াতুল্লাহ পদে উন্নীত করা হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
দেশের আকাশে আজ ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ২৭ জুন থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা করা হবে। সে হিসাবে আগামী ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে...
৩৮ মিনিট আগেমাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
৪ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ইমানের সঙ্গে মৃত্যু লাভ করা। দুনিয়ার সব অর্জন, খ্যাতি কিংবা সম্পদ মৃত্যুর পর মূল্যহীন হয়ে যায়, যদি ইমান না থাকে। একজন মোমিনের কামনা হওয়া উচিত—জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর একাত্ববাদে বিশ্বাস রেখে মৃত্যু হওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা...
৭ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চির শত্রু। প্রতিটি মুহূর্তে তার সঙ্গে শত্রুর মতোই আচরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু, অতএব তোমরাও তাকে শত্রু হিসেবেই গণ্য কর।’ (সুরা ফাতির: ৬)। যদি কোনো মোমিন বান্দা নিজের অনিয়ন্ত্রিত নফসের প্ররোচনায় গুনাহে লিপ্ত হয় এবং পরক্ষণেই নিজের কৃত ভুলের জন্য...
৮ ঘণ্টা আগে