ইসলাম ডেস্ক
মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ইমানের সঙ্গে মৃত্যু লাভ করা। দুনিয়ার সব অর্জন, খ্যাতি কিংবা সম্পদ মৃত্যুর পর মূল্যহীন হয়ে যায়, যদি ইমান না থাকে। একজন মোমিনের কামনা হওয়া উচিত—জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর একাত্ববাদে বিশ্বাস রেখে মৃত্যু হওয়া।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত, তেমন ভয় কর এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মরো না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০২)
এমন ইমানি মৃত্যুর জন্য কিছু নির্দিষ্ট আমল ও চর্চা রয়েছে, যেগুলো একজন মুসলমানকে আখিরাতে সফলতার দিকে পরিচালিত করে। নিচে সে রকম ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো—
১. কু-দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকা
চোখ পাপের প্রথম দরজা। হারাম দিকে তাকানো অন্তরকে দূষিত করে এবং ইমানকে দুর্বল করে তোলে। কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘মোমিনদের বলো, তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে।’ (সুরা নুর: ৩০)
২. নিয়মিত মিসওয়াক করা
মিসওয়াক নবীজি (সা.) -এর অত্যন্ত প্রিয় সুন্নত। এটি শুধু দাঁতের পরিচ্ছন্নতা নয়, বরং তা ইবাদতের পবিত্রতা বৃদ্ধি করে এবং ফেরেশতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।
৩. শুকরিয়া আদায় করা
আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে অন্তর নরম হয়, ইমান বৃদ্ধি পায়। কৃতজ্ঞ অন্তর সব সময় আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকে।
৪. সদকা করা
দান-সদকা গুনাহ মোচন করে, বিপদ দূর করে এবং কিয়ামতের দিন ছায়া হবে। এটি অন্তরকে নরম করে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে।
৫. নেক ব্যক্তিদের সাহচর্য
ভালো মানুষের সঙ্গ ইমান রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক। হাদিসে এসেছে, ‘মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের ওপর থাকে, তাই কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে, দেখে নিক।’ (সুনানে আবু দাউদ)
৬. আল্লাহর সঙ্গে মুহাব্বত রাখা
আল্লাহর ভালোবাসা না থাকলে ইমান পূর্ণ হয় না। এই ভালোবাসা মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করে এবং তাকে ইবাদতের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
৭. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করা
তাকওয়া এমন একটি গুণ যা ইমানের প্রাণ। যে গোপনে আল্লাহকে ভয় করে, তার অন্তর আলোকিত হয় এবং মৃত্যুতে কালিমার তৌফিক পায়।
৮. অধিক দোয়া করা
দোয়া ইমানের প্রকাশ। দোয়া করলে মানুষ সব সময় আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল থাকে। নবীজি বলেন, ‘দোয়া ইবাদতের মূল। (জামে তিরমিজি)
৯. অধিক কালিমা পাঠ করা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ—এই কালিমা মুখে ও অন্তরে যত বেশি থাকবে, মৃত্যুর সময় তা উচ্চারণ সহজ হবে। নবীজি বলেন, ‘যার শেষ কথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হবে, সে জান্নাতে যাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
১০. আজানের জবাব দেওয়া
আজান ইসলামের প্রতীক। তার জবাব দেওয়া সুন্নত এবং বরকতময়। এতে গুনাহ মাফ হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ হয়।
এই দশটি আমল একজন মুসলমানের জীবন আলোকিত করে এবং মৃত্যুকে ইমানদার বানিয়ে তোলে। প্রতিদিনের জীবনে এগুলো চর্চা করলে ইমানের ওপর অটল থাকা সহজ হয় এবং আখিরাতের মুক্তির পথ উন্মুক্ত হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমান সহকারে মৃত্যু লাভের তৌফিক দান করুন।
সূত্র: খুতুবাতে জুলফিকার–২৭ / ১৮৮-২০৬)
লেখক: রাফাত আশরাফ
শিক্ষক
মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ইমানের সঙ্গে মৃত্যু লাভ করা। দুনিয়ার সব অর্জন, খ্যাতি কিংবা সম্পদ মৃত্যুর পর মূল্যহীন হয়ে যায়, যদি ইমান না থাকে। একজন মোমিনের কামনা হওয়া উচিত—জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর একাত্ববাদে বিশ্বাস রেখে মৃত্যু হওয়া।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত, তেমন ভয় কর এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মরো না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০২)
এমন ইমানি মৃত্যুর জন্য কিছু নির্দিষ্ট আমল ও চর্চা রয়েছে, যেগুলো একজন মুসলমানকে আখিরাতে সফলতার দিকে পরিচালিত করে। নিচে সে রকম ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো—
১. কু-দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকা
চোখ পাপের প্রথম দরজা। হারাম দিকে তাকানো অন্তরকে দূষিত করে এবং ইমানকে দুর্বল করে তোলে। কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘মোমিনদের বলো, তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে।’ (সুরা নুর: ৩০)
২. নিয়মিত মিসওয়াক করা
মিসওয়াক নবীজি (সা.) -এর অত্যন্ত প্রিয় সুন্নত। এটি শুধু দাঁতের পরিচ্ছন্নতা নয়, বরং তা ইবাদতের পবিত্রতা বৃদ্ধি করে এবং ফেরেশতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।
৩. শুকরিয়া আদায় করা
আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে অন্তর নরম হয়, ইমান বৃদ্ধি পায়। কৃতজ্ঞ অন্তর সব সময় আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকে।
৪. সদকা করা
দান-সদকা গুনাহ মোচন করে, বিপদ দূর করে এবং কিয়ামতের দিন ছায়া হবে। এটি অন্তরকে নরম করে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে।
৫. নেক ব্যক্তিদের সাহচর্য
ভালো মানুষের সঙ্গ ইমান রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক। হাদিসে এসেছে, ‘মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের ওপর থাকে, তাই কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে, দেখে নিক।’ (সুনানে আবু দাউদ)
৬. আল্লাহর সঙ্গে মুহাব্বত রাখা
আল্লাহর ভালোবাসা না থাকলে ইমান পূর্ণ হয় না। এই ভালোবাসা মানুষকে পাপ থেকে রক্ষা করে এবং তাকে ইবাদতের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
৭. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করা
তাকওয়া এমন একটি গুণ যা ইমানের প্রাণ। যে গোপনে আল্লাহকে ভয় করে, তার অন্তর আলোকিত হয় এবং মৃত্যুতে কালিমার তৌফিক পায়।
৮. অধিক দোয়া করা
দোয়া ইমানের প্রকাশ। দোয়া করলে মানুষ সব সময় আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল থাকে। নবীজি বলেন, ‘দোয়া ইবাদতের মূল। (জামে তিরমিজি)
৯. অধিক কালিমা পাঠ করা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ—এই কালিমা মুখে ও অন্তরে যত বেশি থাকবে, মৃত্যুর সময় তা উচ্চারণ সহজ হবে। নবীজি বলেন, ‘যার শেষ কথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হবে, সে জান্নাতে যাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
১০. আজানের জবাব দেওয়া
আজান ইসলামের প্রতীক। তার জবাব দেওয়া সুন্নত এবং বরকতময়। এতে গুনাহ মাফ হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ হয়।
এই দশটি আমল একজন মুসলমানের জীবন আলোকিত করে এবং মৃত্যুকে ইমানদার বানিয়ে তোলে। প্রতিদিনের জীবনে এগুলো চর্চা করলে ইমানের ওপর অটল থাকা সহজ হয় এবং আখিরাতের মুক্তির পথ উন্মুক্ত হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমান সহকারে মৃত্যু লাভের তৌফিক দান করুন।
সূত্র: খুতুবাতে জুলফিকার–২৭ / ১৮৮-২০৬)
লেখক: রাফাত আশরাফ
শিক্ষক
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে