ইসলাম ডেস্ক
দ্বিতীয় হিজরিতে কোরবানির বিধান আসার পর থেকে যত বছর আল্লাহর নবী (সা.) জীবিত ছিলেন, প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছেন। নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিরাও এই ইবাদতে খুব যত্নশীল ছিলেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) দুটি ভেড়া কোরবানি দিতেন। আর আমিও দুটি ভেড়া কোরবানি দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৩)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোরবানি করতে ইচ্ছা করতেন—চিত্রবিচিত্র, শিংবিশিষ্ট, মোটাতাজা দুটি খাসি-ভেড়া কোরবানি দিতেন। এর একটি তিনি ওই সব উম্মতের জন্য কোরবানি করতেন, যারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেবে ও তার দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করবে। অন্যটি তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে দিতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
ইসলামে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর কোরবানির পশু মহান আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। তাই কোরবানির পশুর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর সঙ্গে সদাচার করা আবশ্যক। পশুর খাবার-পানীয় ঠিকমতো পরিবেশন করতে হবে। হাট থেকে বাড়িতে আনার সময় যেভাবে আনলে কষ্ট হবে না, সেভাবে আনতে হবে। কোনো প্রকার আঘাত করা যাবে না।
কোরবানির পশু জবাইকালে উত্তম পদ্ধতি অবলম্বনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়। যেমন, জবাই করার সময় ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে এবং জবাইয়ের পর চামড়া ছিলে নেওয়ার আগে স্বাভাবিকভাবে পশুর প্রাণ বের হওয়া পর্যন্ত সময় দিতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব জিনিস উত্তম পদ্ধতিতে করার বিধান দিয়েছেন। সুতরাং যখন তুমি জবাই করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করবে। জবাইয়ের বস্তু ভালোভাবে ধার দিয়ে নেবে আর পশুটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রাণ বের হওয়ার সুযোগ দেবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৫)।
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (কোরবানির আগে) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে (যাতে পশু বেশি কষ্ট না পায়)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৭২)
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় হিজরিতে কোরবানির বিধান আসার পর থেকে যত বছর আল্লাহর নবী (সা.) জীবিত ছিলেন, প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছেন। নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিরাও এই ইবাদতে খুব যত্নশীল ছিলেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) দুটি ভেড়া কোরবানি দিতেন। আর আমিও দুটি ভেড়া কোরবানি দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৩)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোরবানি করতে ইচ্ছা করতেন—চিত্রবিচিত্র, শিংবিশিষ্ট, মোটাতাজা দুটি খাসি-ভেড়া কোরবানি দিতেন। এর একটি তিনি ওই সব উম্মতের জন্য কোরবানি করতেন, যারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেবে ও তার দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করবে। অন্যটি তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে দিতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
ইসলামে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর কোরবানির পশু মহান আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। তাই কোরবানির পশুর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর সঙ্গে সদাচার করা আবশ্যক। পশুর খাবার-পানীয় ঠিকমতো পরিবেশন করতে হবে। হাট থেকে বাড়িতে আনার সময় যেভাবে আনলে কষ্ট হবে না, সেভাবে আনতে হবে। কোনো প্রকার আঘাত করা যাবে না।
কোরবানির পশু জবাইকালে উত্তম পদ্ধতি অবলম্বনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়। যেমন, জবাই করার সময় ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে এবং জবাইয়ের পর চামড়া ছিলে নেওয়ার আগে স্বাভাবিকভাবে পশুর প্রাণ বের হওয়া পর্যন্ত সময় দিতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব জিনিস উত্তম পদ্ধতিতে করার বিধান দিয়েছেন। সুতরাং যখন তুমি জবাই করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করবে। জবাইয়ের বস্তু ভালোভাবে ধার দিয়ে নেবে আর পশুটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রাণ বের হওয়ার সুযোগ দেবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৯৫৫)।
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (কোরবানির আগে) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে (যাতে পশু বেশি কষ্ট না পায়)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৭২)
আরও পড়ুন:
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে