তানবিরুল হক আবিদ
নবী আদম (আ.)-এর যুগ থেকেই কোরবানির বিধান চলে আসছে। সব নবীর যুগেই এই বিধান ছিল বলে ইসলামবিষয়ক গবেষকগণ মত দেন। এই বিধানের ধারাবাহিকতা চলে আসছে কাল-মহাকাল ধরে।
কোরবানির আমলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় পড়েন হজরত ইবরাহিম (আ.)। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে স্বপ্নে আদিষ্ট হন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে। উট, মেষ কোরবানে দেওয়ার পরও যখন একই স্বপ্ন বারবার দেখতে থাকেন—আল্লাহর মর্জি তখন তাঁর বুঝতে বাকি থাকে না।
আল্লাহ চান তাঁর কলিজার টুকরা সন্তানের কোরবানি। রবের সন্তুষ্টি চিত্তে সন্তান কোরবানি দেওয়ার সব বন্দোবস্ত করেন নবী ইবরাহিম (আ.)। কিন্তু আল্লাহ চেয়েছিলেন রবের প্রতি তাঁর ত্যাগের পরীক্ষা করতে। ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে কোরবানি হয় জান্নাতি দুম্বা।
ক্রমান্বয়ে ইসলামের বিধানেও যুক্ত হয় কোরবানি। সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক। তবে যে পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া হবে, তা ইসলামের শর্ত অনুযায়ী কিছু ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে।
কোরবানির পশুর বর্ণনা দিতে গিয়ে সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শিংবিশিষ্ট ও মোটাতাজা একটি মেষ কোরবানি করেছেন। এর চেহারা, পা ও চোখ ছিল মিটমিটে কালো। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৮)
পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না—
হজরত আলী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের কোরবানির পশুর চোখ ও কান সুস্থ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার আদেশ করেছেন। (জামে তিরমিজি: ১৫০৩)
অন্য বর্ণনায় বিষয়টি এসেছে এভাবে, জনৈক ব্যক্তি আলী (রা.)-কে কোরবানির গরু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাতজন ব্যক্তি পর্যন্ত একটি গরুতে অংশীদার হওয়া যায়। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, শিং ভাঙা হলে? আলী (রা.) বললেন, সমস্যা নেই।
ওই ব্যক্তি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আরজা (খোঁড়া) হলে? তিনি বললেন, জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারলে তা জবাই কর। আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের কোরবানির পশুর চোখ ও কান সুস্থ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার আদেশ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ: ৭৩৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নবী আদম (আ.)-এর যুগ থেকেই কোরবানির বিধান চলে আসছে। সব নবীর যুগেই এই বিধান ছিল বলে ইসলামবিষয়ক গবেষকগণ মত দেন। এই বিধানের ধারাবাহিকতা চলে আসছে কাল-মহাকাল ধরে।
কোরবানির আমলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় পড়েন হজরত ইবরাহিম (আ.)। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে স্বপ্নে আদিষ্ট হন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে। উট, মেষ কোরবানে দেওয়ার পরও যখন একই স্বপ্ন বারবার দেখতে থাকেন—আল্লাহর মর্জি তখন তাঁর বুঝতে বাকি থাকে না।
আল্লাহ চান তাঁর কলিজার টুকরা সন্তানের কোরবানি। রবের সন্তুষ্টি চিত্তে সন্তান কোরবানি দেওয়ার সব বন্দোবস্ত করেন নবী ইবরাহিম (আ.)। কিন্তু আল্লাহ চেয়েছিলেন রবের প্রতি তাঁর ত্যাগের পরীক্ষা করতে। ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে কোরবানি হয় জান্নাতি দুম্বা।
ক্রমান্বয়ে ইসলামের বিধানেও যুক্ত হয় কোরবানি। সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক। তবে যে পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া হবে, তা ইসলামের শর্ত অনুযায়ী কিছু ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে।
কোরবানির পশুর বর্ণনা দিতে গিয়ে সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শিংবিশিষ্ট ও মোটাতাজা একটি মেষ কোরবানি করেছেন। এর চেহারা, পা ও চোখ ছিল মিটমিটে কালো। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৮)
পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না—
হজরত আলী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের কোরবানির পশুর চোখ ও কান সুস্থ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার আদেশ করেছেন। (জামে তিরমিজি: ১৫০৩)
অন্য বর্ণনায় বিষয়টি এসেছে এভাবে, জনৈক ব্যক্তি আলী (রা.)-কে কোরবানির গরু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাতজন ব্যক্তি পর্যন্ত একটি গরুতে অংশীদার হওয়া যায়। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, শিং ভাঙা হলে? আলী (রা.) বললেন, সমস্যা নেই।
ওই ব্যক্তি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আরজা (খোঁড়া) হলে? তিনি বললেন, জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারলে তা জবাই কর। আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের কোরবানির পশুর চোখ ও কান সুস্থ হওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার আদেশ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ: ৭৩৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১১ মিনিট আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৭ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১ দিন আগে