ইসলাম ডেস্ক
গিবত মানে হলো পরনিন্দা। সাধারণত কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষগুলো অন্যের কাছে উপস্থাপন করা হলো পরনিন্দা। ইসলামের দৃষ্টিতে এই পরনিন্দা বা গিবত মারাত্মক পাপ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে গিবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো গিবত কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই অধিক ভালো জানেন।’
নবীজি বললেন, ‘তোমার ভাই তার সম্পর্কে যে কথা অপছন্দ করে সে কথা বলার নাম গিবত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে?’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবেই তুমি তার গিবত করলে। আর যদি না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে অপবাদ দিলে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ৪৮২৮)
পবিত্র কোরআনে গিবতকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মোমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
গিবত সমাজে বিভাজন তৈরি করে। গিবতকারী দুনিয়াতেই অপদস্থ হবে বলে নবী করিম (সা.) সতর্ক করেছেন। হজরত আবু বারজা আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে সেসব লোক; যারা কেবল মুখেই ইমান এনেছে কিন্তু ইমান অন্তরে প্রবেশ করেনি, তোমরা মুসলমানদের গিবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারও দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৮০)।
লেখক: মোহাম্মদ সাইফুল মিয়া
ইসলামবিষয়ক গবেষক
গিবত মানে হলো পরনিন্দা। সাধারণত কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষগুলো অন্যের কাছে উপস্থাপন করা হলো পরনিন্দা। ইসলামের দৃষ্টিতে এই পরনিন্দা বা গিবত মারাত্মক পাপ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে গিবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো গিবত কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই অধিক ভালো জানেন।’
নবীজি বললেন, ‘তোমার ভাই তার সম্পর্কে যে কথা অপছন্দ করে সে কথা বলার নাম গিবত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে?’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবেই তুমি তার গিবত করলে। আর যদি না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে অপবাদ দিলে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ৪৮২৮)
পবিত্র কোরআনে গিবতকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মোমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
গিবত সমাজে বিভাজন তৈরি করে। গিবতকারী দুনিয়াতেই অপদস্থ হবে বলে নবী করিম (সা.) সতর্ক করেছেন। হজরত আবু বারজা আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে সেসব লোক; যারা কেবল মুখেই ইমান এনেছে কিন্তু ইমান অন্তরে প্রবেশ করেনি, তোমরা মুসলমানদের গিবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারও দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৮০)।
লেখক: মোহাম্মদ সাইফুল মিয়া
ইসলামবিষয়ক গবেষক
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১০ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১১ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৮ ঘণ্টা আগে