হুসাইন আহমদ
মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। ইসলামের বিশ্বাসমতে, মৃত্যুর পরে রয়েছে এক অনন্ত জীবন। এই জীবন রাঙাতে হলে প্রয়োজন পরকালে বিশ্বাস এবং সেই জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। মহান আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করতে পারলেই পরকাল সাফল্যমণ্ডিত হবে। তাই মৃত্যুর আগেই মানুষের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা উচিত। মৃত্যু যাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে, তেমনই কিছু ব্যক্তির কথা এখানে বলা হলো—
এক. ইমানদার: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, এরপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে—তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হইয়ো না এবং তোমরা প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩০) হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩১১৬)
দুই. শহীদ: আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের তোমরা কখনো মৃত বোলো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার কাছে জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত। আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদ্যাপন করছে। আর যারা এখনো তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি, তাদের পেছনে তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই এবং কোনো চিন্তাভাবনা নেই।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
তিন. সৎকর্মশীল: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দার কল্যাণ চান, তখন তাকে (ভালো) কাজে লাগান।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘কীভাবে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে (ভালো) কাজে লাগান?’ তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে তাকে ভালো কাজ করার তাওফিক দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১১৬২৫)
লেখক: হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। ইসলামের বিশ্বাসমতে, মৃত্যুর পরে রয়েছে এক অনন্ত জীবন। এই জীবন রাঙাতে হলে প্রয়োজন পরকালে বিশ্বাস এবং সেই জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। মহান আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করতে পারলেই পরকাল সাফল্যমণ্ডিত হবে। তাই মৃত্যুর আগেই মানুষের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা উচিত। মৃত্যু যাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে, তেমনই কিছু ব্যক্তির কথা এখানে বলা হলো—
এক. ইমানদার: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, এরপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে—তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হইয়ো না এবং তোমরা প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩০) হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩১১৬)
দুই. শহীদ: আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের তোমরা কখনো মৃত বোলো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার কাছে জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত। আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদ্যাপন করছে। আর যারা এখনো তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি, তাদের পেছনে তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই এবং কোনো চিন্তাভাবনা নেই।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
তিন. সৎকর্মশীল: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দার কল্যাণ চান, তখন তাকে (ভালো) কাজে লাগান।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘কীভাবে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে (ভালো) কাজে লাগান?’ তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে তাকে ভালো কাজ করার তাওফিক দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১১৬২৫)
লেখক: হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে