ইসলাম ডেস্ক
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) নিজের প্রতিটি কাজে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন এবং অন্যদেরও এর প্রতি উৎসাহিত করতেন।
হজরত আলী (রা.) একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যদি আমরা এমন কোনো সমস্যায় পড়ি, যার সমাধান কোরআন ও হাদিসে সরাসরি নেই, তখন আমরা কী করব?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে পরামর্শ করে কাজ করবে।’ পরামর্শের এ গুরুত্ব তুলে ধরে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আর কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। এরপর যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১৫৯)
রাসুল (সা.)-এর পরামর্শের এই রীতিতে আমরা দেখতে পাই, কোনো বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি সবার মতামতকে প্রাধান্য দিতেন। এর ফলস্বরূপ, তাঁর নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত সাহাবিদের কাছে ছিল অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য।
ইসলামে পরামর্শের একটি সুন্দর রীতি রয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ সবাই অজু করে বসবেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হবে। এরপর সবাই দরুদ ও মাসনুন দোয়া পাঠ করবেন। দায়িত্বশীল ব্যক্তি ডান দিক থেকে সবার মতামত নিতে শুরু করবেন। এ পদ্ধতিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে সাধারণত ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে, কারণ একটি মাথার চিন্তার চেয়ে একাধিক মাথার সম্মিলিত চিন্তা নিঃসন্দেহে বেশি কার্যকর ও শক্তিশালী হয়। এটি কঠিন সমস্যাকেও সহজে সমাধান করতে সাহায্য করে।
তাই আমাদের বাস্তব জীবনে, ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উভয় ক্ষেত্রেই পরামর্শভিত্তিক কাজ করা উচিত। এতে শুধু সঠিক সিদ্ধান্তই নয়; বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতিও বৃদ্ধি পায়। পরামর্শের মাধ্যমে কাজ করলে আল্লাহ তাআলার বিশেষ সাহায্য লাভ করা যায় এবং যেকোনো কাজে সাফল্য আসে সহজভাবে।
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) নিজের প্রতিটি কাজে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন এবং অন্যদেরও এর প্রতি উৎসাহিত করতেন।
হজরত আলী (রা.) একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যদি আমরা এমন কোনো সমস্যায় পড়ি, যার সমাধান কোরআন ও হাদিসে সরাসরি নেই, তখন আমরা কী করব?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে পরামর্শ করে কাজ করবে।’ পরামর্শের এ গুরুত্ব তুলে ধরে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আর কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। এরপর যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১৫৯)
রাসুল (সা.)-এর পরামর্শের এই রীতিতে আমরা দেখতে পাই, কোনো বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি সবার মতামতকে প্রাধান্য দিতেন। এর ফলস্বরূপ, তাঁর নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত সাহাবিদের কাছে ছিল অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য।
ইসলামে পরামর্শের একটি সুন্দর রীতি রয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ সবাই অজু করে বসবেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হবে। এরপর সবাই দরুদ ও মাসনুন দোয়া পাঠ করবেন। দায়িত্বশীল ব্যক্তি ডান দিক থেকে সবার মতামত নিতে শুরু করবেন। এ পদ্ধতিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে সাধারণত ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে, কারণ একটি মাথার চিন্তার চেয়ে একাধিক মাথার সম্মিলিত চিন্তা নিঃসন্দেহে বেশি কার্যকর ও শক্তিশালী হয়। এটি কঠিন সমস্যাকেও সহজে সমাধান করতে সাহায্য করে।
তাই আমাদের বাস্তব জীবনে, ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উভয় ক্ষেত্রেই পরামর্শভিত্তিক কাজ করা উচিত। এতে শুধু সঠিক সিদ্ধান্তই নয়; বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতিও বৃদ্ধি পায়। পরামর্শের মাধ্যমে কাজ করলে আল্লাহ তাআলার বিশেষ সাহায্য লাভ করা যায় এবং যেকোনো কাজে সাফল্য আসে সহজভাবে।
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ দিন আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
১ দিন আগে