রায়হান রাশেদ
পারিবারিক জীবনে সুখ, শান্তি ও কল্যাণ পেতে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আন্তরিকতা ও ভালোবাসা প্রয়োজন। তাদের সম্পর্ক যত উত্তম ও মধুর হবে, দাম্পত্য জীবনে সুখ ও শান্তি তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামীর পাশাপাশি স্ত্রীর বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এখানে তেমনই কয়েকটি দায়িত্বের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. যথাযথ সম্মান: হাদিসে স্বামীকে সম্মান করা স্ত্রীর দায়িত্ব। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যদি (আল্লাহ ছাড়া) অন্য কাউকে সিজদা করার হুকুম দিতাম, তবে স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার হুকুম দিতাম।’ (তিরমিজি: ১১৫৯) একজন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব ও সম্মান দেওয়ার জন্য এ হাদিসটাই যথেষ্ট।
দুই. আদেশ পালন: স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর জন্য আবশ্যক। তার বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব। স্বামীর আদেশ পালনে সওয়াব রয়েছে। তার আদেশ অমান্য করা গুনাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘স্বামী যখন তার প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকে, সে যেন অবশ্যই তার কাছে আসে, যদিও সে রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকুক।’ (তিরমিজি: ১১৬০)
তিন. চরিত্রের সুরক্ষা করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে তাকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৬৬১)
এ ছাড়া সংসারের দেখাশোনা করা, স্বামীর সম্পদ হেফাজত করা এবং সন্তান প্রতিপালন করাও স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পারিবারিক জীবনে সুখ, শান্তি ও কল্যাণ পেতে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আন্তরিকতা ও ভালোবাসা প্রয়োজন। তাদের সম্পর্ক যত উত্তম ও মধুর হবে, দাম্পত্য জীবনে সুখ ও শান্তি তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামীর পাশাপাশি স্ত্রীর বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এখানে তেমনই কয়েকটি দায়িত্বের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. যথাযথ সম্মান: হাদিসে স্বামীকে সম্মান করা স্ত্রীর দায়িত্ব। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যদি (আল্লাহ ছাড়া) অন্য কাউকে সিজদা করার হুকুম দিতাম, তবে স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার হুকুম দিতাম।’ (তিরমিজি: ১১৫৯) একজন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব ও সম্মান দেওয়ার জন্য এ হাদিসটাই যথেষ্ট।
দুই. আদেশ পালন: স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর জন্য আবশ্যক। তার বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব। স্বামীর আদেশ পালনে সওয়াব রয়েছে। তার আদেশ অমান্য করা গুনাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘স্বামী যখন তার প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকে, সে যেন অবশ্যই তার কাছে আসে, যদিও সে রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকুক।’ (তিরমিজি: ১১৬০)
তিন. চরিত্রের সুরক্ষা করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে তাকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৬৬১)
এ ছাড়া সংসারের দেখাশোনা করা, স্বামীর সম্পদ হেফাজত করা এবং সন্তান প্রতিপালন করাও স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের ইতিহাসের এক গভীর শোকের মাস হলো মহররম। এই মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ মুসলিম জাতির হৃদয়ে বহন করে এক গাঢ় স্মৃতি, করুণ ইতিহাস ও চেতনার মশাল। আর এই দিনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন ইবনে আলী (রা.)-এর শাহাদাত। মহররম, আশুরা ও কারবালা—এই তিনটি শব্দ যেন ত্যাগ, সত্য এবং
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সভ্য জাতির মধ্যে পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশার্থে কোনো কোনো বাক্য আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তুলনা করলে দেখা যাবে যে ইসলামের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো জাতির অভিবাদন ততটুকু নয়। কেননা, এতে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ করা হয় না...
১৪ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হোন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বিবেক সম্পন্ন মানুষজন সত্যপথ চিনতে পারে। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে শুরু করে। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মানুষের সঠিক পথে আসার বিষয়টি মক্কার কাফেররা...
১৫ ঘণ্টা আগেজান্নাত কেবল এক কল্পনার জগৎ নয়, বরং পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুত এক বাস্তব পুরস্কার—যা তিনি প্রস্তুত রেখেছেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য। এই জান্নাত কোনো সাধারণ বসতবাড়ি নয়, এটি এমন এক শান্তিময় আবাস—যেখানে নেই দুঃখ-কষ্ট, হিংসা কিংবা মৃত্যু। তবে এই জান্নাতের অধিকারী হবেন কারা?
১৫ ঘণ্টা আগে