ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ দুনিয়ায় আসে অল্প সময়ের জন্য—শূন্য হাতে জন্ম, শূন্য হাতেই বিদায়। জন্ম যাত্রার সূচনা, মৃত্যু তার অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা—মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারে না। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাকে ধরবেই।’ (সুরা নিসা: ৭৮)
জীবনের উদ্দেশ্য
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬)। ইবাদত শুধু নামাজ, রোজা নয়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ মানাই প্রকৃত ইবাদত।
মৃত্যুর স্মরণ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বেশি বেশি মৃত্যু স্মরণ করো, যা আনন্দ বিনাশী।’ (জামে তিরমিজি ২৩০৭)
মৃত্যু স্মরণ অহংকার কমায়, পাপ থেকে বিরত রাখে, নেক আমলের তাগিদ দেয়। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে সকাল পর্যন্ত জীবিত থাকার আশা করো না।’ (সহিহ্ বুখারি ৬৪১৬)
মৃত্যুর পরের ধাপসমূহ
আল্লাহ বলেন, ‘যে সামান্যতম সৎকর্ম করবে, সে তা দেখবে; আর যে সামান্যতম অসৎকর্ম করবে, সে তা দেখবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
প্রস্তুতির ধাপ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান সেই, যে নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৫৯)
মৃত্যুর মুহূর্ত
মুমিনের মৃত্যু শান্তিময়, ফেরেশতারা জান্নাতের সুসংবাদ দেয়—‘হে প্রশান্ত প্রাণ! তুমি তোমার প্রভুর দিকে ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষজনক অবস্থায়। (সুরা ফজর: ২৭-২৮)। কিন্তু কাফেরের মৃত্যু কষ্টদায়ক, ভয় ও যন্ত্রণায় পূর্ণ।
চলমান সওয়াব
রাসুল সা. বলেন, ‘মানুষ মারা গেলে তার সব আমল বন্ধ হয়, তবে তিনটি চলমান থাকে—সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান, নেক সন্তান।’ (সহিহ্ মুসলিম ১৬৩১)
জীবন একটি অস্থায়ী সফর, মৃত্যু অবধারিত, আখিরাত চিরস্থায়ী। সফল সেই, যে আল্লাহর আদেশ মেনে চলে, রাসুলের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে এবং মৃত্যুর আগে প্রস্তুতি নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে আল্লাহর দিকে ফিরে যায় এবং সৎকর্ম করে, তার জন্যই সর্বোত্তম পরিণতি।’ (সুরা কাসাস: ৬৭)
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ দুনিয়ায় আসে অল্প সময়ের জন্য—শূন্য হাতে জন্ম, শূন্য হাতেই বিদায়। জন্ম যাত্রার সূচনা, মৃত্যু তার অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা—মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারে না। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাকে ধরবেই।’ (সুরা নিসা: ৭৮)
জীবনের উদ্দেশ্য
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬)। ইবাদত শুধু নামাজ, রোজা নয়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ মানাই প্রকৃত ইবাদত।
মৃত্যুর স্মরণ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বেশি বেশি মৃত্যু স্মরণ করো, যা আনন্দ বিনাশী।’ (জামে তিরমিজি ২৩০৭)
মৃত্যু স্মরণ অহংকার কমায়, পাপ থেকে বিরত রাখে, নেক আমলের তাগিদ দেয়। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে সকাল পর্যন্ত জীবিত থাকার আশা করো না।’ (সহিহ্ বুখারি ৬৪১৬)
মৃত্যুর পরের ধাপসমূহ
আল্লাহ বলেন, ‘যে সামান্যতম সৎকর্ম করবে, সে তা দেখবে; আর যে সামান্যতম অসৎকর্ম করবে, সে তা দেখবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
প্রস্তুতির ধাপ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান সেই, যে নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৫৯)
মৃত্যুর মুহূর্ত
মুমিনের মৃত্যু শান্তিময়, ফেরেশতারা জান্নাতের সুসংবাদ দেয়—‘হে প্রশান্ত প্রাণ! তুমি তোমার প্রভুর দিকে ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষজনক অবস্থায়। (সুরা ফজর: ২৭-২৮)। কিন্তু কাফেরের মৃত্যু কষ্টদায়ক, ভয় ও যন্ত্রণায় পূর্ণ।
চলমান সওয়াব
রাসুল সা. বলেন, ‘মানুষ মারা গেলে তার সব আমল বন্ধ হয়, তবে তিনটি চলমান থাকে—সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান, নেক সন্তান।’ (সহিহ্ মুসলিম ১৬৩১)
জীবন একটি অস্থায়ী সফর, মৃত্যু অবধারিত, আখিরাত চিরস্থায়ী। সফল সেই, যে আল্লাহর আদেশ মেনে চলে, রাসুলের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে এবং মৃত্যুর আগে প্রস্তুতি নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে আল্লাহর দিকে ফিরে যায় এবং সৎকর্ম করে, তার জন্যই সর্বোত্তম পরিণতি।’ (সুরা কাসাস: ৬৭)
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই দিনের বেলায় নানা কাজ শেষে রাতে মানুষ বিশ্রাম নেয়। প্রশান্তিময় বিশ্রামের সর্বোত্তম উপায় হলো ঘুম। তবে শোয়ার আগে শরীর ও মনকে পবিত্র করে নেওয়া উচিত।
১০ ঘণ্টা আগেশান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
২ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
২ দিন আগে