মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অন্যায় ও গুনাহগুলোর মধ্যে অন্যতম গুনাহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা। মানুষের সম্মান ও নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। যে বা যারা মানুষ হত্যা করে, কিংবা যাদের ইন্ধনে মানুষ হত্যা করা হয়, পরকালে তাদের কঠিন শাস্তির কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এ কারণেই আমি বনি ইসরাইলের প্রতি বিধান দিয়েছিলাম, কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে ব্যক্তি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।’ (সুরা নিসা: ৯৩)
অন্য এক আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন তাকে হত্যা করো না, তবে (শরিয়ত অনুযায়ী) তোমরা তার অধিকার লাভ করলে ভিন্ন কথা। যাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, আমি তার অলিকে (কিসাস গ্রহণের) অধিকার দিয়েছি। সুতরাং সে যেন হত্যাকার্যে সীমা লঙ্ঘন না করে।...’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় গুনাহ চারটি। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কাউকে শরিক করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারি: ৬৮৭১) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বিচার হবে রক্তের।’ (বুখারি: ৬৫৩৩)
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অন্যায় ও গুনাহগুলোর মধ্যে অন্যতম গুনাহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা। মানুষের সম্মান ও নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। যে বা যারা মানুষ হত্যা করে, কিংবা যাদের ইন্ধনে মানুষ হত্যা করা হয়, পরকালে তাদের কঠিন শাস্তির কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এ কারণেই আমি বনি ইসরাইলের প্রতি বিধান দিয়েছিলাম, কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে ব্যক্তি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।’ (সুরা নিসা: ৯৩)
অন্য এক আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন তাকে হত্যা করো না, তবে (শরিয়ত অনুযায়ী) তোমরা তার অধিকার লাভ করলে ভিন্ন কথা। যাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, আমি তার অলিকে (কিসাস গ্রহণের) অধিকার দিয়েছি। সুতরাং সে যেন হত্যাকার্যে সীমা লঙ্ঘন না করে।...’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় গুনাহ চারটি। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কাউকে শরিক করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারি: ৬৮৭১) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বিচার হবে রক্তের।’ (বুখারি: ৬৫৩৩)
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ দিন আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগে