আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে