ইসলাম ডেস্ক
মিরাজ মহানবী (সা.)-এর জীবনের অন্যতম সেরা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মিরাজের রাতের আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে তাঁর অসংখ্য নিদর্শন দেখিয়েছেন। অদৃশ্য জগতের অনেক কিছুই তাঁকে নিজ চোখে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সফরে মহানবী (সা.) কয়েক শ্রেণির মানুষের ভয়ংকর পরিণতি দেখেছেন। তাদের কঠিন সাজার দৃশ্য তাঁকে দেখানো হয়েছে। হাদিসের আলোকে তেমনই কিছু মানুষের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. নামাজে অবহেলাকারী
হাদিসে এসেছে, মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণের সময় মহানবী (সা.) দেখলেন, কিছু মানুষের মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে। যতবারই থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে, ততবারই সেগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এভাবে অবিরাম তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। নবী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই জিবরাইল, এরা কারা? তাদের পেশা কী ছিল? কেন তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?’ জবাবে জিবরাইল বললেন, ‘তারা নামাজ আদায়কে ভারী মনে করত এবং সময় মতো নামাজ আদায়ে গাফিলতি করত।’ (মুসনাদে বাজ্জার: ৯৫১৮; আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব: ৪ / ৪৫৬)
২. সুদখোর
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইসরা ও মিরাজের সময় দেখলেন, এক ব্যক্তি রক্তের নদীতে সাঁতরাচ্ছে এবং তাকে পাথর গেলানো হচ্ছে। নবী (সা.) বললেন, ‘ভাই জিবরাইল, এই লোক কে?’ কেন তাকে রক্তের নদীতে আজাব দেওয়া হচ্ছে এবং পাথর গেলানো হচ্ছে।’ জিবরাইল বললেন, ‘সে সুদখোর। সুদি কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল।’ (মুসনাদে আহমদ: ২০১০১)
৩. গিবতকারী
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিরাজের রাতে আমি এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যাদের নখগুলো তামার তৈরি, তা দিয়ে তারা অনবরত নিজেদের মুখমণ্ডল ও বুকে আঁচড় কাটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল, এরা কারা? জবাবে জিবরাইল বললেন, এরা মানুষের গোশত খেত (গিবত করত) এবং তাঁদের মানসম্মানে আঘাত করত।’ (আবু দাউদ: ৪৮৭৮)
বুখারির এক হাদিসেও এই তিন শ্রেণির মানুষের কঠিন শাস্তির বয়ান এসেছে। সেখানে মিথ্যুক ও ব্যভিচারীর কথাও এসেছে। তবে এতে মিরাজের রাতের কথা সরাসরি উল্লেখ নেই। সেই দীর্ঘ হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি (ফেরেশতাদের) জিজ্ঞেস করলাম, এই রাতে অনেক বিস্ময়কর বিষয় দেখতে পেলাম, এগুলোর তাৎপর্য কী? তাঁরা আমাকে বললেন, আচ্ছা, আপনাকে ব্যাখ্যা বলে দিচ্ছি। আপনার দেখা প্রথম ব্যক্তি, যার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে কোরআন গ্রহণ করে ছেড়ে দিয়েছিল এবং ফরজ নামাজ ছেড়ে ঘুমিয়ে থাকত। যার মুখের এক ভাগ মাথার পেছন দিক পর্যন্ত এবং নাকের ছিদ্র ও চোখ মাথার পেছন দিক পর্যন্ত চিড়ে ফেলা হচ্ছিল, সে সকালে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে মিথ্যা কথা বলে চারদিকে ছড়িয়ে দিত। চুলার মতো গর্তে থাকা উলঙ্গ নারী-পুরুষেরা হলো ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী। যে ব্যক্তি নদীতে সাঁতার কাটছিল এবং তাকে পাথর গেলানো হচ্ছিল, সে সুদখোর।’ (বুখারি: ৭০৪৭)
মিরাজ মহানবী (সা.)-এর জীবনের অন্যতম সেরা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মিরাজের রাতের আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে তাঁর অসংখ্য নিদর্শন দেখিয়েছেন। অদৃশ্য জগতের অনেক কিছুই তাঁকে নিজ চোখে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সফরে মহানবী (সা.) কয়েক শ্রেণির মানুষের ভয়ংকর পরিণতি দেখেছেন। তাদের কঠিন সাজার দৃশ্য তাঁকে দেখানো হয়েছে। হাদিসের আলোকে তেমনই কিছু মানুষের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. নামাজে অবহেলাকারী
হাদিসে এসেছে, মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণের সময় মহানবী (সা.) দেখলেন, কিছু মানুষের মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে। যতবারই থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে, ততবারই সেগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এভাবে অবিরাম তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। নবী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই জিবরাইল, এরা কারা? তাদের পেশা কী ছিল? কেন তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?’ জবাবে জিবরাইল বললেন, ‘তারা নামাজ আদায়কে ভারী মনে করত এবং সময় মতো নামাজ আদায়ে গাফিলতি করত।’ (মুসনাদে বাজ্জার: ৯৫১৮; আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব: ৪ / ৪৫৬)
২. সুদখোর
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইসরা ও মিরাজের সময় দেখলেন, এক ব্যক্তি রক্তের নদীতে সাঁতরাচ্ছে এবং তাকে পাথর গেলানো হচ্ছে। নবী (সা.) বললেন, ‘ভাই জিবরাইল, এই লোক কে?’ কেন তাকে রক্তের নদীতে আজাব দেওয়া হচ্ছে এবং পাথর গেলানো হচ্ছে।’ জিবরাইল বললেন, ‘সে সুদখোর। সুদি কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল।’ (মুসনাদে আহমদ: ২০১০১)
৩. গিবতকারী
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিরাজের রাতে আমি এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যাদের নখগুলো তামার তৈরি, তা দিয়ে তারা অনবরত নিজেদের মুখমণ্ডল ও বুকে আঁচড় কাটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল, এরা কারা? জবাবে জিবরাইল বললেন, এরা মানুষের গোশত খেত (গিবত করত) এবং তাঁদের মানসম্মানে আঘাত করত।’ (আবু দাউদ: ৪৮৭৮)
বুখারির এক হাদিসেও এই তিন শ্রেণির মানুষের কঠিন শাস্তির বয়ান এসেছে। সেখানে মিথ্যুক ও ব্যভিচারীর কথাও এসেছে। তবে এতে মিরাজের রাতের কথা সরাসরি উল্লেখ নেই। সেই দীর্ঘ হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি (ফেরেশতাদের) জিজ্ঞেস করলাম, এই রাতে অনেক বিস্ময়কর বিষয় দেখতে পেলাম, এগুলোর তাৎপর্য কী? তাঁরা আমাকে বললেন, আচ্ছা, আপনাকে ব্যাখ্যা বলে দিচ্ছি। আপনার দেখা প্রথম ব্যক্তি, যার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে কোরআন গ্রহণ করে ছেড়ে দিয়েছিল এবং ফরজ নামাজ ছেড়ে ঘুমিয়ে থাকত। যার মুখের এক ভাগ মাথার পেছন দিক পর্যন্ত এবং নাকের ছিদ্র ও চোখ মাথার পেছন দিক পর্যন্ত চিড়ে ফেলা হচ্ছিল, সে সকালে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে মিথ্যা কথা বলে চারদিকে ছড়িয়ে দিত। চুলার মতো গর্তে থাকা উলঙ্গ নারী-পুরুষেরা হলো ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী। যে ব্যক্তি নদীতে সাঁতার কাটছিল এবং তাকে পাথর গেলানো হচ্ছিল, সে সুদখোর।’ (বুখারি: ৭০৪৭)
মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
৩ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১১ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১ দিন আগে