মাহমুদ হাসান ফাহিম
নবীজি (সা.)-এর দেহ-নিঃসৃত ঘাম সুবাস ছড়াতো। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর পবিত্র হাতের ছোঁয়ায় অনুভব করতেন মিশকে আম্বরের সুঘ্রাণ। আল্লাহ তাআলা তাঁর হাবিবকে এমন কুদরতি বৈশিষ্ট্য প্রদান করে ছিলেন।
তাঁর ঘাম ছিল মেশক আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। মেশক আম্বর উন্নত মানের সুগন্ধি, যা হরিণের মৃগনাভি থেকে তৈরি করা হয়। নবীজি (সা.)-এর ঘ্রাণ ছিল এর চেয়েও বেশি সুগন্ধিময়। তিনি যে পথ দিয়ে হেঁটে যেতেন, কেউ তার তালাশে বের হলে সে সুবাসের কারণে বলতে পারত রাসুল (সা.) এই পথ ধরে গমন করেছেন। পথিকেরা সেই সুবাসে বিমোহিত হতো।
হজরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) তার গালে হাত বুলিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর হাতের এমন কোমলতা ও সুবাস অনুভব করেছি, যেন তা আতরের কস্তুরি থেকে বের করে এনেছেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩২৯)
হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর (বরকতমহয় শরীরের) চেয়ে বেশি সুগন্ধিময় কোনো আম্বর, মেশক বা অন্য কোনো বস্তুর ঘ্রাণ আমি পাইনি। (সহিহ্ মুসলিম: ৫৮৪৫)
নবীজি (সা.) প্রায় সময় হজরত উম্মে সুলাইমের ঘরে যেতেন। উম্মে সুলাইম ঘরে না থাকলে নবীজি (সা.) তার বিছানায় ঘুমাতেন। একবারে ঘটনা—
হজরত আনাস (রা.) বলেন, একদিন হজরত উম্মে সুলাইম ঘরে ছিলেন না। নবীজি (সা.) এলেন এবং তার বিছানায় ঘুমালেন। অতঃপর উম্মে সুলাইম চলে এলেন। তাকে বলা হলো, ‘নবীজি (সা.) আপনার ঘরে, আপনার বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন।’
হজরত আনাস (রা.) বলেন, উম্মে সুলাইম ঘরে এলেন। দেখলেন, নবীজি (সা.) ঘেমেছেন, তাঁর ঘাম মোবারক চামড়ার বিছানার ওপর জমে আছে। উম্মে সুলাইম তার কৌটা খুলে সে ঘাম মুছে মুছে শিশিতে ভরতে লাগলেন। হঠাৎ নবীজি (সা.) ঘুম থেকে উঠলেন। তাকে বললেন, ‘তুমি কি করছ, হে উম্মে সুলাইম?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের শিশুদের বরকতের উদ্দেশ্যে নিচ্ছি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘ভালোই করেছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৮৪৮)
লেখক: মাদরাসা শিক্ষক টঙ্গী, গাজীপুর
নবীজি (সা.)-এর দেহ-নিঃসৃত ঘাম সুবাস ছড়াতো। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর পবিত্র হাতের ছোঁয়ায় অনুভব করতেন মিশকে আম্বরের সুঘ্রাণ। আল্লাহ তাআলা তাঁর হাবিবকে এমন কুদরতি বৈশিষ্ট্য প্রদান করে ছিলেন।
তাঁর ঘাম ছিল মেশক আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। মেশক আম্বর উন্নত মানের সুগন্ধি, যা হরিণের মৃগনাভি থেকে তৈরি করা হয়। নবীজি (সা.)-এর ঘ্রাণ ছিল এর চেয়েও বেশি সুগন্ধিময়। তিনি যে পথ দিয়ে হেঁটে যেতেন, কেউ তার তালাশে বের হলে সে সুবাসের কারণে বলতে পারত রাসুল (সা.) এই পথ ধরে গমন করেছেন। পথিকেরা সেই সুবাসে বিমোহিত হতো।
হজরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) তার গালে হাত বুলিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর হাতের এমন কোমলতা ও সুবাস অনুভব করেছি, যেন তা আতরের কস্তুরি থেকে বের করে এনেছেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩২৯)
হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর (বরকতমহয় শরীরের) চেয়ে বেশি সুগন্ধিময় কোনো আম্বর, মেশক বা অন্য কোনো বস্তুর ঘ্রাণ আমি পাইনি। (সহিহ্ মুসলিম: ৫৮৪৫)
নবীজি (সা.) প্রায় সময় হজরত উম্মে সুলাইমের ঘরে যেতেন। উম্মে সুলাইম ঘরে না থাকলে নবীজি (সা.) তার বিছানায় ঘুমাতেন। একবারে ঘটনা—
হজরত আনাস (রা.) বলেন, একদিন হজরত উম্মে সুলাইম ঘরে ছিলেন না। নবীজি (সা.) এলেন এবং তার বিছানায় ঘুমালেন। অতঃপর উম্মে সুলাইম চলে এলেন। তাকে বলা হলো, ‘নবীজি (সা.) আপনার ঘরে, আপনার বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন।’
হজরত আনাস (রা.) বলেন, উম্মে সুলাইম ঘরে এলেন। দেখলেন, নবীজি (সা.) ঘেমেছেন, তাঁর ঘাম মোবারক চামড়ার বিছানার ওপর জমে আছে। উম্মে সুলাইম তার কৌটা খুলে সে ঘাম মুছে মুছে শিশিতে ভরতে লাগলেন। হঠাৎ নবীজি (সা.) ঘুম থেকে উঠলেন। তাকে বললেন, ‘তুমি কি করছ, হে উম্মে সুলাইম?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের শিশুদের বরকতের উদ্দেশ্যে নিচ্ছি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘ভালোই করেছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৮৪৮)
লেখক: মাদরাসা শিক্ষক টঙ্গী, গাজীপুর
ইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না। মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
১ ঘণ্টা আগেমানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
১০ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের শহরগুলোর নামকরণের পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ভূগোল, এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক। মক্কা ও মদিনা থেকে শুরু করে জেদ্দা এবং নিওম পর্যন্ত, এই শহরগুলোর নাম তাদের উৎপত্তি ও তাৎপর্যকে নির্দেশ করে।
১৭ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে