আবদুল আযীয কাসেমি
মানুষের খাবারের জোগান দেওয়া, বিশেষ করে সহায়-সম্বলহীন মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি অসাধারণ মানবিক গুণ। এই গুণের কারণে মানুষ যেভাবে তার রবের কাছে প্রিয় হয়, তেমনি সে বরিত হয় সাধারণ মানুষের কাছেও। এই ধরনের মানুষ তাদের কাছে ফেরেশতাতুল্য বিবেচিত হয়। তাদের হৃদয়ে এই মানুষগুলোর জন্য থাকে বিশাল সিংহাসন। নিষ্ঠার সঙ্গে এ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর কাছেও পান অসামান্য মর্যাদা ও সওয়াব। ইসলাম এ বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কিছু মানুষের প্রশংসা করে বলেন, ‘খাবারদাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে খাবার দেয় এবং বলে—কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা তোমাদের খাবার দিই, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান চাই না; কৃতজ্ঞতাও নয়।’ (সুরা ইনসান: ৯-১০)
এ বিষয়ে অসাধারণ এক হাদিসের ভাষ্য দেখুন—এক সাহাবি এসে নবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামের কোন আমলগুলো সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘তুমি মানুষকে খাবার দেবে। আর পরিচিত-অপরিচিত—সবাইকে সালাম দেবে।’ (বুখারি) এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলামের মূল স্তম্ভের পর সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ আমল দুইটি। পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করার পর উদ্বৃত্ত খাবার অন্যকে খাওয়ানো। যেমন, আশপাশের গরিব, ভিক্ষুক, মহল্লার নিরাপত্তারক্ষী। এ ছাড়া বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং সহকর্মীও এর আওতাভুক্ত হতে পারে।
গরিব মানুষকেই খাওয়াতে হবে—হাদিসে এমনটা বলা হয়নি। বড়লোককে খাওয়ানোও সুন্নত। তবে জাকাত ও ওয়াজিব সদকা থেকে তাদের খাওয়ানো যাবে না। পারিবারিক দাওয়াত, বিয়ের ওয়ালিমা (বউভাত) ইত্যাদি—সবই এর আওতাভুক্ত। তবে আয়োজনটা অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে।
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মানুষের খাবারের জোগান দেওয়া, বিশেষ করে সহায়-সম্বলহীন মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি অসাধারণ মানবিক গুণ। এই গুণের কারণে মানুষ যেভাবে তার রবের কাছে প্রিয় হয়, তেমনি সে বরিত হয় সাধারণ মানুষের কাছেও। এই ধরনের মানুষ তাদের কাছে ফেরেশতাতুল্য বিবেচিত হয়। তাদের হৃদয়ে এই মানুষগুলোর জন্য থাকে বিশাল সিংহাসন। নিষ্ঠার সঙ্গে এ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর কাছেও পান অসামান্য মর্যাদা ও সওয়াব। ইসলাম এ বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কিছু মানুষের প্রশংসা করে বলেন, ‘খাবারদাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে খাবার দেয় এবং বলে—কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা তোমাদের খাবার দিই, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান চাই না; কৃতজ্ঞতাও নয়।’ (সুরা ইনসান: ৯-১০)
এ বিষয়ে অসাধারণ এক হাদিসের ভাষ্য দেখুন—এক সাহাবি এসে নবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামের কোন আমলগুলো সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘তুমি মানুষকে খাবার দেবে। আর পরিচিত-অপরিচিত—সবাইকে সালাম দেবে।’ (বুখারি) এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলামের মূল স্তম্ভের পর সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ আমল দুইটি। পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করার পর উদ্বৃত্ত খাবার অন্যকে খাওয়ানো। যেমন, আশপাশের গরিব, ভিক্ষুক, মহল্লার নিরাপত্তারক্ষী। এ ছাড়া বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং সহকর্মীও এর আওতাভুক্ত হতে পারে।
গরিব মানুষকেই খাওয়াতে হবে—হাদিসে এমনটা বলা হয়নি। বড়লোককে খাওয়ানোও সুন্নত। তবে জাকাত ও ওয়াজিব সদকা থেকে তাদের খাওয়ানো যাবে না। পারিবারিক দাওয়াত, বিয়ের ওয়ালিমা (বউভাত) ইত্যাদি—সবই এর আওতাভুক্ত। তবে আয়োজনটা অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে।
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইসলামের অন্যতম রুকন নামাজ। নামাজ আদায়ের জন্য অজু আবশ্যক। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি নামাজ। আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (জামে তিরমিজি: ৪)। অজু করার পর বেশ কিছু কারণ পাওয়া গেলে তা ভেঙে যায়।
১২ ঘণ্টা আগেইসলামের ইতিহাসের এক গভীর শোকের মাস হলো মহররম। এই মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ মুসলিম জাতির হৃদয়ে বহন করে এক গাঢ় স্মৃতি, করুণ ইতিহাস ও চেতনার মশাল। আর এই দিনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন ইবনে আলী (রা.)-এর শাহাদাত। মহররম, আশুরা ও কারবালা—এই তিনটি শব্দ যেন ত্যাগ, সত্য এবং
১ দিন আগেপ্রত্যেক সভ্য জাতির মধ্যে পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশার্থে কোনো কোনো বাক্য আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তুলনা করলে দেখা যাবে যে ইসলামের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো জাতির অভিবাদন ততটুকু নয়। কেননা, এতে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ করা হয় না...
১ দিন আগেমহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হোন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বিবেক সম্পন্ন মানুষজন সত্যপথ চিনতে পারে। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে শুরু করে। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মানুষের সঠিক পথে আসার বিষয়টি মক্কার কাফেররা...
১ দিন আগে