Ajker Patrika

নবীজির চোখে যারা শ্রেষ্ঠ মানুষ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৫৬
নবীজির চোখে যারা শ্রেষ্ঠ মানুষ

মানবজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে। কিন্তু কোন গুণাবলি একজন মানুষকে প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব দান করে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে আমরা হাদিসে এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।

রাসুল (সা.)-এর চোখে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন তিনি, যিনি তাঁর নিজের কর্মের মাধ্যমে অন্যদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম মাপকাঠি হলো কোরআন শিক্ষা ও শিক্ষাদান। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে কোরআন শেখে ও শেখায়।’ (সহিহ বুখারি)। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহর বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করা এবং তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার কাজ।

এরপর আসে উত্তম আচরণ ও নৈতিকতার বিষয়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (সহিহ বুখারি)। তিনি আরও বলেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়।’ এই হাদিসগুলো আমাদের শেখায় যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের আচরণে যেন সততা, বিনয় ও দয়া প্রকাশ পায়।

সামাজিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্বের কিছু বিশেষ দিকও হাদিসে উঠে এসেছে। যেমন, একজন উত্তম ঋণগ্রহীতা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ (সহিহ বুখারি)। এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে বিশ্বস্ততার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (জামে তিরমিজি)। এই গুণটি একজন মানুষকে সমাজের সবার কাছে প্রিয় করে তোলে।

পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড রয়েছে। নবীজি (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)। তিনি নিজে তাঁর পরিবারের কাছে সর্বোত্তম ছিলেন এবং আমাদের জন্যও সেই আদর্শ রেখে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত