ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: অনেককে দেখা যায়, কেবল দুজন মানুষ সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে নেন। পরিবার, সমাজ কিংবা আশেপাশের কোনো মানুষকে বিয়ের কথা জানানো প্রয়োজন মনে করেন না। বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তান জন্ম নেওয়ার পর বিয়ের খবর জানাতেও দেখা যায় অনেককে। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা কী? বিয়ের কথা গোপন রাখা কি শরিয়তসম্মত?
উত্তর: ইসলামে বিয়ে এক পবিত্র বন্ধন। নারী-পুরুষের জৈবিক চাওয়া পূর্ণ করার হালাল পদ্ধতি। বিয়ে-বহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ একসঙ্গে জীবনযাপন করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, এরপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার প্রতিপালক হলো প্রভূত ক্ষমতাবান।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)
বিয়ে নবীজির সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘চারটি জিনিস নবী-রাসুলদের সুন্নত। লজ্জাবোধ, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক ও বিয়ে।’ (তিরমিজি: ১০৮০)
ইসলামে মানুষের কাছে বিয়ের বার্তা পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও সাক্ষী ছাড়া অন্যদের না জানালেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়, তবে সামাজিকতার দিকে লক্ষ্য রেখে বিয়ের কথা আশপাশের মানুষকে জানানো আবশ্যকীয় কর্তব্য। কারণ মানুষ যেন তাদের সম্পর্কে স্বচ্ছ-সুন্দর ধারণা রাখে। তাদের জন্য বরকতের দোয়া করে।
মুহাম্মদ (সা.) বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। বিয়ের প্রচার করতে আদেশ করেছেন। বর-কনের অভিভাবক তাদের নাম ধরে বিয়ের ঘোষণা করবেন। মসজিদে সমবেত মুসল্লি ও স্থানীয় মানুষের জটলার সামনে বর-কনের বিয়ের বার্তা পৌঁছাবেন। শরিয়ত সমর্থিত বাদ্য বাজাবেন।
হাদিসে ‘দফ’ বাজানোর কথা এসেছে। দফ হলো, এমন বাদ্যযন্ত্র যার ওপরের অংশ চালুনির মতো, যাতে ঘণ্টির মতো আওয়াজ নেই, আর তার একাংশে থাকে চামড়ার পর্দা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ে প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে মসজিদে সম্পাদন কোরো এবং তাতে দফ বাজাও।’ (মিশকাত: ৩০১৭)
বিয়ে যেহেতু আনন্দ ও শুভকামনার আশিস, তাই এতে আমোদ-ফুর্তির জন্য ইসলাম সমর্থিত সংগীত পরিবেশন করা যেতে পারে। এর লক্ষ্য হতে হবে মানুষকে বিয়ের পয়গাম জানানো। বিয়ের মাধ্যমে আনন্দের বার্তা পৌঁছানো।
ইসলামি শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে হলুদ বা এ জাতীয় রং সৃষ্টিকারী বৈধ উপাদান ব্যবহার করার অনুমতি আছে। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-এর দেহে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কী অবস্থা?’ তিনি বলেন, ‘আমি এক আনসারি নারীকে বিয়ে করেছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একটি বকরি দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করো।’ (নাসায়ি: ৩৩৭৭)
এই হাদিস থেকে এও বোঝা যায় যে, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও মানুষকে বিয়ের সংবাদ দিতে বিয়ের পর ওয়ালিমার আয়োজন করা সুন্নত। মহানবী (সা.) নিজের বিয়েতেও ওয়ালিমার আয়োজন করেছেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি রায়হান রাশেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: অনেককে দেখা যায়, কেবল দুজন মানুষ সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করে নেন। পরিবার, সমাজ কিংবা আশেপাশের কোনো মানুষকে বিয়ের কথা জানানো প্রয়োজন মনে করেন না। বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তান জন্ম নেওয়ার পর বিয়ের খবর জানাতেও দেখা যায় অনেককে। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা কী? বিয়ের কথা গোপন রাখা কি শরিয়তসম্মত?
উত্তর: ইসলামে বিয়ে এক পবিত্র বন্ধন। নারী-পুরুষের জৈবিক চাওয়া পূর্ণ করার হালাল পদ্ধতি। বিয়ে-বহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ একসঙ্গে জীবনযাপন করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, এরপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার প্রতিপালক হলো প্রভূত ক্ষমতাবান।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)
বিয়ে নবীজির সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘চারটি জিনিস নবী-রাসুলদের সুন্নত। লজ্জাবোধ, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক ও বিয়ে।’ (তিরমিজি: ১০৮০)
ইসলামে মানুষের কাছে বিয়ের বার্তা পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও সাক্ষী ছাড়া অন্যদের না জানালেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়, তবে সামাজিকতার দিকে লক্ষ্য রেখে বিয়ের কথা আশপাশের মানুষকে জানানো আবশ্যকীয় কর্তব্য। কারণ মানুষ যেন তাদের সম্পর্কে স্বচ্ছ-সুন্দর ধারণা রাখে। তাদের জন্য বরকতের দোয়া করে।
মুহাম্মদ (সা.) বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। বিয়ের প্রচার করতে আদেশ করেছেন। বর-কনের অভিভাবক তাদের নাম ধরে বিয়ের ঘোষণা করবেন। মসজিদে সমবেত মুসল্লি ও স্থানীয় মানুষের জটলার সামনে বর-কনের বিয়ের বার্তা পৌঁছাবেন। শরিয়ত সমর্থিত বাদ্য বাজাবেন।
হাদিসে ‘দফ’ বাজানোর কথা এসেছে। দফ হলো, এমন বাদ্যযন্ত্র যার ওপরের অংশ চালুনির মতো, যাতে ঘণ্টির মতো আওয়াজ নেই, আর তার একাংশে থাকে চামড়ার পর্দা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ে প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে মসজিদে সম্পাদন কোরো এবং তাতে দফ বাজাও।’ (মিশকাত: ৩০১৭)
বিয়ে যেহেতু আনন্দ ও শুভকামনার আশিস, তাই এতে আমোদ-ফুর্তির জন্য ইসলাম সমর্থিত সংগীত পরিবেশন করা যেতে পারে। এর লক্ষ্য হতে হবে মানুষকে বিয়ের পয়গাম জানানো। বিয়ের মাধ্যমে আনন্দের বার্তা পৌঁছানো।
ইসলামি শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে হলুদ বা এ জাতীয় রং সৃষ্টিকারী বৈধ উপাদান ব্যবহার করার অনুমতি আছে। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-এর দেহে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কী অবস্থা?’ তিনি বলেন, ‘আমি এক আনসারি নারীকে বিয়ে করেছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একটি বকরি দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করো।’ (নাসায়ি: ৩৩৭৭)
এই হাদিস থেকে এও বোঝা যায় যে, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও মানুষকে বিয়ের সংবাদ দিতে বিয়ের পর ওয়ালিমার আয়োজন করা সুন্নত। মহানবী (সা.) নিজের বিয়েতেও ওয়ালিমার আয়োজন করেছেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি রায়হান রাশেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
২০ মিনিট আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৭ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১ দিন আগে