Ajker Patrika

মসজিদে মুমিনের ১৫ কর্তব্য

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
মসজিদে মুমিনের ১৫ কর্তব্য

মুসলিম সমাজের অন্যতম নিদর্শন মসজিদ। পৃথিবীর বুকে মসজিদ আল্লাহর ঘর, যাতে তাঁর প্রতি সম্মান ও ভক্তি প্রদর্শনের জন্য মাথা নত করে সিজদা করা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান মসজিদ এবং সর্বনিকৃষ্ট স্থান বাজার।’ (তিরমিজি) মসজিদে মুমিনের কী কী দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তা লিখেছেন ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’ 
(সুরা তাওবা: ১৮)

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ) 

উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)

দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।

মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’

ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)

তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি) 

ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি) 

ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি) 

আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)

মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)

মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি) 

হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি) 

অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ) 

অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি। 

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।

২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবীণ সুফি পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি আর নেই

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে যে আমল

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।

সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)

মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।

দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)

অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত