কাউসার লাবীব
সুরা ওয়াকিয়া পবিত্র কোরআনের ৫৬ তম সুরা—যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৯৬। এই সুরায় কিয়ামত, আখিরাত, মানুষের ভাগ্য, জান্নাত-জাহান্নাম এবং আল্লাহর বিচার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়াকিয়া শব্দটির অর্থ ঘটনা। এই সুরায় কিয়ামত সম্পর্কিত বিপর্যয়ের বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে—যা সকল মানুষ একদিন অবধারিতভাবে দেখতে পাবে। তাই এর নাম ওয়াকিয়া রাখা হয়েছে।
সুরা ওয়াকিয়ার তাৎপর্য
সুরা ওয়াকিয়া কিয়ামতের দিন এবং এর পরবর্তী পরিণতির ব্যাপারে মানুষকে সতর্কতা করে এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসার তাগিদ দেয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আবু বকর (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়লেন!’ তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, আমাকে সুরা হুদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, নাবা এবং সুরা তাকউইর বৃদ্ধ করে ফেলেছে।’ (জামে তিরমিজি: ৩২৯৭)
সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত
এই সুরা পাঠ করলে কখনো অভাব আসে না। দারিদ্র্য কখনো গ্রাস করতে পারে না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদের প্রত্যেক রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করার আদেশ করতেন। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে—তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।’ (শুআবুল ইমান, বায়হাকি: ২৪৯৮)
সুরা ওয়াকিয়া কখন পড়তে হয়
হাদিসের বর্ণনা মতে, প্রতিদিন রাতে সুরাটি পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। তাই মাগরিবের পর থেকে রাতের যেকোনো সময়ই সুরাটি তিলাওয়াত করলে আশা করা যায় ফজিলত পাওয়া যাবে।
তবে ইসলামবিষয়ক গবেষকগণ মাগরিবের নামাজের পর সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা, দিন রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি সময়। মহান আল্লাহ এ দুই সময়ে জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমলটি যেহেতু রাতের বেলার এবং রাতের নির্ধারিত কোনো সময় বলা হয়নি—তাই সন্ধ্যাবেলাতেই করা উত্তম।
সুরা ওয়াকিয়া পবিত্র কোরআনের ৫৬ তম সুরা—যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৯৬। এই সুরায় কিয়ামত, আখিরাত, মানুষের ভাগ্য, জান্নাত-জাহান্নাম এবং আল্লাহর বিচার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়াকিয়া শব্দটির অর্থ ঘটনা। এই সুরায় কিয়ামত সম্পর্কিত বিপর্যয়ের বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে—যা সকল মানুষ একদিন অবধারিতভাবে দেখতে পাবে। তাই এর নাম ওয়াকিয়া রাখা হয়েছে।
সুরা ওয়াকিয়ার তাৎপর্য
সুরা ওয়াকিয়া কিয়ামতের দিন এবং এর পরবর্তী পরিণতির ব্যাপারে মানুষকে সতর্কতা করে এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসার তাগিদ দেয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আবু বকর (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়লেন!’ তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, আমাকে সুরা হুদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, নাবা এবং সুরা তাকউইর বৃদ্ধ করে ফেলেছে।’ (জামে তিরমিজি: ৩২৯৭)
সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত
এই সুরা পাঠ করলে কখনো অভাব আসে না। দারিদ্র্য কখনো গ্রাস করতে পারে না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদের প্রত্যেক রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করার আদেশ করতেন। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে—তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।’ (শুআবুল ইমান, বায়হাকি: ২৪৯৮)
সুরা ওয়াকিয়া কখন পড়তে হয়
হাদিসের বর্ণনা মতে, প্রতিদিন রাতে সুরাটি পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। তাই মাগরিবের পর থেকে রাতের যেকোনো সময়ই সুরাটি তিলাওয়াত করলে আশা করা যায় ফজিলত পাওয়া যাবে।
তবে ইসলামবিষয়ক গবেষকগণ মাগরিবের নামাজের পর সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা, দিন রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি সময়। মহান আল্লাহ এ দুই সময়ে জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমলটি যেহেতু রাতের বেলার এবং রাতের নির্ধারিত কোনো সময় বলা হয়নি—তাই সন্ধ্যাবেলাতেই করা উত্তম।
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে