Ajker Patrika

এশার পর সুরা মুলক তিলাওয়াত

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২০
এশার পর সুরা মুলক তিলাওয়াত

পবিত্র কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা—সুরা মুলক। মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ৩০। এই সুরার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) প্রতিদিন এশার পর সুরাটি তিলাওয়াত করতেন। এখানে হাদিসের আলোকে সুরা মুলকের ফজিলত তুলে ধরা হলো—

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার মধ্যে ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা তার পাঠকারী ব্যক্তির জন্য (কেয়ামতের দিন) সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু তথা সুরা মুলক।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯১)

প্রতি রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুল কিতাব’ তথা সুরা সাজদা ও ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু’ তথা সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না। (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২)

সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘(সুরা মুলকের আমলকারী) ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হবে, (আজাবের) ফিরিশতারা তার পায়ের দিক থেকে আসবে; তখন পা বলবে, এদিক দিয়ে তোমরা তার পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। সে নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা মুলক তিলাওয়াত করত। এরপর বুক বা পেটের দিক থেকে এলে তা বলবে, এদিক থেকেও তোমরা তাকে কিছু করতে পারবে না; সে তো সুরা মুলক তিলাওয়াত করত। মাথার দিক থেকে এলে বলবে, আমার দিক থেকেও তোমাদের তার পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব নয়; সে তো সুরা মুলক তিলাওয়াত করত।’

ইবনে মাসউদ (রা.) আরও বলেন, ‘এ সুরা ‘মানিআহ’ তথা বাধা দানকারী। ব্যক্তি থেকে কবরের আজাব রুখে দেয়।...যে ব্যক্তি রাতে এটি তিলাওয়াত করল সে অনেক ভালো ও বড় কাজ করল।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৮৩৯; শুআবুল ইমান: ২২৭৯) 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত