মুফতি ইশমাম আহমেদ
ঋণ দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) নিজেও অভাবের সময়ে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তবে পারতপক্ষে ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করেছেন তিনি। কারণ ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর তা শোধ না করে মারা গেলে পরকালে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। হাদিসে তিনটি জিনিসকে ক্ষুদ্র মনে করে অবহেলা না করতে বলা হয়েছে, তা হলো ঋণ, রোগ ও শত্রু।
অবশ্য একান্ত অপারগ হলে ঋণ গ্রহণ করতে শরিয়তে বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সুদের বিনিময়ে ঋণ নেওয়া ইসলাম অনুমোদনই করে না। আর সুদবিহীন ঋণ নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও তা যত দ্রুত সম্ভব শোধ করে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য হজ, জাকাত, কোরবানি ও ফিতরার মতো আবশ্যকীয় ইবাদতও স্থগিত করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে এসব ইবাদত আবশ্যক হবে না। এমনকি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি জাকাতও গ্রহণ করতে পারবে।
ঋণ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার কারণ হলো, ঋণ বান্দার হক। তাই তা শোধ করতে না পারলে পরকালে এর জন্য দায়ী হতে হবে। আল্লাহর রহমতেও এ বিষয়ে ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বান্দার হক আল্লাহ মাফ করেন না। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ১৫৭২) অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত ব্যক্তির সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টনের আগে মৃতের ঋণ পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছেন। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর পথে শাহাদাতবরণকারী ব্যক্তিও ঋণ পরিশোধ না করে শহীদ হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (আহমাদ: ২২৪৯৩)
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঋণ দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) নিজেও অভাবের সময়ে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তবে পারতপক্ষে ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করেছেন তিনি। কারণ ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর তা শোধ না করে মারা গেলে পরকালে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। হাদিসে তিনটি জিনিসকে ক্ষুদ্র মনে করে অবহেলা না করতে বলা হয়েছে, তা হলো ঋণ, রোগ ও শত্রু।
অবশ্য একান্ত অপারগ হলে ঋণ গ্রহণ করতে শরিয়তে বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সুদের বিনিময়ে ঋণ নেওয়া ইসলাম অনুমোদনই করে না। আর সুদবিহীন ঋণ নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও তা যত দ্রুত সম্ভব শোধ করে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য হজ, জাকাত, কোরবানি ও ফিতরার মতো আবশ্যকীয় ইবাদতও স্থগিত করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে এসব ইবাদত আবশ্যক হবে না। এমনকি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি জাকাতও গ্রহণ করতে পারবে।
ঋণ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার কারণ হলো, ঋণ বান্দার হক। তাই তা শোধ করতে না পারলে পরকালে এর জন্য দায়ী হতে হবে। আল্লাহর রহমতেও এ বিষয়ে ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বান্দার হক আল্লাহ মাফ করেন না। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ১৫৭২) অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত ব্যক্তির সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টনের আগে মৃতের ঋণ পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছেন। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর পথে শাহাদাতবরণকারী ব্যক্তিও ঋণ পরিশোধ না করে শহীদ হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (আহমাদ: ২২৪৯৩)
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৬ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে