মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
দাম্পত্য সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। জাগতিক জীবনে প্রশান্তি, স্থিতিশীলতা ও চারিত্রিক নিষ্কলুষতা অর্জন এবং পৃথিবীতে মানব প্রজন্মের বিস্তারই এ সম্পর্কের মৌলিক উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রেম-ভালোবাসা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দাম্পত্য সম্পর্ক স্থায়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়। রূপচর্চা, পরিচ্ছন্নতা ও গোছালো জীবনযাপন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণবোধ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্যই ইসলাম দাম্পত্যজীবনে এ দিকটির প্রতি লক্ষ রাখতে বিশেষ জোর দিয়েছে।
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘সর্বোত্তম স্ত্রী তিনি, যাঁর প্রতি তাকালে স্বামীর হৃদয় পুলকিত হয়।’ (নাসায়ি, আহমদ) উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) রাসুল (সা.)-এর জন্য সাজতেন। গয়না ও রঙিন পোশাক পরতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘একদিন রাসুল (সা.) আমার ঘরে এলেন। আমার হাতে রুপার একটি আংটি দেখে বললেন, “এটা কী, আয়েশা?” আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, এটা আপনার জন্য নিজেকে সাজাতে পরিধান করেছি।’ (আবু দাউদ)
এসব হাদিসের আলোকে আলেমগণ বলেন, শরিয়তের সীমার ভেতরে থেকে স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য সাজগোজ করা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার। (আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
স্ত্রী যেমন স্বামীর জন্য সাজবেন, তেমনি স্বামীও স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে রাখবেন। রাসুল (সা.) ও সাহাবিরা তা-ই করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বাড়িতে প্রবেশ করার পর প্রথম মিসওয়াক দিয়ে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করে নিতেন। (মুসলিম)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি যেমন চাই, আমার স্ত্রী আমার জন্য সেজেগুজে থাকবে, আমিও তেমনি তার জন্য সাজতে পছন্দ করি। কারণ আল্লাহ বলেছেন, “স্ত্রীদের ওপর যেমন স্বামীদের অধিকার আছে, তেমনি স্বামীদের ওপরও স্ত্রীদের ন্যায়সংগত অধিকার আছে।”’ (সুরা আল-বাকারা: ২২৮, তাফসিরে তাবারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
দাম্পত্য সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। জাগতিক জীবনে প্রশান্তি, স্থিতিশীলতা ও চারিত্রিক নিষ্কলুষতা অর্জন এবং পৃথিবীতে মানব প্রজন্মের বিস্তারই এ সম্পর্কের মৌলিক উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রেম-ভালোবাসা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দাম্পত্য সম্পর্ক স্থায়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়। রূপচর্চা, পরিচ্ছন্নতা ও গোছালো জীবনযাপন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণবোধ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্যই ইসলাম দাম্পত্যজীবনে এ দিকটির প্রতি লক্ষ রাখতে বিশেষ জোর দিয়েছে।
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘সর্বোত্তম স্ত্রী তিনি, যাঁর প্রতি তাকালে স্বামীর হৃদয় পুলকিত হয়।’ (নাসায়ি, আহমদ) উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) রাসুল (সা.)-এর জন্য সাজতেন। গয়না ও রঙিন পোশাক পরতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘একদিন রাসুল (সা.) আমার ঘরে এলেন। আমার হাতে রুপার একটি আংটি দেখে বললেন, “এটা কী, আয়েশা?” আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, এটা আপনার জন্য নিজেকে সাজাতে পরিধান করেছি।’ (আবু দাউদ)
এসব হাদিসের আলোকে আলেমগণ বলেন, শরিয়তের সীমার ভেতরে থেকে স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য সাজগোজ করা স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার। (আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
স্ত্রী যেমন স্বামীর জন্য সাজবেন, তেমনি স্বামীও স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে রাখবেন। রাসুল (সা.) ও সাহাবিরা তা-ই করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বাড়িতে প্রবেশ করার পর প্রথম মিসওয়াক দিয়ে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করে নিতেন। (মুসলিম)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি যেমন চাই, আমার স্ত্রী আমার জন্য সেজেগুজে থাকবে, আমিও তেমনি তার জন্য সাজতে পছন্দ করি। কারণ আল্লাহ বলেছেন, “স্ত্রীদের ওপর যেমন স্বামীদের অধিকার আছে, তেমনি স্বামীদের ওপরও স্ত্রীদের ন্যায়সংগত অধিকার আছে।”’ (সুরা আল-বাকারা: ২২৮, তাফসিরে তাবারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া...’
৩৮ মিনিট আগেক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৬ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৭ ঘণ্টা আগে