আমজাদ ইউনুস
আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিজগৎ ও নিয়ামতের কথা জানানোর জন্য পবিত্র কোরআনে অনেক উপমা ব্যবহার করেছেন এবং মানুষকে তা গভীরভাবে অনুধাবন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণে মানবজীবনে উপমা এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, প্রভাব বিস্তারকারী, গতিশীল ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়, যা সহজে জনমনে দাগ কাটতে সক্ষম হয়। উপমা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি মানুষের জন্য এই কোরআনে বিভিন্ন উপমা দিয়ে আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি।’ (সুরা কাহাফ: ১৮)
রাসুল (সা.)-এর মুখনিঃসৃত পবিত্র বাণীসমূহেও অনেক উপমার কথা এসেছে। এসব উপমা অলংকারগত সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত ছিল এবং শিক্ষা, উপদেশ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় ভরপুর ছিল। রাসুল (সা.) কিছু উপমার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব চিত্রায়িত করেছেন। এ ধরনের তিনটি হাদিস এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. উবাই ইবনে কাআব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘(আগের) নবীগণের মধ্যে আমার উপমা হলো, এক ব্যক্তি একটি সুরম্য, সম্পূর্ণ ও সুশোভিত প্রাসাদ নির্মাণ করল, কিন্তু একটি ইটের জায়গা অসম্পূর্ণ রেখে দিল। মানুষ প্রাসাদটি প্রদক্ষিণ করত এবং অবাক হয়ে বলত, যদি নির্মাতা ওই ইটের জায়গাটি পূর্ণ করত। অতএব আমি নবীগণের মধ্যে সেই ইটের মতো।’ (বুখারি ও মুসলিম) এই হাদিসে সর্বশেষ নবী হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।
দুই. হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার ও আমাকে যে জীবনবিধান দিয়ে পাঠানো হয়েছে, তার উপমা হলো ওই ব্যক্তির মতো, যে কোনো সম্প্রদায়ের কাছে এসে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, আমি নিজের চোখে শত্রুদের একটি বিরাট বাহিনী দেখেছি, আর আমি হলাম এক প্রকাশ্য সতর্ককারী; সুতরাং তোমরা বাঁচার পথ খোঁজো। তখন তার সম্প্রদায়ের একদল লোক তার কথা মান্য করল এবং রাত থাকতেই বেরিয়ে পড়ল। আর ধীরে-সুস্থে পথ চলে মুক্তি পেয়ে গেল। পক্ষান্তরে একদল লোক তাকে মিথ্যাবাদী বলল এবং নিজেদের স্থানেই সকাল পর্যন্ত রয়ে গেল। তারপর ভোরে শত্রুদল এসে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তাদের ধ্বংস ও মূলোৎপাটিত করে দিল। প্রথমটি হলো ওই ব্যক্তির উপমা, যে আমার আনুগত্য করেছে এবং আমার ধর্মের অনুগামী হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হলো ওই ব্যক্তির উপমা, যে আমাকে অমান্য করেছে এবং আমার আনীত দ্বীনকে মিথ্যা বলেছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিন. আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ওই ব্যক্তির মতো, যে আগুন জ্বালিয়েছে, এরপর সেই আগুনে যখন চতুর্দিক আলোকিত হলো, তখন যেসব কীটপতঙ্গ তাতে ঝাঁপ দিয়ে থাকে তারা ঝাঁপ দিতে লাগল। আর আগুন জ্বালানো ব্যক্তিটি তাদের বাধা দিতে লাগল। কিন্তু পতঙ্গরা তাকে পরাজিত করে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়ল। বস্তুত, এই হলো আমার এবং তোমাদের উপমা। আমি কোমর টেনে ধরে তোমাদের আগুন থেকে নিবৃত্ত করছি এবং বলছি—তোমরা আগুন থেকে বাঁচো। আর (তোমরা) আমাকে পরাস্ত করে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিজগৎ ও নিয়ামতের কথা জানানোর জন্য পবিত্র কোরআনে অনেক উপমা ব্যবহার করেছেন এবং মানুষকে তা গভীরভাবে অনুধাবন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণে মানবজীবনে উপমা এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, প্রভাব বিস্তারকারী, গতিশীল ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়, যা সহজে জনমনে দাগ কাটতে সক্ষম হয়। উপমা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি মানুষের জন্য এই কোরআনে বিভিন্ন উপমা দিয়ে আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি।’ (সুরা কাহাফ: ১৮)
রাসুল (সা.)-এর মুখনিঃসৃত পবিত্র বাণীসমূহেও অনেক উপমার কথা এসেছে। এসব উপমা অলংকারগত সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত ছিল এবং শিক্ষা, উপদেশ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় ভরপুর ছিল। রাসুল (সা.) কিছু উপমার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব চিত্রায়িত করেছেন। এ ধরনের তিনটি হাদিস এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. উবাই ইবনে কাআব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘(আগের) নবীগণের মধ্যে আমার উপমা হলো, এক ব্যক্তি একটি সুরম্য, সম্পূর্ণ ও সুশোভিত প্রাসাদ নির্মাণ করল, কিন্তু একটি ইটের জায়গা অসম্পূর্ণ রেখে দিল। মানুষ প্রাসাদটি প্রদক্ষিণ করত এবং অবাক হয়ে বলত, যদি নির্মাতা ওই ইটের জায়গাটি পূর্ণ করত। অতএব আমি নবীগণের মধ্যে সেই ইটের মতো।’ (বুখারি ও মুসলিম) এই হাদিসে সর্বশেষ নবী হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।
দুই. হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার ও আমাকে যে জীবনবিধান দিয়ে পাঠানো হয়েছে, তার উপমা হলো ওই ব্যক্তির মতো, যে কোনো সম্প্রদায়ের কাছে এসে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, আমি নিজের চোখে শত্রুদের একটি বিরাট বাহিনী দেখেছি, আর আমি হলাম এক প্রকাশ্য সতর্ককারী; সুতরাং তোমরা বাঁচার পথ খোঁজো। তখন তার সম্প্রদায়ের একদল লোক তার কথা মান্য করল এবং রাত থাকতেই বেরিয়ে পড়ল। আর ধীরে-সুস্থে পথ চলে মুক্তি পেয়ে গেল। পক্ষান্তরে একদল লোক তাকে মিথ্যাবাদী বলল এবং নিজেদের স্থানেই সকাল পর্যন্ত রয়ে গেল। তারপর ভোরে শত্রুদল এসে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তাদের ধ্বংস ও মূলোৎপাটিত করে দিল। প্রথমটি হলো ওই ব্যক্তির উপমা, যে আমার আনুগত্য করেছে এবং আমার ধর্মের অনুগামী হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হলো ওই ব্যক্তির উপমা, যে আমাকে অমান্য করেছে এবং আমার আনীত দ্বীনকে মিথ্যা বলেছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিন. আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ওই ব্যক্তির মতো, যে আগুন জ্বালিয়েছে, এরপর সেই আগুনে যখন চতুর্দিক আলোকিত হলো, তখন যেসব কীটপতঙ্গ তাতে ঝাঁপ দিয়ে থাকে তারা ঝাঁপ দিতে লাগল। আর আগুন জ্বালানো ব্যক্তিটি তাদের বাধা দিতে লাগল। কিন্তু পতঙ্গরা তাকে পরাজিত করে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়ল। বস্তুত, এই হলো আমার এবং তোমাদের উপমা। আমি কোমর টেনে ধরে তোমাদের আগুন থেকে নিবৃত্ত করছি এবং বলছি—তোমরা আগুন থেকে বাঁচো। আর (তোমরা) আমাকে পরাস্ত করে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে