ইজাজুল হক, ঢাকা
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কামানের গোলা ছুড়ে ইফতারের সংকেত দেওয়া রমজানের জনপ্রিয় ঐতিহ্যের একটি। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইয়েমেন, সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে এই রীতি এখনো চালু রয়েছে।
মক্কার পাহাড়ি অঞ্চলে এটির বেশ চল রয়েছে। মক্কাবাসীর কাছে এই কামানের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। প্রতি রমজানে মক্কা পুলিশ এটি পরিচালনা করে। সূর্যাস্তের আগে শিশুরা গোলার আওয়াজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
এই কামান সম্পর্কে মক্কা পুলিশের মুখপাত্র মেজর আবদুল মহসিন আল-মাইমানি বলেন, ‘৭৫ বছর আগে যখন মক্কা পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখনই কামানটির দেখভালের দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়া হয়। প্রতিবছর রমজানের কয়েক দিন আগে কামানটি পাহাড়ের ওপরে তোলা হয়। পুলিশের চৌকস একটি দল এটি পরিচালনা করে।’
মদিনায়ও দুটি কামান রয়েছে। প্রথমটি সালা পাহাড়ে স্থাপন করা হয়। বাদশাহ ফয়সালের সময়ে কুবা দুর্গের বাইরে দ্বিতীয় কামানটি বসানো হয়। ইফতারের সময় কামান দাগানোর এই রীতি চালু হয় ১৯ শতকের গোড়ার দিকে, মিসরে। তখন রোজাদারদের ইফতারের সময় জানান দেওয়ার জন্য সূর্যাস্তের পরপরই কামানের গোলা ছোড়া হতো। একইভাবে তখন সাহ্রির সময় শেষেও গোলা ছোড়া হতো।
কামান দাগানো ঘিরে একটি মজার গল্পও প্রচলিত আছে। কোনো এক মামলুক সুলতান কায়রোর প্রাসাদে একটি নতুন কামানের পরীক্ষা চালান। রমজান মাসে হওয়ায় এবং ইফতারের সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মানুষ ভেবেছিল, সুলতান হয়তো ইফতার করার জন্যই কামান দাগিয়েছেন। মানুষ বেশ খুশি হলো। তাই সুলতান এই রীতি প্রতিবছরের জন্য চালু করে দেন।
১৯ শতকের মিসরি শাসক মুহাম্মদ আলী পাশাকে নিয়েও একই গল্প শোনা যায়। একটি জার্মান কামান পরীক্ষার সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ শতকের শেষের দিকে মিসরি শাসক খেদিভ ইসমাইলের সেনাবাহিনীর ব্যাপারেও একই গল্পের চল আছে। খেদিভের মেয়ে ফাতিমা তখন থেকে ইফতারের সময় ও ঈদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহারের চল করেন। এ কারণে এই কামানকে ‘ফাতিমার কামান’ও
বলা হয়।
সূত্র: আরব নিউজ
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কামানের গোলা ছুড়ে ইফতারের সংকেত দেওয়া রমজানের জনপ্রিয় ঐতিহ্যের একটি। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইয়েমেন, সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম দেশে এই রীতি এখনো চালু রয়েছে।
মক্কার পাহাড়ি অঞ্চলে এটির বেশ চল রয়েছে। মক্কাবাসীর কাছে এই কামানের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। প্রতি রমজানে মক্কা পুলিশ এটি পরিচালনা করে। সূর্যাস্তের আগে শিশুরা গোলার আওয়াজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
এই কামান সম্পর্কে মক্কা পুলিশের মুখপাত্র মেজর আবদুল মহসিন আল-মাইমানি বলেন, ‘৭৫ বছর আগে যখন মক্কা পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখনই কামানটির দেখভালের দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়া হয়। প্রতিবছর রমজানের কয়েক দিন আগে কামানটি পাহাড়ের ওপরে তোলা হয়। পুলিশের চৌকস একটি দল এটি পরিচালনা করে।’
মদিনায়ও দুটি কামান রয়েছে। প্রথমটি সালা পাহাড়ে স্থাপন করা হয়। বাদশাহ ফয়সালের সময়ে কুবা দুর্গের বাইরে দ্বিতীয় কামানটি বসানো হয়। ইফতারের সময় কামান দাগানোর এই রীতি চালু হয় ১৯ শতকের গোড়ার দিকে, মিসরে। তখন রোজাদারদের ইফতারের সময় জানান দেওয়ার জন্য সূর্যাস্তের পরপরই কামানের গোলা ছোড়া হতো। একইভাবে তখন সাহ্রির সময় শেষেও গোলা ছোড়া হতো।
কামান দাগানো ঘিরে একটি মজার গল্পও প্রচলিত আছে। কোনো এক মামলুক সুলতান কায়রোর প্রাসাদে একটি নতুন কামানের পরীক্ষা চালান। রমজান মাসে হওয়ায় এবং ইফতারের সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মানুষ ভেবেছিল, সুলতান হয়তো ইফতার করার জন্যই কামান দাগিয়েছেন। মানুষ বেশ খুশি হলো। তাই সুলতান এই রীতি প্রতিবছরের জন্য চালু করে দেন।
১৯ শতকের মিসরি শাসক মুহাম্মদ আলী পাশাকে নিয়েও একই গল্প শোনা যায়। একটি জার্মান কামান পরীক্ষার সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ শতকের শেষের দিকে মিসরি শাসক খেদিভ ইসমাইলের সেনাবাহিনীর ব্যাপারেও একই গল্পের চল আছে। খেদিভের মেয়ে ফাতিমা তখন থেকে ইফতারের সময় ও ঈদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহারের চল করেন। এ কারণে এই কামানকে ‘ফাতিমার কামান’ও
বলা হয়।
সূত্র: আরব নিউজ
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১০ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১২ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৯ ঘণ্টা আগে