ইসলাম ডেস্ক
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু মানবজাতির জন্যই নয়, বরং সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)। তাঁর দয়া ও করুণা ছিল সর্বব্যাপী। মানুষ, পশুপাখি, এমনকি উদ্ভিদও তাঁর স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিল না। তিনি নিজে যেমন জীবজন্তুর প্রতি দয়াবান ছিলেন, তেমনি সাহাবিদেরও প্রাণিজগতের প্রতি যত্নশীল হতে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি (সা.)-এর আদর্শে পশুপাখির যত্ন নেওয়া, তাদের খাবার ও পানীয় নিশ্চিত করা এবং অযথা কষ্ট না দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অকারণে পশুপাখিকে মেরে ফেলা, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো বা নিজেদের আনন্দের জন্য তাদের নির্যাতন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। কোনো প্রাণীর ওপর অন্যায় দেখলে তিনি ব্যথিত হতেন এবং এর প্রতিবাদ করতেন। জীবজন্তুর নীরব কষ্ট তাঁর অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিত।
একটি হাদিসে সাহল ইবনে হানজালিইয়াহ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) একটি অনাহারী উট দেখে খুবই কষ্ট পেলেন। উটটির দুর্বলতা দেখে তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্শক্তিহীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠে আরোহণ করবে এবং এদের উত্তমরূপে আহার করাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪৮)।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তিনি পশুপাখির কষ্ট কতটা অনুভব করতেন।
আরেকটি বিখ্যাত হাদিসে ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, এক সফরে তাঁরা একটি পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে গেলে মা পাখিটি অস্থির হয়ে তাঁদের মাথার ওপর উড়তে থাকে। নবীজি (সা.) তখনই জিজ্ঞেস করেন, ‘বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে কে তাকে কষ্ট দিয়েছে? তার বাচ্চা তাকে ফিরিয়ে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫৩৫৬)। এই ঘটনা প্রমাণ করে, নবীজি (সা.) পশুপাখির প্রতি কতটা সংবেদনশীল ছিলেন এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কতটা গুরুত্ব দিতেন। জীবজগতের প্রতি তাঁর এই দয়া ও করুণা মানবজাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু মানবজাতির জন্যই নয়, বরং সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)। তাঁর দয়া ও করুণা ছিল সর্বব্যাপী। মানুষ, পশুপাখি, এমনকি উদ্ভিদও তাঁর স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিল না। তিনি নিজে যেমন জীবজন্তুর প্রতি দয়াবান ছিলেন, তেমনি সাহাবিদেরও প্রাণিজগতের প্রতি যত্নশীল হতে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি (সা.)-এর আদর্শে পশুপাখির যত্ন নেওয়া, তাদের খাবার ও পানীয় নিশ্চিত করা এবং অযথা কষ্ট না দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অকারণে পশুপাখিকে মেরে ফেলা, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো বা নিজেদের আনন্দের জন্য তাদের নির্যাতন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। কোনো প্রাণীর ওপর অন্যায় দেখলে তিনি ব্যথিত হতেন এবং এর প্রতিবাদ করতেন। জীবজন্তুর নীরব কষ্ট তাঁর অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিত।
একটি হাদিসে সাহল ইবনে হানজালিইয়াহ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) একটি অনাহারী উট দেখে খুবই কষ্ট পেলেন। উটটির দুর্বলতা দেখে তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্শক্তিহীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠে আরোহণ করবে এবং এদের উত্তমরূপে আহার করাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪৮)।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তিনি পশুপাখির কষ্ট কতটা অনুভব করতেন।
আরেকটি বিখ্যাত হাদিসে ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, এক সফরে তাঁরা একটি পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে গেলে মা পাখিটি অস্থির হয়ে তাঁদের মাথার ওপর উড়তে থাকে। নবীজি (সা.) তখনই জিজ্ঞেস করেন, ‘বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে কে তাকে কষ্ট দিয়েছে? তার বাচ্চা তাকে ফিরিয়ে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫৩৫৬)। এই ঘটনা প্রমাণ করে, নবীজি (সা.) পশুপাখির প্রতি কতটা সংবেদনশীল ছিলেন এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কতটা গুরুত্ব দিতেন। জীবজগতের প্রতি তাঁর এই দয়া ও করুণা মানবজাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
পবিত্র কোরআন—যে গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে মুমিন হৃদয়। দিশেহারা মানুষ পায় সঠিক পথের দিশা। এ গ্রন্থে রয়েছে উপদেশ গ্রহণে আগ্রহীদের জন্য অনন্য উপদেশ। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় কোরআন থেকে, তাদের জন্য এতে বর্ণিত হয়েছে সতর্কবার্তা।
২ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না। মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
১৬ ঘণ্টা আগেমানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
১ দিন আগে