কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী
পানি আল্লাহর নেয়ামত। মহানবী (সা.) পানি পান করার সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করতেন, যা উম্মতের জন্য পালনীয়। এতে একদিকে যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ হবে, অন্যদিকে মহান আল্লাহর নেয়ামতের যথাযথ হক আদায় হবে। পানি পান করার সুন্নতগুলো এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. পানির পাত্র বা গ্লাস ব্যবহার করা। রাসুল (সা.) মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (রিয়াদুস সালেহিন: ৭৬৭)
দুই. পরিষ্কার পাত্রে পান করা। রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাতের বেলা পানপাত্র নেড়েচেড়ে পরিষ্কার করা ছাড়া পানি পান করবে না। তবে পাত্র ঢাকা অবস্থায় থাকলে ভিন্ন কথা।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৪৭১)
তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা পানি পান করার ইচ্ছা করবে, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি: ১৮৮৫)
চার. ডান হাতে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে আহার কোরো না। কেননা, শয়তান এভাবেই আহার করে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩২৬৮)
পাঁচ. বসে পানি পান করা। শুধু জমজমের পানি ছাড়া পৃথিবীর সব পানি বসে পান করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। (মুসলিম: ২০২৪)
ছয়. তিনবারে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা কখনো উটের মতো এক চুমুকে পানি পান কোরো না। বরং তিন শ্বাসে পানি পান করবে।’ (তিরমিজি: ১৮৮৫)
সাত. গ্লাসে নিশ্বাস না ফেলা। রাসুল (সা.) পানি পান করার সময় কখনো গ্লাসে নিশ্বাস ফেলতেন না।’ (বুখারি: ১৫৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পানি আল্লাহর নেয়ামত। মহানবী (সা.) পানি পান করার সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করতেন, যা উম্মতের জন্য পালনীয়। এতে একদিকে যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ হবে, অন্যদিকে মহান আল্লাহর নেয়ামতের যথাযথ হক আদায় হবে। পানি পান করার সুন্নতগুলো এখানে তুলে ধরা হলো—
এক. পানির পাত্র বা গ্লাস ব্যবহার করা। রাসুল (সা.) মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (রিয়াদুস সালেহিন: ৭৬৭)
দুই. পরিষ্কার পাত্রে পান করা। রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাতের বেলা পানপাত্র নেড়েচেড়ে পরিষ্কার করা ছাড়া পানি পান করবে না। তবে পাত্র ঢাকা অবস্থায় থাকলে ভিন্ন কথা।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৪৭১)
তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা পানি পান করার ইচ্ছা করবে, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি: ১৮৮৫)
চার. ডান হাতে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে আহার কোরো না। কেননা, শয়তান এভাবেই আহার করে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩২৬৮)
পাঁচ. বসে পানি পান করা। শুধু জমজমের পানি ছাড়া পৃথিবীর সব পানি বসে পান করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। (মুসলিম: ২০২৪)
ছয়. তিনবারে পান করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা কখনো উটের মতো এক চুমুকে পানি পান কোরো না। বরং তিন শ্বাসে পানি পান করবে।’ (তিরমিজি: ১৮৮৫)
সাত. গ্লাসে নিশ্বাস না ফেলা। রাসুল (সা.) পানি পান করার সময় কখনো গ্লাসে নিশ্বাস ফেলতেন না।’ (বুখারি: ১৫৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
চারটি উন্নত ও অনুপম সদ্গুণ এমন আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিপরায়ণ, চরিত্র মাধুরীসম্পন্ন বিনয়ী ব্যক্তির হয়ে থাকে। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলো আনায় বিদ্যমান ছিল।
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.)-এর সুন্নত ছিল, তিনি সফর থেকে ফিরে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। সফর নিরাপদে শেষ করতে পারায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন। দোয়া পড়তেন। এরপর পরিবারের কাছে যেতেন।
১ দিন আগেহজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদত। এটি শুধু শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ। সামর্থ্যবানদের জীবনে একবার এই ইবাদত আদায় করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭২৮৮)
২ দিন আগেঅন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও পাপের একটি বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করেছেন, বিভিন্ন শাস্তির কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের..
৩ দিন আগে