মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
রাসুল (সা.)-এর উম্মত হওয়ার গৌরব অর্জন করার জন্য তাঁর সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ করা চাই। এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা চাই, যা সম্পাদনকারীকে তিনি তাঁর উম্মত নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিচে হাদিসের আলোকে এমন ১০টি কাজের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. সুন্নতকে অবজ্ঞা করা: রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমার সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, সে আমার উম্মত নয়।’ (বুখারি)
দুই. বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ এবং আলেমদের ইজ্জত করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বড়দের সম্মান করে না, ছোটদের স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার ও মর্যাদা বোঝে না, সে আমার উম্মত নয়।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
তিন. ভাগ্য যাচাই ও জাদুটোনা করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই লোক আমার দলভুক্ত নয়, যে পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করে অথবা যার ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি ওড়ানো হয়; অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করে অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হয়; অথবা যে ব্যক্তি জাদু করে অথবা যার নির্দেশে জাদু করা হয়। আর যে ব্যক্তি কোনো জ্যোতিষীর কাছে এল এবং তার কথা বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ বিধানকে অস্বীকার করল।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
চার. যারা অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি)
পাঁচ. দুর্নীতি ও প্রতারণা: রাসুল (সা.) একদিন এক খাদ্যশস্যের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় খাদ্যের স্তূপের ভেতর হাত দিয়ে যাচাই করে দেখলেন। ভেতরে ভেজা দেখে তিনি দোকানদারকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। দোকানদার বললেন, বৃষ্টির পানিতে তা ভিজে গেছে। তখন নবীজি বললেন, ‘তাহলে ভেজা শস্যগুলো ওপরে রাখলে না কেন, যেন মানুষ তা দেখতে পারে?’ এরপর তিনি বললেন, ‘যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমার সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, সে আমার উম্মত নয়।’ (বুখারি)
ছয়. মুসলমান ভাইয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) ওপর অস্ত্র তোলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)
সাত. শোক প্রকাশে অতিরঞ্জন করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যারা (শোক প্রকাশ করতে গিয়ে) মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
আট. স্ত্রীর মনে স্বামীর বিরুদ্ধে প্ররোচনাদানকারী: রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
নয়. ছিনতাই করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের কোনো ধনসম্পদ ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
দশ. অত্যাচারে সহযোগিতা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘শোনো, আমার পরে কিছু (জালিম) শাসক আসবে, যারা তাদের কাছে যাবে, তাদের মিথ্যাচার সমর্থন করবে এবং তাদের জুলুমের সহযোগী হবে, তারা আমার দলের নয়, আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। তারা হাউজে কাওসারে আমার নিকট আসতে পারবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
রাসুল (সা.)-এর উম্মত হওয়ার গৌরব অর্জন করার জন্য তাঁর সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ করা চাই। এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা চাই, যা সম্পাদনকারীকে তিনি তাঁর উম্মত নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিচে হাদিসের আলোকে এমন ১০টি কাজের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. সুন্নতকে অবজ্ঞা করা: রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমার সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, সে আমার উম্মত নয়।’ (বুখারি)
দুই. বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ এবং আলেমদের ইজ্জত করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বড়দের সম্মান করে না, ছোটদের স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার ও মর্যাদা বোঝে না, সে আমার উম্মত নয়।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
তিন. ভাগ্য যাচাই ও জাদুটোনা করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই লোক আমার দলভুক্ত নয়, যে পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করে অথবা যার ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি ওড়ানো হয়; অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করে অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হয়; অথবা যে ব্যক্তি জাদু করে অথবা যার নির্দেশে জাদু করা হয়। আর যে ব্যক্তি কোনো জ্যোতিষীর কাছে এল এবং তার কথা বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ বিধানকে অস্বীকার করল।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
চার. যারা অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি)
পাঁচ. দুর্নীতি ও প্রতারণা: রাসুল (সা.) একদিন এক খাদ্যশস্যের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় খাদ্যের স্তূপের ভেতর হাত দিয়ে যাচাই করে দেখলেন। ভেতরে ভেজা দেখে তিনি দোকানদারকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। দোকানদার বললেন, বৃষ্টির পানিতে তা ভিজে গেছে। তখন নবীজি বললেন, ‘তাহলে ভেজা শস্যগুলো ওপরে রাখলে না কেন, যেন মানুষ তা দেখতে পারে?’ এরপর তিনি বললেন, ‘যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে আমার সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, সে আমার উম্মত নয়।’ (বুখারি)
ছয়. মুসলমান ভাইয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) ওপর অস্ত্র তোলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)
সাত. শোক প্রকাশে অতিরঞ্জন করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যারা (শোক প্রকাশ করতে গিয়ে) মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
আট. স্ত্রীর মনে স্বামীর বিরুদ্ধে প্ররোচনাদানকারী: রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
নয়. ছিনতাই করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের কোনো ধনসম্পদ ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
দশ. অত্যাচারে সহযোগিতা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘শোনো, আমার পরে কিছু (জালিম) শাসক আসবে, যারা তাদের কাছে যাবে, তাদের মিথ্যাচার সমর্থন করবে এবং তাদের জুলুমের সহযোগী হবে, তারা আমার দলের নয়, আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। তারা হাউজে কাওসারে আমার নিকট আসতে পারবে না।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৬ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে