Ajker Patrika

সর্বোত্তম আমলের মধ্যে একটি হজে মাবরুর

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা, সুন্নত অনুযায়ী সব আমল সম্পন্ন করা, পাপ থেকে বিরত থাকা এবং হজ শেষে চরিত্রে উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে হজে মাবরুরের সৌভাগ্য লাভ করা সম্ভব। হজের পর অন্তর বিনয়ী হওয়া, দুনিয়াবি লোভ না থাকা এবং সদাচরণ বৃদ্ধি পাওয়া—হজে মাবরুরের লক্ষণ।

ইসলামে সর্বোত্তম আমলের মধ্যে একটি হলো হজে মাবরুর। নবীজি (সা.)-কে একবার জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। জানতে চাওয়া হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে লড়াই করা। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোনটি? উত্তরে তিনি বললেন, হজে মাবরুর তথা মকবুল হজ (সহিহ্ বুখারি: ১৫১৯)।

হজে মাবরুরের মাধ্যমে বান্দার পাপ মুছে যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করল এবং এ সময় অশ্লীল কাজ ও পাপের কাজ থেকে বিরত থাকল, সে সদ্যোজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৫০)।

হজে মাবরুরের প্রতিদান হলো জান্নাত, যা প্রতিটি মুমিনেরই কাঙ্ক্ষিত স্থান। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ করো, কেননা এ দুটি দারিদ্র্য ও পাপ এমনভাবে দূর করে, যেভাবে লোহা, স্বর্ণ ও রুপার ময়লা হাঁপর দূর করে। আর হজে মাবরুর (কবুল হজ)-এর বিনিময় জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৭)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘জান্নাতই হলো হজে মাবরুরের প্রতিদান’ (সহিহ্ বুখারি: ১৬৫৮)।

আল্লাহ তাআলা আমাদের হজে মাবরুর পালন করার তৌফিক দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার সরানো হলো জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

উদ্দীপনের ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সচিব মিহির কান্তির বিরুদ্ধে ৬ মামলা

ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত